এভা পেরোন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Jashimuddinahmad (আলোচনা | অবদান)
infobox add
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{Infobox president
| office5 = শ্রম ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী|আর্জেন্টিনার শ্রম ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রধান<br><small>সচিব জোশ মারিয়া ফ্রেইরির সঙ্গে কাজ করছেন</small>
| preceded5 = [[Juan Perón]]
| office1 = আর্জেন্টিনার আধ্যাত্মিক নেতা
| term1= [[মে ৭]], [[১৯৫২]] পর্যন্ত
| office2 = আর্জেন্টিনার র্ফাস্ট লেডি
| term2= [[জুন ৪]], ১৯৪৬]] – [[জুলাই ২৬]], [[১৯৫২]]
| president2 = [[জুয়ান পেরন]]
| predecessor2 = কনরাডা ভিক্টরিয়া টর্নি ডি ফ্যারেল
| successor2 = মার্সেডিজ ভিল্লাদা লুনারি একাভাল
| office4 = [[ইভা পেরন ফাউন্ডেশন]]
| term4 = ১৯৪৮-১৯৫২
| successor4 = [[জুয়ান পেরন]]
| office6 = মহিলা প্যারোনিস্ট পার্টি
| term6 = ১৯৪৯-১৯৫২
| president6 = [[জুয়ান পেরন]]
| predecessor6 = ''পজিসন তৈরি হয়েছিল''
| successor6 = দেলিয়া পারোদি
| office7 = আর্জেন্টাইন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালায়ের প্রধান
| term7 = ১৯৪৬-১৯৫২
| president7 = [[জুয়ান পেরন]]
| image =Evita con traje formal.jpg
| caption = ১৯৪৭ সালে প্যারিস ভ্রমনের সময় পেরন
| nationality = আর্জেন্টাইন
| party = জাস্টিসিয়ালিস্ট পার্টি<br>মহিলা প্যারোনিস্ট পার্টি
|birth_name = ইভা মারিয়া দোরেত ডি পেরন
| birth_date = {{birth date|df=yes|1919|5|7}}
| birth_place = লস টোলডস, [[আর্জেন্টিনা]]
| death_date = {{death date and age|df=yes|1952|7|26|1919|5|17}}
| death_place = [[বুয়েনোস আইরেস]], [[আর্জেন্টিনা]]
| occupation = অভিনেত্রী<br />ফাস্ট লেডি<br />রাজনীতিজ্ঞ
| spouse = [[জুয়ান পেরন]] (১৯৪৫-১৯৫২)
| religion = রোমান ক্যাথলিক
| signature = Eva Peron Signature.svg
}}
'''ইভা মারিয়া দোরেত ডি পেরন''' (জন্ম:- ৭ মে ১৯১৯ মৃত্যু: ২৬ জুলাই ১৯৫২) ছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর [[আর্জেন্টিনা|আর্জেন্টিনার]] [[স্বৈরশাসক]] [[জুয়ান পেরন|জুয়ান পেরনের]] (১৮৯৫-১৯৭৪) দ্বিতীয়া স্ত্রী। ১৯৪৬ থেকে আমৃত্যু (১৯৫২ সাল) ছিলেন আর্জেন্টিনীয় [[ফাস্টলেডি]]। [[স্পেনীয় ভাষা|স্পেনীয় ভাষায়]] '''ইভা মারিয়া''' লেখা হয় ({{IPA-es|ˈeβa peˈɾon|lang}}) হিসেবে। স্পেনিশ ভাষায় ইভা শব্দটির উচ্চারণ ইভিতা '''Evita (ইভিতা)'''।
'''ইভা মারিয়া দোরেত ডি পেরন''' (জন্ম:- ৭ মে ১৯১৯ মৃত্যু: ২৬ জুলাই ১৯৫২) ছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর [[আর্জেন্টিনা|আর্জেন্টিনার]] [[স্বৈরশাসক]] [[জুয়ান পেরন|জুয়ান পেরনের]] (১৮৯৫-১৯৭৪) দ্বিতীয়া স্ত্রী। ১৯৪৬ থেকে আমৃত্যু (১৯৫২ সাল) ছিলেন আর্জেন্টিনীয় [[ফাস্টলেডি]]। [[স্পেনীয় ভাষা|স্পেনীয় ভাষায়]] '''ইভা মারিয়া''' লেখা হয় ({{IPA-es|ˈeβa peˈɾon|lang}}) হিসেবে। স্পেনিশ ভাষায় ইভা শব্দটির উচ্চারণ ইভিতা '''Evita (ইভিতা)'''।


