বিটকয়েন নেটওয়ার্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিটকয়েন হস্তান্তরের রেখাচিত্র
প্রতি মাসে বিটকয়েন লেনদেনের সংখ্যা (লগারিদমিক স্কেল)[১]

বিটকয়েন নেটওয়ার্ক হল একটি পিয়ার-টু-পিয়ার নেটওয়ার্ক যা ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রোটোকলের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ব্যবহারকারীরা বিটকয়েন ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট সফটওয়্যার ব্যবহার করেন এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে নামাঙ্কিত মেসেজ চালাচালির মাধ্যমে বিট কয়েন আদান-প্রদান করেন। লেনদেনগুলো ব্লকচেইন নামে পরিচিত একটি বন্টিত,প্রতিলিপিকৃত পাবলিক ডাটাবেসে রেকর্ড করে রাখা হয় এবং মাইনিং নামের প্রুফ অফ ওয়ার্ক প্রোটোকল ব্যবস্থায় ঐক্যমত্য অর্জিত হয়। বিটকয়েনের ডিজাইনার সাতোশি নাকামতো দাবি করেন, বিটকয়েনের ডিজাইন ও কোডিং ২০০৭ সালে শুরু হয়েছিল।[২] প্রকল্পটি ২০০৯ সালে মুক্ত সোর্স সফটওয়্যার হিসেবে অবমুক্ত করা হয়।

লেনদেন শেয়ার করার জন্য বিটকয়েন নেটওয়ার্কের ন্যূনতম কাঠামো দরকার হয়। স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে গঠিত একটি বিশেষ-বিকেন্দ্রীভূত নেটওয়ার্কই এ জন্য যথেষ্ট। সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার ভিত্তিতে বার্তাগুলো প্রচার করা হয়।নোডগুলো ইচ্ছেমত নেটওয়ার্ক থেকে অব্যাহতি নিতে পারে,পুনরায় সংযুক্ত হতেও পারে। পুনঃসংযোগের পর একটি নোড ব্লকচেইনের স্থানীয় কপি সম্পূর্ণ করার জন্য অন্যান্য নোডের নতুন ব্লকগুলো যাচাই করে ও ডাউনলোড করে।[৩][৪]

লেনদেন[সম্পাদনা]

একটি বিটকয়েনকে ডিজিটাল উপায়ে স্বাক্ষরিত লেনদেনের ক্রম হিসেবে প্রকাশ করা যায়, যা ব্লকের পুরস্কার হিসেবে বিট কয়েনের জন্মলগ্ন থেকে শুরু হয়। বিটকয়েনের মালিক সাধারণ নিয়মে ব্যাংক চেক অনুমোদন করার মত বিটকয়েন লেনদেন ব্যবস্থায় ডিজিটাল স্বাক্ষরের মাধ্যমে বিটকয়েনটি পরবর্তী মালিকের কাছে হস্তান্তর করেন। একজন প্রাপক মালিকানার শৃঙ্খল যাচাইয়ের জন্য পূর্বে কৃত প্রতিটি লেনদেন পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। তবে সাধারণ চেক অনুমোদনের মত বিট কয়েন প্রতিবর্তনযোগ্য নয়, যে কারণে চার্জব্যাক জালিয়াতির ঝুঁকি দূর হয়।[৫]

যদিও প্রতিটি বিটকয়েনকে পৃথকভাবে পরিচালনা করা সম্ভব, কিন্তু কোন লেনদেনে প্রতিটি বিটকয়েনের জন্য পৃথক লেনদেনের দরকার হলে তা বেশ জটিল প্রক্রিয়া হয়ে দাঁড়াত। সেজন্য একটি লেনদেনে একাধিক ইনপুট ও আউটপুট থাকতে পারে, যাতে করে বিটকয়েনগুলো আলাদা হতে পারে আবার একীভূত হতেও পারে। সাধারণ লেনদেনে হয় পূর্বে কৃত কোন বড় লেনদেন থেকে একটি একক ইনপুট থাকবে অথবা আগেকার ছোট ছোট লেনদেনের সমন্বয়ে কয়েকটি ইনপুট থাকবে। আর আউটপুট থাকবে দুইটি- একটি অর্থ পরিশোধের জন্য, অন্যটি প্রেরককে খুচরা অর্থ (যদি দরকার হয়) ফেরত পাঠানোর জন্য। লেনদেনের ইনপুট ও আউটপুটের মোট পরিমাণের মধ্যে যে পার্থক্য থাকে, তা মাইনারদের কাছে লেনদেনের ফি হিসেবে চলে যায়।[৩]

মাইনিং[সম্পাদনা]

