জাহাঙ্গীর খান (ক্রিকেটার): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
নকীব বট (আলোচনা | অবদান)
১৩৯ নং লাইন: ১৩৯ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতের টেস্ট ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতের টেস্ট ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:পাঞ্জাবের (পাকিস্তান) ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:পাঞ্জাবের (পাকিস্তান) ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানী ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানি ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:পশতু ব্যক্তি]]
[[বিষয়শ্রেণী:পশতু ব্যক্তি]]
[[বিষয়শ্রেণী:মুসলিমের ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:মুসলিমের ক্রিকেটার]]

১৭:৪৯, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

জাহাঙ্গীর খান
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামমোহাম্মদ জাহাঙ্গীর খান
জন্ম(১৯১০-০২-০১)১ ফেব্রুয়ারি ১৯১০
বস্তি ঘুজন, জলন্ধর, পাঞ্জাব, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে ভারত)
মৃত্যু২৩ জুলাই ১৯৮৮(1988-07-23) (বয়স ৭৮)
লাহোর, পাঞ্জাব, পাকিস্তান
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি ব্যাটসম্যান
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার, প্রশাসক
সম্পর্কমজিদ খান (পুত্র)
আসাদ জাহাঙ্গীর খান (পুত্র)
বাজীদ খান (নাতি)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ )
২৫ জুন ১৯৩২ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট১৫ আগস্ট ১৯৩৬ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১১১
রানের সংখ্যা ৩৯ ৩,৩২৭
ব্যাটিং গড় ৫.৫৭ ২২.৩২
১০০/৫০ ০/০ ৪/৭
সর্বোচ্চ রান ১৩ ১৩৩
বল করেছে ৬০৬ ৮,৩১৪
উইকেট ৩২৮
বোলিং গড় ৬৩.৭৫ ২৫.৩৪
ইনিংসে ৫ উইকেট ১২
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৪/৬০ ৮/৩৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৮২
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৭ মে ২০১৯

ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর খান (উচ্চারণ; জন্ম: ১ ফেব্রুয়ারি, ১৯১০ - মৃত্যু: ২৩ জুলাই, ১৯৮৮) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের জলন্ধরে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। পরবর্তীতে ভারত বিভাজনের পর পাকিস্তানের ক্রিকেট প্রশাসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৩২ থেকে ১৯৩৬ সময়কালে ভারত দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে উত্তর ভারত, পাঞ্জাব, দক্ষিণ পাঞ্জাব, পাঞ্জাব গভর্নর একাদশ ও মুসলিম দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন জাহাঙ্গীর খান। ১৯৩০-এর দশকে ভারতের পক্ষে চারটি টেস্ট খেলেছিলেন। খেলায় তিনি যথেষ্ট ভূমিকা রাখেন। দেশ বিভাজনের পর পাকিস্তানের ক্রিকেটের উত্তরণে প্রশাসক ও দল নির্বাচকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।

শৈশবকাল

লাহোরের ইসলামিয়া কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেছিলেন তিনি। ছয় ফুটের অধিক উচ্চতার অধিকারী জাহাঙ্গীর খান মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন। বিখ্যাত ক্রিকেট পরিবারে তার জন্ম। এ পরিবারেই বাকা জিলানী, ইমরান খান, জাভেদ বার্কিমজিদ খানের জন্ম হয়েছিল। তন্মধ্যে, মজিদ খান তার সন্তান ছিলেন। মজিদের পুত্র বাজীদ খান ২০০৫ সালে পাকিস্তানের পক্ষে খেলেছেন। এরফলে হ্যাডলি পরিবারের তিন প্রজন্মের ধারাবাহিক টেস্ট ক্রিকেটারের অংশগ্রহণের পর তার পরিবার দ্বিতীয় হবার মর্যাদা পায়। ভারতের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণকারী ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর খানের শ্যালক ছিলেন বাকা জিলানী। তন্মধ্যে, স্বীয় পুত্র মজিদ, ভাইপো জাভেদ বার্কি ও ইমরান খান পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব করেছেন। তারা প্রত্যেকেই ব্লুধারী হয়েছিলেন। পিতার ন্যায় মজিদ কেমব্রিজে ও ভাইপোরা অক্সফোর্ডে অধ্যয়ন করেছিলেন। জ্যেষ্ঠ পুত্র আসাদও অক্সফোর্ড থেকে ব্লুধারী হন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

