সূরা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
লিমন২০১০ (আলোচনা | অবদান)
GbySmn-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Addbot-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[চিত্র:FirstSurahKoran (fragment).jpg|thumb|upright|250px|''[[আল ফাতিহা]]'', কুরআনের প্রথম সূরা।]]
[[চিত্র:FirstSurahKoran (fragment).jpg|thumb|upright|250px|''[[আল ফাতিহা]]'', কুরআনের প্রথম সূরা।]]


'''সূরা''' (ইংরেজি: sura, surah, surat) (আরবি: سورة) হচ্ছে [[ইসলাম|ইসলামী]] পরিভাষায় [[মুসলিম|মুসলমানদের]] ধর্মগ্রন্থ [[কুরআন শরীফ|কুরআনের]] এক একটি অধ্যায়ের নাম । তবে এটি সাধারণ পুস্তকের অধ্যায়ের মত নয় বরং বিশেষভাবে কেবল কুরআনের বৈশিষ্ট্যের জন্যই এর উৎপত্তি। তাই এটি প্রকৃত অর্থেই একটি কুরআনিক পরিভাষা যাকে কেবল কুরআনের দৃষ্টিকোণ থেকেই ব্যাখ্যা করা যায়। কুরআনের প্রথম সূরা হলো "আল ফাতিহা" এবং শেষ সূরার নাম "আন-নাস্"। দীর্ঘতম সূরা হলো "আল-ইমরান"। সূরা "তাওবা" ব্যতীত সকল সূরা শুরু হয়েছে [[বিসমিল্লাহির রাহমনির রাহীম]] দিয়ে। একটি সূরা বা এর অংশবিশেষ অবতীর্ণ হওয়ার প্রেক্ষাপট বা ইতিহাসকে বলা হয় [[শানে নযুল]]।
'''সূরা''' (ইংরেজি: sura, surah, surat) (আরবি: سورة) হচ্ছে [[ইসলাম|ইসলামী]] পরিভাষায় [[মুসলিম|মুসলমানদের]] ধর্মগ্রন্থ [[কুরআন শরীফ|কুরআনের]] এক একটি অধ্যায়ের নাম । তবে এটি সাধারণ পুস্তকের অধ্যায়ের মত নয় বরং বিশেষভাবে কেবল কুরআনের বৈশিষ্ট্যের জন্যই এর উৎপত্তি। তাই এটি প্রকৃত অর্থেই একটি কুরআনিক পরিভাষা যাকে কেবল কুরআনের দৃষ্টিকোণ থেকেই ব্যাখ্যা করা যায়। কুরআনের প্রথম সূরা হলো "আল ফাতিহা" এবং শেষ সূরার নাম "আন-নাস্"। দীর্ঘতম সূরা হলো "আল-ইমরান"। সূরা "তাওবা" ব্যতীত সকল সূরা শুরু হয়েছে [[বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম]] দিয়ে। একটি সূরা বা এর অংশবিশেষ অবতীর্ণ হওয়ার প্রেক্ষাপট বা ইতিহাসকে বলা হয় [[শানে নযুল]]।


== কুরআনের সূরাসমূহের তালিকা ==
== কুরআনের সূরাসমূহের তালিকা ==

১৪:০৭, ৩০ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

আল ফাতিহা, কুরআনের প্রথম সূরা।

সূরা (ইংরেজি: sura, surah, surat) (আরবি: سورة) হচ্ছে ইসলামী পরিভাষায় মুসলমানদের ধর্মগ্রন্থ কুরআনের এক একটি অধ্যায়ের নাম । তবে এটি সাধারণ পুস্তকের অধ্যায়ের মত নয় বরং বিশেষভাবে কেবল কুরআনের বৈশিষ্ট্যের জন্যই এর উৎপত্তি। তাই এটি প্রকৃত অর্থেই একটি কুরআনিক পরিভাষা যাকে কেবল কুরআনের দৃষ্টিকোণ থেকেই ব্যাখ্যা করা যায়। কুরআনের প্রথম সূরা হলো "আল ফাতিহা" এবং শেষ সূরার নাম "আন-নাস্"। দীর্ঘতম সূরা হলো "আল-ইমরান"। সূরা "তাওবা" ব্যতীত সকল সূরা শুরু হয়েছে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম দিয়ে। একটি সূরা বা এর অংশবিশেষ অবতীর্ণ হওয়ার প্রেক্ষাপট বা ইতিহাসকে বলা হয় শানে নযুল

