নায়না দেবী (সঙ্গীতশিল্পী): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন
নকীব বট (আলোচনা | অবদান)
১৬ নং লাইন: ১৬ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:হিন্দুস্তানি গায়ক]]
[[বিষয়শ্রেণী:হিন্দুস্তানি গায়ক]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় ধ্রুপদী গায়িকা]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় ধ্রুপদী গায়িকা]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাঙালি জাতি]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাঙালি ব্যক্তি]]
[[বিষয়শ্রেণী:কলকাতার সঙ্গীতশিল্পী]]
[[বিষয়শ্রেণী:কলকাতার সঙ্গীতশিল্পী]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৯৩-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৯৩-এ মৃত্যু]]

১২:২৪, ২ এপ্রিল ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

নায়না দেবী (সঙ্গীতশিল্পী)
জন্মনামনিলীনা সেন
জন্ম(১৯১৭-০৯-২৭)২৭ সেপ্টেম্বর ১৯১৭
কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু১ নভেম্বর ১৯৯৩(1993-11-01) (বয়স ৭৬)
পেশা
  • কণ্ঠশিল্পী
  • সুরকার
কার্যকাল১৯৫০–৯৩

নায়না দেবী (২৭শে সেপ্টেম্বর ১৯১৭ - ১লা নভেম্বর ১৯৯৩; এছাড়াও নায়না রিপজিত সিং নামে পরিচিত) ভারতের গায়িকা ছিলেন। তিনি হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীতে তার অবদানের জন্য তিনি সুপরিচিত। যদিও তিনি দাদরা ও গজল গাইতেন। তিনি অল ইন্ডিয়া রেডিওতে এবং পরবর্তীতে দূরদর্শনের একজন সংগীত প্রযোজক ছিলেন। তিনি ছোটকালে গির্জা শঙ্কর চক্রবর্তীর অধীনে সংগীত প্রশিক্ষণ শুরু করেছিলেন, পরবর্তীতে তিনি ১৯৫০-এর দশকে রামপুর-সসওয়ান ঘরানার ওস্তাদ মুশতাক হুসেন খান এবং বারাণসী ঘরানার রসুলান বাঈ থেকে সংগীত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন। কলকাতার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করা নায়না দেবী মাত্র বছর বয়সে কপূরতলা রাজ্যের রাজপরিবারে বিবাহিত হয়েছিলেন এবং ১৯৪৯ সালে তার স্বামী মারা যাওয়ার পরেই তিনি কনসার্টে গান শুরু করেছিলেন এবং তিনি দিল্লিতে চলে আসেন। ১৯৭৪ সালে, তিনি ভারত সরকার প্রদত্ত চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মশ্রী পুরষ্কার লাভ করেছেন।[১]

প্রারম্ভিক জীবন

নায়না দেবী ১৯১৭ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের কলকাতায় এক সম্ভ্রান্ত বাঙালি পরিবারে নীলিনা সেন নামে জন্মগ্রহণ করেছেন। তাঁর দাদা ছিলেন ব্রাহ্মসমাজ আন্দোলনের জাতীয়তাবাদী নেতা এবং সমাজ সংস্কারক কেশবচন্দ্র সেন। তিনি পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে চতুর্থ। তার ভাইবোনেরা হলেন সুনীত, বিনিতা, সাধোনা এবং প্রদীপ। নীলিনা তার বাবা সরল চন্দ্র সেন (যিনি একজন উকিল ছিলেন) ও তার মা নির্মলা (নেলি)-এর কাছেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছিলেন। তিনি ছোটকালেই সংগীতের প্রতি আগ্রহী হয়েছিলেন; তার চাচা পাঁচু তরুণ নীলিনাকে স্থানীয় মঞ্চ নাটক আঙ্গুরবালার একটি কনসার্টে নিয়ে যেতেন। এরপরে, তিনি মসজিদ বারী রাস্তার তার বাড়িতে আগুরবালার গান শোনার জন্য যেতেন। অবশেষে তিনি, গিরিজা শংকর চক্রবর্তী অধীনে নয় বছর (১৮৮৫-১৯৪৮) যাবত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন; যিনি একজন অসাধারণ গায়ক এবং শিক্ষক, তিনি বাংলায় খেয়াল ঐতিহ্যটি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য সুপরিচিত।[২]

১৯৩৪ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি রিপজিত সিং (জন্ম: ১৯০৬; যিনি কাপুরথালা রাজ্য রাজা চরণজিৎ সিংয়ের তৃতীয় পুত্র)-এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তার বিয়ের পরে তিনি পাঞ্জাবের কপূরতলায় চলে যান এবং তাকে গান গাইতে দেওয়া হয়নি। ১৯৪৯ সালে তার স্বামী মারা গেছেন, উক্ত সময়ে তিনি ৩২ বছর বয়সী ছিলেন।[৩] নায়না দেবী তার জীবনের শেষের দিকে কীর্তনের ঐতিহ্যবাহী রূপের প্রতি আগ্রহী হয়েছিলেন, তিনি বৃন্দাবনে গিয়ে তা শিখতেন এবং পরবর্তীকালে তাঁর তিনজন প্রবীণ শিষ্যকে কীর্তনের এই রূপটি প্রশিক্ষণ দিতেন।[৪]

তথ্যসূত্র

  1. "Padma Awards Directory (1954–2009)" (পিডিএফ)Ministry of Home Affairs। ১০ মে ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। Nina Ripjit Singh, Naina Devi 
  2. "A Tale of Two Women: In search of their own songs"The Telegraph। ১১ মার্চ ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০১৩ 
  3. Subhra Mazumdar (২৫ সেপ্টেম্বর ২০১০)। "Naina Devi and the nautch girl"The Times of India, Crest Edition। ২৪ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০১৩ 
  4. "In service of the arts"The Hindu। ২৭ জানুয়ারি ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুন ২০১৩