জিপিইউ ভিত্তিক মাইনিং কৌশল,২০১২
ল্যানসিলটের এফপিজিএ ভিত্তিক মাইনিং বোর্ড, ২০১৩

একটি বন্টিত টাইমস্ট্যাম্প সার্ভারকে পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক হিসেবে তৈরি করার জন্য বিটকয়েন "প্রুফ অফ ওয়ার্ক নেটওয়ার্ক" ব্যবহার করে। এই কাজকে প্রায়শই বিটকয়েন মাইনিং বলা হয়। এক্ষেত্রে স্বাক্ষর দেয়া থাকে না ,বরং স্বাক্ষরটি খুঁজে বের করা হয়। এ প্রক্রিয়াটি শক্তির সাথে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। মাইনার পরিচালনার জন্য মোট খরচের ৯০ শতাংশের বেশি বিদ্যুতের জন্য ব্যয়িত হয়। চীনে মূলত বিটকয়েন মাইনিং এর জন্য স্থাপিত একটি তথ্যকেন্দ্র পরিচালনার জন্য সর্বোচ্চ ১৩৫ মেগাওয়াট পর্যন্ত ক্ষমতার প্রয়োজন হয়।

সাতোশি নাকামতো-র মূল উদ্ভাবন ছিল ব্লকচেইনের জন্য দরকারি স্বাক্ষর দেয়ার জন্য একটি প্রুফ অফ ওয়ার্ক বা কাজের প্রমাণের প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি করা। মাইনিং প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে একটি ব্লক চিহ্নিত করা, যা এসএইচএ-২৫৬ র সাথে বার দুয়েক হ্যাশ করা হলে প্রদত্ত কাঠিন্যের লক্ষ্যের তুলনায় ছোট সংখ্যার যোগান দেয়। যেখানে প্রয়োজনীয় গড় কাজের পরিমাণ কাঠিন্যের লক্ষ্যের বিপরীত অনুপাতে বৃদ্ধি পায়, সেখানে এক রাউন্ড দ্বৈত এসএইচএ-২৫৬ চালু করে সব সময়ই একটি হ্যাশকে যাচাই করা যায়।

বিটকয়েন টাইমস্ট্যাম্প নেটওয়ার্কের জন্য এক বার ব্যবহারযোগ্য যে কোন একটি সংখ্যার মান বৃদ্ধি করে বৈধ কাজের প্রমাণ পাওয়া যায়। যতক্ষণ পর্যন্ত ব্লকের হ্যাশকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক অগ্রগামী শূন্য বিট দেয়ার মত মান পাওয়া না যায়, সংখ্যার মান ততক্ষণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। একবার যখন হ্যাশ প্রক্রিয়াটি একটি বৈধ ফলাফল প্রদান করে, ব্লক কাজটি পুনরায় সম্পাদন করার আগ পর্যন্ত আর পরিবর্তিত হতে পারে না। পরে যখন ব্লকগুলো এর সাথে শৃঙ্খলিত হয়, পরবর্তী প্রতিটি ব্লক পরিবর্তন করার জন্য পুনরায় কাজ করতে হয়।

সবচেয়ে বড় চেইনটি দিয়ে বিটকয়েনে বেশিরভাগের ঐক্যমত্য প্রকাশ করা হয় আর এই চেইনটি তৈরি করার জন্য সর্বাধিক প্রচেষ্টার প্রয়োজন হয়। যদি ক্ষমতা পরিমাপের বেশির ভাগ অংশ সৎ নোড দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়, তাহলে সৎ চেইনের সংখ্যাও সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পাবে এবং তা যে কোন প্রতিযোগী চেইনকে ছাড়িয়ে যাবে। বিগত কোন ব্লককে পরিবর্তন করতে হলে, কোন আক্রমণকারীকে সেই ব্লক ও তার পরবর্তী সকল ব্লকের কাজের প্রমাণ অংশটি পুনরায় করতে হবে এবং সৎ নোডের কাজকে ছাপিয়ে যেতে হবে। পরবর্তীতে যতই ব্লক যোগ করা হয়, ততই ধীরগতির কোন আক্রমণকারীর পক্ষে এর সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারার সম্ভাব্যতা সূচকীয়ভাবে হ্রাস পায়।

অসুবিধা[সম্পাদনা]

বিটকয়েন মাইনিং একটি প্রতিযোগিতামূলক প্রয়াস। বিটকয়েন মাইন করতে ব্যবহৃত বিভিন্ন হ্যাশিং প্রযুক্তিগুলোর মাধ্যমে এক ধরনের "সেরা অস্ত্রশস্ত্র লাভের প্রতিযোগিতা" দেখা গিয়েছে। অনেক গেমিং কম্পিউটার, এফপিজিএ এবং এএসআইসিতে থাকা সাধারণ সিপিইউ, উচ্চতর জিপিইউব্যবহার করে স্বল্প বিশেষায়িত প্রযুক্তির লাভের পরিমাণ হ্রাস করা হয়। বিটকয়েনের জন্য বিশেষায়িত এএসআইসি এখন বিটকয়েন মাইনিং এর জন্য মৌলিক উপায়ে পরিণত হয়েছেএবং জিপিইউ-র গতিকে ৩০০ গুণেরও বেশি ছাড়িয়ে গেছে। যেহেতু বিট কয়েন মাইন করা আরও কঠিন হয়ে গেছে, কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো উচ্চগতির এএসআইসি পণ্যের বিক্রির হার বৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করছে।

