গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
সংশোধিত রূপ!
নকীব বট (আলোচনা | অবদান)
৫২ নং লাইন: ৫২ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:কলকাতার কণ্ঠশিল্পী]]
[[বিষয়শ্রেণী:কলকাতার কণ্ঠশিল্পী]]
[[বিষয়শ্রেণী:হিন্দুস্তানি গায়ক]]
[[বিষয়শ্রেণী:হিন্দুস্তানি গায়ক]]
[[বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর ভারতীয় কণ্ঠশিল্পী]]
[[বিষয়শ্রেণী:২০শ শতাব্দীর ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাঁকুড়া জেলার ব্যক্তি]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাঁকুড়া জেলার ব্যক্তি]]

০৯:০৭, ২৪ মার্চ ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়
জন্ম১৮৮০
বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু২৮ জুলাই ১৯৬৩ (বয়স ৮২–৮৩)
ধরনহিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীত
পেশাকণ্ঠশিল্পী, সংগীতজ্ঞ
বাদ্যযন্ত্রসুরবাহার, সেতার
কার্যকাল১৮৯৫–১৯৬৩
লেবেলগ্রামোফোন কোম্পানি অব ইন্ডিয়া

গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৮০-১৯৬৩) একজন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত গায়ক এবং সংগীতজ্ঞ ছিলেন। তিনি হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীতের বিষ্ণুপুর ঘরানায় গান গাইতেন, যার উদ্ভব পশ্চিমবঙ্গের বিষ্ণুপুর থেকে।[১] তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীত ছাড়াও খেয়াল এবং ধ্রুপদ গানের জন্য খ্যাতিমান ছিলেন। তিনি ঠুংরীও গাইতেন এবং তাঁর গাওয়া একটি বিখ্যাত ঠুংরী হল মিশ্র খাম্বাজ রাগের কন গলি গ্যায়ো শ্যাম। গানটি খুব জনপ্রিয় হয়েছিল।[২] সংগীতজ্ঞ হিসাবে তিনি ধ্রুপদ ও রবীন্দ্রসঙ্গীতের স্বরলিপিসহ কয়েকটি বিরল গানের বই প্রকাশ করেছিলেন। তিনি ১৮৯৫ সালে বর্ধমানের মহারাজার সভায় সংগীতশিল্পী হিসাবে তাঁর সঙ্গীত জীবন শুরু করেছিলেন এবং ১৯২৪ সাল পর্যন্ত ২৯ বছর ধরে সেখানে কাজ করেছিলেন। এরপরে তিনি কলকাতায় চলে আসেন। তার সঙ্গীত জীবনের শেষের দিকে, ১৯৬২ সালে তাঁকে সংগীত নাটক আকাদেমি ফেলোশিপে ভূষিত করা হয়েছিল, এটি ভারতের জাতীয় সংগীত, নৃত্য ও নাটক একাডেমি সংগীত নাটক আকাদেমির দেওয়া সর্বোচ্চ সম্মান।

প্রথম জীবন এবং পটভূমি

গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম ১৮৮০ সালে, বাংলার বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়ায়[৩] তিনি ছিলেন তাঁর পিতা অনন্তলাল ব্যানার্জীর দ্বিতীয় পুত্র, যিনি বিষ্ণুপুরের রামকৃষ্ণ সিংহদেবের সভাগায়ক ছিলেন। তিনি রামশঙ্কর ভট্টাচার্যের শিষ্য ছিলেন,[৪] পরে বিষ্ণুপুরের আবাসিক সংগীত বিদ্যালয় "বিষ্ণুপুর সংগীত বিদ্যালয়" এর প্রথম শিক্ষক হন। পরে এর নামকরণ করা হয় রাম সরণ মিউজিক কলেজ।[৫] তাঁর তিন পুত্র রামপ্রসন্ন বন্দ্যোপাধ্যায়, গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় সকলেই ছিলেন গায়ক এবং সংগীতজ্ঞ। তারা ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের ক্ষেত্রে মূল্যবান দলিল রচনা এবং সংগীত স্বরলিপি কাজ করেছিলেন।[৪][৬] সবচেয়ে বড়, রামপ্রসন্ন বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছিলেন, সংগীত মঞ্জরি (১৯৩৫), যাতে ছিল সংগীত ধারণার উপর তাত্ত্বিক নিবন্ধ। এছাড়াও এতে ছিল আবৃত্তিতে অনুকূল অনুশীলন ছাড়াও বিভিন্ন ধারা যেমন ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুংরী এবং টপ্পার স্বরলিপি।[৪]

