পিটার সিমোন পালাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
+
+
৩৮ নং লাইন: ৩৮ নং লাইন:
১৭৬৭ সালে রাশিয়ার সম্রাজ্ঞী [[দ্বিতীয় ক্যাথরিন]] পালাসকে [[সেন্ট পিটার্সবুর্গ বিজ্ঞান অ্যাকাডেমি|সেন্ট পিটার্সবুর্গ বিজ্ঞান অ্যাকাডেমির]] অধ্যাপক পদে যোগদানের আমন্ত্রণ জানান। ১৭৬৮ থেকে ১৭৭৪ পর্যন্ত তিনি সমগ্র মধ্য রাশিয়া, [[উরাল পর্বতমালা]], পশ্চিম [[সাইবেরিয়া]], [[আলতাই পর্বতমালা|আলতাই]], [[পোভোলঝাই]] ও [[ট্রান্সবৈকাল]] অঞ্চল চষে বেড়ান এবং প্রচুর প্রাকৃতিক ইতিহাস সম্পর্কিত নমুনা জোগাড় করেন। তিনি [[কাস্পিয়ান সাগর]], [[আমুর নদী]] ও [[বৈকাল হ্রদ|বৈকাল হ্রদে]] ব্যাপক অভিযান চালান। এসব অভিযানে তিনি বিচিত্র বিষয়ে সব নতুন নতুন তথ্য আবিষ্কার করেন। তিনি ভূতত্ত্ব ও খনিজবিজ্ঞান সম্পর্কিত তথ্য উদঘাটন করেন; স্থানীয় আদিবাসী ও তাদের ধর্ম, আচারআচরণ ইত্যাদি লিপিবদ্ধ করেন। নতুন উদ্ভিদ ও প্রাণীর বর্ণনাও তাঁর লেখনীতে স্থান পায়। তাঁর এসব লেখা তিনি সেন্ট পিটার্সবুর্গে পাঠান ও সেগুলো ''Reise durch verschiedene Provinzen des Russischen Reichs'' (রাশিয়ান সাম্রাজ্যের বিভিন্ন প্রদেশে অভিযান, তিন খণ্ড, ১৭৭১-১৭৭৬) নামে প্রকাশিত হয়।১৭৭৬ সালে পালাস রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস-এর বিদেশী সদস্য নির্বাচিত হন।
১৭৬৭ সালে রাশিয়ার সম্রাজ্ঞী [[দ্বিতীয় ক্যাথরিন]] পালাসকে [[সেন্ট পিটার্সবুর্গ বিজ্ঞান অ্যাকাডেমি|সেন্ট পিটার্সবুর্গ বিজ্ঞান অ্যাকাডেমির]] অধ্যাপক পদে যোগদানের আমন্ত্রণ জানান। ১৭৬৮ থেকে ১৭৭৪ পর্যন্ত তিনি সমগ্র মধ্য রাশিয়া, [[উরাল পর্বতমালা]], পশ্চিম [[সাইবেরিয়া]], [[আলতাই পর্বতমালা|আলতাই]], [[পোভোলঝাই]] ও [[ট্রান্সবৈকাল]] অঞ্চল চষে বেড়ান এবং প্রচুর প্রাকৃতিক ইতিহাস সম্পর্কিত নমুনা জোগাড় করেন। তিনি [[কাস্পিয়ান সাগর]], [[আমুর নদী]] ও [[বৈকাল হ্রদ|বৈকাল হ্রদে]] ব্যাপক অভিযান চালান। এসব অভিযানে তিনি বিচিত্র বিষয়ে সব নতুন নতুন তথ্য আবিষ্কার করেন। তিনি ভূতত্ত্ব ও খনিজবিজ্ঞান সম্পর্কিত তথ্য উদঘাটন করেন; স্থানীয় আদিবাসী ও তাদের ধর্ম, আচারআচরণ ইত্যাদি লিপিবদ্ধ করেন। নতুন উদ্ভিদ ও প্রাণীর বর্ণনাও তাঁর লেখনীতে স্থান পায়। তাঁর এসব লেখা তিনি সেন্ট পিটার্সবুর্গে পাঠান ও সেগুলো ''Reise durch verschiedene Provinzen des Russischen Reichs'' (রাশিয়ান সাম্রাজ্যের বিভিন্ন প্রদেশে অভিযান, তিন খণ্ড, ১৭৭১-১৭৭৬) নামে প্রকাশিত হয়।১৭৭৬ সালে পালাস রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস-এর বিদেশী সদস্য নির্বাচিত হন।
[[File:1779 Pallas and Mentelle Map of the Physical World - Geographicus - World-mentelle-1779.jpg|thumb|left|300px|১৭৭৯ সালে পালাস অঙ্কিত পৃথিবীর ভৌগোলিক মানচিত্র; মানচিত্রে ভূমির সাথে সাথে সাগরতলের পাহাড়সমূহও উল্লেখ করা হয়েছে। অনেকের মতে সমুদ্রতলবর্তী এসব পাহাড়পর্বত আসলে অনুমানের বশে আঁকা হয়েছে।]]
[[File:1779 Pallas and Mentelle Map of the Physical World - Geographicus - World-mentelle-1779.jpg|thumb|left|300px|১৭৭৯ সালে পালাস অঙ্কিত পৃথিবীর ভৌগোলিক মানচিত্র; মানচিত্রে ভূমির সাথে সাথে সাগরতলের পাহাড়সমূহও উল্লেখ করা হয়েছে। অনেকের মতে সমুদ্রতলবর্তী এসব পাহাড়পর্বত আসলে অনুমানের বশে আঁকা হয়েছে।]]
পালাস অবশেষে সেন্ট পিটার্সবুর্গে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তিনি শিঘ্রীই সম্রাজ্ঞী দ্বিতীয় ক্যাথরিনের প্রিয়পাত্রে পরিণত হন এবং গ্র্যান্ড ডিউক আলেক্সান্ডার আর কন্সটানটাইনকে প্রাকৃতিক ইতিহাস সম্পর্কে পড়ানো শুরু করেন। তৎকালীন প্রথিতযশা প্রকৃতিবিদদের সংগ্রহ করা উদ্ভিদের নমুনা থেকে ১৭৮৪ থেকে ১৮১৫ সালের মধ্যে তিনি রচনা করেন ''Flora Rossica''। ''Zoographica Rosso-Asiatica'' (১৮১১-৩১) নামে আরেকটি গ্রন্থ রচনার কাজে হাত দেন তিনি।


