বিলি দ্য কিড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিলি দ্য কিড
বিলি দ্য কিডের টিনটাইপ চিত্র।
জন্ম
উইলিয়াম হেনরি ম্যাক্‌কার্টি, জেআর

(১৮৫৯-১১-২৩)২৩ নভেম্বর ১৮৫৯
মৃত্যু১৪ জুলাই ১৮৮১(1881-07-14) (বয়স ২১)
ফোর্ট সামনার, নতুন মেক্সিকো অঞ্চল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মৃত্যুর কারণবন্দুকের গুলি
সমাধিওল্ড ফোর্ট সামনার সমাধি
৩৪°২৪′১৩″ উত্তর ১০৪°১১′৩৭″ পশ্চিম / ৩৪.৪০৩৬১° উত্তর ১০৪.১৯৩৬১° পশ্চিম / 34.40361; -104.19361 (Billy the Kid's Gravesite)
অন্যান্য নামউইলিয়াম এইচ. বোনি,
উইলিয়াম ম্যাক্‌কার্টি,
হেনরি ম্যাক্‌কার্টি,
হেনরি অ্যানট্রিম,
কিড অ্যানট্রিম
পেশা
  • পশু চুরি করা (শুধু ঘোরা)
  • কাউবয়
  • আউটল (আইনের চোখে অপরাধী)
  • খুনী
উচ্চতা৫ ফুট ৮ ইঞ্চি (১.৭৩ মিটার)
পিতা-মাতা
  • পিতা: অজানা
  • সম্ভবত, প্যাট্রিক হেনরি ম্যাকার্টি
  • বা মাইকেল ম্যাকার্টি
  • বা উইলিয়াম বোনি
  • পালকপিতা: উইলিয়াম অ্যান্ট্রিম
  • মাতা: ক্যাথরিন ম্যাকার্টি
  • ক্যাথরিন ম্যাকার্টি অ্যানট্রিম
  • ক্যাথরিন ম্যাকার্টি বোনি
আত্মীয়সমভাই: জোসেফ অ্যানট্রিম গ্রেট ভাইপো: ক্রিস ব্লেক

উইলিয়াম এইচ. বোনি (জন্ম: উইলিয়াম হেনরি ম্যাক্‌কাট্রি, জেআর. সি. নভেম্বর ২৩, ১৮৫৯[১] - সি. জুলাই ১৪, ১৮৮১) যিনি বিলি দ্য কিড নামেই বেশি পরিচিত, ছিলেন ১৯-শতকের আমেরিকার বুনো (পুরাতন) পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত শহরের কুখ্যাত আউটল (আইনের চোখে অপরাধী ব্যক্তি) ও বন্দুকধারী। তিনি লিংকন কাউন্টি যুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেছিলেন। কিংবদন্তি অনুসারে, তিনি ২১ জনকে হত্যা করেছিলেন[২] কিন্তু সাধারনভাবে বিশ্বাস করা হয় তিনি ৪ থেকে ৯ জনকে হত্যা করেছিলেন।[২] তিনি ১৮৭৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে তার জীবনের প্রথম খুনটি করেন।[৩]

ম্যাককার্টির উচ্চতা ৫'৮" (১৭৩ সেমি), তার চোখ ছিল নীল, স্বর্ণকেশী চুল বা নোংরা স্বর্ণকেশী চুল, এবং মসৃণ গাত্রবর্ণ। তিনি সে সময় বন্ধূত্বপূর্ণ[৪][৫] ও চটপটে স্বভাবের ছিলেন বলে মনে করা হত।[৪] সমসাময়িক বর্ণনা থেকে পাওয়া তথ্য মতে, তিনি তার পোশাক-পরিচ্ছদের ব্যাপারে ছিলেন অত্যন্ত সচেতন ও তিনি সবসময় মাথায় ম্যাক্সিকান হ্যাট ব্যবহার করতেন।[৪][৬] তার এই ধরনের ব্যক্তিত্ব ও বন্দুক চালনায় পরদর্শিতা তাকে অন্য রকম এক ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল ও তিনি এর ফলে আমেরিকার অন্যতম লোক নায়কে পরিনত হন।[৭]

