খালিয়া জমিদার বাড়ি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
MahbubPathan (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সংশোধন, তথ্যসূত্র, হালনাগাদ
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{তথ্যছক ভবন
{{তথ্যছক ভবন
| name = খালিয়া জমিদার বাড়ি
| name = খালিয়া জমিদার বাড়ি
| native_name =
| native_name =
| native_name_lang =
| native_name_lang =
| former_names =
| former_names =
| alternate_names = রাজা রামমোহন রায় চৌধুরীর বাড়ি</br>রাজৈর জমিদার বাড়ি
| alternate_names = রাজারাম রায় চৌধুরীর বাড়ি</br>রাজৈর জমিদার বাড়ি
| status =
| status =
| image = [[File:খালিয়া জমিদার বাড়ি.jpg|thumb|খালিয়া জমিদার বাড়ি]]
| image = [[File:খালিয়া জমিদার বাড়ি.jpg|thumb|খালিয়া জমিদার বাড়ি]]
| image_alt =
| image_alt =
| image_size =
| image_size =
| caption =
| caption =
| relief =
| relief =
| altitude =
| building_type = বাসস্থান
| altitude =
| building_type = বাসস্থান
| architectural_style =
| architectural_style =
| structural_system =
| structural_system =
| material = ইট, সুরকি ও রড
| material = ইট, সুরকি ও রড
| cost =
| cost =
| ren_cost =
| ren_cost =
| owner = রাজা রামমোহন রায় চৌধুরী
| owner = রাজা রামমোহন রায় চৌধুরী
| current_tenants =
| current_tenants =
| landlord =
| landlord =
| location = [[রাজৈর উপজেলা]]
| location = [[রাজৈর উপজেলা]]
| address =
| address =
| location_town = [[রাজৈর উপজেলা]], [[মাদারীপুর জেলা]]
| location_town = [[রাজৈর উপজেলা]], [[মাদারিপুর]]
| location_country = বাংলাদেশ
| location_country = বাংলাদেশ
| iso_region =
| iso_region =
| coordinates_display =
| coordinates_display =
| coordinates_format =
| coordinates_format =
| latitude =
| latitude =
| longitude =
| longitude =
| latd =
| latd =
| latm =
| latm =
| lats =
| lats =
| latNS =
| latNS =
| longd =
| longd =
| longm =
| longm =
| longs =
| longs =
| longEW =
| longEW =
| coordinates =
| coordinates =
| groundbreaking_date =
| groundbreaking_date =
| start_date =
| start_date =
| completion_date =
| completion_date =
| opened_date = ১৭০০ শতকে
| opened_date = ১৭০০ শতকে
| inauguration_date =
| inauguration_date =
| relocated_date =
| relocated_date =
| renovation_date =
| renovation_date =
| closing_date =
| closing_date =
| demolition_date =
| demolition_date =
| destruction_date =
| destruction_date =
| roof =
| roof =
| top_floor =
| top_floor =
| observatory =
| observatory =
| other_dimensions =
| other_dimensions =
| floor_count =
| floor_count =
| floor_area =
| floor_area =
| seating_type =
| seating_type =
| seating_capacity =
| seating_capacity =
| elevator_count =
| elevator_count =
| grounds_area =
| grounds_area =
| rooms =
| rooms =
| parking =
| parking =
| url =
| url =
| embedded =
| embedded =
| references =
| references =
}}
}}
'''খালিয়া জমিদার বাড়ি''' [[বাংলাদেশ]] এর [[মাদারীপুর জেলা]]র [[রাজৈর উপজেলা]]র খালিয়া নামক গ্রামে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক [[জমিদার বাড়ি]]। এটি অনেকের কাছে '''রাজা রামমোহন রায় চৌধুরীর''' বাড়ি হিসেবে পরিচিত। এই জমিদারীটি [[উজানীর জমিদার বাড়ি|উজানির জমিদার]] বংশ থেকে দান হিসেবে পাওয়া একটি জমিদার বাড়ি।
'''খালিয়া জমিদার বাড়ি''' [[বাংলাদেশ]] এর [[মাদারীপুর জেলা|মাদারিপুর জেলা]]র [[রাজৈর উপজেলা]]র খালিয়া নামক গ্রামে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক [[জমিদার বাড়ি]]। এটি অনেকের কাছে '''রাজারাম রায় চৌধুরীর''' বাড়ি হিসেবে পরিচিত। এই জমিদারীটি [[উজানীর জমিদার বাড়ি|উজানির জমিদার]] বংশ থেকে দান হিসেবে পাওয়া একটি জমিদার বাড়ি।<ref name=":0">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://bangla.dhakatribune.com/features/2019/07/18/12991/%E0%A6%85%E0%A6%AF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%89%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%8B|শিরোনাম=অযত্নে-অবহেলায় উজানীর জমিদারদের স্মৃতিচিহ্নগুলো|তারিখ=2019-07-18|ওয়েবসাইট=Dhaka Tribune Bangla|সংগ্রহের-তারিখ=2019-08-23}}</ref>


