কোরাজন অ্যাকুইনো: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
রাজনৈতিক জীবন |
|||
২৮ নং লাইন: | ২৮ নং লাইন: | ||
== প্রারম্ভিক জীবন == |
== প্রারম্ভিক জীবন == |
||
কিশোরী অবস্থায় কোরি [[ম্যানিলা|ম্যানিলার]] [[সেন্ট স্কলাস্টিকা’জ কলেজ ম্যানিলা|সেন্ট স্কলাস্টিকা’জ কলেজে]] অধ্যয়ন করেন। সেখানে তিনি শীর্ষস্থানীয় ছাত্রী ছিলেন। এরপর অ্যাসাম্পটন কলেজে প্রথম বর্ষ পর্যন্ত পড়াশোনা শেষে তিনি মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপণের জন্যে [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে]] গমন করেন। সেখানে তিনি তাঁর কলেজ জীবন অতিবাহিত করেন। নিউইয়র্ক সিটির মাউন্ট সেন্ট ভিনসেন্ট কলেজে [[গণিত]] ও ফরাসী বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালীন কোরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে [[রিপাবলিকান]] প্রার্থী [[থমাস দেওয়ে|থমাস দেওয়ের]] প্রচারণা কর্মে স্বেচ্ছাসেবকদলের সাথে সংযুক্ত ছিলেন। উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালের ঐ নির্বাচনে [[ডেমোক্র্যাট]] প্রেসিডেন্ট [[হ্যারি এস. ট্রুম্যান]] বিজয়ী হয়েছিলেন। |
|||
⚫ | কোরাজন নিজেকে পরিপূর্ণভাবে [[গৃহিণী|গৃহিণীরূপে]] আখ্যায়িত করেছেন।<ref name=fb>{{cite speech|title=Corazon Aquino Speaks to Fulbrighters|author=Aquino, Corazon|date=1996-10-11|location=Washington, D.C.|url=http://www.fulbrightalumni.org/olc/pub/FBA/fulbright_prize/aquino_address.html|accessdate=2008-04-15}}</ref> সিনেটর [[বেনিগনো অ্যাকুইনো, জুনিয়র|বেনিগনো অ্যাকুইনোর]] সাথে [[বিবাহ|বিবাহ-বন্ধনে]] আবদ্ধ হন। বেনিগনো অ্যাকুইনো তৎকালীন [[রাষ্ট্রপতি]] ফার্দিন্যান্দ মার্কোসের তুখোড় সমালোচক ছিলেন। [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র]] থেকে চার বছর নির্বাসন শেষে দেশে ফিরে আসার পরপরই ২১ আগস্ট, ১৯৮৩ তারিখে বেনিগনো অ্যাকুইনো [[নিহত]] হন। এরপর কোরাজন মার্কোস সরকারের বিপক্ষে প্রবল প্রতিপক্ষীয় নেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। |
||
⚫ | জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কোরি [[রোমান ক্যাথলিক]] ধর্মালম্বী ছিলেন। ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি তাগালগ, কাপামপাঙ্গান ও ফরাসী ভাষায় পারঙ্গমতা প্রদর্শন করেছেন। কোরাজন নিজেকে পরিপূর্ণভাবে [[গৃহিণী|গৃহিণীরূপে]] আখ্যায়িত করেছেন।<ref name=fb>{{cite speech|title=Corazon Aquino Speaks to Fulbrighters|author=Aquino, Corazon|date=1996-10-11|location=Washington, D.C.|url=http://www.fulbrightalumni.org/olc/pub/FBA/fulbright_prize/aquino_address.html|accessdate=2008-04-15}}</ref> সিনেটর [[বেনিগনো অ্যাকুইনো, জুনিয়র|বেনিগনো অ্যাকুইনোর]] সাথে [[বিবাহ|বিবাহ-বন্ধনে]] আবদ্ধ হন। বেনিগনো অ্যাকুইনো তৎকালীন [[রাষ্ট্রপতি]] ফার্দিন্যান্দ মার্কোসের তুখোড় সমালোচক ছিলেন। [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র]] থেকে চার বছর নির্বাসন শেষে দেশে ফিরে আসার পরপরই ২১ আগস্ট, ১৯৮৩ তারিখে বেনিগনো অ্যাকুইনো [[নিহত]] হন। এরপর কোরাজন মার্কোস সরকারের বিপক্ষে প্রবল প্রতিপক্ষীয় নেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। |
||
== রাজনৈতিক জীবন == |
== রাজনৈতিক জীবন == |
১৫:৪৩, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
কোরাজন অ্যাকুইনো | |
---|---|
একাদশ প্রেসিডেন্ট চতুর্থ প্রজাতন্ত্রের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট | |
কাজের মেয়াদ ২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৬ – ৩০ জুন, ১৯৯২ | |
প্রধানমন্ত্রী | স্যালভাদর লরেল |
উপরাষ্ট্রপতি | স্যালভাদর লরেল |
পূর্বসূরী | ফার্দিন্যান্দ মার্কোস |
উত্তরসূরী | ফিদেল ভি. রামোস |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | মারিয়া কোরাজন সুমুলং কোজুয়াংকো ২৫ জানুয়ারি ১৯৩৩ পানিকি, তারলেক, ফিলিপাইন |
মৃত্যু | ১ আগস্ট ২০০৯ মাকাতি, মেট্রো ম্যানিলা, ফিলিপাইন | (বয়স ৭৬)
সমাধিস্থল | ম্যানিলা মেমোরিয়াল পার্ক, পারানাক, মেট্রো ম্যানিলা, ফিলিপাইন |
রাজনৈতিক দল | লিবারেল পার্টি ইউনিডো পিডিপি-লাবান |
দাম্পত্য সঙ্গী | বেনিগনো এস. অ্যাকুইনো, জুনিয়র (১৯৫৪-১৯৮৩) |