{{Commons|Peter Simon Pallas|পিটার সিমোন পালাস}}
{{Commons|Peter Simon Pallas|পিটার সিমোন পালাস}}

১৭:১৬, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

পিটার সিমোন পালাস
পিটার সিমোন পালাস (১৭৪১-১৮১১)
জন্ম২২ সেপ্টেম্বর, ১৭৪১
মৃত্যু৮ সেপ্টেম্বর ১৮১১(1811-09-08) (বয়স ৬৯)
বার্লিন
জাতীয়তাজার্মান
মাতৃশিক্ষায়তনগটিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়
লাইডেন বিশ্ববিদ্যালয়
পরিচিতির কারণপালাসী কুড়া ঈগল
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রপ্রাণীবিজ্ঞান
উদ্ভিদবিজ্ঞান
যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেনসিমোন পালাস

পিটার সিমোন পালাস (২২ সেপ্টেম্বর, ১৭৪১-সেপ্টেম্বর ৮, ১৮১১) একজন জার্মান প্রাণীবিজ্ঞানীউদ্ভিদবিজ্ঞানী। তাঁর প্রধান কর্মস্থল ছিল রাশিয়া

জীবন ও কর্ম

পালাসের জন্ম ১৭৪১ সালে বার্লিনে। তাঁর পিতা সিমোন পালাস ছিলেন শল্যচিকিৎসার অধ্যাপক। তিনি গৃহশিক্ষকের কাছে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। ছোটবেলা থেকেই তাঁর প্রাকৃতিক ইতিহাসের প্রতি আগ্রহ ছিল। পরবর্তীতে তিনি হালে বিশ্ববিদ্যালয়গটিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। ১৭৬০ সালে তিনি লাইডেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। মাত্র উনিশ বছর বয়সে তিনি চিকিৎসাবিদ্যার উপর ডিগ্রি লাভ করেন।