===ইতিহাস===
==ইতিহাস==
আনুমানিক ১৭০০ শতকের দিকে এই জমিদার বংশ ও জমিদার বাড়ির গোড়াপত্তন। মূলত এই জমিদারীটি আগে [[উজানীর জমিদার বাড়ি|উজানি জমিদারদের]] ছিল। তাদের মোট সাতটি জমিদারী ছিল। উজানির জমিদার এই সাতটি জমিদারী থেকে একটি জমিদারী অর্থাৎ খালিয়া জমিদারীটি রাজা রামমোহন রায়কে দান করে দেন। উজানির জমিদারদের কাছ থেকে রাজা রামমোহন রায় এই খালিয়া জমিদারী পাওয়া নিয়ে একটি কাহিনী প্রচলিত রয়েছে। রাজা রামমোহন রায়ের মাতাপিতা আগে উজানির জমিদারদের দাসদাসী হিসেবে কাজ করত। তখন তারা জমিদার বাড়িতে কাজে গেলে ছোট রাজা রামমোহন রায়কে জমিদার বাড়ির বারান্দায় রেখে যেতেন। আর ঐ সময়ে রোদ বৃষ্টিতে তাকে ছায়া দিত ফনিমনসা। এই বিষয়টি উজানির জমিদার দেখে ফেলেন এবং তার সহধর্মীনিকে জানান। তখন তার সহধর্মীনি শিশু রামমোহনের শরীলে একটি রাজতিলক দেখেন। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে উজানির জমিদার তার সাতটি জমিদারী থেকে একটি জমিদারী রাজা রামমোহন রায় চৌধুরীকে দান করেন এবং তার পিতামাতাকে দাসদাসী থেকে মুক্ত করে দেন। আর এখানে থেকেই এই জমিদার বংশের পথচলা শুরু। এই জমিদার বংশের মধ্যে জমিদার রাজা রামমোহন রায় চৌধুরীই ছিলেন ইতিহাসখ্যাত একজন জমিদার। তিনি তার জমিদারী আমলে প্রজাদের জন্য অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেন। তার আমলে তৈরি করা একটি মন্দির যা তার নামে '''[[রাজারাম মন্দির]]''' হিসেবে পরিচিত। এবং রাজারাম ইনস্টিটিউট নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
আনুমানিক ১৭০০ শতকের দিকে এই জমিদার বংশ ও জমিদার বাড়ির গোড়াপত্তন। মূলত এই জমিদারীটি আগে [[উজানীর জমিদার বাড়ি|উজানি জমিদারদের]] ছিল। তাদের মোট সাতটি জমিদারী ছিল। উজানির জমিদার এই সাতটি জমিদারী থেকে একটি জমিদারী অর্থাৎ খালিয়া জমিদারীটি রাজারাম রায়কে দান করে দেন। উজানির জমিদারদের কাছ থেকে রাজারাম রায় এই খালিয়া জমিদারী পাওয়া নিয়ে একটি কাহিনী প্রচলিত রয়েছে। রাজারাম রায়ের মাতাপিতা আগে উজানির জমিদারদের দাসদাসী হিসেবে কাজ করত। তখন তারা জমিদার বাড়িতে কাজে গেলে ছোট রাজারাম রায়কে জমিদার বাড়ির বারান্দায় রেখে যেতেন। আর ঐ সময়ে রোদ বৃষ্টিতে তাকে ছায়া দিত ফনিমনসা। এই বিষয়টি উজানির জমিদার দেখে ফেলেন এবং তার সহধর্মীনিকে জানান। তখন তার সহধর্মীনি শিশু রামের শরীরে একটি রাজতিলক দেখেন। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে উজানির জমিদার তার সাতটি জমিদারী থেকে একটি জমিদারী রাজারাম রায় চৌধুরীকে দান করেন এবং তার পিতামাতাকে দাসদাসী থেকে মুক্ত করে দেন। আর এখানে থেকেই এই জমিদার বংশের পথচলা শুরু। এই জমিদার বংশের মধ্যে জমিদার রাজারাম রায় চৌধুরীই ছিলেন ইতিহাসখ্যাত একজন জমিদার। তিনি তার জমিদারী আমলে প্রজাদের জন্য অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেন। তার আমলে তৈরি করা একটি মন্দির যা তার নামে '''[[রাজারাম মন্দির]]''' হিসেবে পরিচিত। এবং রাজারাম ইনস্টিটিউট নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://risingbd.com/art-literature-news/99824|শিরোনাম=রাজা রামমোহন রায় চৌধুরির জমিদারি|ওয়েবসাইট=Risingbd.com|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2019-08-23}}</ref>