৩১ নং লাইন: ৬৬ নং লাইন:
ইভা বুয়েনেস এইরেসে তার জীবন শুরু করেছিলেন [[পতিতা]] হিসেবে। ইভা পরে [[রেড লাইট ডিসট্রিক্ট’]] আইনসঙ্গত করার চেষ্টা করেছিলেন। বুয়েনেস এইরেসে তার প্রথম দিনগুলো সম্পর্কে খুব জানা না গেলেও এটা সত্য রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকার মেয়ে তিনি ছিলেন না। একের পর এক প্রভাবশালী লোকের [[শয্যাশায়িনী]] হয়েছেন। [[নগ্ন]] [[আলোকচিত্রের]] জন্য পোজ দিয়েছেন। এসবই তিনি করেছেন প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য।
ইভা বুয়েনেস এইরেসে তার জীবন শুরু করেছিলেন [[পতিতা]] হিসেবে। ইভা পরে [[রেড লাইট ডিসট্রিক্ট’]] আইনসঙ্গত করার চেষ্টা করেছিলেন। বুয়েনেস এইরেসে তার প্রথম দিনগুলো সম্পর্কে খুব জানা না গেলেও এটা সত্য রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকার মেয়ে তিনি ছিলেন না। একের পর এক প্রভাবশালী লোকের [[শয্যাশায়িনী]] হয়েছেন। [[নগ্ন]] [[আলোকচিত্রের]] জন্য পোজ দিয়েছেন। এসবই তিনি করেছেন প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য।
ব্যক্তিত্বে ইভা ছিলেন রহস্যময়। একদিকে তার যেমন ছিলো মোহনীয় আকর্ষণ, অন্যদিকে ছিলেন তিনি প্রতিহিংসাপরায়ণ। যৌনতাকে তিনি ব্যবহার করেছেন সম্পদ ও ক্ষমতা অর্জনের জন্য। আর্জেন্টিনীয় [[সমাজে]] শতকরা ২৭ ভাগ মানুষই ‘অবৈধ জন্ম’ যেমন জন্মে ছিলেন ইভা। কিন্তু এ ব্যাপারে সমাজে সহনশীলতা আছে। তাদেরকে [[সমাজচ্যুত]] মনে করা হয় না। তবে এরা সাধারণত নিম্নশ্রেণির এবং ওপরে ওঠার সুযোগ এদের নেই। আর্জেন্টিনীয় সমাজে মেয়েদের মর্যাদাও খুব বেশি নয়। প্রকৃতপক্ষে একজন আর্জেন্টিনীয় মেয়ের একমাত্র সম্পদ হলো তার [[যৌবন]] এবং ইভা জানতেন কী করে ওই সম্পদ ব্যবহার করতে হয়? জুয়ান পেরনের সঙ্গে বিয়ের পর তিনি অতীতজীবনের সব সাক্ষ্য মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন ইভা। প্রথম জীবনের সেই সব কথাগুলো অবশ্য গাল-গল্প আকারে সমাজে রয়েছে।
ব্যক্তিত্বে ইভা ছিলেন রহস্যময়। একদিকে তার যেমন ছিলো মোহনীয় আকর্ষণ, অন্যদিকে ছিলেন তিনি প্রতিহিংসাপরায়ণ। যৌনতাকে তিনি ব্যবহার করেছেন সম্পদ ও ক্ষমতা অর্জনের জন্য। আর্জেন্টিনীয় [[সমাজে]] শতকরা ২৭ ভাগ মানুষই ‘অবৈধ জন্ম’ যেমন জন্মে ছিলেন ইভা। কিন্তু এ ব্যাপারে সমাজে সহনশীলতা আছে। তাদেরকে [[সমাজচ্যুত]] মনে করা হয় না। তবে এরা সাধারণত নিম্নশ্রেণির এবং ওপরে ওঠার সুযোগ এদের নেই। আর্জেন্টিনীয় সমাজে মেয়েদের মর্যাদাও খুব বেশি নয়। প্রকৃতপক্ষে একজন আর্জেন্টিনীয় মেয়ের একমাত্র সম্পদ হলো তার [[যৌবন]] এবং ইভা জানতেন কী করে ওই সম্পদ ব্যবহার করতে হয়? জুয়ান পেরনের সঙ্গে বিয়ের পর তিনি অতীতজীবনের সব সাক্ষ্য মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন ইভা। প্রথম জীবনের সেই সব কথাগুলো অবশ্য গাল-গল্প আকারে সমাজে রয়েছে।

