ফতোয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে, কোনো সমস্যা?
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১০ নং লাইন: ১০ নং লাইন:
সারা দেশে ফতোয়ার নামে বিচারবহির্ভূত শাস্তি নিয়ে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), আইন ও সালিশ কেন্দ্র, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, নিজেরা করি ও ব্র্যাক হাইকোর্টে একটি রিট করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ আগস্ট, ২০০৯ তারিখে আদালত ফতোয়ার নামে বিচারবহির্ভূত শাস্তির বিষয়ে সরকারের ব্যর্থতা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও দোররা মারার ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন হাইকোর্টে রিট করলে আদালত রুল জারি করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ তারিখে প্রকৃত ঘটনা জানিয়ে প্রতিবেদন দিতে কসবা থানার পুলিশকে নির্দেশ দেন আদালত। বাঞ্ছারামপুরে এক তরুণীকে ১০১ ঘা দোররা মারার ঘটনা ২২ মে, ২০১০ তারিখে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।<ref name="p-alo2">http://prothom-alo.com/detail/date/2010-05-22/news/65183 "বাঞ্ছারামপুরে তরুণীকে ১০১ দোররা, গ্রেপ্তার ৪", বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি | তারিখ: ২২-০৫-২০১০</ref> এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহবুব শফিক, কে এম হাফিজুল আলম ও ইমরানুল হাই একটি রিট করেন। এ রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ মে, ২০১০ তারিখে আদালত রুল জারি করেন। এতে ফতোয়ার নামে বিচারবহির্ভূত শাস্তি দেওয়া কেন অবৈধ ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। একই সঙ্গে বিচারবহির্ভূত শাস্তি দেওয়া নিরুৎসাহিত করতে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের পাঠ্যসূচিতে প্রবন্ধ ও অন্যান্য শিক্ষাবিষয়ক উপকরণ অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এসব রিটের রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ৮ জুলাই, ২০১০ তারিখে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ রায় দেন। রায়ে ফতোয়ার নামে বিচারবহির্ভূত কার্যক্রম ও শাস্তিকে অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এ ধরনের শাস্তি ঘোষণাকারীকে অপরাধী হিসেবে গণ্য করতে বলা হয়েছে। দণ্ডবিধিসহ প্রচলিত অন্যান্য আইন অনুযায়ী এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের অপরাধের সহযোগী হিসেবে একই ধরনের শাস্তির ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দেন আদালত। আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সারা হোসেন, অবন্তী নুরুল, মাহবুব শফিক ও সালাউদ্দিন দোলন এবং সরকারপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাজিক আল জলিল ও আকরাম হোসেন চৌধুরী।<ref name=p-alo">http://prothom-alo.com/detail/date/2010-07-09/news/77256, "সাজা ঘোষণাকারীকে অপরাধী হিসেবে গণ্য করে শাস্তি দিতে বলেছেন হাইকোর্ট: ফতোয়ার নামে শাস্তি দেওয়া অবৈধ", নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ০৯-০৭-২০১০</ref>
সারা দেশে ফতোয়ার নামে বিচারবহির্ভূত শাস্তি নিয়ে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), আইন ও সালিশ কেন্দ্র, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, নিজেরা করি ও ব্র্যাক হাইকোর্টে একটি রিট করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ আগস্ট, ২০০৯ তারিখে আদালত ফতোয়ার নামে বিচারবহির্ভূত শাস্তির বিষয়ে সরকারের ব্যর্থতা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও দোররা মারার ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন হাইকোর্টে রিট করলে আদালত রুল জারি করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ তারিখে প্রকৃত ঘটনা জানিয়ে প্রতিবেদন দিতে কসবা থানার পুলিশকে নির্দেশ দেন আদালত। বাঞ্ছারামপুরে এক তরুণীকে ১০১ ঘা দোররা মারার ঘটনা ২২ মে, ২০১০ তারিখে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।<ref name="p-alo2">http://prothom-alo.com/detail/date/2010-05-22/news/65183 "বাঞ্ছারামপুরে তরুণীকে ১০১ দোররা, গ্রেপ্তার ৪", বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি | তারিখ: ২২-০৫-২০১০</ref> এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহবুব শফিক, কে এম হাফিজুল আলম ও ইমরানুল হাই একটি রিট করেন। এ রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ মে, ২০১০ তারিখে আদালত রুল জারি করেন। এতে ফতোয়ার নামে বিচারবহির্ভূত শাস্তি দেওয়া কেন অবৈধ ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। একই সঙ্গে বিচারবহির্ভূত শাস্তি দেওয়া নিরুৎসাহিত করতে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের পাঠ্যসূচিতে প্রবন্ধ ও অন্যান্য শিক্ষাবিষয়ক উপকরণ অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এসব রিটের রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ৮ জুলাই, ২০১০ তারিখে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ রায় দেন। রায়ে ফতোয়ার নামে বিচারবহির্ভূত কার্যক্রম ও শাস্তিকে অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এ ধরনের শাস্তি ঘোষণাকারীকে অপরাধী হিসেবে গণ্য করতে বলা হয়েছে। দণ্ডবিধিসহ প্রচলিত অন্যান্য আইন অনুযায়ী এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের অপরাধের সহযোগী হিসেবে একই ধরনের শাস্তির ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দেন আদালত। আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সারা হোসেন, অবন্তী নুরুল, মাহবুব শফিক ও সালাউদ্দিন দোলন এবং সরকারপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাজিক আল জলিল ও আকরাম হোসেন চৌধুরী।<ref name=p-alo">http://prothom-alo.com/detail/date/2010-07-09/news/77256, "সাজা ঘোষণাকারীকে অপরাধী হিসেবে গণ্য করে শাস্তি দিতে বলেছেন হাইকোর্ট: ফতোয়ার নামে শাস্তি দেওয়া অবৈধ", নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ০৯-০৭-২০১০</ref>


