ব্রুস উইলিস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
নকীব বট (আলোচনা | অবদান)
৯২ নং লাইন: ৯২ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:মার্কিন ব্লগ-লেখক]]
[[বিষয়শ্রেণী:মার্কিন ব্লগ-লেখক]]
[[বিষয়শ্রেণী:মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী]]
[[বিষয়শ্রেণী:মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী]]
[[বিষয়শ্রেণী:মার্কিন কণ্ঠ অভিনেতা]]
[[বিষয়শ্রেণী:মার্কিন কণ্ঠাভিনেতা]]
[[বিষয়শ্রেণী:মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা]]
[[বিষয়শ্রেণী:মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেতা]]
[[বিষয়শ্রেণী:মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক]]
[[বিষয়শ্রেণী:মার্কিন চলচ্চিত্র প্রযোজক]]

১৪:১০, ১৮ এপ্রিল ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ব্রুস উইলিস
ব্রুস উইলিস (২০১০)
জন্ম
ওয়াল্টার ব্রুস উইলিস

(1955-03-19) মার্চ ১৯, ১৯৫৫ (বয়স ৬৯)[১]
আইদার ওবারস্টেইন, রিনে্যোন্ড-প্যালাতিনাতে, পশ্চিম জার্মানি
অন্যান্য নামডব্লিউ. বি. উইলিস, ওয়াল্টার উইলিস
শিক্ষাপেনস গ্রোভ হাই স্কুল
মাতৃশিক্ষায়তনমন্টক্লেয়ার স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাঅভিনেতা, প্রজোযক, লেখক, সংগীত শিল্পী
কর্মজীবন১৯৮০-বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গীডেমি মুর (১৯৮৭-২০০০)
এমা হেমিং (২০০৯-বর্তমান)
সন্তান

ওয়াল্টার ব্রুস উইলিস (ইংরেজি: Bruce Willis; জন্ম: ১৯ মার্চ, ১৯৫৫) একজন জার্মান বংশোদ্ভূত মার্কিন অভিনেতা, প্রজোযক ও সঙ্গীতশিল্পী। তিনি ব্রুস উইলিস নামে বেশি পরিচিত। তার অভিনয় জীবন শুরু হয় মুনলাইটিং (১৯৮৫-১৯৮৯) টেলিভিশন সিরিজে ডেভিড এডিসন চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে। তখন থেকেই তিনি টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে একই সাথে কাজ করা শুরু করেন। তিনি মূলত রম্য, নাট্য ও মারপিঠধর্মী চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেছেন। তিনি ডাই হার্ড চলচ্চিত্র সিরিজে জন ম্যাকক্লেন চরিত্রে অভিনয় করে প্রচুর জনপ্রিয়তা পান যা তার চলচ্চিত্র গুলোর মধ্যে সবচেয়ে ব্যবসা সফল ও সমালোচকদের মধ্যেও দারুণ সাড়া ফেলে। এছাড়াও তিনি আরো অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন যেগুলো ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পাল্প ফিকশন (১৯৯৪), টুয়েলভ মাংকিস (১৯৯৫), দ্য ফিফ্‌থ এলিমেন্ট (১৯৯৭), আর্মাগেডন (১৯৯৮), দ্য সিক্সথ সেন্স (১৯৯৯), আনব্রেকেবল (২০০০), সিন সিটি (২০০৫), লোপার (২০১২), মুনরাইজ কিংডম (২০১২) এবং জি.আই.জো.: রিটেলিয়েশন (২০১৩)

মোসন পিকচার্স ব্রুস উইলিস সম্পর্কে লিখেছে, তিনি উত্তর আমেরিকা বক্স অফিসে $২.৬৪ বিলিয়ম মার্কিন ডলার থেকে ৩.০৫ বিলিয়নে উন্নীত হয়েছেন যা তাকে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক গ্রহীতা অভিনেতার তালিকায় নবম ও সহকারী অভিনেতার তালিকায় বারোতম অবস্থানে উন্নীত করেছে।[২][৩] তিনি দুইবার এমি পুরস্কার, গোল্ডেন গ্লোব ও চারবার সাটার্ন পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। উইলিস অভিনেত্রী ডেমি মুরকে বিয়ে করেছিলেন। ২০০০ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার আগে ১৩ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের তিনটি কন্যা সন্তান আছে। বর্তমানে তিনি মডেল এমঅ হেমিং এর সাথে দাম্পত্য জীবন পার করছেন ও তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