==ইভার জীবনে পরপুরুষ==
==ইভার যৌনসঙ্গম==
==তথ্যসূত্র==
==তথ্যসূত্র==

১৯:২১, ২৪ মার্চ ২০১৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এভা পেরোন
১৯৪৭ সালে প্যারিস ভ্রমনের সময় পেরন
আর্জেন্টিনার আধ্যাত্মিক নেতা
কাজের মেয়াদ
মে ৭, ১৯৫২ পর্যন্ত
আর্জেন্টিনার র্ফাস্ট লেডি
কাজের মেয়াদ
জুন ৪, ১৯৪৬]] – জুলাই ২৬, ১৯৫২
রাষ্ট্রপতিজুয়ান পেরন
পূর্বসূরীকনরাডা ভিক্টরিয়া টর্নি ডি ফ্যারেল
উত্তরসূরীমার্সেডিজ ভিল্লাদা লুনারি একাভাল
ইভা পেরন ফাউন্ডেশন
কাজের মেয়াদ
১৯৪৮-১৯৫২
উত্তরসূরীজুয়ান পেরন
শ্রম ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী
পূর্বসূরীJuan Perón
মহিলা প্যারোনিস্ট পার্টি
কাজের মেয়াদ
১৯৪৯-১৯৫২
রাষ্ট্রপতিজুয়ান পেরন
পূর্বসূরীপজিসন তৈরি হয়েছিল
উত্তরসূরীদেলিয়া পারোদি
আর্জেন্টাইন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালায়ের প্রধান
কাজের মেয়াদ
১৯৪৬-১৯৫২
রাষ্ট্রপতিজুয়ান পেরন
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মইভা মারিয়া দোরেত ডি পেরন
(১৯১৯-০৫-০৭)৭ মে ১৯১৯
লস টোলডস, আর্জেন্টিনা
মৃত্যু২৬ জুলাই ১৯৫২(1952-07-26) (বয়স ৩৩)
বুয়েনোস আইরেস, আর্জেন্টিনা
জাতীয়তাআর্জেন্টাইন
রাজনৈতিক দলজাস্টিসিয়ালিস্ট পার্টি
মহিলা প্যারোনিস্ট পার্টি
দাম্পত্য সঙ্গীজুয়ান পেরন (১৯৪৫-১৯৫২)
পেশাঅভিনেত্রী
ফাস্ট লেডি
রাজনীতিজ্ঞ
ধর্মরোমান ক্যাথলিক
স্বাক্ষর

ইভা মারিয়া দোরেত ডি পেরন (জন্ম:- ৭ মে ১৯১৯ মৃত্যু: ২৬ জুলাই ১৯৫২) ছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর আর্জেন্টিনার স্বৈরশাসক জুয়ান পেরনের (১৮৯৫-১৯৭৪) দ্বিতীয়া স্ত্রী। ১৯৪৬ থেকে আমৃত্যু (১৯৫২ সাল) ছিলেন আর্জেন্টিনীয় ফাস্টলেডিস্পেনীয় ভাষায় ইভা মারিয়া লেখা হয় (স্পেনীয়: [ˈeβa peˈɾon]) হিসেবে। স্পেনিশ ভাষায় ইভা শব্দটির উচ্চারণ ইভিতা Evita (ইভিতা)