===অবকাঠামো===
==অবকাঠামো==
প্রায় ২৫০ একর জমির ওপর পুরো জমিদার বাড়িটি তৈরি করা হয়। এখানে দোতলা-তিনতলা বিশিষ্ট দালান-কোঠা, বাগানবাড়ি, পূজা মন্ডপ ও শানবাঁধানো পুকুর ঘাট তৈরি করা হয়।
প্রায় ২৫০ একর জমির ওপর পুরো জমিদার বাড়িটি তৈরি করা হয়। এখানে দোতলা-তিনতলা বিশিষ্ট দালান-কোঠা, বাগানবাড়ি, পূজা মন্ডপ ও শানবাঁধানো পুকুর ঘাট তৈরি করা হয়।<ref name=":0" />
[[চিত্র:Rajaram temple(রাজারাম মন্দির).jpg|থাম্ব|'''[[রাজারাম মন্দির]]''']]


===বর্তমান অবস্থা===
==বর্তমান অবস্থা==
বর্তমানে অযত্ন ও অবহেলায় পড়ে থাকায় উক্ত জমিদার বাড়ির সকল স্থাপনাই এখন প্রায় ধ্বংসের মুখে। শুধুমাত্র তাদের তৈরি করা মন্দিরটি বাংলাদেশ পত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের আওতায় থাকায় এখনও বেশ ভালো অবস্থায় রয়েছে।
বর্তমানে অযত্ন ও অবহেলায় পড়ে থাকায় উক্ত জমিদার বাড়ির সকল স্থাপনাই এখন প্রায় ধ্বংসের মুখে। শুধুমাত্র তাদের তৈরি করা মন্দিরটি বাংলাদেশ পত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের আওতায় থাকায় এখনও বেশ ভালো অবস্থায় রয়েছে।


===তথ্যসূত্র===
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}
{{সূত্র তালিকা}}
{{অসম্পূর্ণ}}
{{অসম্পূর্ণ}}

১৩:৪৭, ২৩ আগস্ট ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

খালিয়া জমিদার বাড়ি
চিত্র:খালিয়া জমিদার বাড়ি.jpg
খালিয়া জমিদার বাড়ি
বিকল্প নামরাজারাম রায় চৌধুরীর বাড়ি
রাজৈর জমিদার বাড়ি
সাধারণ তথ্য
ধরনবাসস্থান
অবস্থানরাজৈর উপজেলা
শহররাজৈর উপজেলা, মাদারিপুর
দেশবাংলাদেশ
খোলা হয়েছে১৭০০ শতকে
স্বত্বাধিকারীরাজা রামমোহন রায় চৌধুরী
কারিগরী বিবরণ
উপাদানইট, সুরকি ও রড

