আতিয়া মসজিদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Bellayet (আলোচনা | অবদান)
Reflinks: Converting bare references
Ashiq Shawon (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারণ
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:


টাঙ্গাইল অঞ্চলে প্রাপ্ত মূল শিলালিপিগুলোর মধ্যে আতিয়া জামে মসজিদ এলাকায় প্রাপ্ত একটি আরবি এবং একটি ফারসি শিলালিপি রয়েছে, তবে এগুলোতে মসজিদের নির্মাণকাল সম্পর্কিত তথ্যের ক্ষেত্রে কিছুটা অসংগতি পরিলক্ষিত হয়।<ref>[http://www.dainikdestiny.com/index.php?view=details&type=main&cat_id=1&menu_id=5&pub_no=232&news_type_id=1&index=0&archiev=yes&arch_date=09-04-2010 :: Dainik Destiny :: আতিয়া মসজিদ<!-- Bot generated title -->]</ref><ref name=autogenerated2>[http://www.dctangail.gov.bd/index.php?option=com_content&view=article&id=262 দর্শনীয় স্থান -দেলদুয়ার<!-- Bot generated title -->]</ref> বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে রক্ষিত শিলালিপিটিতে নির্মাণকাল ১০১৯ হিজরী (১৬১০-১১ খ্রি.)<ref name=autogenerated1>[http://blog.bdnews24.com/Dr_khalid/38907 ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এর বাংলা ব্লগ » আতিয়া মসজিদ: ইতিহাস ও ঐতিহ্য» blog.bdnews24.com – pioneer blog for citizen journalism in bangladesh | বাংলাদেশে সিটিজেন জার্নালিজম ভিত্তিক...<!-- Bot generated title -->]</ref> দেয়া হলেও কেন্দ্রীয় প্রবেশ পথের উপর স্থাপিত অপর শিলালিপিতে এর নির্মাণকাল ১০১৮ হিজরী (১৬০৮-৯ খ্রি.)<ref>[http://onushilon.org/geography/bangladesh/religion/atia.htm আতিয়া মসজিদ<!-- Bot generated title -->]</ref> উল্লেখ করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল অঞ্চলে প্রাপ্ত মূল শিলালিপিগুলোর মধ্যে আতিয়া জামে মসজিদ এলাকায় প্রাপ্ত একটি আরবি এবং একটি ফারসি শিলালিপি রয়েছে, তবে এগুলোতে মসজিদের নির্মাণকাল সম্পর্কিত তথ্যের ক্ষেত্রে কিছুটা অসংগতি পরিলক্ষিত হয়।<ref>[http://www.dainikdestiny.com/index.php?view=details&type=main&cat_id=1&menu_id=5&pub_no=232&news_type_id=1&index=0&archiev=yes&arch_date=09-04-2010 :: Dainik Destiny :: আতিয়া মসজিদ<!-- Bot generated title -->]</ref><ref name=autogenerated2>[http://www.dctangail.gov.bd/index.php?option=com_content&view=article&id=262 দর্শনীয় স্থান -দেলদুয়ার<!-- Bot generated title -->]</ref> বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে রক্ষিত শিলালিপিটিতে নির্মাণকাল ১০১৯ হিজরী (১৬১০-১১ খ্রি.)<ref name=autogenerated1>[http://blog.bdnews24.com/Dr_khalid/38907 ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এর বাংলা ব্লগ » আতিয়া মসজিদ: ইতিহাস ও ঐতিহ্য» blog.bdnews24.com – pioneer blog for citizen journalism in bangladesh | বাংলাদেশে সিটিজেন জার্নালিজম ভিত্তিক...<!-- Bot generated title -->]</ref> দেয়া হলেও কেন্দ্রীয় প্রবেশ পথের উপর স্থাপিত অপর শিলালিপিতে এর নির্মাণকাল ১০১৮ হিজরী (১৬০৮-৯ খ্রি.)<ref>[http://onushilon.org/geography/bangladesh/religion/atia.htm আতিয়া মসজিদ<!-- Bot generated title -->]</ref> উল্লেখ করা হয়েছে।





১০ নং লাইন: ১১ নং লাইন:


