শক্তি চট্টোপাধ্যায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Yousuf Molla-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Al Riaz Uddin Ripon-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
নকীব বট (আলোচনা | অবদান)
১০৮ নং লাইন: ১০৮ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় উপন্যাসিক]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় উপন্যাসিক]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় অনুবাদক]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় অনুবাদক]]
[[বিষয়শ্রেণী:হাংরি আন্দোলন]]
[[বিষয়শ্রেণী:হাংরি প্রজন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:আনন্দ পুরস্কার বিজয়ী]]
[[বিষয়শ্রেণী:আনন্দ পুরস্কার বিজয়ী]]
[[বিষয়শ্রেণী:সাহিত্য অকাদেমী পুরস্কার বিজয়ী]]
[[বিষয়শ্রেণী:সাহিত্য অকাদেমী পুরস্কার বিজয়ী]]

১২:৩৮, ১৭ মার্চ ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

শক্তি চট্টোপাধ্যায়
শক্তি চট্টোপাধ্যায়
শক্তি চট্টোপাধ্যায়
জন্ম(১৯৩৩-১১-২৫)২৫ নভেম্বর ১৯৩৩
জয়নগর, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, বাংলা, ভারত
মৃত্যু২৩ মার্চ ১৯৯৫(1995-03-23) (বয়স ৬১)
কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ ভারত
সমাধিস্থলকলকাতা
ছদ্মনাম
  • স্ফুলিঙ্গ সমাদ্দার[১]
  • রূপচাঁদ পক্ষী
ডাকনামশক্তি
পেশাকবি
ভাষাবাংলা
জাতীয়তাভারতীয়
ধরনআধুনিক
সাহিত্য আন্দোলনহাংরি আন্দোলন (১৯৬১)
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার
সক্রিয় বছর১৯৬১-১৯৯৫
সঙ্গীমীনাক্ষী চট্টোপাধ্যায়
সন্তানতিতি চট্টোপাধ্যায়

শক্তি চট্টোপাধ্যায় (জন্ম: নভেম্বর ২৫, ১৯৩৩ - মৃত্যু: মার্চ ২৩, ১৯৯৫) ছিলেন ভারতীয় বাঙালি কবি, ওপন্যাসিক, লেখক ও অনুবাদক, যিনি জীবনানন্দ-উত্তর যুগের বাংলা সাহিত্যের একজন প্রধান আধুনিক কবি হিসেবে বিবেচিত।[২] বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে তিনি বিশেষভাবে পরিচিত এবং আলোচিত ছিলেন। ষাটের দশকে যে চারজন কবিকে হাংরি আন্দোলনের জনক মনে করা হয় তাদের মধ্যে শক্তি চট্টোপাধ্যায় অন্যতম।[৩]

১৯৮২ সালে প্রকাশিত তার যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো কাব্যগ্রন্থ ইংরেজি এবং মৈথিলী বাষায় অনুদিত হয়েছে। ১৯৮৩ সালে কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৪ সালে তিনি পূর্ণেন্দু পত্রী পরিচালিত ছেঁড়া তমসুখ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।

প্রারম্ভিক জীবন

শক্তি চট্টোপাধ্যায় ২৫ নভেম্বর ১৯৩৩ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমানে ভারত) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার জয়নগরে এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[৩][৪][৫] তার মা কমলা দেবী এবং বাবা বামানাথ চট্টোপাধ্যায়,[৪] যিনি কলকাতার দ্য কাশিমবাজার স্কুল অব ড্রামায় পড়তেন। চার বছর বয়সে শক্তির বাবা মারা যায় এবং পিতামহ তার দেখাশোনা শুরু করেন।[৪]

১৯৪৮ সালে শক্তি কলকাতার বাগবাজারে আসেন এবং মহারাজা কাশিম বাজার পলিটেকনিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হন।[৩] সেখানে তিনি বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক দ্বারা মার্কসবাদের পরিচিতি লাভ করেন।[৪] ১৯৪৯ সালে তিনি প্রগতি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করেন এবং "প্রগতি" নামে একটি হাতে-লেখা পত্রিকা প্রকাশ করতে শুরু করেন, যা খুব শীঘ্রই পরবর্তীতে মুদ্রিত রূপ নেয় এবং পুনরায় নাম বদনিয়ে "বহ্নিশিখা" রাখা হয়।[৪]

