বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

সমাজের দুঃস্থ বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলাদের কল্যাণে ১৯৯৮-৯৯ অর্থ বছরে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন সমাজসেবা অধিদফতররের মাধ্যমে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলাদের ভাতা কর্মসূচি প্রবর্তন করা হয়।

বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা প্রদান কর্মসূচি আওতায় -‘বিধবা’ বলতে তাদেরকেই বুঝানো হবে যাদের স্বামী মৃত । ‘স্বামী নিগৃহীতা’ বলতে তাদেরকেই বুঝানো হবে যাঁরা স্বামী কর্তৃক তালাকপ্রাপ্তা বা অন্য যে কোন কারণে অন্ততঃ দু’বছর যাবৎ স্বামীর সংগে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বা একত্রে বসবাস করেন না ।[১]

প্রবর্তনের পটভূমি[সম্পাদনা]

১৯৯৮-৯৯ অর্থ বছরে ৪ লক্ষ ৩ হাজার ১১০ জনকে এককালীন মাসিক ১০০ টাকা হারে  ভাতা প্রদান করা হয়। ২০০৩-০৪ অর্থ বছরে এ কর্মসূচিটি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। ২০১০-১১ অর্থ বছরে এ কর্মসূচিটি পুনরায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয় ।[১] বর্তমানে জনপ্রতি মাসিক ৫০০ টাকা হারে এ ভাতা সুবিধাভোগীদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে ।

কর্মসূচির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য[১][সম্পাদনা]

১. বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তা বিধান ।

২. পরিবার ও সমাজে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি ।

৩. আর্থিক অনুদানের মাধ্যমে তাদের মনোবল জোরদার করা ।

৪. চিকিৎসা সহায়তা ও পুষ্টি সরবরাহ বৃদ্ধিতে আর্থিক সহায়তা প্রদান ।

ভাতাপ্রাপ্তির যোগ্যতা ও শর্তাবলী[১][সম্পাদনা]

বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলাদের ভাতা বাস্তবায়ন নীতিমালা এর আলোকে এই কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করা হয় । এই ভাতাপ্রাপ্তির জন্য শর্তাবলী হচ্ছেঃ

১. সংশ্লিষ্ট এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে ।

২. জন্ম নিবন্ধন/জাতীয় পরিচিতি নম্বর থাকতে হবে ।

৩. বয়ঃবৃদ্ধা অসহায় ও দুঃস্থ বিধবা বা স্বামী নিগৃহীতা মহিলাকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে ।

৪. যিনি দুঃস্থ, অসহায়, প্রায় ভূমিহীন, বিধবা বা স্বামী নিগৃহীতা এবং যার ১৬ বছর বয়সের নিচে ২টি সন্তন রয়েছে, তিনি ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন ।

৫. দুঃস্থ, দরিদ্র, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতাদের মধ্যে যারা প্রতিবন্ধী ও অসুস্থ তারা ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন ।

৬. প্রার্থীর বার্ষিক গড় আয়ঃ অনূর্ধ্ব ১২,০০০ (বার হাজার) টাকা হতে হবে ।

৭. বাছাই কমিটি কর্তৃক নির্বাচিত হতে হবে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]