খালিয়া জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ এর মাদারিপুর জেলার রাজৈর উপজেলার খালিয়া নামক গ্রামে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। এটি অনেকের কাছে রাজারাম রায় চৌধুরীর বাড়ি হিসেবে পরিচিত। এই জমিদারীটি উজানির জমিদার বংশ থেকে দান হিসেবে পাওয়া একটি জমিদার বাড়ি।[১]

ইতিহাস

আনুমানিক ১৭০০ শতকের দিকে এই জমিদার বংশ ও জমিদার বাড়ির গোড়াপত্তন। মূলত এই জমিদারীটি আগে উজানি জমিদারদের ছিল। তাদের মোট সাতটি জমিদারী ছিল। উজানির জমিদার এই সাতটি জমিদারী থেকে একটি জমিদারী অর্থাৎ খালিয়া জমিদারীটি রাজারাম রায়কে দান করে দেন। উজানির জমিদারদের কাছ থেকে রাজারাম রায় এই খালিয়া জমিদারী পাওয়া নিয়ে একটি কাহিনী প্রচলিত রয়েছে। রাজারাম রায়ের মাতাপিতা আগে উজানির জমিদারদের দাসদাসী হিসেবে কাজ করত। তখন তারা জমিদার বাড়িতে কাজে গেলে ছোট রাজারাম রায়কে জমিদার বাড়ির বারান্দায় রেখে যেতেন। আর ঐ সময়ে রোদ বৃষ্টিতে তাকে ছায়া দিত ফনিমনসা। এই বিষয়টি উজানির জমিদার দেখে ফেলেন এবং তার সহধর্মীনিকে জানান। তখন তার সহধর্মীনি শিশু রামের শরীরে একটি রাজতিলক দেখেন। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে উজানির জমিদার তার সাতটি জমিদারী থেকে একটি জমিদারী রাজারাম রায় চৌধুরীকে দান করেন এবং তার পিতামাতাকে দাসদাসী থেকে মুক্ত করে দেন। আর এখানে থেকেই এই জমিদার বংশের পথচলা শুরু। এই জমিদার বংশের মধ্যে জমিদার রাজারাম রায় চৌধুরীই ছিলেন ইতিহাসখ্যাত একজন জমিদার। তিনি তার জমিদারী আমলে প্রজাদের জন্য অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেন। তার আমলে তৈরি করা একটি মন্দির যা তার নামে রাজারাম মন্দির হিসেবে পরিচিত। এবং রাজারাম ইনস্টিটিউট নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।[২]

অবকাঠামো

প্রায় ২৫০ একর জমির ওপর পুরো জমিদার বাড়িটি তৈরি করা হয়। এখানে দোতলা-তিনতলা বিশিষ্ট দালান-কোঠা, বাগানবাড়ি, পূজা মন্ডপ ও শানবাঁধানো পুকুর ঘাট তৈরি করা হয়।[১]

রাজারাম মন্দির

বর্তমান অবস্থা

বর্তমানে অযত্ন ও অবহেলায় পড়ে থাকায় উক্ত জমিদার বাড়ির সকল স্থাপনাই এখন প্রায় ধ্বংসের মুখে। শুধুমাত্র তাদের তৈরি করা মন্দিরটি বাংলাদেশ পত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের আওতায় থাকায় এখনও বেশ ভালো অবস্থায় রয়েছে।

তথ্যসূত্র

  1. "অযত্নে-অবহেলায় উজানীর জমিদারদের স্মৃতিচিহ্নগুলো"Dhaka Tribune Bangla। ২০১৯-০৭-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-২৩ 
  2. "রাজা রামমোহন রায় চৌধুরির জমিদারি"Risingbd.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-২৩