মাইনার থেকে আয়ের মধ্যে ভিন্নতা কমানোর জন্য কম্পিউটারের ক্ষমতাকে প্রায়ই একসাথে জড়ো করা বা জমা ("পুলড") করা হয়। প্রতিটি মাইনিং রিগকে লেনদেন ও প্রদত্ত অর্থ গ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। অংশগ্রহণকারী সার্ভার প্রতিবার যখন একটি ব্লকের সমাধান করতে পারে, একটি পুলে অংশগ্রহণকারী সকল মাইনারকে অর্থ পরিশোধ করা হয়। সেই ব্লকটি খুঁজে পেতে প্রতিটি মাইনারের কাজের পরিমাণের ওপর ভিত্তি করে এই অর্থ দেয়া হয়। বিটকয়েন তথ্য কেন্দ্রগুলো সাধারণত লোকচক্ষুর বাইরে ও বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে, এছাড়া কম খরচে বিদ্যুৎ পাওয়া যায় এমন এলাকার চারদিকে কেন্দ্রগুলোর গুচ্ছাকারে থাকার প্রবণতাও দেখা যায়।

শক্তি খরচ[সম্পাদনা]

২০১৩ সালে, মার্ক গিমিন হিসাব করেন, বিদ্যুৎ খরচের পরিমাণ ৪০.৯ মেগাওয়াট (এক দিনে ৯৮২ মেগাওয়াট-ঘণ্টা ) হতে পারে। ২০১৪ সালে, হাস ম্যাকক্কের হিসেব মতে, এ খরচের পরিমাণ ৮০.৭ মেগাওয়াট (৮০,৬৬৬ কিলোওয়াট)। ২০১৫ সালে, দ্য ইকোনমিস্টের হিসাব অনুযায়ী, সব মাইনার যদি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ব্যবহারও করে,তারপরও সম্মিলিত বিদ্যুত খরচের পরিমাণ ১৬৬.৭ মেগাওয়াট (প্রতিবছর ১.৪৬ টেরাওয়াট-ঘণ্টা ) হতে পারে।

খরচ কমানোর জন্য, বিটকয়েন খনিগুলি আইসল্যান্ডের মতো স্থানে স্থাপন করা হয়েছে যেখানে ভূ-তাপীয় শক্তি সস্তায় এবং ঠান্ডা মেরুদেশীয় বায়ু বিনামূল্যে পাওয়া যায়। চীনা বিটকয়েন মাইনাররা বিদ্যুৎ খরচ কমানোর জন্য তিব্বতের জলবিদ্যুৎ শক্তি ব্যবহার করে থাকেন।

প্রক্রিয়া[সম্পাদনা]

অ্যাভ্যালন এএসআইসি ভিত্তিক মাইনিং মেশিন
ASICMINER ASIC-ভিত্তিক ইউএসবি মাইনিং ডিভাইস

বিটকয়েন মাইন করার প্রক্রিয়ার সার্বিক বিবরণ :

  1. নতুন লেনদেন সকল নোডগুলিতে সম্প্রচারিত হয়।
  2. প্রতিটি মাইনার নোড একটি ব্লকে নতুন লেনদেন জোগাড় করে।
  3. প্রতিটি মাইনার নোড তার ব্লক জন্য একটি কাজের প্রমাণের কোড খুঁজে পেতে কাজ করে।
  4. যখন একটি নোড একটি কাজের প্রমাণ খুঁজে পায়, এটি সমস্ত নোডগুলিতে ব্লক সম্প্রচার করে।
  5. নথি গ্রহণ সমস্ত লেনদেনকে বৈধ করে এবং সবগুলো লেনদেন বৈধ হলেই তা গৃহীত হয়।
  6. অনুমোদিত ব্লকের হ্যাশটি অন্তর্ভুক্ত করে এবং পরবর্তী ব্লকের কাজ শুরু করে নোডগুলো নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা প্রকাশ করে।

মাইন কৃত বিটকয়েন[সম্পাদনা]

বিটকয়েন লেনদেন কীভাবে যাচাই করা হয়, তা চিত্রে দেখানো হল

রীতি অনুযায়ী, ব্লকের প্রথম লেনদেনটি বিশেষ ধরনের হয় যা ব্লকের মালিকের মালিকানায় থাকা নতুন বিটকয়েনগুলো উৎপাদন করে। এটি নেটওয়ার্ককে সমর্থন দিতে নোডের জন্য প্রণোদনা হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি নতুন বিটকয়েনগুলো সঞ্চালনের পথও দেখায়। প্রতি ২১০,০০০০ ব্লক পর মাইনিং এর পুরস্কারের পরিমাণ অর্ধেক হয়ে যায়। ৫০ বিটকয়েন থেকে এর যাত্রা শুরু হয়েছিল, ২০১২ শেষভাগে তা কমে ২৫ হয়ে যায় এবং ২০১৬ সালে ১২.৫ বিটকয়েনে পৌঁছায়।[৬] নতুন বিটকয়েন তৈরি শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ৬৪ বার চালানোর জন্য এই অর্ধেক করার প্রক্রিয়াটি চলতে থাকে।

নিরাপত্তা[সম্পাদনা]