তার জীবনী সম্পর্কিত বিষয়াদি যদিও খুব জানা যায় না তবে, মনে করা হয় তিনি ১৮৮১ সালের দিকে বন্দুকযুদ্ধে নিজেকে কিংবদন্তির পর্যায়ে উন্নিত করেন ও নিউ ম্যাক্সিকোর সরকার তখন তার মাথার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করে। এছাড়াও দ্য লাস ভেগাস গেজেট (লাস ভেগাস, নিউ ম্যাক্সিকো) ও দ্য নিউ ইয়র্ক সান তার সম্পর্কে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।[৮] অন্যান্য সংবাদ পত্রও তার এই গল্পগুলো প্রকাশ করেছিল। তার মৃত্যুর পর অনেক জীবনীকার তার জীবন সম্পর্কে অনেক লেখালেখি করেন এবং এসকল লেখালেখিই মূলত কিডকে কিংবদন্তির পর্যায়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।[৮]

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

উইলিয়াম হেনরি ম্যাক্‌কার্টি নিউ ইয়র্ক শহরের আইরিশ প্রতিবেশীদের সাথে গৃহযুদ্ধ চলাকালে ৭০,এলিয়েন স্ট্রিটে জন্মগ্রহণ করেন বলে বিশ্বাস করেন মাইকেল ওয়ালিস ও রবার্ট এম. আটলি নামের দুজন বিখ্যাত পশ্চিমা ইতিহাসবিদ। তাদের তথ্য অনুসারে যদিও তিনি নিউ ইয়র্কে জন্মগ্রহণ করেন তথাপি তিনি নিউ ইয়র্কে বসবাস করেছেন এরকম কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।[৯][১০]

আইরিশ ইমিগ্রেন্ট হিসেবে জন্ম নেওয়া কিডের আসল পিতা কে তা নিশ্চিত করা যায়নি। কোন কোন গবেষক বলেন, তার পিতার নাম প্যাট্রিক ম্যাক্‌কার্টি, মাইকেল ম্যাক্‌কার্টি, উইলিয়াম ম্যাক্‌কার্টি বা এডওয়ার্ড ম্যাক্‌কার্টি।[৯] তার মাতার নাম ক্যাথরিন ম্যাক্‌কার্টি, যদিও এটা জানা যায় না যে ম্যাক্‌কার্টি তার মধ্য নাম বা বিবাহ সূত্রেও পাওয়া নাম কিনা।[৯][১০] বিশ্বাস করা হয় তার মাতা মহাদূভিক্ষ চলাকালে নিউ ইয়র্কে অভিবাসী হিসেবে এসেছিলেন।[৯][১০]

১৮৬৮ সালে ক্যাথরিন ম্যাক্‌কার্টি তার সাথে তার দুজন ছেলে হেনরি ও জোসেফকে নিয়ে ইন্ডিয়ানার ইন্ডিয়ানাপোলিসে স্থানান্তরিত হন।[১১] সেখানে তিনি তার চেয়ে ১২ বছরের ছোট উইলিয়াম এনট্রিম নামে একজনের সাথে পরিচয় হয়।[১২] ১৮৭৩ সালে কয়েকবছর বিভিন্ন জায়গায় স্থানান্তরের পর তারা নিউ মেক্সিকোর সান্তা ফে তে ফার্স্ট প্রেসবেটেরিয়ান গির্জায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।[১৩] এরপর তারা দক্ষিণের সিলভার শহরে বসবাস শুরু করেন।[১৪] এনট্রিম সেখানে বারটেন্ডার ও সূত্রধরের কাজ শুরু করেন। কিন্তু কিছুদিন পর সেখানকার অধিকাংশ পুরুষের মত জুয়ায় আসক্ত হয়ে যান ও বাড়িতে খুব কমই ফিরতেন।[১৫] যুবক উইলিয়াম ম্যাক্‌কার্টি তার নামের সাথে এনট্রিম নামটি খুব একা ব্যবহার করতেন না।[১৬]

