বিমল কাউর খালসা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিমল কাউর খালসা
মৃত্যু২রা সেপ্টেম্বর ১৯৯০
জাতীয়তাভারতীয়
পেশারাজনীতিবিদ

বিমল কাউর খালসা (মৃত্যু:১৯৯০) একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ ছিলেন। তার স্বামী ছিলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর দেহরক্ষী। তার স্বামী বেয়ন্ত সিং ছিলেন ইন্দিরা গান্ধীর দুই আততায়ীর মধ্যে অন্যতম।

সৎবন্ত সিং ও তার স্বামী বেয়ন্ত সিং যখন ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যা করেছিলেন, তখন বিমল কাউর খালসা লেডি হার্ডিঞ্জ মেডিকেল কলেজ এ নার্স পদে কর্মরত ছিলেন।[১] ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যার ঘটনার পর তাকে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী তুলে নিয়ে যায়, তিনি তার সন্তানদের বাড়ি রেখে কিছুদিনের জন্য উধাও হয়ে যান। দুই বছর ধরে তার সন্তান অমৃত, সর্বজিৎ ও জাসির লেখাপড়ার খরচ বহন করে একটি শিখ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দমদমি টাকশাল

১৯৮৭ সালে বিমল কাউর খালসাকে হিংসাত্মক কাজে উদ্বুদ্ধকারী বক্তৃতা প্রদানের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল। একটি গুরুদুয়ারায় তার বক্তৃতার পর উন্মত্ত জনতা ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের অমৃতসরে অবস্থিত স্বর্ণমন্দিরের রক্ষীদের আক্রমণ করে।[২] এ ঘটনায় একজন রক্ষী নিহত হন। আহত হন আরো সাত জন। এই ঘটনার জন্য তিনি সমালোচিত হন এবং তাকে দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে আদালত।

তার স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন।[৩] ১৯৮৯ সালে তিনি শিরোমণি আকালি দল (মান) থেকে লোকসভা নির্বাচনে পাঞ্জাবের রোপার আসন থেকে প্রার্থী হন। নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করেন। উল্লেখ্য যে,বিমল কাউর খালসার শ্বশুর, বেয়ন্ত সিং এর পিতা, সুচা সিং মালোয়াও লোকসভার সদস্য ছিলেন।[৪] সুচা সিং মালওয়া প্রদেশের ভাতিন্দা আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন।[৫][৬][৭] বিমল কাউর খালসার ছেলে সর্বজিৎ সিং মানসা ও ভাতিন্দা থেকে ২০০৫ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন।[৮]

তিনি ১৯৯০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ২ তারিখে মৃত্যুবরণ করেন।[৯] বিমল কাউর খালসার মৃত্যু নিয়ে আছে অনেজ ধোঁয়াশা। সংবাদমাধ্যমের কাছে আসা প্রথম প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বিমল কাউর খালসা সায়ানাইড পানে আত্মহত্যা করেছিলেন। তার সন্তানেরা ছোট থাকায়, সন্দেহ করা হয়েছিল যে, তাকে বলপূর্বক সায়ানাইড পান করানো হয়েছে। পরবর্তীকালে, প্রতিবেদনটি সংশোধন করা হয় এবং বলা হয়, তিনি ওয়াশিং মেশিন ব্যবহারের সময় তড়িতাহত হয়ে মারা গিয়েছেন। বিমল কাউর খালসার মৃত্যুর দিন তার বাসার ১৩ বছর বয়সী কাজের ছেলে বাসায় ছিল না। তার বাসার কাজের ছেলেই সচরাচর বাসায় ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করে কাপড় ধুয়ে থাকত। তার নিকটাত্মীয়গণ ঘটনার সঠিক ময়নাতদন্ত দাবি করেন। কিন্তু, পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্ত সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং পুনরায় ময়নাতদন্ত হবার কোন সুযোগ নেই।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. http://www.preventgenocide.org/prevent/news-monitor/2003mar.htm Playing at Grown-Ups FEAR has been their childhood companion
  2. SIKHS SOUGHT IN SLAYING, NYTimes 6 June 1986
  3. "Sikhs Sought In Slaying"। India; Amritsar (India): NYTimes.com। ৬ জুন ১৯৮৬। সংগ্রহের তারিখ ১৩ অক্টোবর ২০১২ 
  4. Fighting for Faith and Nation: Dialogues with Sikh Militants By Cynthia Keppley Mahmood, p. 136 Published 1996
  5. Surindar Suri (১ আগস্ট ১৯৯০)। The rise of V.P. Singh and the 1989 and 1990 elections। Konark Publishers। পৃষ্ঠা 164। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ 
  6. Lok Sabha Debates। Lok Sabha Secretariat। ১৯৯১। পৃষ্ঠা 95। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ 
  7. "Partywise Comparison since 1977 Bathinda Parliamentary Constituency"Election Commission of India। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জানুয়ারি ২০১৮ 
  8. The Tribune, Chandigarh, India - Punjab
  9. Inderjit Singh Jaijee, Politics of Genocide, Pg 119-120