সম্পর্ক | মারিয়া এলেনা অ্যাকুইনো-ক্রুজ (জ্যেষ্ঠা কন্যা) অরোরা কোরাজন অ্যাকুইনো-অ্যাবেল্লাদা (দ্বিতীয় কন্যা) তৃতীয় বেনিগনো এস. অ্যাকুইনো (একমাত্র পুত্র) ভিক্টোরিয়া এলিসা অ্যাকুইনো-দী (তৃতীয়া কন্যা) ক্রিস্টিনা বার্নাদেত্তে অ্যাকুইনো (চতুর্থা কন্যা) |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | সেন্ট স্কলাস্টিকা’জ কলেজ, কলেজ অব মাউন্ট সেন্ট ভিনসেন্ট ফার ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি |
জীবিকা | গৃহিণী |
ধর্ম | রোমান ক্যাথলিক |
স্বাক্ষর |
মারিয়া কোরাজন সুমুলং "কোরি" কোজুয়াংকো-অ্যাকুইনো (ইংরেজি: Maria Corazon Sumulong "Cory" Cojuangco-Aquino; জন্ম: ২৫ জানুয়ারি, ১৯৩৩ - মৃত্যু: ১ আগস্ট, ২০০৯) ফিলিপাইনের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ছিলেন। ফিলিপাইনের একাদশ প্রেসিডেন্টরূপে দায়িত্ব পালন করেন। ফিলিপাইন তথা এশিয়া মহাদেশের প্রথম নারী রাষ্ট্রপতি হিসেবে ইতিহাসে চিহ্নিত হয়ে রয়েছেন। ১৯৮৬ সালের সাধারণ জনগণের ভোট বিপ্লবে তিনি ক্ষমতাসীন সাবেক স্বৈরশাসক ফার্দিন্যান্দ মার্কোসকে গদিচ্যুত করার পাশাপাশি ফিলিপাইনে গণতন্ত্র সুসংহত করেন। ১৯৮৬ সালে বিখ্যাত টাইম সাময়িকীর পক্ষ থেকে তিনি বছরের সেরা নারী ব্যক্তিত্বরূপে মনোনীত হন।
প্রারম্ভিক জীবন
কিশোরী অবস্থায় কোরি ম্যানিলার সেন্ট স্কলাস্টিকা’জ কলেজে অধ্যয়ন করেন। সেখানে তিনি শীর্ষস্থানীয় ছাত্রী ছিলেন। এরপর অ্যাসাম্পটন কলেজে প্রথম বর্ষ পর্যন্ত পড়াশোনা শেষে তিনি মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপণের জন্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গমন করেন। সেখানে তিনি তাঁর কলেজ জীবন অতিবাহিত করেন। নিউইয়র্ক সিটির মাউন্ট সেন্ট ভিনসেন্ট কলেজে গণিত ও ফরাসী বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালীন কোরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী থমাস দেওয়ের প্রচারণা কর্মে স্বেচ্ছাসেবকদলের সাথে সংযুক্ত ছিলেন। উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালের ঐ নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট হ্যারি এস. ট্রুম্যান বিজয়ী হয়েছিলেন।
জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কোরি রোমান ক্যাথলিক ধর্মালম্বী ছিলেন। ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি তাগালগ, কাপামপাঙ্গান ও ফরাসী ভাষায় পারঙ্গমতা প্রদর্শন করেছেন। কোরাজন নিজেকে পরিপূর্ণভাবে গৃহিণীরূপে আখ্যায়িত করেছেন।[১] সিনেটর বেনিগনো অ্যাকুইনোর সাথে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন। বেনিগনো অ্যাকুইনো তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ফার্দিন্যান্দ মার্কোসের তুখোড় সমালোচক ছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে চার বছর নির্বাসন শেষে দেশে ফিরে আসার পরপরই ২১ আগস্ট, ১৯৮৩ তারিখে বেনিগনো অ্যাকুইনো নিহত হন। এরপর কোরাজন মার্কোস সরকারের বিপক্ষে প্রবল প্রতিপক্ষীয় নেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন।
রাজনৈতিক জীবন
১৯৮৫ সালের শেষদিকে প্রেসিডেন্ট মার্কোস নির্বাচনের ঘোষণা দেন। ফলে অ্যাকুইনো রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে নিজেকে হাজির করান। তাঁর উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে সাবেক সিনেটর সালভেদর লরেলকে মনোনীত করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৬ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বাতাস্যাং পামবানসা কর্তৃক প্রথমে মার্কোসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হলেও তিনি তা নাকচ করে দেন। তিনি ব্যাপকভাবে গণবিক্ষোভের ডাক দেন এবং নিজেকে প্রকৃত বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করে প্রশাসনের প্রতারণার কথা তুলে ধরেন। ফিলিপিনোরা একবাক্যে তাঁর ডাকে সাড়া দেন ও সভা-সমাবেশ আহ্বান করে। এরফলে মার্কোস একঘরে হয়ে পড়েন এবং ২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৬ তারিখে কোরাজন অ্যাকুইনোকে রাষ্ট্রপতির দায়িত্বভার প্রদান করতে বাধ্য হন। অ্যাকুইনো এ আন্দোলনকে জনশক্তির আন্দোলনরূপে আখ্যায়িত করেন।
তথ্যসূত্র
- ↑ Aquino, Corazon (১৯৯৬-১০-১১)। Corazon Aquino Speaks to Fulbrighters (Speech)। Washington, D.C.। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৪-১৫।