==অপব্যবহারের কারণ==
দেশে ইসলামী আইন চালু না থাকায় ধর্মপ্রাণ লোকেরা এই ফতোয়ার অপব্যবহার করে থাকে। এছাড়া শত্রুতা করেও অনেকে এই ফতোয়ার অপব্যবহার করে থাকেন।
== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==
{{reflist}}
{{reflist}}

১৮:১৪, ২৭ নভেম্বর ২০১১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ইসলাম ধর্মে ""ফতোয়া"" (আরবি: فتوى‎; বহুবচন ফাতাওয়া আরবি: فتاوى‎) হচ্ছে একটি ইসলামী আইন সংক্রান্ত ধর্মীয় মত, যা একজন ইসলাম সম্পর্কে গভীর জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি দিয়ে থাকেন।

সমালোচনা

বাস্তবে অর্ধশিক্ষিত বা প্রায় অশিক্ষিত গ্রাম্য মৌলভীরাও ফতোয়া জারি করে।

বাংলাদেশে ফতোয়ার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের রায়

২০০১ সালের ১ জানুয়ারি বিচারপতি মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী ও বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ ফতোয়াকে অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] রায়ে বলা হয়, একমাত্র আদালতই মুসলিম বা অন্য কোনো আইন অনুযায়ী আইনসংক্রান্ত কোনো প্রশ্নে মতামত দিতে পারেন। কেউ ফতোয়া দিলে তা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯০ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য হবে। ফতোয়াবিরোধী হাইকোর্টের এই রায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নয় বছর ধরে আপিল নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে।

সারা দেশে ফতোয়ার নামে বিচারবহির্ভূত শাস্তি নিয়ে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), আইন ও সালিশ কেন্দ্র, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, নিজেরা করি ও ব্র্যাক হাইকোর্টে একটি রিট করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ আগস্ট, ২০০৯ তারিখে আদালত ফতোয়ার নামে বিচারবহির্ভূত শাস্তির বিষয়ে সরকারের ব্যর্থতা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় এক কিশোরীকে ধর্ষণ ও দোররা মারার ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন হাইকোর্টে রিট করলে আদালত রুল জারি করেন। ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ তারিখে প্রকৃত ঘটনা জানিয়ে প্রতিবেদন দিতে কসবা থানার পুলিশকে নির্দেশ দেন আদালত। বাঞ্ছারামপুরে এক তরুণীকে ১০১ ঘা দোররা মারার ঘটনা ২২ মে, ২০১০ তারিখে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।[১] এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহবুব শফিক, কে এম হাফিজুল আলম ও ইমরানুল হাই একটি রিট করেন। এ রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ মে, ২০১০ তারিখে আদালত রুল জারি করেন। এতে ফতোয়ার নামে বিচারবহির্ভূত শাস্তি দেওয়া কেন অবৈধ ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। একই সঙ্গে বিচারবহির্ভূত শাস্তি দেওয়া নিরুৎসাহিত করতে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের পাঠ্যসূচিতে প্রবন্ধ ও অন্যান্য শিক্ষাবিষয়ক উপকরণ অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এসব রিটের রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে ৮ জুলাই, ২০১০ তারিখে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ রায় দেন। রায়ে ফতোয়ার নামে বিচারবহির্ভূত কার্যক্রম ও শাস্তিকে অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এ ধরনের শাস্তি ঘোষণাকারীকে অপরাধী হিসেবে গণ্য করতে বলা হয়েছে। দণ্ডবিধিসহ প্রচলিত অন্যান্য আইন অনুযায়ী এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের অপরাধের সহযোগী হিসেবে একই ধরনের শাস্তির ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দেন আদালত। আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সারা হোসেন, অবন্তী নুরুল, মাহবুব শফিক ও সালাউদ্দিন দোলন এবং সরকারপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাজিক আল জলিল ও আকরাম হোসেন চৌধুরী।[২]

অপব্যবহারের কারণ

দেশে ইসলামী আইন চালু না থাকায় ধর্মপ্রাণ লোকেরা এই ফতোয়ার অপব্যবহার করে থাকে। এছাড়া শত্রুতা করেও অনেকে এই ফতোয়ার অপব্যবহার করে থাকেন।

তথ্যসূত্র

  1. http://prothom-alo.com/detail/date/2010-05-22/news/65183 "বাঞ্ছারামপুরে তরুণীকে ১০১ দোররা, গ্রেপ্তার ৪", বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি | তারিখ: ২২-০৫-২০১০
  2. http://prothom-alo.com/detail/date/2010-07-09/news/77256, "সাজা ঘোষণাকারীকে অপরাধী হিসেবে গণ্য করে শাস্তি দিতে বলেছেন হাইকোর্ট: ফতোয়ার নামে শাস্তি দেওয়া অবৈধ", নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ০৯-০৭-২০১০