চারু মজুমদার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অ বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় সরিয়ে মূল বিষয়শ্রেণী বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় ব্যক্তিত্ব স্থাপন |
|||
৭৩ নং লাইন: | ৭৩ নং লাইন: | ||
[[বিষয়শ্রেণী:বিপ্লব তাত্ত্বিক]] |
[[বিষয়শ্রেণী:বিপ্লব তাত্ত্বিক]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:ব্রিটিশ ভারতের বন্দি ও আটক]] |
[[বিষয়শ্রেণী:ব্রিটিশ ভারতের বন্দি ও আটক]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয়]] |
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় ব্যক্তিত্ব]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় পুরুষ লেখক]] |
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় পুরুষ লেখক]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় প্রাবন্ধিক]] |
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় প্রাবন্ধিক]] |
০৩:১৩, ১৫ এপ্রিল ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
চারু মজুমদার | |
---|---|
জন্ম | ১৪ মে, ১৯১৯ |
মৃত্যু | জুলাই ২৮, ১৯৭২ |
মাতৃশিক্ষায়তন | উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ,শিলিগুড়ি মহাবিদ্যালয় |
পরিচিতির কারণ | নকশাল আন্দোলন, তেভাগা আন্দোলন |
অফিস | সিপিআইয়ের মহাসচিব |
মেয়াদ | ১৯৬৯-১৯৭২ |
রাজনৈতিক দল | ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ভারতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (মার্ক্সবাদী) ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) |
দাম্পত্য সঙ্গী | লীলা মজুমদার সেনগুপ্ত |
চারু মজুমদার (১৪ মে, ১৯১৯ - ২৮ জুলাই, ১৯৭২) হলেন ভারতের প্রখ্যাত নকশালপন্থী ও মাওবাদী রাজনীতিবিদ।
জন্ম ও পারিবারিক পরিচয়
জন্ম রাজশাহী জেলার হাগুরিয়া গ্রামে। পৈতৃক নিবাস শিলিগুড়ি। মধ্যস্বত্বভোগী ভূমধ্যিকারী পরিবারে জন্ম। পিতার নাম বীরেশ্বর।১৯৫২ সালে পার্টির সহকর্মী লীলা সেনগুপ্তকে বিবাহ করেন।[১]
শিক্ষাজীবন
শিলিগুড়ি বালক হাই স্কুল থেকে ১৯৩৩ সালে মেট্রিক পাস করেন। অতঃপর পাবনা এডোয়ার্ড কলেজে আই এ ক্লাসে ভর্তি হন।[১]
উত্তরবঙ্গে আন্দোলনে যোগদান
ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার পূর্বে সাম্যবাদী ধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে লেখাপড়া ত্যাগ করে জলপাইগুড়ি জেলায় তেভাগা আন্দোলনে যোগদান করেন। ১৯৩৬ সালে তার কর্মক্ষেত্র ছিলো জলপাইগুড়ি জেলা। ব্রিটিশ শাসনকালে ছয় বছর আত্মগোপন অবস্থায় রাজনৈতিক প্রক্রিয়া পরিচালনা করেন। এ-সময়ে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ। ১৯৪২ সালে জলপাইগুড়িতে গ্রেফতার হয়ে দুই বছর নিরাপত্তা বন্দিরূপে কারাভোগের পর ১৯৪৪-এ মুক্তিলাভ করেন। অতপর উত্তরবঙ্গে চা-বাগান শ্রমিকদের সংগঠিত করার কাজে আত্মনিয়োগ।[১]
১৯৪৮ সালের ২৬ মার্চ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি বেআইনি ঘোষিত হলে তিনি নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হন এবং ১৯৫২-তে মুক্তিলাভ করেন। ১৯৫৭-তে নকশালবাড়ির কেষ্টপুরে চা-বাগিচার মালিকদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার অভিযোগে গ্রেফতার। প্রায় চার মাস কারা নির্যাতন ভোগ। ১৯৬২-তে চীন-ভারত যুদ্ধের সময়ে ভারত রক্ষা আইনে গ্রেফতার। ১৯৬৩-তে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে শিলিগুড়ি কেন্দ্র থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিধান সভার উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কংগ্রেস প্রার্থির কাছে পরাজিত। চীন ও রাশিয়ার আদর্শগত দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির পিকিংপন্থি নেতৃবৃন্দ সিপিআই (এম) গঠন করলে (১৯৬৪) তার সংগে একাত্মতা ঘোষণা। ১৯৬৫-তে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় গ্রেফতার। একই বছর মুক্তিলাভের পর সিপিআই (এম)-এর নামে একটি বিশেষ ঘোষণাপত্র প্রকাশ। সিপিআই (এম) নেতৃবৃন্দ কর্তৃক একে দলীয় কর্মসূচির পরিপন্থী আখ্যায়িত করে তাকে দল থেকে বহিষ্কার। পরে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার।[২]
কৃষক বিদ্রোহে নেতৃত্বদান