বিটকয়েন নেটওয়ার্কে বিভিন্ন সম্ভাব্য আক্রমণ এবং অর্থপ্রদানের পদ্ধতি হিসাবে এর বাস্তব বা তাত্ত্বিক ব্যবহার বিবেচনা করা হয়েছে। বিটকয়েন প্রোটোকলের এমন কয়েকটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা অননুমোদিত খরচ, দ্বিগুণ খরচ, বিটকয়েন জালিয়াতি এবং ব্লকচেইন টেম্পারিং এর মত অনাহূত আক্রমণকে প্রতিহত করতে পারে। অন্যান্য আক্রমণ, যেমন ব্যক্তিগত চাবি চুরির ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের যথেষ্ট সতর্কতা প্রয়োজন।[৭][৮]

অননুমোদিত ব্যয়[সম্পাদনা]

পাবলিক-প্রাইভেট কী ক্রিপ্টোগ্রাফি বাস্তবায়নের মাধ্যমে অননুমোদিত ব্যয়ের পরিমাণ হ্রাস করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, যখন এলিস ববকে বিটকয়েন পাঠায়, তখন বব বিটকয়েনের নতুন মালিক হয়। ইভ নামের কেউ যদি লেনদেনটি দেখতে পায়, সে হয়তো ববের প্রাপ্ত বিটকয়েনগুলো খরচ করতে চাইতে পারে, কিন্তু প্রাইভেট কী না জানা থাকলে সে এই লেনদেনে স্বাক্ষর করতে পারবে না।[৮]

দ্বৈত ব্যয়[সম্পাদনা]

ইন্টারনেটের অর্থ পরিশোধ ব্যবস্থাকে যে সমস্যাটি অবশ্যই সমাধান করতে হয় তা হল "দ্বৈত ব্যয়", যেখানে একজন ব্যবহারকারী একই বিটকয়েন দুই বা ততোধিক গ্রাহককে দিয়ে থাকেন। উদাহরণস্বরূপ, এ ধরনের সমস্যা তৈরি হবে যদি ইভ একই বিটকয়েন প্রথমে এলিস আর পরে ববকে পাঠায়। দ্বিগুণ ব্যয়ের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে বিটকয়েন নেটওয়ার্ক সকল বিটকয়েন লেনদেন একটি খতিয়ান (ব্লকচেইন)-এ রেকর্ড করে যা সকল ব্যবহারকারীর কাছে দৃশ্যমান হয় এবং নিশ্চিত করে- লেনদেনকৃত বিটকয়েনগুলো আগে কখনো ব্যয়িত হয় নি।[৮]:

রেস আক্রমণ[সম্পাদনা]

যদি ইভ এলিসকে কোন পণ্যের বিনিময়ে টাকাপয়সা দেয় এবং সেজন্য লেনদেনের চুক্তি স্বাক্ষরও করে থাকে, এর মধ্যে একই সময়ে একই বিটকয়েন সে ববকেও পাঠানোর জন্য লেনদেনের ব্যবস্থা করতে পারে। নিয়ম অনুযায়ী, নেটওয়ার্ক কেবল একটি লেনদেনই গ্রহণ করবে। একে "রেস আক্রমণ" বলা হয়, কারণ এখানে কোন লেনদেনটি আগে গৃহীত হবে,সে ব্যাপারে দৌড় প্রতিযোগিতা হয়। এলিস চুক্তির এই শর্ত আরোপ করে রেস আক্রমণের ঝুঁকি কমাতে পারে যে, ব্লকচেইনে ইভের পেমেন্ট দৃশ্যমান হওয়ার আগ পর্যন্ত সে পণ্য সরবরাহ করবে না।[৯]

একটি ভিন্ন ধরনের রেস আক্রমণ (যাকে হাল ফিনি-র রেফারেন্স অনুসারে ফিনি আক্রমণ বলা হয়)-এর বেলায় একটি মাইনারের প্রয়োজন হয়। নেটওয়ার্কে (একই কয়েন দিয়ে বব ও এলিস) উভয়কে অর্থ পরিশোধের অনুরোধ পাঠানোর বদলে,ইভ নেটওয়ার্কের কাছে শুধু এলিসকে অর্থ পরিশোধের ব্যাপারে অনুরোধ জানায়, কিন্তু এদিকে এমন একটি ব্লক মাইন করার চেষ্টা করে যা এলিসের পরিবর্তে ববের পেমেন্টকে অন্তর্ভুক্ত করে। এক্ষেত্রে ভালোই সম্ভাবনা আছে যে প্রতারক মাইনার নেটওয়ার্ক কর্তৃক এলিসের পেমেন্ট প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পূর্বেই নিজের এ অপকর্ম হাসিল করে ফেলবে। ব্লকচেইনে নিজের পেমেন্ট অন্তর্ভুক্ত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে এলিস সাধারণ রেস আক্রমণের মত ফিনি অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমাতে পারে।[১০]

ইতিহাস পরিবর্তন[সম্পাদনা]