মিডিয়াম-ফাস্ট বোলার ও আক্রমণধর্মী ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন জাহাঙ্গীর খান। ১৯২৮-২৯ মৌসুম থেকে ১৯৫১-৫২ মৌসুম পর্যন্ত জাহাঙ্গীর খানের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। মার্চ, ১৯২৯ সালে লাহোরের লরেন্স গার্ডেন্সে দর্শনীয়ভাবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সূচনা ঘটে। অভিষেক ঘটা প্রথম-শ্রেণীর খেলাতে ১০৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এরপর প্রথম ইনিংসে ২/২৫ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৭/৪২ নিলে মুসলিম দল ইনিংস ও ৮৮ রানের ব্যবধানে জয় পায়।

লাহোর প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় খেলায় বোলিং উদ্বোধনে নেমে ইউরোপিয়ান্সের বিপক্ষে খেলায় দশ উইকেট পান। ৬/৪৯ ও ৪/৪৮ বোলিং পরিসংখ্যান গড়ে মুসলিম দলকে ইনিংস ও ৭৪ রানের জয়ে ভূমিকা রাখেন। ১৯২৯-৩০ মৌসুমে মুসলিমের সদস্যরূপে ইউরোপিয়ান্সের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৮/৩৩ লাভ করেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ ঘটেছিল জাহাঙ্গীর খানের। ২৫ জুন, ১৯৩২ তারিখে লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। একই দলের বিপক্ষে ১৫ আগস্ট, ১৯৩৬ তারিখে ওভালে সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

১৯৩২ সালে লর্ডসে ভারতের পক্ষে স্বাগতিক ইংরেজ দলের বিপক্ষে সর্বপ্রথম টেস্ট খেলার জন্যে মনোনীত হন। ১৯৩২ সালে ইংল্যান্ড সফরে নিখিল ভারত দলটিতে লাল সিং, ফিরোজ পালিয়া, জাহাঙ্গীর খান, মোহাম্মদ নিসার, অমর সিং, বাহাদুর কাপাডিয়া, শঙ্কররাও গোদাম্বে, গুলাম মোহাম্মদ, জনার্দন নাভলে, সৈয়দ ওয়াজির আলী, সি. কে. নায়ডু, পোরবন্দরের মহারাজা, কেএস লিম্বডি, নাজির আলী, নাউমল জিউমল, সোরাবজি কোলা, নারিম্যান মার্শাল ছিলেন। সফরের শুরুতে গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে ৫/১০০ ও অক্সফোর্ডের বিপক্ষে ৫/৮৯ পান। কেমব্রিজের বিপক্ষে ৬/১২৬ লাভ করেন।

টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক পর্বটি নাটকীয় না হলেও ঠিকই মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। মোহাম্মদ নিসার ও অমর সিংকে যথাসাধ্য সহযোগিতা করেছিলেন। ১৯৩২ সালের লর্ডস টেস্টে ভারতের উদ্বোধনী টেস্ট খেলায় অংশ নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে পার্সি হোমস, ফ্রাঙ্ক ওলি, ওয়ালি হ্যামন্ডএডি পেন্টার তার শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। এ পর্যায়ে তিনি ৩০ ওভার বোলিং করে ৬০ রান দেন। তবে, প্রথম ইনিংসে তিনি কোন উইকেট পাননি। এ সফরের প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ১৯.৪৭ গড়ে ৪৪৮ রান ও ২৯.০৫ গড়ে ৫৩ উইকেট পেয়েছিলেন। এ সময়ে তার বয়স ছিল ২২ বছর।

