বর্মী ভাষা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অ r2.7.3) (বট যোগ করছে: az:Birman dili |
অ r2.7.1) (বট যোগ করছে: af:Burmees |
||
৩৮ নং লাইন: | ৩৮ নং লাইন: | ||
[[বিষয়শ্রেণী:সুরপ্রধান ভাষা]] |
[[বিষয়শ্রেণী:সুরপ্রধান ভাষা]] |
||
[[af:Burmees]] |
|||
[[ar:لغة بورمية]] |
[[ar:لغة بورمية]] |
||
[[arz:بورمى]] |
[[arz:بورمى]] |
১১:২৫, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
বর্মী | |
---|---|
বামাসা | |
উচ্চারণ | [bəmàsà] |
অঞ্চল | মায়ানমার, থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, লাওস এবং সিঙ্গাপুর |
মাতৃভাষী | ৩ কোটি ২০ লক্ষ মাতৃভাষী দ্বিতীয় ভাষা: ১ কোটি |
চীনা-তিব্বতি
| |
বর্মী লিপি | |
সরকারি অবস্থা | |
সরকারি ভাষা | মায়ানমার |
নিয়ন্ত্রক সংস্থা | মায়ানমার ভাষা কমিশন |
ভাষা কোডসমূহ | |
আইএসও ৬৩৯-১ | my |
আইএসও ৬৩৯-২ | bur (বি) mya (টি) |
আইএসও ৬৩৯-৩ | mya |
বর্মী ভাষা বা মায়ানমার ভাষা চীনা-তিব্বতী ভাষা পরিবারের তিব্বতী-বর্মী শাখার লোলো-বর্মী উপশাখার একটি ভাষা। বর্মীভাষী জনগণ ঠিক কবে মায়ানমারে এসেছিল, তা বলা যায় না। তবে বর্মী ভাষায় লেখা সবচেয়ে প্রাচীন ধর্মীয় লেখাগুলি খ্রিস্টীয় ১০ম শতক পর্যন্ত পুরনো। ধারণা করা হয় মধ্য মায়ানমারের নিম্ন উপত্যকাভূমিতে প্রচলিত একটি উপভাষা থেকে আদর্শ বর্মী ভাষার উৎপত্তি ঘটে। বর্তমানের মায়ানমারের অধিকাংশ জনগণ এই বর্মী ভাষার কোন না কোন আঞ্চলিক উপভাষায় কথা বলেন।
বর্মী ভাষার প্রথমে পালি ও পরে মোন ভাষার (১২শ -১৩শ শতক) প্রভাব পড়ে। এরপর ১৬শ থেকে ১৯শ শতক পর্যন্ত ভাষাটি বিভিন্ন ইউরোপীয় ভাষা যেমন পর্তুগিজ, ওলন্দাজ, ইংরেজি ও ফরাসি ভাষার সংস্পর্শে আসে। এই ভাষাগুলি কথ্য বর্মী ভাষাকে প্রচুর প্রভাবিত করে, তবে এগুলি লিখিত বর্মী ভাষায় তেমন কোন পরিবর্তন আনেনি। ফলশ্রুতিতে, মায়ানমারের জনগণ যে আধুনিক কথ্য বর্মী ভাষায় কথা বলেন এবং যে লিখিত ভাষাটি পাঠ্যপুস্তক, সংবাদপত্র, সাহিত্য ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়, তার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। লিখিত ভাষাটিতে প্রচুর পালি শব্দ ব্যবহার করা হয় এবং এমন সমস্ত বাক্য কাঠামো ব্যবহৃত হয় যেগুলির কথ্য ভাষায় দেখা মেলে না বললেই চলে। মায়ানমারে কথ্য ভাষাটির নাম বামা, আর লিখিত ভাষাটির নাম মিয়ানমা। তবে উভয়কে একত্রে বর্মী ভাষাই বলা হয়।
বর্মী ভাষা মায়ানমারের রাষ্ট্রভাষা। এটি মায়ানমারের ২ কোটিরও বেশি লোকের মাতৃভাষা। এছাড়াও মায়ানমারের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলির প্রায় ৩০ লক্ষ লোক দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে বর্মী ভাষায় কথা বলেন। মায়ানমারের বাইরে বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভাষাটি প্রচলিত। এথ্নোলগ অনুসারে সারা বিশ্বে বর্মীভাষী লোকের সংখ্যা ৩ কোটি ২০ লক্ষ থেকে ৩ কোটি ৭০ লক্ষ।
মায়ানমারে বর্মী ভাষা সরকারী প্রশাসন, গণমাধ্যম, এবং প্রাথবিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার সমস্ত স্তরে ব্যবহৃত হয়।