হরমুজ প্রণালি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
অ 103.9.114.229-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Addbot-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[চিত্র:Strait of Hormuz.jpg|thumb|250px|মানচিত্রে হরমুজ প্রণালী]] |
[[চিত্র:Strait of Hormuz.jpg|thumb|250px|মানচিত্রে হরমুজ প্রণালী]] |
||
[[চিত্র:Straße von Hormuz.jpg|thumb|250px|হরমুজ প্রণালীর উপগ্রহ চিত্র]] |
[[চিত্র:Straße von Hormuz.jpg|thumb|250px|হরমুজ প্রণালীর উপগ্রহ চিত্র]] |
||
'''হরমুজ প্রণালী''' {{IPAc-en|h|ɔr|ˈ|m|uː|z}} {{lang-fa|تَنگِه هُرمُز}} ''তাঙ্গেহ-ইয়ে হরমজ''), ({{lang-ar|مَضيق هُرمُز}} ''মাদিক হুরমুজ'') একটি সরু জলপথ যা পশ্চিমের পারস্য উপসাগরকে পূর্বে ওমান উপসাগর ও আরব সাগরের সাথে সংযুক্ত করেছে। এটি আরব উপদ্বীপকে ইরান থেকে পৃথককারী। ৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই চ্যানেলটি পারস্য উপসাগরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ওমান ও ইরানকে সংযুক্ত করেছে। এই রুটতি আন্তর্জাতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ন কারন তেলবাহী জাহাজ যাতায়াতের এটিই একমাত্র পথ। বিশ্বব্যাপী পেট্রোলিয়াম পরিবহনে প্রণালীটির কৌশলগত গুরুত্ব অত্যধিক। জলপথটির সবচেয়ে সরু অংশের দৈর্ঘ্য ২১ মাইল এবং প্রস্থ দুই মাইল। মার্কিন জ্বালানি তথ্য প্রশাসন কর্তৃপক্ষের মতে, ২০০৯ সালে সমুদ্রপথে তেল বাণিজ্যের ৩৩ শতাংশ হয় হরমুজ প্রণালি দিয়ে এবং ২০০৮ সালে হয়েছিল ৪০ শতাংশ। ২০০৯ সালে হরমুজ দিয়ে এক দিনে দেড় কোটি ব্যারেল তেল পরিবাহিত হতো। এ অঞ্চল দিয়ে তেল পরিবহন নির্বিঘ্ন রাখতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ নিয়মিত পাহারা দিচ্ছে। হরমুজ প্রণালি দিয়ে পরিবাহিত তেলের বেশির ভাগই যায় এশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিম ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। জাপান তার আমদানিকৃত তেলের তিন-চতুর্থাংশ হরমুজের ওপর দিয়ে নিয়ে যায়। আর চীনের আমদানিকৃত তেলের অর্ধেকই আসে হরমুজ প্রণালি হয়ে। হরমুজ দিয়ে প্রতিদিন ২০ লাখ ব্যারেলের মতো তেলজাতদ্রব্য রপ্তানি হয়ে থাকে। এর সঙ্গে আছে তরলীকৃত গ্যাসও।<ref name="p-alo">''[http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-12-31/news/212961 হরমুজ প্রণালি কেন গুরুত্বপূর্ণ (ভিডিও)]'',অনলাইন ডেস্ক, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ৩১-১২-২০১১ খ্রিস্টাব্দ।</ref><ref name="sharenews24">''[http://www.sharenews24.com/index.php?page=details&nc=08&news_id=2560 হরমুজ প্রনালী বন্ধ সহ্য করা হবে না: যুক্তরাষ্ট্র]'',শেয়ারনিউজ। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২৯ ডিসেম্বর খ্রিস্টাব্দ।</ref> |
'''হরমুজ প্রণালী''' {{IPAc-en|h|ɔr|ˈ|m|uː|z}} {{lang-fa|تَنگِه هُرمُز}} ''তাঙ্গেহ-ইয়ে হরমজ''), ({{lang-ar|مَضيق هُرمُز}} ''মাদিক হুরমুজ'') একটি সরু জলপথ যা পশ্চিমের পারস্য উপসাগরকে পূর্বে ওমান উপসাগর ও আরব সাগরের সাথে সংযুক্ত করেছে। এটি আরব উপদ্বীপকে ইরান থেকে পৃথককারী। ৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই চ্যানেলটি পারস্য উপসাগরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ওমান ও ইরানকে সংযুক্ত করেছে। এই রুটতি আন্তর্জাতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ন কারন তেলবাহী জাহাজ যাতায়াতের এটিই একমাত্র পথ। বিশ্বব্যাপী পেট্রোলিয়াম পরিবহনে প্রণালীটির কৌশলগত গুরুত্ব অত্যধিক। জলপথটির সবচেয়ে সরু অংশের দৈর্ঘ্য ২১ মাইল এবং প্রস্থ দুই মাইল। মার্কিন জ্বালানি তথ্য প্রশাসন কর্তৃপক্ষের মতে, ২০০৯ সালে সমুদ্রপথে তেল বাণিজ্যের ৩৩ শতাংশ হয় হরমুজ প্রণালি দিয়ে এবং ২০০৮ সালে হয়েছিল ৪০ শতাংশ। ২০০৯ সালে হরমুজ দিয়ে এক দিনে দেড় কোটি ব্যারেল তেল