ফকির শাহাবুদ্দীন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
নকীব বট (আলোচনা | অবদান)
৩৬ নং লাইন: ৩৬ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:১৯২৪-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯২৪-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৮৯-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৮৯-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী আইনজ্ঞ]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী আইনজীবী]]
[[বিষয়শ্রেণী:মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি]]
[[বিষয়শ্রেণী:মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি]]
[[বিষয়শ্রেণী:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী]]
[[বিষয়শ্রেণী:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী]]

০৯:২৪, ৩ মার্চ ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ফকির শাহাবুদ্দীন
জন্ম?, ১৯২৪
মৃত্যু২৮ নভেম্বর, ১৯৮৯ (৬৫ বছর)
প্রতিষ্ঠানবাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
আন্দোলনবাংলা ভাষা আন্দোলন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মুজিবনগর সরকার

ফকির শাহাবুদ্দীন (জন্ম: ?, ১৯২৪ - মৃত্যু: ২৮ নভেম্বর, ১৯৮৯) বিশিষ্ট রাজনীতিবিদআইনজীবী ছিলেন। তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের গাজীপুরের কাপাসিয়ার ঘাগুটিয়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন ও ২৮ নভেম্বর, ১৯৮৯ তারিখে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। ১৯৭২ সালে গঠিত খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন ও বাংলাদেশের সংবিধান রচনায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। সংবিধানের বিধি মোতাবেক ১৯৭৩ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম এটর্নি জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হন।[১]

প্রারম্ভিক জীবন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্মান ডিগ্রীর পাশাপাশি স্নাতকোত্তর ও এল.এল.বি ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মহান ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তৎকালীন পাকিস্তান সরকার স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে ২১শে ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকায় এক মাসের জন্য সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করে। এর পূর্বদিন অর্থাৎ ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে পৃথক পৃথক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় সলিমুল্লাহ হলে তার সভাপতিত্বে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।

১৯৫৫ সালে হাইকোর্টে ও ১৯৫৮ সালে সুপ্রিম কোর্টে আইন ব্যবসায় যোগদান করেন। গণতন্ত্রের মানসপুত্র হিসেবে পরিচিত হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দীর জুনিয়র হিসেবে প্রায় ছয় বছর আইন ব্যবসা সম্পাদন করেন। ১৯৬২ সালে পাকিস্তান বার কাউন্সিলের সদস্যরূপে নির্বাচিত হন।

রাজনৈতিক জীবন

আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিতি ছিল তার। ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০ তারিখে অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে কাপাসিয়া এলাকা থেকে অংশগ্রহণ করেন ও সদস্যরূপে নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধেও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। মুজিবনগর সরকারের বিশেষ প্রতিনিধিরূপে শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, জাপান, হংকং, সিঙ্গাপুরমালয়েশিয়া সফর করেন। এ সফর ছিল মূলতঃ বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জনমত গঠন করা। সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ সালে জাতিসংঘে প্রেরিত মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি দলের সদস্য সচিব ছিলেন তিনি।

তথ্যসূত্র

  1. বাংলা একাডেমী চরিতাভিধান, সম্পাদক: সেলিনা হোসেন ও নূরুল ইসলাম, ২য় সংস্করণ, ২০০৩, বাংলা একাডেমী, ঢাকা, পৃ. ২৩২