পূরবী বসু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অ বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী গল্পকার সরিয়ে মূল বিষয়শ্রেণী বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী ছোটগল্প লেখক স্থাপন |
অ বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী ছোটগল্প লেখক সরিয়ে মূল বিষয়শ্রেণী বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী ছোটগল্পকার স্থাপন |
||
১০৯ নং লাইন: | ১০৯ নং লাইন: | ||
[[বিষয়শ্রেণী:বাঙালি সাহিত্যিক]] |
[[বিষয়শ্রেণী:বাঙালি সাহিত্যিক]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী সাহিত্যিক]] |
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী সাহিত্যিক]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী |
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী ছোটগল্পকার]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী প্রাবন্ধিক]] |
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী প্রাবন্ধিক]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী কবি]] |
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী কবি]] |
০৯:৫৪, ৩ মার্চ ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
পূরবী বসু | |
---|---|
জন্ম | মুন্সিগঞ্জ জেলা, পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) | ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৪৯
পেশা | বিজ্ঞানী, গল্পকার, প্রাবন্ধিক, কবি |
ভাষা | বাংলা |
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
শিক্ষা | ফার্মেসি |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
ধরন | নারী, সমাজ, রাজনীতি |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | নারীবাদী গল্প নারী তুমি নিত্য অবিনাশী যাত্রা |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | বাংলা একাডেমি পুরস্কার |
সক্রিয় বছর | ১৯৮৯-বর্তমান |
দাম্পত্যসঙ্গী | জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত |
সন্তান | জয়ীষা রাগিনী দত্ত (মেয়ে) দীপন রাগ দত্ত (ছেলে) |
পূরবী বসু (জন্ম ২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৯) হলেন একজন বাঙালি বিজ্ঞানী ও নারীবাদী গল্পকার, প্রাবন্ধিক, কবি ও ঔপন্যাসিক। তিনি তার রচনায় নারীবাদী ধ্যান-ধারণা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন। তার বইয়ের সংখ্যা ৪০ এর উপর। সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ২০০৫ সালে অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার[১] ও ২০১৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।[২]
প্রাথমিক জীবন
পূরবী ১৯৪৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) মুন্সিগঞ্জ জেলায় এক হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন মুন্সিগঞ্জের একজন নামকরা চিকিৎসক। তিন বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। চতুর্থ শ্রেণীতে পড়াকালীন তার লেখা একটি গোয়েন্দা গল্প দেয়াল পত্রিকায় ছাপা হয়। ছোটবেলা থেকে বঙ্কিম রচনাবলী, শরৎচন্দ্র রচনাবলী পড়তেন। বাবার উৎসাহে লেখালেখি শুরু করেন। মুন্সিগঞ্জের একটি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় কচিকাঁচার আসর, সাত ভাই চম্পা, খেলাঘর ইত্যাদি ছোটদের পাতায় লিখতে থাকেন। ধীরে ধীরে বড়দের পাতায় ও বিভিন্ন সাময়িকীতে লেখা শুরু করেন।[৩] ১৯৫৯ সালে আহসান হাবীব সম্পাদিত তৎকালীন দৈনিক পাকিস্তানের (বর্তমান দৈনিক বাংলা) সাহিত্য পাতায় তার গল্প ছাপা হয়।[৪]
শিক্ষাজীবন
পূরবী ম্যাট্রিক পাস করেন মানবিক শাখায়। ইন্টারমিডিয়েটে পড়েছেন বিজ্ঞান শাখায়।[৪] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মেসি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। পরে উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে তিনি মেডিক্যাল কলেজ অভ পেনসিলভ্যানিয়া থেকে প্রাণ-রসায়নে স্নাতকোত্তর ও ইউনিভার্সিটি অভ মিসৌরি থেকে পুষ্টিবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। তারপর পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা করেছেন এবং পেয়েছেন গবেষণা বৃত্তি। এছাড়া বেশ কিছু খ্যাতনামা জার্নালে তার লেখা আর্টিকেল ছাপা হয়েছে।[৫]
পারিবারিক জীবন
পূরবী বসু ১৯৬৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর একুশে পদক বিজয়ী সাহিত্যিক জ্যোতিপ্রকাশ দত্তের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। জ্যোতিপ্রকাশের সাথে তার পরিচয় হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক শহীদ গোবিন্দ চন্দ্র দেবের সেক্রেটারিয়েট রোডের বাসায়। পরিচয় থেকে প্রণয়। জ্যোতিপ্রকাশ উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার আগে পূরবীকে বিয়ে করেন। বিয়ে হয় পূরবীর গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে।[৪] তাদের এক মেয়ে ও এক ছেলে। মেয়ে জয়ীষা রাগিনী দত্ত ও ছেলে দীপন রাগ দত্ত।
কর্মজীবন
তিনি পেশায় একজন বিজ্ঞানী। তার কর্মজীবন শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মেমেরিয়াল স্লোন কেটারিং ক্যান্সার সেন্টারে গবেষণা কর্মকর্তা হিসেবে। পরে অধ্যপনা করেছেন নিউইয়র্কের কর্নেল ইউনিভার্সিটিতে। দীর্ঘদিন বিদেশে থাকার পর দেশে এসে যোগ দেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালে। তারপর বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এনজিও ব্র্যাকের স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করেন।[৩]
সাহিত্যজীবন
ছোটবেলা থেকে লেখালেখি শুরু করলেও তার প্রথম বই পূরবী বসুর গল্প ১৯৮৯ সালে প্রকাশিত হয় সমবায় প্রকাশনী থেকে। তার গল্প ও প্রবন্ধে লিখেছেন সমাজের অবহেলিত ও নিপীড়িত মানুষের কথা এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও দরিদ্র জনগণের বিবরণ।[৪] ২০১৩ সালে তার প্রবন্ধ প্রাচ্য পুরাণ ও প্রাচ্যে পুরাতন নারী প্রকাশিত হয়। এই বইতে রয়েছে ১৩টি প্রবন্ধ। প্রবন্ধগুলোতে রয়েছে ১৮টি পুরাণ ও উপপুরাণসহ প্রাচ্যের রূপকথা ও উপকথার নারী চরিত্রের বর্ণনা ও তাদের ঘটনাবলী।[৬] বেঙ্গল পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত হয় তার রচিত আমার এ দেহখানি। বইটি লিখেছেন পুরুষ ও পুরুষতন্ত্র, মাতৃত্ব ও নারী পুরুষের সৃষ্টির রহস্য নিয়ে।[৭] তার প্রথম উপন্যাস অবিনাশী যাত্রা ২০১৪ সালে প্রকাশিত হয় অন্য প্রকাশ থেকে।[৮] এই উপন্যাসে তিনি একজন নারীর প্রবাসে একাকী বেঁচে থাকার সংগ্রাম তুলে ধরেছেন।[৯]
গ্রন্থতালিকা
গল্পগ্রন্থ
- পূরবী বসুর গল্প (১৯৮৯)
- দিনরাত্রির ছায়াঘর
- জীবন ও যৌবনের গল্প
- যে রবে পরবাসে
- সম্ভব অসম্ভবে পারাপার
- নারীবাদী গল্প
- নারী তুমি নিত্য
- সেরা দশ গল্প
- গল্পসমগ্র-১
- গল্পসমগ্র-২
- ছোটগল্পের বই (২০১৫)
- আমার ২৫টি প্রিয় গল্প (২০১৫)
প্রবন্ধ
- ধলেশ্বরী মিসিসিপি
- নিউইয়র্কে হুমায়ূন আহমেদের চিকিৎসা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ
- নারী ভাবনা
- নোবেল বিজয়ী নারী : গৃহ কর্মে সংগ্রামে
- বাংলার স্মরণীয় নারী
- নারী, সৃষ্টি ও বিজ্ঞান
- নারী মাতৃত্ব ও সৃজনশীলতা
- নামে কী আসে যায়
- প্রাচ্য পুরাণ ও প্রাচ্যে পুরাতন নারী (২০১৩)
- আমার এ দেহখানি (২০১৩)
- সভ্যতা নির্মাণে নারী (২০১৫)
- কিংবদন্তীর খনা ও খনার বচন (২০১৫)
- সম্ভব-অসম্ভবে পারাপার (২০১৫)
- নারী দীপাবলী (২০১৫)
- নোবেল বিজয়ী দম্পতি (২০১৫)
- শামস্উদ্দীন আবুল কালামের পত্রগুচ্ছ (২০১৫)
কবিতা
উপন্যাস
- অবিনাশী যাত্রা (২০১৪)
- যখন সরোবরে ফুল ফোটে না
- আজন্ম পরবাসী
- জোছনা করেছে আড়ি
- নিরুদ্ধ সমীরণ
শিশুসাহিত্য
- কল্পলোকের গল্প
অভিধান
- সম্প্রীতির জন্যে শব্দাবলি (২০১৫)
পুরস্কার ও সম্মাননা
- অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার (২০০৫)
- বাংলা একাডেমি পুরস্কার (২০১৪)
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ "আজকের লেখক বিশিষ্ট গদ্যশিল্পী পূরবী বসু"। এনওয়াই নিউজ৫২ ডট কম। ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "বাংলা একাডেমি পুরস্কার নিলেন পূরবী বসু"। দৈনিক যুগান্তর। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ ক খ মুহাম্মদ ফরিদ হাসান (৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬)। "বহুমাত্রিক গল্প লেখাই আমার পরম আরাধ্য -পূরবী বসু"। দৈনিক জনকণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ ক খ গ ঘ শেখ মেহেদী হাসান (৩ অক্টোবর ২০১৪)। "গল্পকার যুগলের গল্প"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "পূরবী বসু"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ ফেরদৌস আরা আলীম (৬ এপ্রিল ২০১৩)। "আপনাকে এই জানা আমার-"। দৈনিক আজাদী। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ মোজাফ্ফর হোসেন। "নারী ও পুরুষতন্ত্র"। কালি ও কলম। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "পূরবী বসুর প্রথম উপন্যাস 'অবিনাশী যাত্রা'"। দৈনিক সংবাদ। ১৯ নভেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত ও পূরবী বসুর উপন্যাসের প্রকাশনা"। দৈনিক কালের কণ্ঠ। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "পূরবী বসুর কবিতা: বাড়িখালি"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ১০ মে ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "বাড়িছাড়া : পূরবী বসু"। দৈনিক ভোরের কাগজ। ৪ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "পূরবী বসুর কবিতা"। রাইজিংবিডি ডট কম। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১৬।
বহিঃসংযোগ
- জীবিত ব্যক্তি
- বাঙালি সাহিত্যিক
- বাংলাদেশী সাহিত্যিক
- বাংলাদেশী ছোটগল্পকার
- বাংলাদেশী প্রাবন্ধিক
- বাংলাদেশী কবি
- বাংলাদেশী ঔপন্যাসিক
- বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- বাঙালি হিন্দু
- মুন্সিগঞ্জ জেলার ব্যক্তি
- বাংলাদেশী নারীবাদী
- পেন্সিল্ভেনিয়া মহিলা মেডিকেল কলেজর প্রাক্তন শিক্ষার্থী