১৯৫১ সালে তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং সিটি কলেজে ভর্তি হন তার এক মামার কাছে, যিনি ছিলেন একজন ব্যবসায়ী এবং তার তখনকার অভিভাবক, যিনি শক্তির হিসাবরক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। একই বছর তিনি ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিআই) সদস্য হন। ১৯৫৩ সালে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক বাণিজ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন, যদিও তিনি বাণিজ্য অধ্যয়ন ছেড়ে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক অধ্যয়নের জন্যে প্রেসিডেন্সি কলেজ (বর্তমানে প্রেসিডেন্সি কলেজ, কলকাতা) ভর্তি হন, কিন্তু পরীক্ষায় উপস্থিত হননি।[৪]

১৯৫৬ সালে, শক্তিকে তার মামার বাড়ি ছেড়ে আসতে হয়েছিল এবং তিনি তার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে আল্টাডাঙ্গায় একটি বস্তিতে চলে যান। সে সময়ে তিনি সম্পূর্ণরূপে তার ভাইয়ের স্বল্প আয়ের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। দারিদ্রের কারণে শক্তি স্নাতক পাঠ অর্ধসমাপ্ত রেখে প্রেসিডেন্সি কলেজ ত্যাগ করেন এবং সাহিত্যকে জীবিকা করার উদ্দেশ্যে উপন্যাস লেখা আরম্ভ করেন।[৩][৪]

কর্মজীবন

শক্তি চট্টোপাধ্যায় বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থাকলেও কোনো পেশায় দীর্ঘস্থায়ী ছিলেন না। একসময় তিনি দোকানের সহকারী হিসেবে সাক্সবি ফার্মা লিমিটেডে কাজ করেছেনন এবং পরে ভবানীপুর টিউটোরিয়াল হোমে (হ্যারিসন রোড শাখায়) শিক্ষকতা করেন। ব্যবসা করার চেষ্টাও করেছিলেন। এবং ব্যর্থ হওয়ার পর একটি মোটর কোম্পানিতে জুনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসেবে যোগ দেন। তিনি ১৯৭০ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায় কাজ করেছেন।[৩]

ব্যক্তিগত জীবন

শক্তি চট্টোপাধ্যায়, মীনাক্ষী চট্টোপাধ্যায়কে বিয়ে করেছিলেন, যিনি একজন ভারতীয় লেখক। ১৯৬৫ সালে আড্ডার মধ্য দিয়ে তাদের প্রথম সাক্ষাত ঘটে।[৬] তাদের মেয়ে তিতি চট্টোপাধ্যায়।

সাহিত্যকর্ম

প্রারম্ভিক রচনা (১৯৫০-এর দশক-)

মার্চ ১৯৫৬ সালে, শক্তির কবিতা "যম" বুদ্ধদেব বসু প্রকাশিত কবিতা সাহিত্য পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এরপর তিনি কৃত্তিবাস এবং অন্যান্য পত্রিকার জন্য লিখতে শুরু করেন। বুদ্ধদেব বসুও তাকে নবপ্রতিষ্ঠিত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্য কোর্সে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানান। শক্তি কোর্সে যোগদান করলেও সম্পূর্ণ করেন নি। ১৯৫৮ সালে শক্তি সিপিআইয়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক বন্ধ করে দেন।