পশ্চিমবঙ্গ বিধান পরিষদের নির্বাচনে (১৯৬৭) কংগ্রেসকে পরাজিত করে বামফ্রন্ট জয়ী হলে সিপিআই (এম)-এর বামফ্রন্ট সরকারে যোগদানের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে সিপিআই (এম)-এর সংগে তার বিরোধ বাধলে সিপিআই (এম) ত্যাগ। বামফ্রন্ট সরকারের অভিষেক অনুষ্ঠান (জুন ১৯৬৭) শেষ হওয়ার পরপরই তার ও কানু স্যান্যালের নেতৃত্বে দার্জিলিং জেলার নকশালবাড়ি এলাকায় সশস্ত্র কৃষক বিদ্রোহ সংগঠিত। কৃষকদের জমির মালিকানার দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশের উত্তরাঞ্চল, কেরালা ও পূর্ব উড়িষ্যায় এই সশস্ত্র আন্দোলনের ব্যাপকভাবে বিস্তারলাভ।[২]
সিপিআই (এম-এল) গঠন
১৯৬৮-তে কানু সান্যাল, জঙ্গল সাঁওতাল, সুশীতল রায়চৌধুরী প্রমুখের সহযোগিতায় চারু মজুমদার কমিউনিস্ট কনসোলিডেশন গঠন করেন। ১৯৬৯-এর ১ মে কলকাতা ময়দানে এক জনসভায় কানু সান্যাল কর্তৃক সিপিআই (এমএল) গঠনের কথা ঘোষণা করা হয়। চারু মজুমদার এদলের সভাপতি নির্বাচিত হন। সিপিআই (এম-এল) গঠনের ফলে একজন সাধারণ কৃষক কর্মী থেকে সারা সর্বাধিক উচ্চারিত বিপ্লবী নেতারূপে পরিচিতি লাভ করেন। তার পরিচালিত আন্দোলন নকশালপন্থী আন্দোলন নামে খ্যাতি লাভ করে। ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দের নকশালবাড়ির সশস্ত্র কৃষক বিদ্রোহের উদ্দেশ্য ছিল প্রকৃত কৃষকদের জমির মালিকানা লাভ যা থেকে এই আন্দোলনের উৎপত্তি। ১৯৬৯-৭১ খ্রিস্টাব্দের ২ বছর এই নবগঠিত দল পশ্চিম বাংলার সবচেয়ে পরাক্রান্ত, সুগঠিত এবং মারমুখী বিপ্লবী দলরূপে বর্তমান ছিল। এই দলের প্রভাব বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ প্রভৃতি অন্যান্য রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে। শোষণহীন সাম্যবাদী সমাজ ব্যবস্থা কায়েমের আশায় অনেক প্রতিভাবান যুবক ও যুবতী তার এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে।[১]
ভারত সরকার কর্তৃক নকশালদের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কঠোর দমননীতি প্রয়োগ করা হয়। ১৯৭০-এর মাঝামাঝি সময়ে সিপিআই (এমএল) এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল সৃষ্টি হয়। চারু মজুমদারের নেতৃত্বকে অস্বীকার করে অসীম চট্টোপাধ্যায় ও সন্তোষ রাণার দলত্যাগ করে। ভারত সরকার কর্তৃক তার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড পরিচালনা ও সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার অভিযোগ আনয়ন করা হয়। তার উপর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। চারু মজুমদার কয়েক বছর পলাতক জীবন যাপন করেন। ১৯৭২-এর ১৬ জুলাই কলকাতার এন্টালী রোডের এক বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ২৮ জুলাই হৃদরোগে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ভারত সরকার কর্তৃক ঘোষণা প্রচার।[২]
আরো দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ গ ঘ বসু, অঞ্জলি (নভেম্বর ২০১৩)। বসু, অঞ্জলি; সেনগুপ্ত, সুবোধচন্দ্র, সম্পাদকগণ। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। ১ (পঞ্চম সংস্করণ, দ্বিতীয় মুদ্রণ সংস্করণ)। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা -২২০-২২১। আইএসবিএন 978-8179551356।
- ↑ ক খ গ সেলিনা হোসেন ও নুরুল ইসলাম সম্পাদিত, বাংলা একাডেমী চরিতাভিধান; বাংলা একাডেমী, ঢাকা, এপ্রিল, ২০০৩; পৃষ্ঠা-১৫৮-৫৯।
বহিঃসংযোগ
- ১৯১৮-এ জন্ম
- ১৯৭২-এ মৃত্যু
- ২০শ শতাব্দীর প্রাবন্ধিক
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় দার্শনিক
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় প্রাবন্ধিক
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় রাজনীতিবিদ
- গেরিলা যুদ্ধ তৎপরতার তাত্ত্বিক
- জলপাইগুড়ি জেলার ব্যক্তি
- পুঁজিবাদ বিরোধী
- ফ্যাসিবাদ বিরোধী
- বাঙালি ব্যক্তি
- বাঙালি রাজনীতিবিদ
- বিপ্লব তাত্ত্বিক
- ব্রিটিশ ভারতের বন্দি ও আটক
- ভারতীয় ব্যক্তিত্ব
- ভারতীয় পুরুষ লেখক
- ভারতীয় প্রাবন্ধিক
- ভারতীয় বিপ্লবী
- ভারতীয় মার্কসবাদী
- ভারতীয় রাজনীতিবিদ
- ভারতীয় রাজনৈতিক দার্শনিক
- ভারতীয় রাজনৈতিক লেখক
- ভারতীয় সমাজতন্ত্রী
- ভারতীয় সাম্যবাদী
- মাওবাদী তাত্ত্বিক
- মার্কসবাদী তাত্ত্বিক
- মার্কসবাদী লেখক
- শিলিগুড়ির ব্যক্তিত্ব
- সংশোধনবাদ বিরোধী
- সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী