মইনুল হোসেন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Moheen (আলোচনা | অবদান)
নকীব বট (আলোচনা | অবদান)
৭০ নং লাইন: ৭০ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী]]
[[বিষয়শ্রেণী:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী]]
[[বিষয়শ্রেণী:প্রথম জাতীয় সংসদ সদস্য]]
[[বিষয়শ্রেণী:প্রথম জাতীয় সংসদ সদস্য]]
[[বিষয়শ্রেণী:২০ শতকের বাংলাদেশি আইনজীবী]]
[[বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর বাংলাদেশি আইনজীবী]]
[[বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর বাংলাদেশি আইনজীবী]]
[[বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর বাংলাদেশি আইনজীবী]]

১৬:৩৩, ৩০ মার্চ ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন
তথ্য, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং ভূমি মন্ত্রণালয়
কাজের মেয়াদ
১৪ জানুয়ারী ২০০৭[১] – ৮ জানুয়ারী ২০০৮[১]
প্রধানমন্ত্রীড. ফখরুদ্দীন
পূর্বসূরীমো. ফজলুল হক
উত্তরসূরীএ এফ হাসান আরিফ
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
মার্চ ১৯৭৩ – মে ১৯৭৫
ব্যক্তিগত বিবরণ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
রাজনৈতিক দলবাংলাদেশী আওয়ামিলীগ
প্রাক্তন শিক্ষার্থীঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মিডল টেম্পল ইন
পেশাআইনজিবী, প্রকাশক; নিউ নেশন

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন একজন বাংলাদেশী আইনজীবী এবং তত্ত্ববধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা। তিনি ২০০৭ সালে গঠিত ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে তথ্য, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং ভূমি মন্ত্রণালয় এর দায়ীত্ব পালন করেন।

প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা

বিখ্যাত সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া তার পিতা। তিনি ১৯৬১ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তারপরে মিডল টেম্পল এ আইন বিষয়ক পড়াশোনা করেছেন। ১৯৬৫ সালে বার থেকে ব্যারিস্টার-ইন-ল ডিগ্রি অর্জন করেন।

রাজনীতি ও কর্মজীবন

মইনুল হোসেন ১৯৭৩ সালে পিরোজপুর থেকে আওয়ামিলীগ এর মনোনয়ন নিয়ে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা এর প্রচলন করলে তিনি তার পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। শেখ মুজিবুর রহমান এর মৃত্যর পরে তিনি খন্দকার মোশতাক আহমেদ এর পরিচালিত দল ডেমোক্র‌্যাটিক লীগ এ যোগ দেন এবং ৩ নভেম্বর মোশতাক সরকার এর পতন পর্যন্ত তিনি ডেমোক্র‌্যাটিক লীগ এই ছিলেন।

বাংলাদেশ এর সংবাদ মালিক দের সংগঠন বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ এর সভাপতি হিসেবে তিনি দায়ীত্ব পালন করেন। তিনি সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশান এর সভাপতি হিসেবে ২০০০-২০০১ মেয়াদে নির্বাচিত হন।

২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার

জনাব হোসেন ২০০৭ সালের ১৪ জানুয়ারি বহুল আলোচিত বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের তথ্য, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং ভূমি মন্ত্রণালয় এর উপদেষ্টা হিসেবে দায়ীত্ব গ্রহণ করেন।[২] ২০০৮ সালের ৮ জানুয়ারী তাকে বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়।

সমালোচনা ও গ্রেফতার

২০১৮ সালের ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে বেসরকারি টেলিভিশন একাত্তর জার্নাল টক শোতে দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাসুদা ভাট্টি লাইভে যুক্ত হওয়া ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে প্রশ্ন করেন- ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আলোচনা চলছে, আপনি সদ্য গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে এসে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করছেন কি না?’ মইনুল হোসেন এ প্রশ্নের জবাবে একপর্যায়ে মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার শিকার হন।[৩] এর পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশে মানহানির মামলা হয় এবং হোসেনের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ২০১৮ সালের ২২ অক্টোবর রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। তিন মাসের বেশি সময় কারাগারে থাকার পর ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি জামিনে মুক্তি দেয়া হয়। সর্বশেষ তাকে ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে উচ্চ আদালতের নির্দেশে তাকে পুনরায় কারাগারে পাঠানো হয়। [৪][৫]

তথ্যসূত্র

  1. "Honorable Minister"Law and Justice Division। ২২ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ অক্টোবর ২০১৮ 
  2. "Honorable Minister"Law and Justice Division। ২০১৮-০৩-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-২২ 
  3. "BBC News বাংলা"bbc.com। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৮, ২০১৮ 
  4. "মাসুদা ভাট্টির মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল কারাগারে"Daily Nayadiganta। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৯-০৬ 
  5. "মানহানির মামলায় ব্যারিস্টার মইনুল গ্রেফতার"jugantor.com। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ২৮, ২০১৮