এ সফরের উল্লেখযোগ্য দিক ছিল ব্যাট হাতে লিভারপুলের খেলায় ৬৮ রান করেন। এ পর্যায়ে অমর সিংয়ের সাথে নবম উইকেট জুটিতে ৮০ মিনিটে ১২৫ রান তুলেন। চার টেস্টে ৫.৫৭ গড়ে ৩৯ রান ও ৬৩.৭৫ গড়ে চার উইকেট পান।

১৯৩৬ সালে ভারত দল ইংল্যান্ড গমন করে। সেখানে তিনি দলের সাথে যোগ দেন ও তিন টেস্টের সবকটিতেই অংশগ্রহণ করেছিলেন। কোন উইকেট পাননি ও দুই ইনিংসের মধ্যে ব্যাট হাতে লর্ডসে ১৩ রান তুলেন। ১৯৩৬ সালে খুব কমই ভূমিকা রেখেছিলেন। টেস্টের বাইরের খেলাগুলোয় ২১.৯০ গড়ে ৪০ উইকেট এবং ১৭.২৫ গড়ে ২৭৬ রান তুলেছিলেন।

কেমব্রিজে অন্তর্ভূক্তি

১৯৩২ সালের ইংল্যান্ড সফর শেষে ইংল্যান্ডে অবস্থান করেন। শরৎকালে কেমব্রিজে ভর্তি হন ও চার বছর একাদশ দলের অমূল্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয়েছিলেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট লাভ করেন। মিডল টেম্পল থেকে ফাইনাল বার পরীক্ষায় কৃতকার্য হন। ঐ সময়ে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারবার ব্লুধারী হন।

এছাড়াও দুইবার জেন্টলম্যান বনাম প্লেয়ার্সের মধ্যকার খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। প্রথম বছর তিনি উইকেটশূন্য ছিলেন। ০/৭০ পান। প্লেয়ার্সের পক্ষে অ্যামিস ২০১, অ্যাশডাউন ১১৭ এবং আর. সি. রবার্টসন-গ্লাসগো ৩/২০৭ করলে দলটি ৫৫২/৮ করে ইনিংস ঘোষণায় চলে যায়। ১৯৩৪ সালে তুলনামূলকভাবে অধিক সফলতা পান। ১/৪৬ ও ৩/৯১ লাভ করেন। এ পর্যায়ে উভয় ইনিংসে হ্যামন্ড ও ওলি তার শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। কেমব্রিজে থাকাকালে ১৯৩৩ ও ১৯৩৪ সালে জেন্টলম্যানের সদস্যরূপে খেলার জন্যে আমন্ত্রিত হন। ফোকস্টোনে প্লেয়ার্সের বিপক্ষে খেলেন। এছাড়াও, এমসিসির পক্ষে খেলেছিলেন।

১৯৩৩ থেকে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত লর্ডসে অক্সফোর্ডের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পান। তন্মধ্যে, শেষ দুই বছরে কেমব্রিজের জয়ে ভূমিকা রাখেন। উভয় বর্ষেই ছয়টি করে উইকেট পেয়েছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বলের নিখুঁততা ও উদ্যমী মনোভাবের ফলে প্রতিপক্ষে ব্যাটসম্যানদেরকে দীর্ঘক্ষণ হতাশার কবলে ফেলে রাখতো।

১৯৩৩ সালে ইয়র্কশায়ারের বিপক্ষে এগারো উইকেট পেয়েছিলেন। ১৯৩৫ সালে ইন্ডিয়ান জিমখানার পক্ষে খেলেন। দুই মাসে ৭০ গড়ে ১৩৮০ রান তুলেছিলেন। ১৯৩৬ সালে ফেনার্সে কেমব্রিজের সদস্যরূপে নটিংহ্যামশায়ারের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা ১৩৩ রান তুলেন। কেমব্রিজে থাকাকালে চ্যাম্পিয়ন কাউন্টি ইয়র্কশায়ারের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৭/৫৮ দাঁড় করান।