প্রারম্ভিক জীবন

উইলিস পশ্চিম জার্মানির আইদার-ওবারস্টেইনে জন্মগ্রহণ করেন। তারা বাবা ডেভিড উইলিস একজন আমেরিকান সৈনিক ছিলেন। তার মা মার্লেন কে. একজন জার্মান মহিলা ছিলেন যিনি ক্যাসেলের কাছে কাউফানজেনে জন্মগ্রহণ করেন।[৪][৫][৬] চার ভাইবোনের মধ্যে উইলিস সবার বড়। তার বোনের নাম ফ্লোরেন্স, ভাইয়ের নাম ডেভিড ও আরেক ভাই রবার্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০০১ সালে ৪২ বছর বয়সে মৃত্যুবরন করেন।[৭] ১৯৫৭ সালে উইলিসের বাবা সেনাবাহিনী থেকে বিদায় নিয়ে তার পরিবার নিয়ে কার্নেস পয়েন্ট, নিউজার্সিতে চলে আসেন।[৮] উইলিস তার জন্মশহরের পেন্স গ্রোভ হাই স্কুলে লেখাপড়া করেন।[৮] তার তোতলানোর স্বভাব ছিল এ জন্য তার স্কুলের বন্ধুরা তাকে “বাক-বাক” বলে ডাকত।[৯][১০][১১] তোতলানোর স্বভাবের কারণে নিজেকে তুলে ধরার জন্য তিনি স্কুল নাট্যদলে যোগ দেন। তিনি স্কুলে, স্কুল কাউন্সিলের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। [৯]

বিদ্যালয়ের শিক্ষা শেষ করার পর উইলিস নিরাপত্তা রক্ষক হিসেবে সেলিম নিউক্লিয়ার পাওউয়ার প্লেন্টে কাজ নেন[১২][১৩] এছাড়া নিউ জার্সির ডিপওয়াটারে যোগাযোগ কর্মী হিসেবেও ডিওপোন্ট চেম্বারে কাজ করেন।[১৩] এরপর প্রাইভেট গুয়েন্দা হিসেবে কিছুদিন কাজ করার পর উইলিস পুনরায় অভিনয়ে ফিরে যান। তিনি মন্টক্লেয়ার স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নাট্য প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত হন। এরপর উইলিস নিউ ইয়র্ক চলে আসেন এবং ১৯৮০ দশকের প্রথম দিকে তিনি ওয়েস্ট ১৯ স্ট্রিট আর্ট বারে বারটেন্ডার হিসেবে কাজ করেন।[১৪]

এখান থেকে তিনি ব্রডওয়ে প্রোডাকসনের “হেভেন এন্ড আর্থে” অভিনয়ের সুযোগ পান। এছাড়া তিনি ব্রডওয়ে প্রডাকসন থেকে আরো কয়েকটি কাজ করেন এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।