আর্জেন্টিনার দারিদ্র্যপল্লী লস তলদস গ্রামে ১৯১৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। জুয়ানা আইভার গুরেনের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কন্যা ছিলেন ইভা। মা-বাবার পাঁচ সন্তানের মধ্যে চতুর্থ ছিলেন তিনি। ১৯৩৪ সালে ১৫ বছর বয়সে রাজধানী বুয়েনস এইরেসে আগমণ করেন তিনি। উচ্চাভিলাষী ইভা মারিয়া ক্যারিয়ার হিসেবে মঞ্চাভিনয়ের পাশাপাশি বেছে নেন রেডিও-তে নাট্যাভিনয়ের কাজ। ওই সময় তিনি মোটামুটি ফিল্ম একট্রেস হিসেবে নাম করতে থাকেন। ১৯৪৪ সালে সান জুয়ানের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য লুনা পার্ক স্টেডিয়ামে [Luna Park Stadium] ত্রাণ সহায়তার আয়োজন করা হয়। ওই চ্যারিটি অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে কর্নেল জুয়ান পেরনের সাক্ষাৎ ঘটে। পরবর্তী আর্জেন্টাইন প্রেসিডেন্ট জুয়ানের সঙ্গে ওই বছরই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ইভা। দরিদ্র কৃষকের ঘরের সন্তান হলেও, প্রথম জীবনের গ্লানি মুছে তিনি হয়ে ওঠেন দেশের প্রেসিডেন্ট পত্নী আর জনগণের হৃদয়ের রাণী। একদম নিম্নশ্রেণি থেকে ওপরে ওঠার এই সিঁড়ির প্রথম ধাপ অবশ্যই ছিলো রমনীর সুন্দর দেহ ও যৌবন, যা তিনি অকাতরে ব্যবহার করতে পেরেছিলেন। যদিও সিঁড়ির শেষ ধাপে উঠে নিজের আগের কাহিনী তিনি মুছে ফেলতে চেয়েছেন। ইভার মা জুয়ানা আইভার গুরেনের সঙ্গে অপর এক বিবাহিত পুরুষ ক্ষুদে জমিদার জুয়ান দুয়ার্তের অবৈধ যৌনমিলনের ফল ইভা পেরন। গ্রামে থাকলে ইভার ভবিষ্যত নেই বুঝতে পেরে ১৫ বছর বয়সে থিয়েটারে অভিনয়ের আশা নিয়ে তিনি বুয়েনস এইরেসে আসেন। প্রথমদিকে কথার টানে ও আচরণে গ্রাম্যতার জন্য সুবিধে করতে না পারলেও ক্রমে একসময় তিনি রেডিওর একজন নামকরা নাট্য অভিত্রেী হয়ে ওঠেন। ১৯৪৬ সালে জুয়ান পেরন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এর পরবর্তী ছয়টি বছর ইভা ছিলেন পেরনিস্ট পার্টির প্রাথমিক সংস্করণ ট্রেড ইউনিয়নের শক্তিশালী সংগঠক। প্রথমদিকে তিনি শুধু শ্রমিক অধিকার নিয়ে কথা বলতেন। ওই সময় তিনি শ্রম ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ইভা পেরন ফাউন্ডেশন নামের চ্যারিটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি নারী অধিকারের শক্তিশালী সমর্থক ছিলেন। নারীবাদী হিসেবে আর্জেন্টিনায় প্রথম বৃহৎ পরিসরে পেরনিস্ট পার্টিরও প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।