৩ জুলাই, ১৯৩৬ তারিখে লর্ডসে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে খেলাকালীন এমসিসির বিপক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় দলের সদস্যরূপে প্রতিপক্ষীয় টম পিয়ার্সকে লক্ষ্য করে বোলিং করছিলেন। ঐ সময় উড়ন্ত চড়ুই বলের আঘাতে মারা যায়। পরবর্তীতে ঐ মৃত পাখিটিকে খেলার বলসহ লর্ডসের এমসিসি যাদুঘরে প্রদর্শন করা হচ্ছে।[১] এ চার বছরে ৩৯ খেলায় ২৪.৮১ গড়ে ১৫১৪ রান দুই সেঞ্চুরি সহযোগে করেন। বল হাতে ২৫.৪৭ গড়ে ১৩৪ উইকেট পান। ছয়বার পাঁচ-উইকেট ও খেলায় একবার দশ উইকেট পেয়েছিলেন।

স্ব-গৃহে প্রত্যাবর্তন

১৯৩৯ সালে ভারতে ফিরে বোম্বে পেন্টাগুলার ও রঞ্জী ট্রফি প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ১৯৪০-৪১ মৌসুমে সিলনে ভারত দলের সফরে নেতৃত্ব দেয়ার দায়িত্ব পান। কিন্তু, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ঐ সফরটি বাতিল হয়ে যায়।[২] ১৯৪০-৪১ মৌসুম থেকে ১৯৪৫-৪৬ মৌসুম পর্যন্ত উত্তর ভারতের পক্ষে খেলেন। প্রথম দুই মৌসুম অধিনায়কত্ব করেন। ১৯৪১-৪২ মৌসুমে লাহোরে এনডব্লিউএফপি’র বিপক্ষে অপরাজিত ১২৫ রান তুলেন।

ভারত বিভাজনের পর ১৯৫১-৫২ মৌসুম থেকে ১৯৫৫-৫৬ মৌসুম পর্যন্ত পাঞ্জাবের প্রতিনিধিত্ব করেন। এ সময় তার বয়স ছিল ৪৬ বছর। ১১১টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ২২.১২ গড়ে ৩৩১৯ রান করেছেন। তন্মধ্যে, চারটি শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন। ২৫.০৬ গড়ে ৩২৮ উইকেট লাভ করাসহ ৭৯ ক্যাচ তালুবন্দী করেছেন। বারোবার পাঁচ-উইকেট ও দুইবার খেলায় দশ উইকেট পেয়েছিলেন।

১৯৩৯-৪০ থেকে ১৯৪১-৪২ মৌসুম পর্যন্ত দল নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। ভারত বিভাজন হলে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানে চলে যান। এরপর তিনি পাকিস্তান দলের নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্য হন। ১৯৬০-৬১ মৌসুমে পাকিস্তান দল নিয়ে ভারত গমন করেন।

ব্যক্তিগত জীবন

কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন ও অবসর গ্রহণের পূর্ব-পর্যন্ত পাকিস্তানের শিক্ষা অধিদপ্তরে কাজ করেছেন। ১৯৮৩ সালে জলন্ধরের গান্ধী স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্ট খেলার আয়োজন উপলক্ষ্যে জাহাঙ্গীর খানকে খেলা উপভোগ করার জন্যে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।

তরুণ বয়সে বর্শা নিক্ষেপে ভারতের শিরোপাধারী ছিলেন। ১৯৩২ সালের এএএ ও ১৯৩৪ সালে লন্ডনে অনুষ্ঠিত ব্রিটিশ এম্পায়ার গেমসে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।

২৩ জুলাই, ১৯৮৮ তারিখে পাঞ্জাবের লাহোরে ৭৮ বছর বয়সে দেহাবসান ঘটে জাহাঙ্গীর খানের। নিজ শহরে তাকে সমাহিত করা হয়েছিল। মৃত্যুকালীন ভারতের পক্ষে প্রথম টেস্ট খেলা সর্বশেষ জীবিত খেলোয়াড় ছিলেন। তার পুত্র মজিদ খান ও আসাদ জাহাঙ্গীর খান এবং নাতি বায়জিদ খান ক্রিকেট খেলার সাথে জড়িত।

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

গ্রন্থপঞ্জী