কর্মজীবন

প্রারম্ভিক কর্মজীবন

৬১তম একাডেমি পুরস্কারে উইলিস, ১৯৮৯।

উইলিস কিছু টেলিভিশন শো এর জন্য অডিশন দিতে নিউ ইয়র্ক শহর ত্যাগ করে ক্যালিফোর্নিয়ার যান।[৫] ১৯৮৪ সালে টেলিভিশন সিরিজ মায়ামি ভাইসের নো এক্সিট এর মাধ্যমে জনসম্মুখে হাজির হন। ১৯৮৫ সালে তিনি টেলিভিশন সিরজি দ্য টুয়ালাইট জোন এর শ্যাটারডে পর্বে অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেন।[১৫] তিনি টেলিভিশন সিরিজ মুনলাইটিং এ অভিনয়ের জন্য ৩,০০০ প্রতিযোগিকে হারিয়ে এর মূল চরিত্রে অভিনয় করেন।[১৬] এই সিরিজে তিনি সাইবিল শ্যাফার্ডের বিপরীতে অভিনয় করে নিজেকে কমিডি অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। এই সিরিজটি পাঁচ সেশন ধরে প্রাচারিত হয়েছিল। এই সিরিজের সাফল্য দেখে পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিগ্রাম উইলিসকে গোল্ডেন ওয়াইন প্রোডাক্টের পিচম্যান হিসেবে ভাড়া করে।[১৭] দুই বছর পর উইলিস এই কম্পানির সাথে তার করা চুক্তিমত বিদায় নেয় কারণ, ১৯৮৮ সালে তিনি সিদ্ধান্ত নেন আর কখনো অ্যালকোহল পান করবেন না।[১৮]

১৯৯০-এর দশক

উইলিসের সবচেয়ে বড় ব্যক্তিগত সাফল্য হল ডাই হার্ড। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালে এই সিরিজের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ডাই হার্ড ২ ও ১৯৯৫ সালে ডাই হার্ড উইথ আ ভেনজেন্স।[৮] সিরিজের প্রথম তিনটি চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিকভাবে $৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে। এই চলচ্চিত্র সিরিজটি উইলিসকে হলিউডের প্রথম সারির অ্যাকশন অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করে।

১৯৯০ এর দশকের শুরুর দিকে উইলিসের কর্মজীবনে কিছুটা ঘাটতি দেখা দেয়। তার অভিনীতি দ্য বোনফায়ার অফ দ্য ভ্যানিটিস (১৯৯০) চলচ্চিত্রটি ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হয়। তিনি স্ট্রাইকিং ডিসটেন্স (১৯৯৩) চলচিত্র দিয়ে সফলতা অর্জন করলেও কালার অফ নাইট (১৯৯৪) দিয়ে আবার ব্যর্থতার খাতায় নাম লেখান। চলচ্চিত্র সমালোচকগণ এই চলচ্চিত্র নিয়ে নেতিবাচক সমালোচনা লিখলেও ছবিটি হোম ভিডিও বাজারে ব্যবসা সফল হয় এবং ১৯৯৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ২০ ভাড়া নেওয়া চলচ্চিত্রের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।[১৯]

১৯৯৪ সালে তিনি কোয়েন্টিন টারান্টিনো পরিচালিত পাল্প ফিকশন চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে বুচ কুলিজ ভূমিকায় অভিনয় করেন, যা তার কর্মজীবনে নতুনত্ব প্রদান করে। ১৯৯৬ সালে তিনি কার্টু ব্রুনো দ্য কিড-এর নির্বাহী প্রযোজকের দায়িত্ব পালন করেন এবং এতে অভিনয় করেন।[২০] একই বছর তিনি মাইক জাজের অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র বিভিস অ্যান্ড বাট-হেড ডো আমেরিকা-য় তার তৎকালীন স্ত্রী ডেমি মুরের বিপরীতে অভিনয় করেন। পরের বছরগুলোতে তিনি টুয়েলভ মাংকিস (১৯৯৫) ও দ্য ফিফ্‌থ এলিমেন্ট (১৯৯৭) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৯০ এর দশকের শেষের বছরগুলোতে তার অভিনীত দ্য জেকেল, মার্কারি রাইজিং এবং ব্রেকফাস্ট অফ চ্যাম্পিয়নস চলচ্চিত্রগুলো পুনরায় নেতিবাচক সমালোচনা অর্জন করে, শুধুমাত্র মাইকেল বে পরিচালিত আর্মাগেডন দিয়ে সফলতা লাভ করেন এবং ছবিটি ১৯৯৮ সালে বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্রের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।[২১] একই বছর তিনি প্লেস্টেশনের ভিডিও গেম অ্যাপ্‌ক্যালিপ্‌স-এ কণ্ঠ দেন।[২২] ১৯৯৯ সালে তিনি এম নাইট শ্যামালান পরিচালিত দ্য সিক্স্‌থ সেন্স চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটি ব্যবসায়িক ও সমালোচনামূলক সাফল্য লাভ করলে তার অভিনয়ে উৎসাহ বৃদ্ধি পায়।

