আর্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা |
অ বিষয়শ্রেণী:ভাষাতত্ত্ব সরিয়ে মূল বিষয়শ্রেণী বিষয়শ্রেণী:ভাষাবিজ্ঞান স্থাপন |
||
১৬ নং লাইন: | ১৬ নং লাইন: | ||
[[বিষয়শ্রেণী:ইন্দো-ইরানীয় মানুষ]] |
[[বিষয়শ্রেণী:ইন্দো-ইরানীয় মানুষ]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:প্রাচীন মানুষ]] |
[[বিষয়শ্রেণী:প্রাচীন মানুষ]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী: |
[[বিষয়শ্রেণী:ভাষাবিজ্ঞান]] |
০৯:৫৭, ৩ মার্চ ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
এই নিবন্ধটিতে কোনো উৎস বা তথ্যসূত্র উদ্ধৃত করা হয়নি। |
আর্য হচ্ছে একটি প্রাচীন জাতিবিশেষ।
বিশ্লেষকদের অভিমত
ইউরোপীয় পণ্ডিতেরা বলেন, আর্যগণ প্রথমে পশুপালন করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তারা দলবদ্ধ হয়ে অনেকগুলো পশু সাথে নিয়ে ঘাস আচ্ছাদিত অঞ্চল বা প্রদেশে গমন করতেন। পরে সে স্থানের ঘাস পশু খাদ্য হিসেবে নিঃশেষিত হলে তারা পুনরায় অন্য অঞ্চল বা প্রদেশে যেতেন। এভাবে তারা প্রতিনিয়ত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমন করতেন বলে আর্য (অর্থাৎ গমনশীল) নামে পরিচিত হয়েছেন। পরবর্তী সময়ে আর্যগণ নিরন্তর এরূপ স্থান পরিবর্তন খুবই কষ্টদায়ক বিবেচনায় এনে এক স্থানে অবস্থানের উপর গুরুত্ব আরোপ করে এবং এ সমস্যা সমাধানের উপায় বের করার চেষ্টা চালায়। উপায় হিসেবে কৃষিকাজকেই তারা অধিক গুরুত্ব দিয়ে ফসল উৎপাদনে নিযুক্ত হয়। এজন্যই তারা আর্য (অর্থাৎ কৃষিজীবি) নামে প্রসিদ্ধ হন। শেষোক্ত পক্ষের মতবাদে আর্য শব্দের অর্থ দাঁড়ায় কৃষিকর্মকারী, কারণ ও ধাতুর কর্ষণার্থও আছে।
উপমহাদেশীয় শাস্ত্র অনুসারে
ভারতীয় উপমহাদেশের শাস্ত্রগ্রন্থে কতগুলো উৎকৃষ্ট গুণসম্পন্ন ব্যক্তিকে আর্য শব্দে নির্দেশ করা হয়েছে। কোন কোন গ্রন্ধে হিন্দুধর্মাবলম্বী লোকমাত্রেই অর্থাৎ ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র - এ চার বর্ণের লোকই আর্য বলে লিপিবদ্ধ আছে। আবার, কোন কোন গ্রন্থে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য - এ তিন বর্ণকে আর্য এবং চতুর্থ বর্ণকে শূদ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এতে কেউ কেউ অনুমান করেন যে, শূদ্র বর্ণ আর্যবংশের নয়; আর্যেরা ভারতবর্ষে এসে শূদ্রনামক অনার্য জাতিবিশেষকে নিজেদের সমাজভূক্ত করে নেন। কিন্তু সেই অনার্য শূদ্র যে কারা, তা আজ অবধি কেউই নির্ণয় করতে পারেন নাই। ফলে, এ বিষয়ের কোন নির্দিষ্ট প্রমাণ নির্ণিত হয় নাই।