দ্রবণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
নতুন পৃষ্ঠা: দুই বা ততোধিক পদার্থ যখন নিজ নিজ আণবিক রাসায়নিক ধর্ম বজায় র...
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
দুই বা ততোধিক পদার্থ যখন নিজ নিজ আণবিক রাসায়নিক ধর্ম বজায় রেখে এক সাথে সূক্ষ্ম ভাবে মিশে একটি সমসত্ত মিশ্রণ উৎপন্ন করে এবং উপাদানগুলির আপেক্ষিক পরিমাণ একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত পরিবর্তন করা যায় তখন সেই মিশ্রণকে দ্রবণ বা সলিউসন বলে। দ্রবণের উপাদানগুলি যে-কোন ভৌত অবস্থাতে থাকতে পারে।
দুই বা ততোধিক পদার্থ যখন নিজ নিজ আণবিক রাসায়নিক ধর্ম বজায় রেখে একসাথে সূক্ষ্ম ভাবে মিশে একটি সমসত্ত এবং একটি মাত্র দশা সম্পন্ন মিশ্রণ উৎপন্ন করে এবং উপাদানগুলির আপেক্ষিক পরিমাণ একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত পরিবর্তন করা যায় তখন সেই মিশ্রণকে দ্রবণ বা সলিউসন বলে।

দ্রবণে সাধারণতঃ দুটি অংশ থাকে
দ্রবণে সাধারণতঃ দুটি অংশ থাকে
#দ্রাবক বা সল্ভেন্ট
#দ্রাবক বা সল্ভেন্ট
১৫ নং লাইন: ১৪ নং লাইন:
==দ্রবনের প্রকারভেদ==
==দ্রবনের প্রকারভেদ==
দ্রবণের উপাদানগুলি যে-কোন ভৌত অবস্থাতে থাকতে পারে, যেমন
===তরলে কঠিনের দ্রবণ===
===তরলে কঠিনের দ্রবণ===
তরল দ্রাবকের মধ্যে কঠিন দ্রাব্য মেশালে তরলে কঠিনের দ্রবণ উৎপন্ন হয়। যেমন-জলে চিনি, তুঁতে, সাধারণ লবণ দ্রবীভূত হয়ে যথাক্রমে চিনির, তুঁতের এবং লবনের জলীয় দ্রবন উৎপন্ন করে। কার্বন ডাইসালফাইডে সালফার বা ফসফরাস দ্রবীভূত হয়ে এরকম দ্রবন উৎপন্ন করে। গালা বা রজন জলে অদ্রাব্য কিন্তু অ্যালকোহল দ্রবীভূত হয়ে দ্রবন উৎপন্ন করে।
তরল দ্রাবকের মধ্যে কঠিন দ্রাব্য মেশালে তরলে কঠিনের দ্রবণ উৎপন্ন হয়। যেমন-জলে চিনি, তুঁতে, সাধারণ লবণ দ্রবীভূত হয়ে যথাক্রমে চিনির, তুঁতের এবং লবনের জলীয় দ্রবন উৎপন্ন করে। কার্বন ডাইসালফাইডে সালফার বা ফসফরাস দ্রবীভূত হয়ে এরকম দ্রবন উৎপন্ন করে। গালা বা রজন জলে অদ্রাব্য কিন্তু অ্যালকোহল দ্রবীভূত হয়ে দ্রবন উৎপন্ন করে।

১৫:৪০, ৫ এপ্রিল ২০১২ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

দুই বা ততোধিক পদার্থ যখন নিজ নিজ আণবিক রাসায়নিক ধর্ম বজায় রেখে একসাথে সূক্ষ্ম ভাবে মিশে একটি সমসত্ত এবং একটি মাত্র দশা সম্পন্ন মিশ্রণ উৎপন্ন করে এবং উপাদানগুলির আপেক্ষিক পরিমাণ একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত পরিবর্তন করা যায় তখন সেই মিশ্রণকে দ্রবণ বা সলিউসন বলে। দ্রবণে সাধারণতঃ দুটি অংশ থাকে

  1. দ্রাবক বা সল্ভেন্ট
  2. দ্রাব্য বা সলিউট


দ্রবণে যে উপাদানটির ভৌত অবস্থা উৎপন্ন দ্রবণটির ভৌত অবস্থা নির্ধারণ করে তাকে দ্রাবক বলে। সাধারণতঃ দ্রাবক দ্রাব্যের থেকে বেশি বেশি পরিমাণে থাকে যেমন- চিনি, জলে দ্রবীভূত হয়ে সমসত্ত মিশ্রণ উৎপন্ন করে। এখানে চিনি হল দ্রাব্য এবং জল দ্রাবক। আবার ১০০ গ্রাম জলে ১১০ গ্রাম পটাসিয়াম নাইট্রেট দ্রবীভূত করলে, দ্রবণে পটাসিয়াম নাইট্রেটের চেয়ে জলের পরিমাণ কম হলেও, পটাসিয়াম নাইট্রেটের ভৌত অবস্থা জলের মত তরল হয় বলে দ্রবণটির দ্রাবক হবে জল।


সাধারণতঃ দ্রবীভবন প্রক্রিয়া ঘটবার সময় দ্রাবক দ্বারা দ্রাব্য অণুর পারিপার্শিক পরিবর্তনের সময় শক্তির আদান প্রদান ঘটে - যা তাপমোচী বা তাপশোষী প্রকারের হতে পারে।

দ্রবনের প্রকারভেদ

দ্রবণের উপাদানগুলি যে-কোন ভৌত অবস্থাতে থাকতে পারে, যেমন

তরলে কঠিনের দ্রবণ

তরল দ্রাবকের মধ্যে কঠিন দ্রাব্য মেশালে তরলে কঠিনের দ্রবণ উৎপন্ন হয়। যেমন-জলে চিনি, তুঁতে, সাধারণ লবণ দ্রবীভূত হয়ে যথাক্রমে চিনির, তুঁতের এবং লবনের জলীয় দ্রবন উৎপন্ন করে। কার্বন ডাইসালফাইডে সালফার বা ফসফরাস দ্রবীভূত হয়ে এরকম দ্রবন উৎপন্ন করে। গালা বা রজন জলে অদ্রাব্য কিন্তু অ্যালকোহল দ্রবীভূত হয়ে দ্রবন উৎপন্ন করে।

তরলে তরলের দ্রবণ

তরল দ্রাবকের মধ্যে তরল দ্রাব্য মেশালে এই রকম দ্রবন উৎপন্ন হয়। যেমন-জলে অ্যালকোহল বা গ্লিসারিন মেশালে এই রকম দ্রবন তৈরি হয়।

তরলে গ্যাসের দ্রবণ

তরল দ্রাবকের মধ্যে কোন গ্যাসীয় দ্রাব্য মেশালে এই রকম দ্রবন উৎপন্ন হয়। যেমন- কার্বন ডাইঅক্সাইড, অ্যামোনিয়া গ্যাস জলে দ্রবীভূত হয়ে এইরকম দ্রবণ উৎপন্ন করে। বায়ুর অক্সিজেন জলে দ্রবীভূত হয় বলেই জলাশয়ের জলচর প্রাণীরা দ্রবীভূত অক্সিজেন নিয়ে বেঁচে থাকে। সোডাজল হল অতিরিক্ত চাপে জলে দ্রবীভূত কার্বন ডাইঅক্সাইড এর জলীয় দ্রবন।