প্রথম উপন্যাস লেখেন কুয়োতলা[৩] কিন্তু কলেজ - জীবনের বন্ধু সমীর রায়চৌধুরীর সঙ্গে তার বনাঞ্চল - কুটির চাইবাসায় আড়াই বছর থাকার সময়ে শক্তি চট্টোপাধ্যায় একজন সফল লিরিকাল কবিতে পরিণত হন। একই দিনে বেশ কয়েকটি কবিতা লিখে ফেলার অভ্যাস গড়ে ফেলেন তিনি। শক্তি নিজের কবিতাকে বলতেন পদ্য। ভারবি প্রকাশনায় কাজ করার সূত্রে তার শ্রেষ্ঠ কবিতার সিরিজ বের হয়। পঞ্চাশের দশকে কবিদের মুখপত্র কৃত্তিবাস পত্রিকার অন্যতম কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। তার উপন্যাস অবনী বাড়ি আছো? দাঁড়াবার জায়গা ইত্যাদি প্রকাশিত হয়। রূপচাঁদ পক্ষী ছদ্মনামে অনেক ফিচার লিখেছেন।

১৯৬০-এর দশক

তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'হে প্রেম, হে নৈশব্দ' ১৯৬১ সালে প্রকাশিত হয় দেবকুমার বসুর চেষ্টায়।

হাংরি আন্দোলন

১৯৬১ সালের নভেম্বরে ইশতাহার প্রকাশের মাধ্যমে যে চারজন কবিকে হাংরি আন্দোলন - এর জনক মনে করা হয় তাদের মধ্যে শক্তি চট্টোপাধ্যায় অন্যতম । অন্য তিনজন হলেন সমীর রায়চৌধুরী, দেবী রায় এবং মলয় রায়চৌধুরী। শেষোক্ত তিনজনের সঙ্গে সাহিত্যিক মতান্তরের জন্য ১৯৬৩ সালে তিনি হাংরি আন্দোলন ত্যাগ করে কৃত্তিবাস গোষ্ঠীতে যোগ দেন । তিনি প্রায় ৫০টি হাংরি বুলেটিন প্রকাশ করেছিলেন। পরবর্তীকালে কৃত্তিবাসের কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ও শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের নাম সাহিত্যিক মহলে একত্রে উচ্চারিত হতো, যদিও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় হাংরি আন্দোলন এর ঘোর বিরোধী ছিলেন এবং কৃত্তিবাস পত্রিকায় ১৯৬৬ সালে সেই মনোভাব প্রকাশ করে সম্পাদকীয় লিখেছিলেন।

উল্লেখযোগ্য কাজ

পুরস্কার

১৯৭৫ তিনি আনন্দ পুরস্কার লাভ করেন।[৭] ১৯৮৩ সালে, তার যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো (১৯৮২) কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন।[৮][৯] এছাড়া তিনি একাধিক পুরস্কারে পেয়েছেন।

গ্রন্থতালিকা

আরো দেখুন

তথ্যসুত্র

  1. Board of Editors, বাংলা আকাদেমি (২০০৯) [১৯৯৯]। Akademi Bidyarthi Bangla Abhidhan [Akademi Students' Bengali Dictionary] (2nd সংস্করণ)। কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি। পৃষ্ঠা ৮৭৫। আইএসবিএন 81-86908-96-X 
  2. "লেখক সম্পর্কে"শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস বুক। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  3. পারভেজ, মাহফুজ (২০১৭-১১-২৬)। "কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  4. "শক্তি চট্টোপাধ্যায়"বিকাশপিডিয়াবিকাশপিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  5. Sengupta, Samir (২০০৫)। Shakti Chattopadhyay। Makers of Indian Literature (1st সংস্করণ)। New Delhi: Sahitya Akademi। পৃষ্ঠা 5। আইএসবিএন 81-260-2003-2 
  6. দাসগুপ্ত, প্রিয়াঙ্কা (১০ মার্চ ২০১৮)। "Loving and living with the bohemian Shakti Chattopadhyay" [ভবঘুরে শক্তি চটপোপাধ্যায় সঙ্গে বসবাস] (ইংরেজি ভাষায়)। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  7. Sengupta, Samir (2005). Shakti Chattopadhyay. p. 93
  8. রায়, ডি. এস. (২০০৪)। Five Decades: The National Academy of Letters, India : a Short History of Sahitya Akademi। ভারত: সাহিত্য অকাদেমি। পৃষ্ঠা ৯৬। আইএসবিএন 9788126020607। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১৯ 
  9. Sengupta, Samir (2005). Shakti Chattopadhyay. p. 94

বহিঃসংযোগ