ব্লকচেইনে যোগ হওয়া প্রতিটি ব্লকের শুরুতে প্রদত্ত লেনদেনের তথ্য সংবলিত একটি ব্লক থাকে যাকে উক্ত লেনদেনের অনুমোদন বলা হয়। আদর্শ ক্ষেত্রে, পেমেন্ট সম্পন্ন হয়ে গেছে ধরে নেয়ার আগে বিটকয়েনের মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহণ করা ব্যবসায়ী ও পরিষেবাগুলোকে নেটওয়ার্কে বন্টিত অন্তত একটি অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করা উচিত। কোন ব্যবসায়ী যত বেশি অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করবেন, কোন আক্রমণকারীর জন্য ব্লকচেইনের লেনদেন বিপরীতমুখী করাও তত কঠিন হয় - যদি না আক্রমণকারী মোট নেটওয়ার্ক ক্ষমতার অর্ধেকের বেশি বাগে এনে ফেলে অর্থাৎ ৫১% আক্রমণ করে ফেলে।[১১]

ক্লায়েন্টদের ডিঅ্যানোনিমাইজেশন[সম্পাদনা]

ডাটা মাইনিং-এর ক্ষেত্রে ডিঅ্যানোনিমাইজেশন হল এমন একটি কৌশল যার মাধ্যমে বেনামী তথ্যের সূত্র পুনঃচিহ্নিত করার জন্য উক্ত বেনামী উপাত্তকে অন্যান্য তথ্য সূত্রের সাথে মিলিয়ে দেখা হয়। লেনদেনের গ্রাফ বিশ্লেষণ (যা বিটকয়েনের ছদ্মনামী ঠিকানাগুলোর মধ্যে সংযোগ প্রকাশ করে দিতে পারে)[৭][১২]-এর পাশাপাশি ব্যবহারকারীর ছদ্মনামকে তার আইপি ঠিকানার সাথে সংযুক্ত করে দিতে পারে এমন আক্রমণও হতে পারে।[১৩] যদি পিয়ার সংযোগটি "টর" ব্যবহার করে,এমন এক পদ্ধতিতে আক্রমণ করা হয় যেন টর নেটওয়ার্ক থেকে পিয়ারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তারপর পরবর্তী যে কোন লেনদেনের জন্য তাদের প্রকৃত আইপি ঠিকানা ব্যবহার করতে বাধ্য করে। এ ধরনের আক্রমণ বিটকয়েনের পিয়ার ঠিকানা ও অ্যান্টি-ডজ প্রোটেকশন সম্প্রচারের পদ্ধতিরও অসদ্ব্যবহার করতে পারে। একটি সম্পূর্ণ বিটকয়েন নেটওয়ার্কে আক্রমণের জন্য প্রতি মাসে €১৫০০ এর চেয়ে কম খরচ পড়ে।

পেমেন্ট যাচাই[সম্পাদনা]

একটি ব্লকে কোন লেনদেন থাকবে না থাকবে না তা প্রতিটি মাইনার নির্ধারণ করতে পারেন।[১৪] একটি ব্লকে বেশি মাত্রায় লেনদেনের সংখ্যা ওই ব্লকটি সমাধান করতে প্রয়োজনীয় বেশি মাত্রার কম্পিউটেশনাল ক্ষমতার সমান হয় না।

একটি নতুন লেনদেনের তথ্য পাওয়ার পর একটি নোডকে অবশ্যই তা যাচাই করতে হয়; বিশেষ করে লেনদেনের কোন ইনপুট আগে কখনো খরচ হয় নি সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হয়। অতঃপর ব্লকচেইনে ঢোকার জন্য প্রয়োজনীয় নোডগুলোকেও যাচাই করে দেখতে হয়। কোন ব্যবহারকারী যদি তার নেটওয়ার্কের প্রতিবেশীদের ওপর ভরসা রাখতে না পারেন, তবে তার অবশ্যই ব্লকচেইনের পূর্ণ অনুলিপি রেখে দেয়া উচিত, যেন যে কোন ইনপুট যাচাই করা সম্ভব হয়।

নাকামতো-র শ্বেতপত্রে যেমনটি লেখা রয়েছে- একটি পূর্ণ নেটওয়ার্ক নোড না চালিয়েও বিটকয়েন পেমেন্ট যাচাই করা সম্ভব (যাকে সরলীকৃত পেমেন্ট যাচাই বলা হয়)। এ পদ্ধতিতে একজন ব্যবহারকারীর দীর্ঘতম চেইনের ব্লক হেডারগুলোর শুধু একটি অনুলিপি দরকার হয়- যা দীর্ঘতম চেইনটি পাওয়ার আগ পর্যন্ত নেটওয়ার্ক নোড অনুসন্ধান করে পাওয়া যায়। তারপর নির্ধারিত ব্লকে লেনদেনকে সংযুক্ত করে মার্কল শাখা পাওয়া যায়। চেইনের কোন জায়গায় লেনদেনটি সংযুক্ত করতে পারলে বোঝা যায়, নেটওয়ার্ক নোড এটি গ্রহণ করেছে এবং এর পরবর্তীতে যোগ করা ব্লকগুলো এ ব্যাপারে আরও নিশ্চয়তা দেয়।

ব্লকচেইনের উপাত্ত[সম্পাদনা]

