অমৃতা সুভাষ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎কর্মজীবন: সম্প্রসারণ
নকীব বট (আলোচনা | অবদান)
৫৫ নং লাইন: ৫৫ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় টেলিভিশন অভিনেত্রী]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় টেলিভিশন অভিনেত্রী]]
[[বিষয়শ্রেণী:মারাঠি টেলিভিশনের অভিনেত্রী]]
[[বিষয়শ্রেণী:মারাঠি টেলিভিশনের অভিনেত্রী]]
[[বিষয়শ্রেণী:হিন্দি টেলিভিশন অভিনেত্রী]]
[[বিষয়শ্রেণী:হিন্দি টেলিভিশনের অভিনেত্রী]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় মঞ্চ অভিনেত্রী]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় মঞ্চ অভিনেত্রী]]
[[বিষয়শ্রেণী:মুম্বইয়ের অভিনেত্রী]]
[[বিষয়শ্রেণী:মুম্বইয়ের অভিনেত্রী]]

১২:১৪, ২৩ মার্চ ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

অমৃতা সুভাষ
২০১২ সালে অমৃতা
জন্ম
অমৃতা সুভাষচন্দ্র ডেম্ব্রে

(1979-05-13) ১৩ মে ১৯৭৯ (বয়স ৪৪)
জাতীয়তাভারতীয়
পেশাঅভিনেত্রী, নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী
কর্মজীবন১৯৯৭-বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গীসন্দেশ কুলকার্নি[১]
পিতা-মাতাজ্যোতি সুভাষ (মাতা)

অমৃতা সুভাষ (মারাঠি: अमृता सुभाष; জন্ম ১৩ মে ১৯৭৯) হলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী ও সঙ্গীতশিল্পী। তিনি মারাঠি ও হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ও মঞ্চনাটকে অভিনয় করে থাকেন। পাশাপাশি তিনি মারাঠি চলচ্চিত্রে নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে কাজ করেন। মারাঠি ভাষার নিতল (২০০৬) চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে তিনি শ্রেষ্ঠ নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী বিভাগে মহারাষ্ট্র রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন। এছাড়া তিনি মারাঠি চলচ্চিত্র অস্তু (২০১৫)-এ অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং হিন্দি ভাষার গল্লি বয় (২০১৯) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।

তিনি নতুন দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামায় পড়াশোনা করেন এবং ২০০৪ সালে শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে একাডেমি পুরস্কারে ভারতীয় নিবেদন শ্বাস চলচ্চিত্র দিয়ে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল হোয়াইট রেইনবো (২০০৬), ফিরাক (২০০৮), ও গন্ধ (২০০৯)। তাকে স্যাক্রেড গেমস টেলিভিশন ধারাবাহিকের ২য় মৌসুমে দেখা যায়।

প্রারম্ভিক জীবন

অমৃতা সুভাষ ১৯৭৯ সালের ১৩ই মে মহারাষ্ট্রের মুম্বই শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা জ্যোতি সুভাষও একজন অভিনেত্রী। তিনি পুনের এস পি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।[২] পরে তিনি নতুন দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন, সেখানে তিনি সত্যদেব দুবের শিক্ষার্থী ছিলেন।[৩] পড়াশোনা করার সময়ে তিনি বিভিন্ন মঞ্চনাটকে অভিনয় করেন, সেগুলো হল উর্বশিয়াম (১৯৯৭), বেলা মেরি জান (১৯৯৮), হাউজ অব বের্নাডা, অ্যালবা (১৯৯৮), ও মৃগ তৃষ্ণা (১৯৯৯)। মহারাষ্ট্রে ফিরে তিনি কয়েকটি মারাঠি মঞ্চনাটকে অভিনয় করেন, তন্মধ্যে তি ফুলরানী মঞ্চনাটকে ভক্তি বর্বে চরিত্রে অভিনয় করে তিনি দর্শকদের নজর কাড়েন।[২] জর্জ বার্নার্ড শ'র বিখ্যাত নাটক পিগম্যালিয়ন অবলম্বনে নির্মিত মাই ফেয়ার লেডি চলচ্চিত্র অবলম্বনে এই নাটকটি রচনা করেছ পু লা দেশপাণ্ডে। এছাড়া তিনি একজন প্রশিক্ষিত ভারতনাট্যম নৃত্যশিল্পী।[৩]