পরিবাহিত হতো। এ অঞ্চল দিয়ে তেল পরিবহন নির্বিঘ্ন রাখতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ নিয়মিত পাহারা দিচ্ছে। হরমুজ প্রণালি দিয়ে পরিবাহিত তেলের বেশির ভাগই যায় এশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিম ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। জাপান তার আমদানিকৃত তেলের তিন-চতুর্থাংশ হরমুজের ওপর দিয়ে নিয়ে যায়। আর চীনের আমদানিকৃত তেলের অর্ধেকই আসে হরমুজ প্রণালি হয়ে। হরমুজ দিয়ে প্রতিদিন ২০ লাখ ব্যারেলের মতো তেলজাতদ্রব্য রপ্তানি হয়ে থাকে। এর সঙ্গে আছে তরলীকৃত গ্যাসও।<ref name="p-alo">''[http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-12-31/news/212961 হরমুজ প্রণালি কেন গুরুত্বপূর্ণ (ভিডিও)]'',অনলাইন ডেস্ক, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ৩১-১২-২০১১ খ্রিস্টাব্দ।</ref><ref name="sharenews24">''[http://www.sharenews24.com/index.php?page=details&nc=08&news_id=2560 হরমুজ প্রনালী বন্ধ সহ্য করা হবে না: যুক্তরাষ্ট্র]'',শেয়ারনিউজ। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ২৯ ডিসেম্বর খ্রিস্টাব্দ।</ref> |
||
==তথ্যসূত্র== |
==তথ্যসূত্র== |
২২:১৮, ৩০ মে ২০১৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
হরমুজ প্রণালী /hɔːrˈmuːz/ ফার্সি: تَنگِه هُرمُز তাঙ্গেহ-ইয়ে হরমজ), (আরবি: مَضيق هُرمُز মাদিক হুরমুজ) একটি সরু জলপথ যা পশ্চিমের পারস্য উপসাগরকে পূর্বে ওমান উপসাগর ও আরব সাগরের সাথে সংযুক্ত করেছে। এটি আরব উপদ্বীপকে ইরান থেকে পৃথককারী। ৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই চ্যানেলটি পারস্য উপসাগরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ওমান ও ইরানকে সংযুক্ত করেছে। এই রুটতি আন্তর্জাতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ন কারন তেলবাহী জাহাজ যাতায়াতের এটিই একমাত্র পথ। বিশ্বব্যাপী পেট্রোলিয়াম পরিবহনে প্রণালীটির কৌশলগত গুরুত্ব অত্যধিক। জলপথটির সবচেয়ে সরু অংশের দৈর্ঘ্য ২১ মাইল এবং প্রস্থ দুই মাইল। মার্কিন জ্বালানি তথ্য প্রশাসন কর্তৃপক্ষের মতে, ২০০৯ সালে সমুদ্রপথে তেল বাণিজ্যের ৩৩ শতাংশ হয় হরমুজ প্রণালি দিয়ে এবং ২০০৮ সালে হয়েছিল ৪০ শতাংশ। ২০০৯ সালে হরমুজ দিয়ে এক দিনে দেড় কোটি ব্যারেল তেল পরিবাহিত হতো। এ অঞ্চল দিয়ে তেল পরিবহন নির্বিঘ্ন রাখতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ নিয়মিত পাহারা দিচ্ছে। হরমুজ প্রণালি দিয়ে পরিবাহিত তেলের বেশির ভাগই যায় এশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিম ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। জাপান তার আমদানিকৃত তেলের তিন-চতুর্থাংশ হরমুজের ওপর দিয়ে নিয়ে যায়। আর চীনের আমদানিকৃত তেলের অর্ধেকই আসে হরমুজ প্রণালি হয়ে। হরমুজ দিয়ে প্রতিদিন ২০ লাখ ব্যারেলের মতো তেলজাতদ্রব্য রপ্তানি হয়ে থাকে। এর সঙ্গে আছে তরলীকৃত গ্যাসও।[১][২]
তথ্যসূত্র
- ↑ হরমুজ প্রণালি কেন গুরুত্বপূর্ণ (ভিডিও),অনলাইন ডেস্ক, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ৩১-১২-২০১১ খ্রিস্টাব্দ।
বহিঃসংযোগ
- Robert Strauss Center's Hormuz website: background on the political, economic, business, technical, and military issues
- Strait of Hormuz website, includes antique maps.
- Federation of American Scientists about the weapons on the islands FAS.org
- Strait of Hormuz – U.K. Admiralty Chart 2888 (excerpt) (1580 pixels)
- How Great a Concern? Iranian threats to close the Strait of Hormuz, briefly describes offense-defense balance in the Strait and links to articles in the journal, International Security, as well as a map of the Strait and surrounding region
- Videos
- Politics of Strait of Hormuz - PressTV (2012)