মুহাম্মদ খাঁ নামক তৎকালিন এক প্রখ্যাত স্থপতি এই মসজিদ নির্মানের পরিকল্পনা ও নির্মাণ কাজে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। রওশন খাতুন চৌধুরাণী ১৮৩৭ সালে এবং আবুল আহমেদ খান গজনবী ১৯০৯ সালে মসজিদটির সংস্কার করেন।<ref>[http://islambarta.com/2012/05/4105/ IslamBarta.com » সংস্কারের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে দশ টাকার নোটের আতিয়া মসজিদ<!-- Bot generated title -->]</ref> পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকার এই মসজিদটিকে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে অধিগ্রহণ করেন।
মুহাম্মদ খাঁ নামক তৎকালিন এক প্রখ্যাত স্থপতি এই মসজিদ নির্মানের পরিকল্পনা ও নির্মাণ কাজে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। রওশন খাতুন চৌধুরাণী ১৮৩৭ সালে এবং আবুল আহমেদ খান গজনবী ১৯০৯ সালে মসজিদটির সংস্কার করেন।<ref>[http://islambarta.com/2012/05/4105/ IslamBarta.com » সংস্কারের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে দশ টাকার নোটের আতিয়া মসজিদ<!-- Bot generated title -->]</ref> পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকার এই মসজিদটিকে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে অধিগ্রহণ করেন।



==বিবরণ==
==বিবরণ==
১৬ নং লাইন: ১৬ নং লাইন:


সুলতানি ও মুঘল - এই দুই আমলেরই স্থাপত্যরীতির সুস্পষ্ট নিদর্শন রয়েছে এই মসজিদের নির্মান শৈলীতে।<ref name=autogenerated1 />
সুলতানি ও মুঘল - এই দুই আমলেরই স্থাপত্যরীতির সুস্পষ্ট নিদর্শন রয়েছে এই মসজিদের নির্মান শৈলীতে।<ref name=autogenerated1 />



==জনপ্রিয় মাধ্যমে উপস্থাপনা==
==জনপ্রিয় মাধ্যমে উপস্থাপনা==
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচলিত বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক মুদ্রিত১০ (দশ) টাকা মূল্যমানের নোটের একপার্শ্বে আতিয়া মসজিদের ছবি রয়েছে।<ref>[http://www.dctangail.gov.bd/index.php?option=com_content&view=article&id=256&Itemid=143 দেলদুয়ার পরিচিতি<!-- Bot generated title -->]</ref>
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচলিত বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক মুদ্রিত১০ (দশ) টাকা মূল্যমানের নোটের একপার্শ্বে আতিয়া মসজিদের ছবি রয়েছে।<ref>[http://www.dctangail.gov.bd/index.php?option=com_content&view=article&id=256&Itemid=143 দেলদুয়ার পরিচিতি<!-- Bot generated title -->]</ref>



==আরও দেখুন==
==আরও দেখুন==
২৬ নং লাইন: ২৪ নং লাইন:
* [[বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের তালিকা]]
* [[বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের তালিকা]]
* [[টাঙ্গাইল জেলা]]
* [[টাঙ্গাইল জেলা]]



==বহিঃসংযোগ==
==বহিঃসংযোগ==
৩৬ নং লাইন: ৩৩ নং লাইন:
* [http://www.dainikdestiny.com/index.php?view=details&type=main&cat_id=1&menu_id=5&pub_no=232&news_type_id=1&index=0&archiev=yes&arch_date=09-04-2010/ আতিয়া মসজিদ]
* [http://www.dainikdestiny.com/index.php?view=details&type=main&cat_id=1&menu_id=5&pub_no=232&news_type_id=1&index=0&archiev=yes&arch_date=09-04-2010/ আতিয়া মসজিদ]
* [http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=30195/ চারশ' বছরের পুরনো টাঙ্গাইলের আতিয়া মসজিদ]
* [http://www.dailysangram.com/news_details.php?news_id=30195/ চারশ' বছরের পুরনো টাঙ্গাইলের আতিয়া মসজিদ]
* [http://www.dainikdestiny.com/print_news.php?pub_no=137&cat_id=1&menu_id=57&news_type_id=1&index=1/ আতিয়া মসজিদ-এর ৪০০ বছর পূর্তিতে প্রকাশিত স্মারক গ্রন্থের সার-সংক্ষেপন]