কর্মজীবন

অমৃতার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে ২০০৪ সালে শ্বাস চলচ্চিত্রে মেডিক্যাল সমাজকর্মী আসাওয়ারি চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। চলচ্চিত্রটি ৫১তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে পুরস্কৃত হয়[৪] এবং এটি শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে একাডেমি পুরস্কারে ভারত থেকে নিবেদন করা হয়, কিন্তু তা চূড়ান্ত মনোনয়ন পায়নি।[৫] একই বছর তিনি গুলজার পরিচালিত টেলিভিশন চলচ্চিত্র নির্মলায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন, এটি মুন্সি প্রেমচাঁদের একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত। ২০০৪ সালের অক্টোবরে দূরদর্শনে প্রচারিত টিভি চলচ্চিত্রটি গুলজারের তেহরির... মুনশী প্রেমচাঁদ কি ধারাবাহিকের শেষ পর্ব।[৬] এছাড়া তিনি দূরদর্শনে প্রচারিত বাসু চ্যাটার্জী পরিচালিত এক প্রেম কথা ধারাবাহিকে অভিনয় করেন।

২০০৬ সালে হোয়াইট রেইনবো চলচ্চিত্রে একজন ১৫ বছর বয়সী বিধবা চরিত্রে অভিনয় করেন, যাকে যৌনবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়।[৭] একই বছর তিনি মারাঠি ভাষার নিতল (২০০৬) চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে তিনি শ্রেষ্ঠ নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী বিভাগে মহারাষ্ট্র রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ২০০৮ সালে তিনি নন্দিতা দাসের পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ফিরাক-এ অভিনয় করেন। ২০০২ সালে গুজরাতের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ফলশ্রুতি নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রটিতে একাধিক গল্প বর্ণিত হয়। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমাদৃত এই চলচ্চিত্রে তিনি একজন হিন্দু নারী জ্যোতি চরিত্রে অভিনয় করেন, যে তার মুসলমান প্রতিবেশীকে (শাহানা গোস্বামী অভিনীত চরিত্র) দাঙ্গা থেকে বাঁচায়। সুভাষ এই চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হন।[৮] একই বছর তিনি একাধিক তারকাসমৃদ্ধ মারাঠি ভাষার হাস্যরসাত্মক বালু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। উমেশ বিনায়ক কুলকার্নি পরিচালিত এই চলচ্চিত্রে তার সহশিল্পীগণ ছিলেন অতুল কুলকার্নি, মোহন আগাশে, ভারতী আচরেকর, গিরীশ কুলকার্নি, দিলীপ প্রভাবালকর এবং সুভাষের মা জ্যোতি সুভাষ

তিনি মারাঠি চলচ্চিত্র অস্তু (২০১৫)-এ অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৯ সালে হিন্দি ভাষার গল্লি বয় চলচ্চিত্রে নাম চরিত্রের মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।[৯]

তথ্যসূত্র

  1. খারাডে, পল্লবী (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৫)। "My husband is my best critic"দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০২০ 
  2. পাতিল, নিনাদ (২২ আগস্ট ২০০৯)। "एक डझन सवाल – अमृता सुभाष" (মারাঠি ভাষায়)। মহারাষ্ট্র টাইমস। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০২০ 
  3. কুলকার্নি, শৈলেশ (৮ ডিসেম্বর ২০০৯)। "'Learning to act is not enough', says Amruta Subhash"ডেইলি নিউজ অ্যান্ড অ্যানালিসিস। মুম্বই। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০২০ 
  4. "51st National Film Awards" (PDF)। চলচ্চিত্র উৎসব অধিদপ্তর। পৃষ্ঠা ১০–১১। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০২০ 
  5. "India's Oscar entry in this decade"রেডিফ.কম। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০২০ 
  6. "Gulzar's vision of timeless classics"দ্য ট্রিবিউন। ১৫ আগস্ট ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০২০ 
  7. "White Rainbow"। ২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০২০ 
  8. বর্মা, সুকন্যা (২০ মার্চ ২০০৯)। "Hats off to you, Nandita Das"রেডিফ.কম। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০২০ 
  9. "৬৫তম ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস বিজয়ী হলেন যারা"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ইংরেজি ভাষায়)। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০২০ 

বহিঃসংযোগ