পিটার নেদারল্যান্ডসলন্ডনে ঘুরে বেড়ান। এ ভ্রমণের ফলে তিনি চিকিৎসাবিদ্যা ও শল্যবিদ্যা সম্পর্কে নতুন জ্ঞান আহরণ করেন। এরপর তিনি দ্য হেগে স্থায়ী হন। প্রাণীর শ্রেণীবিন্যাসকরণে তাঁর আবিষ্কৃত নতুন পদ্ধতি জর্জ কুভিয়ে কর্তৃক প্রশংসিত হয়। ১৭৬৬ সালে তিনি Miscellanea Zoologica রচনা করেন। গ্রন্থটিতে তিনি অসংখ্য নতুন মেরুদণ্ডী প্রাণী সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেন। এসব প্রাণীর নমুনা বিভিন্ন ডাচ মিউজিয়ামে সংরক্ষিত ছিল। আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চল ও ইস্ট ইন্ডিজে তিনি গবেষণা অভিযান চলানোর পরিকল্পনা করেন। তাঁর পিতা বার্লিনে তাঁকে ডেকে পাঠানোয় তাঁর এ পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।

১৭৬৭ সালে রাশিয়ার সম্রাজ্ঞী দ্বিতীয় ক্যাথরিন পালাসকে সেন্ট পিটার্সবুর্গ বিজ্ঞান অ্যাকাডেমির অধ্যাপক পদে যোগদানের আমন্ত্রণ জানান। ১৭৬৮ থেকে ১৭৭৪ পর্যন্ত তিনি সমগ্র মধ্য রাশিয়া, উরাল পর্বতমালা, পশ্চিম সাইবেরিয়া, আলতাই, পোভোলঝাইট্রান্সবৈকাল অঞ্চল চষে বেড়ান এবং প্রচুর প্রাকৃতিক ইতিহাস সম্পর্কিত নমুনা জোগাড় করেন। তিনি কাস্পিয়ান সাগর, আমুর নদীবৈকাল হ্রদে ব্যাপক অভিযান চালান। এসব অভিযানে তিনি বিচিত্র বিষয়ে সব নতুন নতুন তথ্য আবিষ্কার করেন। তিনি ভূতত্ত্ব ও খনিজবিজ্ঞান সম্পর্কিত তথ্য উদঘাটন করেন; স্থানীয় আদিবাসী ও তাদের ধর্ম, আচারআচরণ ইত্যাদি লিপিবদ্ধ করেন। নতুন উদ্ভিদ ও প্রাণীর বর্ণনাও তাঁর লেখনীতে স্থান পায়। তাঁর এসব লেখা তিনি সেন্ট পিটার্সবুর্গে পাঠান ও সেগুলো Reise durch verschiedene Provinzen des Russischen Reichs (রাশিয়ান সাম্রাজ্যের বিভিন্ন প্রদেশে অভিযান, তিন খণ্ড, ১৭৭১-১৭৭৬) নামে প্রকাশিত হয়।১৭৭৬ সালে পালাস রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেস-এর বিদেশী সদস্য নির্বাচিত হন।

১৭৭৯ সালে পালাস অঙ্কিত পৃথিবীর ভৌগোলিক মানচিত্র; মানচিত্রে ভূমির সাথে সাথে সাগরতলের পাহাড়সমূহও উল্লেখ করা হয়েছে। অনেকের মতে সমুদ্রতলবর্তী এসব পাহাড়পর্বত আসলে অনুমানের বশে আঁকা হয়েছে।

পালাস অবশেষে সেন্ট পিটার্সবুর্গে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তিনি শিঘ্রীই সম্রাজ্ঞী দ্বিতীয় ক্যাথরিনের প্রিয়পাত্রে পরিণত হন এবং গ্র্যান্ড ডিউক আলেক্সান্ডার আর কন্সটানটাইনকে প্রাকৃতিক ইতিহাস সম্পর্কে পড়ানো শুরু করেন। তৎকালীন প্রথিতযশা প্রকৃতিবিদদের সংগ্রহ করা উদ্ভিদের নমুনা থেকে ১৭৮৪ থেকে ১৮১৫ সালের মধ্যে তিনি রচনা করেন Flora RossicaZoographica Rosso-Asiatica (১৮১১-৩১) নামে আরেকটি গ্রন্থ রচনার কাজে হাত দেন তিনি।

তথ্যসূত্র

গ্রন্থপঞ্জি

  • Mearns, Barbara and Richard – Biographies for Birdwatchers

বহিঃসংযোগ

টেমপ্লেট:Persondata