সমসাময়িক তথ্য অনুসারে তার মা অন্যের কাপড় ধৌত করতেন ও তাদের ঘর ভাড়া দিয়ে তার ও তার পুত্রদের জন্য অন্নের সংস্থান করতেন।[১৭] স্থানীয়দের কাছে তার মা জলি আইরিশ লেডি নামে পরিচিত ছিলেন।[১৮] পরবর্তীতে তার পুনরায় সিলভার শহরে স্থানান্তরের সময় তিনি যক্ষায় আক্রান্ত হন।[১৯] সেপ্টেম্বর ১৬, ১৮৭৪ সালে ক্যাথরিন ম্যাক্‌কার্টি মৃত্যুবরণ করেন। তিনি সিলভার সিটির মেমরি লেন সমাধিতে সমাহিত হন।[১৫]

১৪ বছর বয়সে কিডকে তার এক প্রতিবেশী তাদের হোটেল দেখাশোনা করার জন্য নিয়োগ দেন। হোটেলের ম্যানেজার তার ব্যবহারে মুগ্ধ হন এবং বলেন কিডই তার অধীনে কাজ করা একমাত বালক যে কোন কিছু চুরি করে নি।[২০] কিডের এক স্কুল শিক্ষক পরে মন্তব্য করেছিলেন, অন্যান্য বালকদের মত ছিলেন না কিড, তিনি সবসময় স্কুলের ছোটখাটো কাজ করে দিতেন ও চুপচাপ থাকতেন।[২১] পরবর্তীতে তার পরিবার যখন বাসস্থান নিয়ে সমস্যায় পরেন তখন কিড একটি লজিং হাউজে চলে যান এবং একটি কাজ খুঁজে পান।[২২] ১৮৭৫ সালের এপ্রিলে গ্র্যান্ট কাউন্টির শেরিফ হার্বি হুইটহিল পনির চুরির অপরাধে তাকে গ্রেফতার করেন। ২৪শে সেপ্টেম্বর, ১৮৭৫ সালে কিড পুনরায় গ্রেফতার হন কিছু চুরি করা পোশাক-পরিচ্ছদ তার দখলে রাখার অভিযোগে।[২৩] দুই দিন পর কিডকে জেলে প্রেরন করা হয় ও তিনি জেলখানার চিমনি ভেঙ্গে পালিয়ে যান। মূলত তখন থেকেই তার ফেরারি জীবনের শুরু।[২৪]

পদটীকা[সম্পাদনা]

  1. "Early Life"। aboutbillythekid.com। ২০০৮-০৯-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৮-০৫ 
  2. Wallis (2007), p. 244
  3. Wallis (2007), p. 115
  4. Wallis (2007), p. 129
  5. Rasch (1995), p. 126
  6. Utley (1989), p. 15
  7. Wallis (2007), pp. 244–5
  8. Utley (1989), pp. 145–6
  9. Wallis (2007), p. 6
  10. Utley (1989), p. 2
  11. Wallis (2007), p. 14
  12. Wallis (2007), p. 16
  13. Utley (1989), p. 1
  14. Wallis (2007), pp. 52–6
  15. Wallis (2007), p. 78
  16. Wallis (2007), pp. 55–6
  17. Wallis (2007), p. 64
  18. Utley (1989), p. 6
  19. Wallis (2007), p. 76
  20. Wallis (2007), pp. 84–5
  21. Wallis (2007), p. 83
  22. Wallis (2007), p. 87
  23. Wallis (2007), pp. 87–8
  24. Wallis (2007), p. 89

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

এই নিবন্ধ ইংরেজি উইকিপিডিয়ার নিবন্ধটির অনুবাদ। ইংরেজি নিবন্ধটি লেখার ক্ষেত্রে ইংরেজি উইকিপিডিয়ার লেখকেরা যে সূত্রগুলো ব্যবহার করেছেন সেগুলোর তালিকা লেখকের শেষ নামের আদ্যক্ষর অনুযায়ী নিচে উল্লেখ করা হল। নিবন্ধটির কোন অংশ এই সূত্রগুলোর কোনটি থেকে নেয়া হয়েছে তা "পাদটীকা" দ্রষ্টব্য।

আরো পড়ুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]