ব্লকচেইনে যে কোন ডিজিটাল ফাইল সংরক্ষণ করা সম্ভব- লেনদেনের আকার যত বড় হয়, সংশ্লিষ্ট ফি-র পরিমাণ তত বেশি হয়।[১৫] বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী - ইউআরএল থেকে শিশু পর্ণোগ্রাফি, বেন বারন্যাঙ্ক এর এএসসিআইআই আর্ট ইমেজ, উইকিলিকস ক্যাবলের কোন সামগ্রী, বিটকয়েন মাইনারদের প্রার্থনা এবং অরিজিনাল বিটকয়েনের শ্বেতপত্র এর মাঝে নিহিত থাকতে পারে।[১৬]

অপরাধমূলক কার্যকলাপ[সম্পাদনা]

অপরাধীদের বিটকয়েন ব্যবহারের বিষয়টি অর্থ নিয়ন্ত্রক, আইন প্রণয়নকারী ও প্রয়োগকারী সংস্থা ও গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।[১৭] এ ব্যাপারে এফবিআই একটি গোয়েন্দা মূল্যায়ন তৈরি করেছে, এসইসি ভার্চুয়াল মুদ্রা ব্যবহার করে করা বিনিয়োগ পদ্ধতির ব্যাপারে সতর্কতামূলক বার্তা জারি করেছে এবং মার্কিন সিনেটে ২০১৩ সালের নভেম্বরে ভার্চুয়াল মুদ্রার ওপর একটি শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[১৮]

বেশ কয়েকটি সংবাদ সংস্থা দাবি করেছে, বিটকয়েনের জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে অবৈধ পণ্য কেনাকাটা করার সুযোগও বেড়ে গেছে।[১৯][২০] ২০১৪ সালে, ইউনিভারসিটি অফ ক্যানটাকি-র গবেষকরা "এ ব্যাপারে জোরালো প্রমাণ খুঁজে পান যে, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এ উৎসাহ ও অবৈধ কর্মকাণ্ড বিটকয়েনের প্রতি আকর্ষণ বাড়ায়। রাজনৈতিক ও বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে বিটকয়েন ব্যবহারের ব্যাপারে তারা সীমিত বা শূন্যমাত্রার সমর্থন খুঁজে পেয়েছেন।"[২১]

কালো বাজার[সম্পাদনা]

একজন সিএমইউ গবেষকের হিসেব মতে, ২০১২ সালে, বিশ্বজুড়ে মাদক ব্যবসার ৪.৫% থেকে ৯% লেনদেনসিল্ক রোড একটি একক ওয়েব ড্রাগ মার্কেটে পরিচালিত হয়। কালো বাজারি সাইটগুলির বিরুদ্ধে শিশু পর্নোগ্রাফি, ভাড়াটে খুনি এবং অস্ত্র বিট কয়েনের মাধ্যমে কেনাবেচার অভিযোগ রয়েছে । সাইটগুলো বেনামী হওয়ায় এবং এই বাজারে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ অভাবে, এই পরিষেবাগুলি সত্যিই বাস্তব নাকি বিট কয়েন নেয়ার ধান্ধা তা জানা কঠিন হয়ে পড়ে।[২২]

বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু ডিপ ওয়েবের কালোবাজার বন্ধ করে দিয়েছে। ২০১৩ সালে মার্কিন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সিল্ক রোড বন্ধ করে দেয়- এর ফলে বিটকয়েনের মূল্য স্বল্প সময়ের জন্য হ্রাস পায়।[২৩][২৪][২৫] ২০১৫ সালে, সাইটটির প্রতিষ্ঠাতাকে আজীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই বিকল্প সাইটগুলো উপলব্ধ হয়ে পড়ে, যে কারণে ২০১৪ সালের প্রথমভাগে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন রিপোর্ট করে যে, সিল্ক রোড বন্ধ হওয়ায় অস্ট্রেলিয়ানদের অনলাইন মাদক ব্যবসায় সামান্য প্রভাবই পড়েছে, বরঞ্চ মাদক বিক্রির পরিমাণ বেড়েই গেছে। ২০১৪ সালের প্রথমভাগে, ডাচ কর্তৃপক্ষ অবৈধ পণ্যের অনলাইন বাজার, ইউটোপিয়া বন্ধ করে দেয় এবং ৯০০ বিটকয়েন বাজেয়াপ্ত করে। ২০১৪ সালের শেষভাগে, একটি যৌথ পুলিশি অভিযান শেষে দেখা যায়, ইউরোপ ও আমেরিকা-র কর্তৃপক্ষ অনেক বিটকয়েন বাজেয়াপ্ত করেছে এবং অবৈধ পণ্যের বাজার সিল্ক রোড ২.০ সহ ৪০০ ডিপ ওয়েব সাইট বন্ধ করে দিয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর এ ধরনের তৎপরতার ফলে বেশ কিছু অপরাধীকে সাজা দেয়া হয়। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে, মাদক কেনাবেচার সাইট সিল্ক রোডে ১ মিলিয়ন ডলার পাঠাতে পরোক্ষভাবে সাহায্য কোঁড়ার জন্য চার্লি শ্রেমকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে, সিল্ক রোডের প্রতিষ্ঠাতা রস উলব্রিচ মাদক কেনাবেচার দায়ে অভিযুক্ত হন- তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।[২৬]