কুরআনের সূরাসমূহের তালিকা

কুরআনে সর্বমোট ১১৪টি সূরা রয়েছে। কুরআনে সূরার অবস্থানক্রম ইসলামের তৃতীয় খলিফা হযরত উসমানের (রাঃ) নেতৃত্বে নিম্নরূপ নির্ধারণ করা হয়। সূরাগুলোর নামের পাশে বন্ধনীর মধ্যে বাংলা অর্থ দেয়া আছে।

১. আল ফাতিহা (সূচনা)
২. আল বাকারা (বকনা-বাছুর)
৩. আল ইমরান (ইমরানের পরিবার)
৪. আন নিসা (নারী)
৫. আল মায়িদাহ (খাদ্য পরিবেশিত টেবিল)
৬. আল আনআম (গৃহপালিত পশু)
৭. আল আরাফ (উচু স্থানসমূহ),
৮. আল আনফাল (যুদ্ধে-লব্ধ ধনসম্পদ),
৯. আত তাওবাহ্‌ (অনুশোচনা),
১০. ইউনুস (নবী ইউনুস),
১১. হুদ (নবী হুদ),
১২. ইউসুফ (নবী ইউসুফ),
১৩. আর রা'দ (বজ্রনাদ),
১৪. ইব্রাহীম (নবী ইব্রাহিম),
১৫. আল হিজর (পাথুরে পাহাড়),
১৬. আন নাহল (মৌমাছি),
১৭. বনী-ইসরাঈল (সূরা) (ইহুদী জাতি),
১৮. আল কাহফ (গুহা),
১৯. মারিয়াম (মারিয়াম, নবী ঈসার মা)
২০. ত্বোয়া-হা (ত্বোয়া-হা),
২১. আল আম্বিয়া (নবীগণ),
২২. আল হাজ্জ (হাজ্জ),
২৩. আল মু'মিনূন (মুমিনগণ),
২৪. আন নূর (আলো),
২৫. আল ফুরকান (সত্য মিথ্যার পার্থক্য নির্ধারণকারী গ্রম্থ),
২৬. আশ শুআরা (কবিগণ),
২৭. আন নম্‌ল (পিপীলিকা),
২৮. আল ক্বাছাছ (কাহিনী),
২৯. আল আনকাবূত (মাকড়সা),
৩০. আর রুম (রোমান জাতি),
৩১. লোক্‌মান (সূরা) (একজন জ্ঞানী ব্যাক্তি),
৩২. আস সেজদাহ্‌ (সিজদাহ),
৩৩. আল আহ্‌যাব (জোট),
৩৪. সাবা (সূরা) (রানী সাবা/শেবা),
৩৫. ফাতির (আদি স্রষ্টা),
৩৬. ইয়াসীন (ইয়াসীন),
৩৭. আস ছাফ্‌ফাত (সারিবদ্ধভাবে দাড়ানো),
৩৮. ছোয়াদ (আরবি বর্ণ),
৩৯. আয্‌-যুমার (দল-বদ্ধ জনতা),
৪০. আল মু'মিন (বিশ্বাসী)
৪১. হা-মীম-সেজদাহ্ (সুস্পষ্ট বিবরণ),
৪২. আশ্‌-শূরা (পরামর্শ),
৪৩. আয্‌-যুখরুফ (সোনাদানা),
৪৪. আদ-দোখান (ধোঁয়া),
৪৫. আল জাছিয়াহ্ (নতজানু),
৪৬. আল আহ্‌ক্বাফ (বালুর পাহাড়),
৪৭. মুহাম্মদ (নবী মুহাম্মদ),
৪৮. আল ফাত্‌হ (বিজয়, মক্কা বিজয়),
৪৯. আল হুজুরাত (বাসগৃহসমুহ),
৫০. ক্বাফ (আরবি বর্ণ ক্বাফ),
৫১. আয যারিয়াত (বিক্ষেপকারী বাতাস),
৫২. আত্‌-তূর (পাহাড়),
৫৩. আন-নাজম (তারা),
৫৪. আল কামার (চন্দ্র)
৫৫. আর-রাহমান (পরম করুণাময়)
৫৬. আল ওয়াক্বিয়াহ্ (নিশ্চিত ঘটনা)
