মটকা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ferdous (আলোচনা | অবদান)
নকীব বট (আলোচনা | অবদান)
১৩ নং লাইন: ১৩ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:প্রাকৃতিক উপাদান]]
[[বিষয়শ্রেণী:প্রাকৃতিক উপাদান]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলার সংস্কৃতি]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলার সংস্কৃতি]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী সংস্কৃতি]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশি সংস্কৃতি]]

১০:৪৬, ২ এপ্রিল ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

১৮শ শতাব্দির দুটি মটকা।

মটকা মাটি থেকে তৈরি করা একপ্রকার বিশালাকৃতির পাত্র, যা দেখতে অনেকটা কলসের মতো মনে হয়। এজাতীয় পাত্রে সাধারণত চাল সংরক্ষণ করা হয়। সাধারণ্যের পর্যবেক্ষণজাত সত্য হচ্ছে, মটকায় রাখা চালে সহজে পোকা ধরে না এবং চালের গন্ধ ও স্বাদ দির্ঘদিন অটুট থাকে। তাছাড়া মাটি থেকে তৈরি বলে এজাতীয় পত্রের সংস্পর্শে থাকার ফলেও চালে কোনো ক্ষতিকারক উপাদান মিশে না।

প্রস্তুত প্রণালী

প্রথমে নরম এঁটেল দোআঁশ মাটি সংগ্রহ করা হয়, সাধারণত ধানী জমি কিংবা নদীর গর্ভ থেকে। সেই মাটিকে ভালোমতো দলিতমথিত করে জমিয়ে রাখা হয় এক স্থানে। তারপর সেখান থেকে মাটির হালকা একটা স্তর এনে একটা কড়াই-আকৃতির জিনিসে মটির স্তরটি বসিয়ে মটকার তলা বানানো হয়। তারপর সেই তলার পাশ দিয়ে আরো আরো স্তর যোগ করে মটকার কিনারা তৈরি করা হয়। অনেক সময় আগে থেকে তৈরি করা রিং পরিয়ে দেয়া হয় স্তরে স্তরে। এসময় আগের স্তরের সাথে নতুন স্তরকে আটকে দেবার জন্য ভেজা কাপড় দিয়ে জোড়াগুলোকে ভিজিয়ে পলিশ করে নেয়া হয়। কখনও কখনও সামান্য গোলাকৃতি কোনো বস্তু দিয়ে ভিতর থেকে চাপ দিয়ে মটকার গোলাকৃতি বজায় রাখা হয়। সবশেষে কলসের মতো গলার অংশের একটা স্তর যোগ করা হয়। সাধারণত কলস যেভাবে চাকার উপর রেখে বানানো হয়, মটকার বিশাল আকৃতির কারণে সেভাবে বানানো সম্ভব হয় না। মাটির থৈরি মটকা এরপর রোদে শুকিয়ে আগুনে পোড়ানো হয়। পুড়িয়ে নেয়ার আগে মাটি খোদাই করে কিংবা পুড়িয়ে নেয়ার পরে রং দিয়ে অনেক সময় মটকায় নকশাও করা হয়। সাধারণত নকশায় গ্রাম্য মোটিফ ফুটে ওঠে। হিন্দু পরিবারগুলোতে মটকার মধ্যে বিভিন্ন মাঙ্গলিক চিহ্ন আঁকার প্রচলনও দেখা যায়।

ইতিহাস

তথ্যসূত্র