কিছু কালো বাজার খদ্দেরদের কাছ থেকে বিটকয়েন চুরির পাঁয়তারা করতে পারে। বিটকয়েন কমিউনিটি শিপ মার্কেটপ্লেস নামের একটি সাইটকে জালিয়াত হিসেবে চিহ্নিত করে। এ সাইটটি বিটকয়েন চুরির অভিযোগ ওঠার পর বিটকয়েন তুলে হওয়ার পথ রুদ্ধ করে ও বন্ধ হয়ে যায়। একটি পৃথক ঘটনায়, ২০১৪ সালের প্রথমভাগে, বিভিন্ন কালো বাজারের পৃষ্ঠপোষকদের মালিকানায় থাকায় বিটকয়েনের এসক্রো একাউন্টগুলো হ্যাক হয়ে যায়।[২৭]

একটি যুক্তরাজ্য ভিত্তিক দাতব্য সংস্থা, ইন্টারনেট ওয়াচ ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন অনুসারে, শিশু পর্ণোগ্রাফি কেনাবেচায় বিটকয়েন ব্যবহার করা হয়, প্রায় ২০০ টির মত ওয়েবসাইট পেমেন্টের মাধ্যম হিসেবে বিটকয়েন গ্রহণ করে। তবে বিটকয়েনই অনলাইনে শিশু পর্ণোগ্রাফি কেনাবেচার একমাত্র মাধ্যম নয়। এ ব্যাপারে ইউরোপোলের সাইবার অপরাধ ইউনিটের প্রধান ট্রয়েলস ওয়েরটলিং বলেন, "ইউক্যাশ ও পেসেফকার্ড...এগুলোও এ ধরনের সামগ্রীর জন্য অর্থ পরিশোধ করতে ব্যবহৃত হয়।" তবে ইন্টারনেট ওয়াচ ফাউন্ডেশন প্রায় ৩০ টি সাইটের তালিকা করেছে যারা শুধু বিটকয়েনই গ্রহণ করে। এদের মধ্যে কিছু সাইট বন্ধ হয়ে গেছে, যার মধ্যে রয়েছে ডিপ ওয়েবের একটি ক্রাউডফান্ডিং ওয়েবসাইট যা নতুন শিশু পর্ন তৈরির জন্য অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্য ঠিক করেছিল। অধিকন্তু, যখন লেনদেন করা হয়, তখন অবাধ উপাত্ত হিসেবে ব্লকচেইনে শিশু পর্ন ওয়েবসাইটের হাইপারলিংকও যোগ করা হয়।[২৮][২৯]

মানি লন্ডারিং[সম্পাদনা]

বিট কয়েন হয়তো মানি লন্ডারিং জন্য আদর্শ নয় , কারণ এতে সমস্ত লেনদেন প্রকাশ্যে করা হয়।[৩০] বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ যেমন- ইউরোপীয় ব্যাংকিং কর্তৃপক্ষ, এফবিআই এবং জি সেভেন এর ফাইন্যান্স অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বিট কয়েন অর্থপাচার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।২০১৪ সালের প্রথমভাগে, মার্কিন বিটকয়েন এক্সচেঞ্জের অপারেটর চার্লি শ্রেমকে মানি লন্ডারিং এর জন্য গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে "লাইসেন্সবিহীন অর্থ প্রেরণ ব্যবসায় সহায়তা ও মদদ দেয়ার" অভিযোগে তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই বিটিসি-ই-এর তথাকথিত মালিক অ্যালেক্সান্ডার ভিনিক-কে মার্কিন মানি লন্ডারিং বিরোধী আইন অমান্য করে ৪ বিলিয়ন ডলার মানি লন্ডারিং করার অভিযোগে গ্রীসে গ্রেফতার করা হয়। যুক্তরাজ্যের কোষাগার ও স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে "যুক্তরাজ্যের মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসী অর্থায়নের ঝুঁকির মূল্যায়ন" নামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ পায়, মানি লন্ডারিং-এ বিট কয়েন ব্যবহারের ঝুঁকি সবচেয়ে কম আর ব্যাংকগুলোর হিসেবে মানি লন্ডারিং-এর সবচেয়ে প্রচলিত উপায় হিসেবে এর ব্যবহার রয়েছে।"[৩১]

পনজী প্রকল্প[সম্পাদনা]