২০০০-এর দশক

২০০২ সালে হাস্টি পুডিং থিয়েট্রিক্যাল ম্যান অফ দ্য ইয়ার পুরস্কার গ্রহণ কালে উইলিস।

২০০০ সালে উইলিস কমিডি সিরিজ ফ্রেন্ডস (যেখানে তিনি রোজ গ্যালারের বাবার চরিত্রে অভিনয় করেন।)[২৩] এ অসাধারন অতিথি অভিনেতা হিসেবে এ্যামি পুরস্কার লাভ করেন।[২৪] একই কাজে জন্য তিনি ২০০১ সালে আমেরিকান কমিডি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। তিনি রবার্ট রডরিগস এর পরিচালনায় সিন সিটি নামক চলচ্চিতে অভিনয় করেন।

২০১০-এর দশক

উইলিস ট্রেসি মরগ্যানের সাথে হাস্যরসাত্মক কপ আউট চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।[২৫] কেভিন স্মিথ পরিচালিত চলচ্চিত্রটি ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মুক্তি পায়। উইলিসকে গরিলাজের "স্টাইলো" গানের ভিডিওতে দেখা যায়।[২৬] একই বছর তিনি তার প্ল্যানেট হলিউডের সহ-মালিক সিলভেস্টার স্ট্যালোনআর্নল্ড শোয়ার্জনেগারের সাথে দি এক্সপান্ডেবলস চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এটিই প্রথম চলচ্চিত্র, যেখানে এই তিনজন প্রখ্যাত অভিনেতাকে একসাথে দেখা যায়। যদিও তিনজনকে একত্রে একই দৃশ্যে স্বল্প সময়ের জন্য দেখা যায়, তবুও এই দৃশ্যটি এই চলচ্চিত্রের সবচেয়ে প্রত্যাশিত দৃশ্য ছিল। এই ত্রয়ী অভিনীত দৃশ্যটি ২০০৯ সালে ২৪শে অক্টোবর একটি খালি গির্জায় ধারণ করা হয়।[২৭] উইলিস পরবর্তীতে একটি কমিক বই মিনি ধারাবাহিক অবলম্বনে নির্মিত রেড চলচ্চিত্রে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটি ২০১০ সালের ১৫ই অক্টোবর মুক্তি পায়।[২৮]

সম্মামনা ও পুরস্কার

হলিউড স্টার ওয়াক অফ ফেম

উইলিস তার অভিনয় জীবনে টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য অনেক পুরস্কার ও সম্মামনা অর্জন করেছেন।