৫৭. আল হাদীদ (লোহা)
৫৮. আল মুজাদালাহ্ (অনুযোগকারিণী),
৫৯. আল হাশ্‌র (সমাবেশ),
৬০. আল মুম্‌তাহিনাহ্ (নারী, যাকে পরিক্ষা করা হবে),
৬১. আছ-ছাফ (সারবন্দী সৈন্যদল),
৬২. আল জুমুআহ (সম্মেলন/শুক্রবার),
৬৩. আল মুনাফিকূন (কপট বিশ্বাসীগণ),
৬৪. আত-তাগাবুন (মোহ অপসারণ),
৬৫. আত-তালাক্ব (তালাক),
৬৬. আত-তাহ্‌রীম (নিষিদ্ধকরণ),
৬৭. আল মুল্‌ক (সার্বভৌম কতৃত্ব),
৬৮. আল ক্বলম (কলম),
৬৯. আল হাক্কাহ (নিশ্চিত সত্য),
৭০. আল মাআরিজ (উন্নয়নের সোপান),
৭১. নূহ (নবী নূহ)
৭২. আল জ্বিন (জ্বিন সম্প্রদায়)
৭৩. আল মুয্‌যাম্মিল (বস্ত্রাচ্ছাদনকারী)
৭৪. আল মুদ্দাস্‌সির (পোশাক পরিহিত),
৭৫. আল ক্বিয়ামাহ্ (পুনরু্ত্তান),
৭৬. আদ-দাহ্‌র (মানুষ),
৭৭. আল মুরসালাত (প্রেরিত পুরুষগণ),
৭৮. আন্‌ নাবা (মহাসংবাদ),
৭৯. আন্‌-নাযিয়াত (প্রচেষ্টাকারী),
৮০. আবাসা (তিনি ভ্রুকুটি করলেন),
৮১. আত-তাক্‌ভীর (অন্ধকারাচ্ছন্ন),
৮২. আল ইন্‌ফিতার (বিদীর্ণ করা),
৮৩. আত্‌-মুত্বাফ্‌ফিফীন (প্রতারণা করা),
৮৪. আল ইন্‌শিকাক (খন্ড-বিখন্ড করণ),
৮৫. আল বুরুজ (নক্ষত্রপুন্জ),
৮৬. আত-তারিক্ব (রাতের আগন্তুক),
৮৭. আল আ'লা (সর্বোন্নত),
৮৮. আল গাশিয়াহ্ (বিহ্বলকর ঘটনা),
৮৯. আল ফাজ্‌র (ভোরবেলা),
৯০. আল বালাদ (নগর),
৯১. আশ-শাম্‌স (সূর্য),
৯২. আল লাইল (রাত্রি),
৯৩. আদ-দুহা (পূর্বাহ্নের সুর্যকিরণ),
৯৪. আল ইনশিরাহ (বক্ষ প্রশস্তকরণ),
৯৫. আত-ত্বীন (ডুমুর),
৯৬. আল-আলাক্ব (রক্তপিন্ড),
৯৭. আল-ক্বাদর (মহিমান্বিত),
৯৮. আল-বাইয়্যিনাহ (সুস্পষ্ট প্রমাণ),
৯৯. আল-যিল্‌যাল (ভূমিকম্প),
১০০. আল-আদিয়াত (অভিযানকারী),
১০১. আল-ক্বারিয়াহ (মহাসংকট),
১০২. আত-তাকাসুর (প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা),
১০৩. আল-আছর (সময়),
১০৪. আল-হুমাযাহ (পরনিন্দাকারী),
১০৫. ফীল (হাতি),
১০৬. আল-কুরাইশ (কুরাইশ গোত্র),
১০৭. আল-মাউন (সাহায্য-সহায়তা),
১০৮. আল-কাওসার (প্রাচুর্য),
১০৯. আল-কাফিরুন (অবিশ্বাসী গোষ্ঠী),
১১০. আন-নাসর (স্বর্গীয় সাহায্য),
১১১. লাহাব (জ্বলন্ত অংগার),
১১২. আল-ইখলাস (একত্ব)
১১৩. আল-ফালাক (নিশিভোর)
১১৪. আন-নাস (মানবজাতি)

বহিঃসংযোগ