বিব্বো

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিব্বো
১৯৪০ সালে বিব্বো
জন্ম
ইশরাত সুলতানা

১৯০৬ (1906)
মৃত্যু২৫ মে ১৯৭২(1972-05-25) (বয়স ৬৫–৬৬)
সমাধিকরাচী
পেশাঅভিনেত্রী
কর্মজীবন১৯৩৩–৪৭, ১৯৫০–১৯৬৮
দাম্পত্য সঙ্গীখলিল সর্দার

বিব্বো (১৯০৬ – ১৯৭২)[১] হিন্দি/উর্দু চলচ্চিত্রে কাজ করা একজন ভারতীয় এবং পাকিস্তানি গায়িকা-অভিনেত্রী ছিলেন।

কর্ম জীবন[সম্পাদনা]

১৯৩৩ সালে ভারত বিভাজনের পরে, পাকিস্তানে যাওয়ার আগে ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত বিব্বো ভারতীয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তিনি অজন্তা সিনেটোন লিমিটেডের মাধ্যমে তাঁর অভিনয় জীবনের শুরু করেছিলেন। ১৯৩৩ সালে, তিনি এম ডি ভাবনানী এবং এ পি পি কাপুরের মতো পরিচালকদের সাথে কাজ করছেন। দেবিকা রাণী, দুর্গা খোটে, সুলোচনা, মেহতাব, শান্তা আপ্তে, সবিতা দেবী, লীলা দেসাই এবং নাসিম বানুর মতো অভিনেত্রীর পাশাপাশি তিনি ১৯৩০-এর দশকের শীর্ষস্থানীয় একজন অভিনেত্রী ছিলেন।[২] তাঁকে "১৯৩০ এবং ১৯৪০-এর দশকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নারী তারকা" হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল।[৩] মির্জা মোশাররফ এবং কমলা কর্ণাতকীর গাওয়া গরিব কে লাল (১৯৯৯) চলচ্চিত্রের একটি জনপ্রিয় গানের লাইনে তাঁকে উল্লেখ করা হয়েছিল; লাইনটি ছিল "তুঝে বিব্বো কহুঁ কে সুলোচনা" (অনুবাদ: আমি তোমাকে বিব্বো বলবো না সুলোচনা)। এই গানটির সুর করেছিলেন সাঘীর আসিফ এবং লিখেছেন রাফি কাশ্মিরি। এই গানে তাঁর সাথে উক্ত সময়ের আরেক জনপ্রিয় সুলোচনার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এই প্রথমবারের মতো বিখ্যাত অভিনয়শিল্পীদের নাম কোনও চলচ্চিত্রের গানের পংক্তিতে ব্যবহৃত হয়েছিল।[৪][৫]

১৯৩৪ সালে, তিনি মহিলা হিসাবে তিনি প্রথম আদল-এ-জাহাঙ্গীরের জন্য সংগীত রচনা করেছিলেন। এর পরে তালাশ-এ-হক নামক চলচ্চিত্রে অভিনেত্রী নার্গিসের মা জদ্দানবাই সংগীত রচনা করেছিলেন।[৬] তিনি কাজাক কি লাড়কি (১৯৩৭) নামে অন্য আরেকটি চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেছেন।[৭][৮]

তিনি মাস্টার নিসর, সুরেন্দ্র এবং কুমারের মতো অভিনেতাদের সাথে কাজ করেছিলেন। তিনি তাঁদের সাথে একটি জনপ্রিয় কাজের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। সুরেন্দ্রর সাথে তিনিমনমোহন (১৯৩৬), জাগিরদার (১৯৩৭), গ্রামোফোন সিঙ্গার (১৯৩৮), ডায়নামাইট (১৯৩৮) এবং লেডিস ওনলি (১৯৩৯)-এর মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তাঁদের জুটি দর্শকেরা দারুণভাবে পছন্দ করতো। তাঁর প্রথম ছবিটি ছিল ১৯৩৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত রঙ্গিলা রাজপুত, পরবর্তীতেমায়াজাল নামক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।[৯] তিনি ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধান অভিনেত্রী হিসাবে প্রায় ৩০টি চলচ্চিত্রে কাজ করেছিলেন; যার মধ্যে প্রায় সবগুলো চলচ্চিত্রে তিনি মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন। অতঃপর তিনি পার্শ্ব চরিত্রেও অভিনয় করা শুরু করেছিলেন।

পুরস্কার[সম্পাদনা]

তিনি পাকিস্তানি চলচ্চিত্র জহর-ই-ইশক (১৯৫৮) অভিনয়ের জন্য "সেরা অভিনেত্রী" বিভাগে নিগার পুরস্কার অর্জন করেছিলেন।[১০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Bibbo"muvyz.com। Muvyz, Ltd.। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৫ 
  2. Pran Nevile (২০০৬)। Lahore : A Sentimental Journey। Penguin Books India। পৃষ্ঠা 86–। আইএসবিএন 978-0-14-306197-7। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৫ 
  3. Ashok Raj (১ নভেম্বর ২০০৯)। Hero Vol.1। Hay House, Inc। পৃষ্ঠা 87–। আইএসবিএন 978-93-81398-02-9। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৫ 
  4. Singh, Surjit। "A Year in Hindi Movies 1939"hindi-movies-songs.com। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৫ 
  5. "Tujhe Bibbo Kahoon Ki Sulochana"lyrics-hindi.com। LyricsHindi.com। ২৩ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৫ 
  6. "Fairer sex makes a mark in cinema"The Times of India। মার্চ ৮, ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-১০-১৬ 
  7. "Fairer sex makes a mark in cinema"। Bennett, Coleman & Co. Ltd। Times of India। ৮ মার্চ ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৫ 
  8. "First female composer of Bollywood"cineplot.com। Cineplot। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভে ২০১৬ 
  9. Jha, Pitambar। "1933 and our film industry"idb.ub.uni-tuebingen.de (Hindi ভাষায়)। Eberhard Karls Universitat Tubingen। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৫ 
  10. Shahid, Zulqarnain। "Bibbo"cineplot.com। Cineplot। ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভে ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]