তাঁর ছোট ভাই সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ও ছিলেন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী এবং বিষ্ণুপুর ঘরানার অন্যতম পথিকৃৎ। পরে বিষ্ণুপুরের রামশরণ মিউজিক কলেজের অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৩ সালের ২৮শে জুলাই বিষ্ণুপুরে তাঁর মৃত্যু হয়।[৭]

তিনি বিহারের বেতিয়া ঘরানার সংগীতজ্ঞদের কাছ থেকে তাঁর সংগীত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন, যেমনটি বিষ্ণুপুর ঘরানার আর এক সমসাময়িক গায়ক, রাধিকা প্রসাদ গোস্বামী করেছিলেন।[৮]

সঙ্গীত জীবন

সঙ্গীত জীবনের প্রথমদিকে, ১৮৯৫ সালে তিনি বর্ধমানের মহারাজার সভা গায়ক নিযুক্ত হন, এখানে তিনি পরবর্তী ২৯ বছর অর্থাৎ ১৯২৪ সাল পর্যন্ত কাজ করেছিলেন। এটি তাঁর সঙ্গীত জীবনের সবচেয়ে ফলপ্রসূ সময় ছিল। তিনি ভারতীয় সংগীতের তত্ত্ব এবং ইতিহাসের গবেষণায় তাঁর সময় উৎসর্গ করেছিলেন।[৯] তিনি মহারাজার সাথে ভারত জুড়ে ভ্রমণ করেছিলেন এবং তৎকালীন বেশ কয়েকজন নামী সংগীতকারের সাথে পরিচিত হন। এর ফলে তাঁর বিভিন্ন সংগীতের ঐতিহ্য এবং ঘরানার জ্ঞান প্রসারিত হয়েছিল।[১০] তিনি মহারাজা যতীন্দ্রমোহন ঠাকুরের দরবারে কর্মরত সৈয়দ মোহাম্মদের কাছ থেকে সুরবাহার বাজাতে শিখেছিলেন, এরপরে তিনি ইমদাদ খানের কাছ থেকেও সেতার বাজাতে শেখেন। খানের সাথে তাঁর সুরবাহার বাজনা, বাণিজ্যিকভাবে রেকর্ড করা হয়েছিল।[১০] বর্ধমানে থাকাকালীন তিনি দুটি খণ্ডে সংগীত চন্দ্রিকা প্রকাশ করেছিলেন, এটি ছিল ভারতে সংগীতবিদ্যার একটি প্রাথমিক এবং গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা।[১১] এটিতে বাংলা এবং হিন্দি গানের সুরারোপিত একটি সংগ্রহও অন্তর্ভুক্ত ছিল।[১২] তাঁর সংগীতশাস্ত্র সম্পর্কিত অন্যান্য বইগুলির মধ্যে রয়েছে গীত-দর্পণ, গীত-প্রবেশিকা এবং সংগীত-লহরী, সবগুলিই বাংলা ভাষায়।

তথ্যসূত্র

  1. Gowri Kuppuswamy; Muthuswamy Hariharan (১৯৭৯)। Readings on Indian music। College Book House। পৃষ্ঠা 126। 
  2. M. Ganguly (৭ মে ২০০৮)। "Sweet tributes to music"। The Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৩ 
  3. Sangeet Natak, Issues 11–14। Sangeet Natak Akademi। ১৯৬৯। পৃষ্ঠা 64। 
  4. Indian Musicological Society (১৯৮৬)। Journal of the Indian Musicological Society। Indian Musicological Society। পৃষ্ঠা 56। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০১৩ 
  5. Samira Dasgupta; Rabiranjan Biswas; Gautam Kumar Mallik (২০০৯)। Heritage Tourism: An Anthropological Journey to Bishnupur। Mittal Publications। পৃষ্ঠা 110–। আইএসবিএন 978-81-8324-294-3। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৩ 
  6. Amal Das Sharma (১৯৯৩)। Musicians of India: Past and Present : Gharanas of Hindustani Music and Genealogies। Naya Prokash। পৃষ্ঠা 176, 213। আইএসবিএন 978-81-85421-18-6। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৩ 
  7. "Obituary"The Indian Express। ৩০ জুলাই ১৯৬৩। পৃষ্ঠা 5। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১৭ 
  8. Chetan Karnani (২০০৫)। Form in Indian music: a study in Gharanas। Rawat Publications। পৃষ্ঠা 20। আইএসবিএন 978-81-7033-921-2। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৩ 
  9. Sangeet Natak, p. 67
  10. Sangeet Natak, p. 68
  11. Narendra Kumar Bose (১৯৬০)। Melodic types of Hindusthān: a scientific interpretation of the rāga system of Northern India। Jaico Pub. House। পৃষ্ঠা 160। 
  12. "Sangita Chandrika"। National Library of India। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০১৩ 

গ্রন্থপঞ্জী

টেমপ্লেট:SangeetNatakAkademiFellowship