বিট কয়েন ব্যবহার করে করা একটি পনজী প্রকল্প বা ভুয়া ফন্দি করে ২০১১ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের সপ্তাহে ৭ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় ৭ লাখ বিট কয়েন সংগ্রহ করা হয়। জুলাই, ২০১৩ তে মার্কিন নিরাপত্তা ও বিনিময় কমিশন কোম্পানি ও এর প্রতিষ্ঠাতাকে " বিট কয়েনের পনজী প্রকল্পে বিনিয়োগকারীদের সাথে প্রতারণা"-র দায়ে অভিযুক্ত করে। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে বিচারক বিটকয়েন সেভিংস অ্যান্ড ট্রাস্ট এবং তার মালিককে ৪০ মিলিয়ন ডলার জরিমানা করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Charts"Blockchain.info। ৩ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১৪ 
  2. Nakamoto, Satoshi। "Questions about Bitcoin"। bitcointalk.org 
  3. Nakamoto, Satoshi (২৪ মে ২০০৯)। "Bitcoin: A Peer-to-Peer Electronic Cash System" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১২ 
  4. Barber, Simon; Boyen, Xavier; Shi, Elaine & Uzun, Ersin (২০১২)। "Bitter to Better – how to make Bitcoin a better currency" (পিডিএফ)Financial Cryptography and Data SecuritySpringer Publishing 
  5. Dean, Andrew (১৪ আগস্ট ২০১৪)। "Online Gambling Meets Bitcoin"। ১০ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১৪ 
  6. Jacob Donnelly (১২ জুন ২০১৬)। "What is the 'Halving'? A Primer to Bitcoin's Big Mining Change"CoinDesk। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০১৭ 
  7. Ron Dorit; Adi Shamir (২০১২)। "Quantitative Analysis of the Full Bitcoin Transaction Graph" (পিডিএফ)। Cryptology ePrint Archive। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১২ 
  8. Jerry Brito & Andrea Castillo (২০১৩)। "Bitcoin: A Primer for Policymakers" (পিডিএফ)Mercatus Center। George Mason University। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০১৩ 
  9. Erik Bonadonna (২৯ মার্চ ২০১৩)। "Bitcoin and the Double-spending Problem"। Cornell University। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০১৪ 
  10. Karame, Ghassan O.; Androulaki, Elli; Capkun, Srdjan (২০১২)। "Two Bitcoins at the Price of One? Double-Spending Attacks on Fast Payments in Bitcoin" (পিডিএফ)। International Association for Cryptologic Research। সংগ্রহের তারিখ ২২ অক্টোবর ২০১৪ 
  11. Michael J. Casey; Paul Vigna (১৬ জুন ২০১৪)। "Short-Term Fixes To Avert "51% Attack""Money Beat। Wall Street Journal। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১৪ 
  12. Reid, Fergal; Harrigan, Martin (২০১৩)। "An Analysis of Anonymity in the Bitcoin System"। Security and Privacy in Social Networks: 197–223। 
  13. Biryukov, Alex; Khovratovich, Dmitry; Pustogarov, Ivan (২০১৪)। "Deanonymisation of clients in Bitcoin P2P network"ACM Conference on Computer and Communications Security। ২২ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৮ 
  14. Houy, N. (২০১৬)। "The Bitcoin Mining Game"Ledger1 (0): 53–68। ডিওআই:10.5195/ledger.2016.13। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০১৭ 
  15. "How much will the transaction fee be?"। Bitcoinfees.com। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৪ 
  16. "How porn links and Ben Bernanke snuck into Bitcoin's code"CNN Money। CNN। ২ মে ২০১৩। 
  17. Lavin, Tim (৮ আগস্ট ২০১৩)। "The SEC Shows Why Bitcoin Is Doomed"bloomberg.com। Bloomberg LP। ২৫ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১৩ 
  18. Lee, Timothy B. (২১ নভেম্বর ২০১৩)। "Here's how Bitcoin charmed Washington"The Washington Post। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৬ 
  19. "Monetarists Anonymous"The Economist। The Economist Newspaper Limited। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৩ 
  20. Ball, James (২২ মার্চ ২০১৩)। "Silk Road: the online drug marketplace that officials seem powerless to stop"theguardian.com। Guardian News and Media Limited। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০১৩ 
  21. Matthew Graham Wilson & Aaron Yelowitz (নভেম্বর ২০১৪)। "Characteristics of Bitcoin Users: An Analysis of Google Search Data"। Social Science Research Network। Working Papers Series। এসএসআরএন 2518603অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  22. Alex, Knapp (১৯ জানুয়ারি ২০১৫), "Faking Murders And Stealing Bitcoin: Why The Silk Road Is The Strangest Crime Story Of The Decade", Forbes, সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৬ 
  23. Andy Greenberg (২৩ অক্টোবর ২০১৩)। "FBI Says It's Seized $28.5 Million In Bitcoins From Ross Ulbricht, Alleged Owner Of Silk Road" (blog)। Forbes.com। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১৩ 
  24. Kelion, Leo (১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪)। "Five arrested in Utopia dark net marketplace crackdown"bbc.co.uk। BBC। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  25. Alex Hern (৩ অক্টোবর ২০১৩)। "Bitcoin price plummets after Silk Road closure"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৪Digital currency loses quarter of value after arrest of Ross Ulbricht, who is accused of running online drugs marketplace 
  26. "Ross Ulbricht: Silk Road creator convicted on drugs charges"। BBC। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  27. "Silk Road 2 loses $2.7m in bitcoins in alleged hack"BBC News। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  28. Hopkins, Curt (৭ মে ২০১৩)। "If you own Bitcoin, you also own links to child porn"The Daily Dot। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ 
  29. Bradbury, Danny। "As Bitcoin slides, the Blockchain grows"। IET Engineering and Technology Magazine। ৩০ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  30. Kirk, Jeremy (২৮ আগস্ট ২০১৩)। "Bitcoin offers privacy-as long as you don't cash out or spend it"PC World। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৪ 
  31. "UK national risk assessment of money laundering and terrorist financing" (পিডিএফ)। UK HM Treasury and Home Office। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০১৬