  • মুনলাইটিং টেলিভিশন শ্যূতে প্রধান অভিনেতা হিসেবে অসাধারন অভিনয়ের জন্য তিনি এ্যামি পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও এটিতে অভিনয় করে তিনি কমিডি চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনয়ের জন্য গোল্ডেন গ্লাব পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়াও আরো অনেক পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।[২৯]
  • ইন কান্ট্রি চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ সহঅভিনেতা হিসেবে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন।
  • ম্যাক্সিম ম্যাগাজিন উইলিস অভিনীত কালার অফ নাইট (১৯৯৪) চলচ্চিত্রের যৌন দৃশ্যকে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ যৌন দৃশ্য বলে অভিহিত করে।[৩০]
  • ১৯৯৯ সালের ড্রামা/থ্রিলার চলচ্চিত্র দ্য সিক্সথ সেন্স-এ অভিনয় করে জনপ্রিয় অভিনেতা হিসেবে ব্লকবাস্টার এন্টারটেইনমেন্ট পুরস্কার ও জনপ্রিয় মোসন পিকচার্স স্টার হিসেবে পিপল’স চয়েজ পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে সাতার্ন পুরস্কার ও দুইবার শ্রেষ্ঠ পুরুষ অভিনেতা হিসেবে এমটিভি মুভি অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।[২৯]
  • ফ্রেন্ডস টেলিভিশন ধারাবাহিকে অতিথি অভিনেতা হিসেবে অসাধারন অভিনয়ের জন্য এ্যামি পুরস্কার লাভ করেন।
  • ২০০২-এর ফেব্রুয়ারিতে হার্বার্ড হাস্টি পাডিং থিয়েটার তাকে হাস্টি পাডিং অ্যাওয়ার্ড অফ দ্য ইয়ার পুরস্কার প্রদান করে। সংস্থার তথ্যমতে এই পুরস্কার তাকেই প্রদান কার হয় যিনি দীর্ঘ সময় ধরে এন্টারটেইনমেন্ট দুনিয়ায় প্রশংসনীয় অবদান রেখে চলছেন।[৩১]
  • ২০০২ সালে রাষ্ট্রপতি বুশ দ্বারা উইলিস চিলড্রেন ফোস্টার কেয়ারের জাতীয় মুখপাত্র মনোনীত হন। [৩২]
  • ২০০৬ সালের এপ্রিলে ফরাসি সরকার চলচ্চিত্র ইন্ড্রাস্টিতে তার অবদানের জন্য সম্মানে ভূষিত করে। তিনি একটি অনুষ্ঠানে ফরাসি অর্ডার অফ আর্টস এন্ড লেটারস এর একজন অফিসার হিসেবে মনোনীত হন। ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এক ভাষণে বলেন, “এটি হল একজন অভিনেতাকে তার অবদানের জন্য ফ্রান্সের পক্ষ থেকে সম্মান দেখানোর পন্থা। তিনি (উইলিস) আমেরিকান সিনেমায় তার অনবদ্য অবদানের মাধ্যমে পুরু বিশ্বের সামনে মানুষের আবেক ও অনুভূতি প্রকাশ করছেন।”[৩৩]
  • ১৬ অক্টোবর, ২০০৬ সালে তিনি হলিউড স্টার ওয়াক অফ ফেম হিসেবে সম্মানিত করেন। এই স্টারটি ৬৯১৫ হলিউড বলিভার্ডে অবস্থিত ও এটি হলিউডের ইতিহাসের ২,৩২১তম স্টার। উইলিস স্টার গ্রহণ অনুষ্ঠানের এক ভাষণে বলেন, “আমি সবসময় এই স্টারগুলো দেখতাম কিন্তু এগুলো কিভাবে অর্জন করা যায় তা আমার জানা ছিল না। সময় চলে যাচ্ছিল এবং শেষ পর্যন্ত আজ আমি এখানে ও আমি অতন্ত্য উত্তেজিত।”[৩৪]
  • ২০১১ সালে উইলিস নিউ জার্সি হল অফ ফেম হিসেবে অধিস্ঠিত হন।[৩৫]
  • তিনি ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সালে ফরাসি সংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় কর্তৃক অফিসার থেকে অর্ডারস অফ আর্টস এন্ড লেটারস এর কমান্ডার পদে উন্নীত হন।[৩৬]

