বাস্তিলের বিক্ষোভ

স্থানাঙ্ক: ৪৮°৫১′১১″ উত্তর ২°২২′০৯″ পূর্ব / ৪৮.৮৫৩০৬° উত্তর ২.৩৬৯১৭° পূর্ব / 48.85306; 2.36917
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাস্তিলের বিক্ষোভ
মূল যুদ্ধ: ফরাসি বিপ্লব

Storming of The Bastile by Jean-Pierre Houël
তারিখ১৪ জুলাই ১৭৮৯; ২৩৪ বছর আগে (1789-07-14)
অবস্থান৪৮°৫১′১১″ উত্তর ২°২২′০৯″ পূর্ব / ৪৮.৮৫৩০৬° উত্তর ২.৩৬৯১৭° পূর্ব / 48.85306; 2.36917
ফলাফল Bastille captured, rebellion begins
বিবাদমান পক্ষ
 French government Parisian militia
Gardes françaises
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী
ফরাসি রাজত্ব Bernard-René de Launay মৃত্যুদণ্ড Pierre-Augustin Hulin[১]
Jacob Job Élie
Stanislas-Marie Maillard
Joseph Arné
Jean Baptiste-Humbert
শক্তি
114 soldiers, 30 artillery pieces Up to 1,000 insurgents
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি
One (six or possibly eight killed after surrender) 98 killed

১৭৮৯ সালের ১৪ জুলাই ফরাসি রাজতন্ত্রের দমননীতির মূল প্রতীক কুখ্যাত বাস্তিলে বিক্ষোভ (ফরাসি: Prise de la Bastille [pʁiz də la bastij]) হয়। এই বাস্তিল দুর্গের পতনের মধ্য দিয়ে ফরাসি বিপ্লব সংঘটিত হয়।[২] এই বিপ্লব ছিল তদানীন্তন ফ্রান্সের শত শত বছর ধরে নির্যাতিত ও বঞ্চিত "থার্ড স্টেট" বা সাধারণ মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এই বিপ্লবের আগে সমগ্র ফ্রান্সের ৯৫ শতাংশ সম্পত্তির মালিক ছিল মাত্র ