বিজয়কৃষ্ণ গার্লস’ কলেজ

স্থানাঙ্ক: ২২°৩৫′০০.১৬″ উত্তর ৮৮°২০′০৫.৬১″ পূর্ব / ২২.৫৮৩৩৭৭৮° উত্তর ৮৮.৩৩৪৮৯১৭° পূর্ব / 22.5833778; 88.3348917
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিজয়কৃষ্ণ গার্লস' কলেজ
ধরনসাধারণ
স্থাপিত১ আগস্ট ১৯৪৭; ৭৬ বছর আগে (1 August 1947)
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
সভাপতিশ্রী অরূপ রায়
অধ্যক্ষড. রুমা ভট্টাচার্য
ঠিকানা
৫/৩, মহাত্মা গান্ধি রোড, বিএইচএনএস, হাওড়া রেলওয়ে স্টেশন, কদমতলা
, , ,
২২°৩৫′০০.১৬″ উত্তর ৮৮°২০′০৫.৬১″ পূর্ব / ২২.৫৮৩৩৭৭৮° উত্তর ৮৮.৩৩৪৮৯১৭° পূর্ব / 22.5833778; 88.3348917
শিক্ষাঙ্গনশহর
ওয়েবসাইটhttps://bkgc.in/
মানচিত্র

বিজয়কৃষ্ণ গার্লস' কলেজ হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হাওড়া শহরের একটা মহিলা কলেজ। এই কলেজ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত এবং এখান থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এটা হাওড়া জেলার একমাত্র গার্লস' কলেজ। অতীতে এই কলেজের নাম ছিল হাওড়া গার্লস' কলেজ। বর্তমানে এই কলেজে ২৭টা প্রাক-স্নাতক এবং পাশাপাশি ৫টা স্নাতকোত্তর বিভাগে পঠন-পাঠন চালু আছে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১ আগস্ট বিজয়কৃষ্ণ ভট্টাচার্য মহিলাদের জন্যে উচ্চশিক্ষা প্রচার এবং প্রদানের উদ্দেশ্যে এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন[১]; কেননা, মহিলাদেরকে উজ্জীবিত করার আসল পদ্ধতি হল শিক্ষা। এই কলেজের লক্ষ্য হল "সা বিদ্যা যা বিমুক্তয়ে" (লার্নিং লিডস টু ইম্যান্সিপেশন)। একাধিক কবি এবং লেখক এই কলেজকে আলোকিত করেছেন। স্বনামধন্য বাঙালি কবি জীবনানন্দ দাশ এবং প্রখ্যাত বাঙালি ঔপন্যাসিক বাণী বসু উভয়েই এই কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। বিজয়কৃষ্ণ ভট্টাচার্য একজন অধ্যাপক এবং এক নামি স্বাধীনতা সংগ্রামীও ছিলেন, পরবর্তীতে তিনি একজন সমাজসেবী হয়েছিলেন। ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দের ১৯ মে বিজয়কৃষ্ণ ভট্টাচার্যের জন্ম হয় এবং ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ১৮ সেপ্টেম্বর তাঁর জীবনাবসান হয়।

বিজয়কৃষ্ণ ভট্টাচার্যের মূর্তি

অবস্থান[সম্পাদনা]

বিজয়কৃষ্ণ গার্লস' কলেজ হাওড়া জংশন রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এবং শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। পবিত্র গঙ্গা নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত হাওড়া শহরকে কলকাতা শহরের যমজ বলা হয়। ভাগিরথী-হুগলি নদী, ঐতিহ্যগতভাবে যাকে 'গঙ্গা' অথবা গ্যাঞ্জেস বলা হয়, সেই নদী কলেজের খুবই কাছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নতুন সচিবালয় নবান্ন (ভবন) হাওড়া শহরে অবস্থিত, সেটাও কলেজের কাছাকাছি।

যোগাযোগ ও পরিবহন[সম্পাদনা]

কলকাতা শহর এবং ভারত-এর অন্যান্য অংশের সঙ্গে এই কলেজের রেলপথ ও স্থলপথের মাধ্যমে যোগাযোগের সুব্যবস্থা আছে। হাওড়া ফেরি ঘাট থেকে লঞ্চ সার্ভিসের যোগাযোগও ভালো। সবচেয়ে নিকটবর্তী রেলওয়ে স্টেশন হল হাওড়া জংশন রেলওয়ে স্টেশনশিয়ালদহ রেলওয়ে স্টেশন, সাঁতরাগাছি রেলওয়ে স্টেশন এবং কলকাতা রেলওয়ে স্টেশন থেকেও সহজে এখানে আসা যায়। কলেজ থেকে হাঁটা পথে কলকাতা ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো অথবা কলকাতা মেট্রো লাইন ২, যেটা অল্প সময়ের মধ্যে চালু হয়ে যাবে। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হল কাছাকাছি বিমানবন্দর। হাঁটাপথেই পড়ে হাওড়া ময়দান বাস স্ট্যান্ড। কলেজের পাশ দিয়েই গিয়েছে বঙ্কিম সেতু উড়ালপুল, কলেজের সঙ্গে সংযুক্ত এই সেতু থেকেও কলকাতা এবং হাওড়া জেলার বাকি অংশে যাওয়ার জন্যে বাস পাওয়া যায়।[২]

স্বীকৃতি[সম্পাদনা]

কলেজগুলোর সম্ভাব্য উৎকর্ষতার (ইউজিসি-সিপিই) অবস্থা অনুযায়ী বিজয়কৃষ্ণ গার্লস' কলেজ জাতীয় শিক্ষক শিক্ষা পরিষদ (এনসিটিএ) অনুমোদিত এবং জাতীয় মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি পরিষদ (ন্যাক) দ্বারা স্বীকৃত। এটি একটি ISO 9001:2015 স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান।

২০২১ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি পরিষদ (ন্যাক) দ্বারা এই কলেজ 'বি++' গ্রেডসহ পুনরায় স্বীকৃতি লাভ করেছে।[৩]

সুযোগ-সুবিধে[সম্পাদনা]

বিজয়কৃষ্ণ গার্লস' কলেজের সুযোগ-সুবিধের মধ্যে আছে: একটা গ্রন্থাগার এবং কম্পিউটার পরীক্ষাগার, জাতীয় সেবা প্রকল্প (এনএসএস) ইউনিট, অ্যাকাডেমি অফ কম্পিটিটিভ এগজামিনেশন ইউনিট, কর্মমুখী বাড়তি পাঠক্রম, কর্মযোগ ইউনিট, কন্যাশ্রী প্রকল্প, নিজস্ব জিমন্যাসিয়াম, ইকো-ক্লাব এবং আরো অনেক কিছু। 'আলো' (ইংরেজি: দ্য লাইট) নামে কলেজের একটা মানসিক পরামর্শদান কেন্দ্রও আছে। কলেজের নিজস্ব মহিলা ছাত্রীনিবাস হল 'বনলতা'(বাংলা কবিতা বনলতা সেন থেকে অনুপ্রাণিত) এবং এক সুসজ্জিত মিলনায়তন 'জীবনানন্দ সভাঘর'। এই কলেজে একটা ইন্দিরা গান্ধি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (আইজিএনওইউ) অধ্যয়ন কেন্দ্র আছে।[৪] কলেজের দুটো সুস্বাস্থ্যসম্মত ক্যান্টিন, চা পিয়াসীদের জন্যে এক ক্যাফেটারিয়া সমেত একটা চা ক্লাব আছে।

এই কলেজে যেসব শিক্ষার্থী তাদের নিয়মিত প্রাক-স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পাঠক্রমের পাশাপাশি অসংখ্য ইউজিসি-পৃষ্ঠপোষিত পেশাভিত্তিক বাড়তি ডিপ্লোমা পাঠক্রমে পড়তে চায় সেই ব্যবস্থা চালু আছে, যেমন: ই-কমার্স; কম্পিউটার ডেটা কেয়ার ম্যানেজমেন্ট; ইন্ডাস্ট্রিয়াল মাইক্রোবায়োলজি; ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন; পেশা পরামর্শদান; ক্রিয়ামূলক ইংরেজি; বিমা পরিচালনা।

'পুনর্নব' নামে কলেজের একটা শক্তিশালী এবং নামকরা প্রাক্তনী সমিতি আছে, যেখানে বিভিন্ন উপলক্ষ্যে নানা কার্যক্রমের ব্যবস্থা এবং সেখানে অধিক সংখ্যায় প্রাক্তনী সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।

প্রাক-স্নাতক বিভাগসমূহ[সম্পাদনা]

শিক্ষক শিক্ষণ[সম্পাদনা]

বিজয়কৃষ্ণ গার্লস' কলেজের বিএড (ব্যাচেলর অফ এডুকেশন) বিভাগ চালু হয় ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দের ১৯ জুন।[৫]

বিজ্ঞান[সম্পাদনা]

  • উদ্ভিদবিজ্ঞান
  • রসায়ন
  • কম্পিউটার বিজ্ঞান
  • অর্থনীতি
  • ইলেক্টনিক্স
  • পরিবেশ বিজ্ঞান
  • ভূবিজ্ঞান
  • গণিতশাস্ত্র
  • অণুজীববিজ্ঞান
  • পদার্থবিজ্ঞান
  • মনোবিদ্যা
  • রাশিবিজ্ঞান
  • প্রাণিবিজ্ঞান

বাণিজ্য[সম্পাদনা]

১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দের ২৪ সেপ্টেম্বর কলেজের বাণিজ্য বিভাগ চালু হয়। বাণিজ্য বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান ছিলেন অধ্যাপক উদয়চাঁদ মাজি।[৬]

  • হিসাবশাস্ত্র

কলাবিদ্যা[সম্পাদনা]

  • বাংলা
  • ইংরেজি
  • হিন্দি
  • উর্দু
  • শিক্ষাবিজ্ঞান
  • ইতিহাস
  • সাংবাদিকতা ও গণ জ্ঞাপন
  • মিউজিক
  • দর্শন
  • রাষ্ট্রবিজ্ঞান
  • সংস্কৃত
  • সমাজতত্ত্ব

স্নাতকোত্তর বিভাগসমুহ[সম্পাদনা]

  • ভূবিজ্ঞান (এমএসসি/এমএ)
  • দর্শন (এমএ)
  • সংস্কৃত (এমএ)
  • বাংলা (এমএ)
  • বাণিজ্য (এমকম)

উল্লেখযোগ্য শিক্ষকগণ[সম্পাদনা]

উল্লেখযোগ্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "History"। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০২০ 
  2. "Bijoy Krishna Girls College, Howrah | NCTE approved NAAC B++ accredited College with CPE status"bkgc.in। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০২০ 
  3. "West Bengal State List of NAAC Accredited Colleges"। ১৫ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০২০ 
  4. IGNOU Study Centres under Kolkata, সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০১২ 
  5. "BIJOY KRISHNA GIRLS' COLLEGE B.ED. SECTION"bkgc.in। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০২০ 
  6. "Bijoy Krishna Girls College, Howrah | NCTE approved NAAC B++ accredited College with CPE status"bkgc.in। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০২০ 

বহির্সংযোগসমূহ[সম্পাদনা]