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. "Monitor"। Entertainment Weekly (1251): 25। মার্চ ২২, ২০১৩। 
  2. "People Index"Box Office Mojo। সংগ্রহের তারিখ জুন ৫, ২০১৩ 
  3. "All Time Top 100 Stars at the Box Office"। The Numbers। সংগ্রহের তারিখ জুন ৫, ২০১৩ 
  4. "Surprise German visit from Willis"। BBC News। আগস্ট ৮, ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ মে ৯, ২০০৯ 
  5. Lipworth, Elaine (জুন ১৬, ২০০৭)। "Die Another Day: Bruce Willis"Daily Mail। UK। সংগ্রহের তারিখ মে ৯, ২০০৯ 
  6. Archerd, Army. (2003-12-11) Inside Move: Flu KOs Smart Set yule bash – Entertainment News, Other News, Media. Variety. Retrieved on November 14, 2011.
  7. "Robert Willis Obituary"Variety। জুলাই ১, ২০০১। সংগ্রহের তারিখ জুন ২৩, ২০১১ 
  8. Stated on Inside the Actors Studio, 2001
  9. Barnard, Sarah। "Bruce Willis"The Biography Channel। সংগ্রহের তারিখ মে ৯, ২০০৯ 
  10. Petersen, Melody (মে ৯, ১৯৯৭)। "Bruce Willis Drops Project, Leaving Town More Troubled"The New York Times। সংগ্রহের তারিখ মে ৯, ২০০৯ 
  11. "Bruce Willis: The Uncut Interview" (PDF)Reader's Digest। ২০০২। সংগ্রহের তারিখ মে ৯, ২০০৯ 
  12. "Bruce Willis"The Daily Show। জুন ২৬, ২০০৭। Comedy Central 
  13. Segal, David (মার্চ ১০, ২০০৫)। "Bruce Willis's Tragic Mask"The Washington Post। সংগ্রহের তারিখ মে ৯, ২০০৯ 
  14. Curley, Mallory. A Cookie Mueller Encyclopedia, p. 260.
  15. ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে ব্রুস উইলিস (ইংরেজি)
  16. "Yahoo! Movies"Bruce Willis Biography। সংগ্রহের তারিখ মে ৯, ২০০৯ 
  17. "How Bruce Willis Keeps His Cool"Time। জুন ২১, ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ মে ১০, ২০০৯ 
  18. Grobel, Lawrence (নভেম্বর ১৯৮৮)। "Playboy Interview: Bruce Willis"। Playboy। পৃষ্ঠা 59–79। 
  19. Billboard vol 108 No. 1 (1/6/1996) p.54.
  20. "Bruce Willis Biography (1955–)" (ইংরেজি ভাষায়)। Filmreference। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ 
  21. "1998 Worldwide Grosses" (ইংরেজি ভাষায়)। বক্স অফিস মোজো। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ 
  22. Walk, Gary Eng (ডিসেম্বর ৪, ১৯৯৮)। ""Apocalypse" Now"Entertainment Weekly (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ 
  23. "The 52nd Annual Emmy Awards"The Los Angeles Times। সেপ্টেম্বর ১১, ২০০০। সংগ্রহের তারিখ মে ৯, ২০০৯ 
  24. Bruce Willis Emmy Award Winner. Emmys.com. Retrieved on 2012-06-08.
  25. "Bruce Willis Circling Several New Movies"Empire (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ 
  26. "Bruce Willis takes aim at Gorillaz in Stylo video"Billboard (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ 
  27. Stallone Shot a Scene with Arnold and Bruce ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৭ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে News in Film
  28. "Red Begins Principal Photography" (ইংরেজি ভাষায়)। /Film। জানুয়ারি ১৮, ২০১০। ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৮ 
  29. "Awards for Bruce Willis"Internet Movie Database। সংগ্রহের তারিখ মে ১০, ২০০৯ 
  30. "Top Sex Scenes of All-Time"Telepixtvcgi.warnerbros.com/। ডিসেম্বর ৬, ২০০০। জুন ২৮, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ৯, ২০০৯ 
  31. Silverman, Stephen M. (ফেব্রুয়ারি ১২, ২০০২)। "For Bruce Willis, Award Is a Drag"People। সংগ্রহের তারিখ জুন ২০, ২০০৭ 
  32. "President, Mrs. Bush & Bruce Willis Announce Adoption Initiative"whitehouse.gov। জুলাই ২৩, ২০০২। ২৫ জুলাই ২০০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ১০, ২০০৯ 
  33. "Internet Movie Database"Willis Receives French Honor। জানুয়ারি ১২, ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ মে ১০, ২০০৯ 
  34. Associated Press (অক্টোবর ১৭, ২০০৬)। "Willis Gets Hollywood Walk of Fame Star"The Washington Post। সংগ্রহের তারিখ মে ১০, ২০০৯ 
  35. The Newark Star Ledger  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  36. [১]

বহিঃসংযোগ