অটো ফন বিসমার্ক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
RedBot (আলোচনা | অবদান)
r2.7.2) (বট যোগ করছে: qu:Otto von Bismarck
ZéroBot (আলোচনা | অবদান)
r2.7.1) (বট যোগ করছে: lij:Otto von Bismarck
৬৯ নং লাইন: ৬৯ নং লাইন:
[[lad:Otto von Bismarck]]
[[lad:Otto von Bismarck]]
[[lb:Otto von Bismarck]]
[[lb:Otto von Bismarck]]
[[lij:Otto von Bismarck]]
[[lt:Otto von Bismarck]]
[[lt:Otto von Bismarck]]
[[lv:Oto fon Bismarks]]
[[lv:Oto fon Bismarks]]

১৩:০৪, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

অটো ফন বিস্‌মার্ক

অটো ফন বিস্‌মার্ক (জার্মান: Otto von Bismarck) (১লা এপ্রিল, ১৮১৫, শ্যোনহাউসেন, আল্টমার্ক, প্রুশিয়া - ৩০শে জুলাই, ১৮৯৮, ফ্রিডরিশরু, হামবুর্গ-এর কাছে) জার্মান সাম্রাজ্যের স্থপতি ও ১৮৭১-১৮৯০ পর্যন্ত এর প্রথম চ্যান্সেলর ছিলেন। তাঁর পূর্ণ নাম অটো এডুআর্ড লেওপোল্ড, ফুর্স্ট (রাজপুত্র) ফন বিসমার্ক, গ্রাফ (কাউন্ট) ফন বিসমার্ক-শ্যোনহাউসেন, হের্‌ৎসগ (ডিউক) ফন লাউয়েনবুর্গ (Otto Eduard Leopold, Fürst von Bismarck, Graf von Bismarck-Schönhausen, Herzog von Lauenburg)। অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তিনি রক্ষণশীল ছিলেন, কিন্তু বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিনি চাতুর্যের পরিচয় দেন। বিশেষ করে ১৮৭১ সালের পরে তিনি কতগুলি মিত্ররাষ্ট্রসংঘ গড়ে তোলেন এবং বেশ কিছু কূটনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে ইউরোপে শান্তি নিশ্চিত করে সেখানে জার্মানির নিজস্ব স্থান প্রতিষ্ঠিত করেন।

বিসমার্ক গ্যোটিঙেন ও বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন পড়েন। পড়া শেষ করে তিনি প্রুশীয় প্রশাসনে যোগ দেন এবং আখেন শহরে একজন বিচারকার্যীয় প্রশাসক হন। তাঁর কাজের পদ্ধতি গতানুগতিক না হওয়ায় সিনিয়রদের বিরাগভাজন হন এবং ২৪ বছর বয়সে প্রশাসন থেকে ইস্তফা দেন। ১৮৪৭ সালে তিনি প্রুশিয়ার আইনসভা ডিয়েটের সদস্য হন। ১৮৫১ সালে ফ্রাংকফুর্ট আম মাইনের জাতীয় আইনসভাতে তিনি প্রুশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করে আলোচনায় আসেন। ১৮৫৯ সালে তাঁকে রাশিয়াতে রাষ্ট্রদূত করে পাঠানো হয়। ১৮৬২ সালের মার্চে তাঁকে ফেরত আনা হয় এবং এবার ফ্রান্সে রাষ্ট্রদূত করে পাঠানো হয়। ১৮৬২ সালে তিনি বার্লিনে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফেরত আসেন। তিনি প্রুশিয়ার নেতৃত্বে জার্মানিকে একত্রিত করার কাজে মনোনিবেশ করেন। ১৮৬৬ সালে যুদ্ধে তিনি অস্ট্রিয়াকে পরাজিত করেন এবং জার্মানি থেকে দেশটিকে বিচ্ছিন্ন করে দেন। ১৮৭০ সালের ১৯শে জুলাই ৩য় নেপোলিয়ন প্রুশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলে দক্ষিণের জার্মান রাষ্ট্রগুলি উত্তরের জার্মান রাষ্ট্রগুলির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে। যুদ্ধে জার্মানদের বিজয়ের পর তারা রাজনৈতিকভাবে একতাবদ্ধ হয়ে জার্মান সাম্রাজ্যের জন্ম দেয়।

বিসমার্ক ছিলেন নতুন জার্মান সাম্রাজ্যের নায়ক। তাঁকে চ্যান্সেলর উপাধি দেয়া হয়। তিনি জার্মানির প্রশাসনে সংস্কার সাধন করেন। গোটা জার্মানির জন্য এক মুদ্রা, একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক, এবং একই দেওয়ানী ও ফৌজদারী আইনের প্রবর্তন করেন। তিনি ১৮৭৮ সালে বার্লিন কংগ্রেসের সভাপতিত্ব করেন এবং বৃহৎ শক্তিগুলির মধ্যস্থতাকারী হিসবে পরিচয় লাভ করেন। ১৮৭৯ সালে অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি সাম্রাজ্যের সাথে মিত্রতার বন্ধন স্থাপন করেন। অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে সমাজতন্ত্রবিরোধী হলেও বিসমার্কই ইউরোপের প্রথম নেতা হিসেবে সামাজিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন এবং শ্রমিকদের জন্য দুর্ঘটনা, অসুস্থতা ও বার্ধক্যসংক্রান্ত বীমার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু ১৮৯০ নাগাদ তাঁর নীতিগুলির বিরোধীর সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং ঐ বছর মার্চে তিনি পদত্যাগে বাধ্য হন। জীবনের শেষ বছরগুলি তিনি আত্মজীবনী রচনায় কাটিয়ে দেন।

টেমপ্লেট:Link FA টেমপ্লেট:Link FA