বাল্যকাল

বুয়েনেস এইরেসে আগমণ

পেরেনের সঙ্গে প্রণয় ও পরিণয়

বিবাহিত জীবন

ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে

জুয়ান পেরনের গ্রেফতার

১৯৪৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

ইউরোপ ভ্রমণ

সমাজসেবা ও নারীবাদী কর্মকাণ্ড

ইভা পেরন ফাউন্ডেশন

নারীবাদী পেরনিস্ট পার্টি

১৯৫১ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রতিদ্বন্দীতা

পুণঃনির্বাচন

ইভা পেরন; ক্যান্সার ও মৃত্যু

লাশ নিয়ে রাজনীতি

ইতালিতে স্থানান্তর

স্পেনে সমাধিস্থ হওয়ার পর পুণরায় আর্জেন্টিনায় প্রত্যাগমণ

জীবন ও কর্ম

আর্জেন্টিনা ও ল্যাতিন আমেরিকা

বিশ্ব সভ্যতা

আকর্ষণীয় ফিগার ও ব্যক্তিত্ব

আর্জেন্টিনীয় মেয়েদের চেয়ে লম্বা ছিলেন তিনি। উচ্চতা ছিলো ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি। মধুর রঙের মতো ঘন সোনালি চুল ছিলো আর বড় বড় কালো-পিঙ্গল চোখ। শরীরটা কিছুটা মুটিয়ে গেলেও ফিগার ঠিক রাখার ব্যাপারে তিনি ছিলেন সচেতন। অতযত্নের সঙ্গে নিজেকে ফিট রাখতেন ইভা। লেখাপড়া ছিলো খুবই সামান্য। জুয়ান পেরনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তার মনের উচ্চাশা আরও বেড়ে যায়। ক্ষমতা দখল করে জুয়ান পেরন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট-ডিকটেটর হওয়ার পর, ইভা তাকে ছায়ার মতো সঙ্গ দেন। গতানুগতিক প্রেসিডেন্টের স্ত্রীর মর্যাদার বাইরে তিনি তার গরিব ও নিম্নশ্রেণির জনগণের জন্য কাজ শুরু করেন। রাজনীতিতে অবতীর্ণ হয়ে তিনি ধনিকশ্রেণি ও তার ব্যক্তিগত শত্রুদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে চলেন। পেরন দম্পতির শাসনে আর্জেন্টিনায় কিছু সংস্কারমূলক কর্মসূচি গৃহীত হয়। আর্জেন্টিনাবাসীর স্পেনীয় ভাষায় ইভা যাদেরকে বলতেন, লস দেস শামিসাদস’ বস্ত্রহীন সেই গরিবদের অন্তররাজ্যের সম্রাজ্ঞী হয়ে উঠেন। একদার কৃষককন্যা ইভা তার ভক্ত প্রজাকুলের সামনে দাঁড়াতেন রাজকীয় পোষাক পরে। গায়ে পড়তেন দামি হীরার গহনা। ইভা মেয়েদের ভোটাধিকারের প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে কথা বলেন। শ্রমিকদের সংগঠিত করে ইভা পেরন ফাউন্ডেশনের’ নামে সরকারি কোষাগারের কোটি কোটি টাকা জনকল্যাণ কর্মসূচিতে (এবং নিজের সুইস ব্যাংক একাউন্টে) ঢালেন; আর এতে গরিব জনগণ তাকে স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন দেয়। ইভা বুয়েনেস এইরেসে তার জীবন শুরু করেছিলেন পতিতা হিসেবে। ইভা পরে রেড লাইট ডিসট্রিক্ট’ আইনসঙ্গত করার চেষ্টা করেছিলেন। বুয়েনেস এইরেসে তার প্রথম দিনগুলো সম্পর্কে খুব জানা না গেলেও এটা সত্য রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকার মেয়ে তিনি ছিলেন না। একের পর এক প্রভাবশালী লোকের শয্যাশায়িনী হয়েছেন। নগ্ন আলোকচিত্রের জন্য পোজ দিয়েছেন। এসবই তিনি করেছেন প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য। ব্যক্তিত্বে ইভা ছিলেন রহস্যময়। একদিকে তার যেমন ছিলো মোহনীয় আকর্ষণ, অন্যদিকে ছিলেন তিনি প্রতিহিংসাপরায়ণ। যৌনতাকে তিনি ব্যবহার করেছেন সম্পদ ও ক্ষমতা অর্জনের জন্য। আর্জেন্টিনীয় সমাজে শতকরা ২৭ ভাগ মানুষই ‘অবৈধ জন্ম’ যেমন জন্মে ছিলেন ইভা। কিন্তু এ ব্যাপারে সমাজে সহনশীলতা আছে। তাদেরকে সমাজচ্যুত মনে করা হয় না। তবে এরা সাধারণত নিম্নশ্রেণির এবং ওপরে ওঠার সুযোগ এদের নেই। আর্জেন্টিনীয় সমাজে মেয়েদের মর্যাদাও খুব বেশি নয়। প্রকৃতপক্ষে একজন আর্জেন্টিনীয় মেয়ের একমাত্র সম্পদ হলো তার যৌবন এবং ইভা জানতেন কী করে ওই সম্পদ ব্যবহার করতে হয়? জুয়ান পেরনের সঙ্গে বিয়ের পর তিনি অতীতজীবনের সব সাক্ষ্য মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন ইভা। প্রথম জীবনের সেই সব কথাগুলো অবশ্য গাল-গল্প আকারে সমাজে রয়েছে।

তথ্যসূত্র