১,৬৯৬টি
সম্পাদনা
Asifmuktadir (আলোচনা | অবদান) (তীর্থযাত্রা) |
Asifmuktadir (আলোচনা | অবদান) (ভারতবর্ষ) |
||
==তীর্থ যাত্রা==
[[File:Xyj-tang seng.jpg|255px|right|thumb|একটি ছবিতে হিউয়েন সাঙ কে পশ্চিমের দিকে যাত্রা করতে দেখা যাচ্ছে]]
[[৬২৯]] সালে একটি স্বপ্ন দেখে ভারত যাত্রার প্রতি আকৃষ্ট হন। ঐ সময়ে [[
তুর্পান থেকে আরো পশ্চিমে যেতে থাকলে ইয়ানজি ও কুচা হয়ে কিরজিকিস্তান পৌছান যেখানে তিনি তুর্ক খানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। যদিও ৬৩০ সালের দিকে তুর্কদের সাথে তাং সম্রাজ্যের যুদ্ধ চলছিলো, যখন হিউয়েন সাং, খানের সাথে দেখা করেন তত দিনে [[
আরো পশ্চিমে যেয়ে তিনি খুন্দুজ শহরে সেখানকার প্রিন্স তার্দুর অন্তুষ্টিক্রিয়া দেখার জন্য কিছুকাল অবস্থান করেন। সেখানেই তিনি ধর্মসীমা নামে এক বিখ্যাত বৌদ্ধ ভিক্ষুর সাথে সাক্ষাৎ করেন। সদ্য মৃত প্রিন্স তার্দুর উপদেশেই তিনি পরবর্তিতে আরো পশ্চিমে নব বিহার পরিদর্শন করেন। নব বিহারের বর্তমান নাম আফগানিস্তান। সেখানে তিনি অনেক বৌদ্ধ মঠ এবং '''মহাবিশ্ব''' গ্রন্থের অনুসারী প্রায় তিন হাজার বৌদ্ধ বিক্ষু দেখেন। হিউয়েন সাঙ এর মতে নব বিহার হল প্ররথিবীর সর্ব পশিমে অবস্থিত দেশ যা বৌদ্ধ ধর্ম প্রতিপালন করে। নব বিহারে কিছুদিন অবস্থান করে [[৬৩০]] সালের দিকে তিনি আদিনপুর (বর্তমান জালালাবাদ) যান। [[জালালাবাদ]] এসেই তিনি মনে করতে থাকেন যে তিনি ভারতবর্ষে প্রবেশ করেছেন।
==ভারতবর্ষ==
আদিনপুর ত্যাগ করে তিনি [[খাইবার পাস]] হয়ে [[পেশাওয়ার|পেশাওয়ার]] দিকে রওনা হন। যাওয়ার পথে তিনি অনেক বৌদ্ধ মঠ দেখেন কিন্তু সেগুলোতে সে তুলনায় বৌদ্ধ ভিক্ষু ছিল না। হিউয়েন সাঙ এর মতে পূর্বে পেশওয়ারের বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কিত যে গৌরব ছিল তা তৎকালীন পেশওয়ার হারাতে বসেছিল। [[পেশাওয়ার]] থেকে তিনি [[সোয়াত উপত্যকা|সোয়াত উপত্যকার]] দিকে চলে যান যেখানে তিনি চোদ্দশ পরিত্যাক্ত বৌদ্ধ মঠ দেখতে পান যেখানে পূর্বে প্রায় আঠারো হাজার ভিক্ষু বসবাস করতেন। সোয়াত উপত্যাকা দিয়ে তিনি [[সিন্ধু নদ]] পার হন। সিন্ধু পার হয়ে তিনি [[কাশ্মীর|কাশ্মীরের]] দিকে ধাবিত হন। [[কাশ্মীর|কাশ্মীরে]] হিউয়েনের সাথে বৌদ্ধ ভিক্ষু সংঘাসের সাথে দেখা হয়ে যায়। সংঘাস ছিলেন ময়াহন গ্রন্থের পন্ডিৎ। হিউয়েন কাশ্মিরে ৬৩২ থেকে ৬৩৩ সাল পর্যন্ত অন্যান্ন জ্ঞানি বিক্ষুদের সাথে মাহায়ন অধ্যয়ন করে কাটান। এখানে অবস্থানকালেই তিনি তার বইয়ে খৃষ্টপূর্ব প্রথম শতকে অনুষ্ঠিত প্রথম বৌদ্ধ কাউন্সিলের ব্যাপারে লিখেছিলেন। এরপর তিনি আরোপূর্বের দিকে [[লাহোর]] ও মতিপুরের দিকে রওনা দেন।
==রচনাসমূহ==
* ''Si-Yu-Ki: Buddhist Records of the Western World'' - হিউয়েন সাঙের মূল রচনার ইংরেজি অনুবাদ। ইংরেজিতে ভাষান্তর করেছেন স্যামুয়েল বিল। [[১৮৮৪]] সালে লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়। [[১৯৬৯]] সালে দিল্লী থেকে পুনর্মুদ্রণ হয়। এর বাংলা অনুবাদের নাম ''হিউয়েন সাঙ ভ্রমণ কাহিনী''। ইংরেজি থেকে বাংলায় ভাষান্তর করেছেন খুররম হোসাইন। ঢাকার শব্দ গুচ্ছ প্রকাশনী থেকে বাংলা অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে ২০০৩ সালের ঢাকা বইমেলায়।
|