==তথ্যসূত্র==
==তথ্যসূত্র==

১৮:৪৬, ৭ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

আতিয়া মসজিদ বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন ঐতিহাসিক মসজিদ যা বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এই মসজিদটি ষড়োশ শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছে এবং এখানে নিয়মিত জামাতে নামাজ আদায় করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের পুরাতত্ত্ব বিভাগ এ স্থাপনার তত্ত্বাবধান করছে।

টাঙ্গাইল অঞ্চলে প্রাপ্ত মূল শিলালিপিগুলোর মধ্যে আতিয়া জামে মসজিদ এলাকায় প্রাপ্ত একটি আরবি এবং একটি ফারসি শিলালিপি রয়েছে, তবে এগুলোতে মসজিদের নির্মাণকাল সম্পর্কিত তথ্যের ক্ষেত্রে কিছুটা অসংগতি পরিলক্ষিত হয়।[১][২] বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘরে রক্ষিত শিলালিপিটিতে নির্মাণকাল ১০১৯ হিজরী (১৬১০-১১ খ্রি.)[৩] দেয়া হলেও কেন্দ্রীয় প্রবেশ পথের উপর স্থাপিত অপর শিলালিপিতে এর নির্মাণকাল ১০১৮ হিজরী (১৬০৮-৯ খ্রি.)[৪] উল্লেখ করা হয়েছে।


ইতিহাস

আরবি ‘আতা’ থেকে ‘আতিয়া’ শব্দটির উৎপত্তি, যার ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হলো ‘দান কৃত’। আলী শাহান শাহ্‌ বাবা আদম কাশ্মিরী (রঃ)-কে সুলতান আলাউদ্দিন হুসায়েন শাহ টাঙ্গাইল জেলার জায়গিরদার নিযোগ দান করলে তিনি এই অঞ্চলে এসে বসবাস শুরু হরেন; সেসময় তিনি ইসলাম ধর্ম প্রচারের এবং আনুষাঙ্গিক ব্যয় নির্বাহের জন্য আফগান নিবাসী কররানী শাসক সোলাইমান কররানীর কাছ থেকেসংলগ্ন এলাকা দান বা ওয়াকফ্ হিসাবে লাভ করেন। এবং এই এলাকাটি তাঁকে দান করায় এই অঞ্চলটির নাম হয়েছে ‘আতিয়া’।[২]

পরবর্তীতে বাবা আদম কাশ্মিরীর পরামর্শক্রমে সাঈদ খান পন্নী নামক সূফিজীর এক ভক্তকে মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীর উক্ত আতিয়া পরগণার শাসন কর্তা হিসেবে নিয়োগ দান করেন। এই সাঈদ খান পন্নীই ১৬০৮ সালে বাবা আদম কাশ্মিরীর কবরের সন্নিকটে আতিয়া মসজিদ নির্মাণ করেন।

মুহাম্মদ খাঁ নামক তৎকালিন এক প্রখ্যাত স্থপতি এই মসজিদ নির্মানের পরিকল্পনা ও নির্মাণ কাজে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। রওশন খাতুন চৌধুরাণী ১৮৩৭ সালে এবং আবুল আহমেদ খান গজনবী ১৯০৯ সালে মসজিদটির সংস্কার করেন।[৫] পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকার এই মসজিদটিকে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে অধিগ্রহণ করেন।

বিবরণ

লাল ইট দ্বারা নির্মিত এই মসজিদটি আকারে বেশ ছোট, মাত্র ১৮.২৯ মিটার (৫৯ ফুট) x ১২.১৯ মিটার (৪০ ফুট) এবং দেয়ালের পুরুত্ব ২.২৩ মিটার (সাড়ে ৭ ফুট)।[৬][৭] এর চারকোণে ৪টি অষ্টকোণাকৃতীর মিনার রয়েছে, যার উপরের অংশটি ছোট গম্বুজের আকৃতি ধারণ করেছে।

সুলতানি ও মুঘল - এই দুই আমলেরই স্থাপত্যরীতির সুস্পষ্ট নিদর্শন রয়েছে এই মসজিদের নির্মান শৈলীতে।[৩]

জনপ্রিয় মাধ্যমে উপস্থাপনা

বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচলিত বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক মুদ্রিত১০ (দশ) টাকা মূল্যমানের নোটের একপার্শ্বে আতিয়া মসজিদের ছবি রয়েছে।[৮]

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

তথ্যসূত্র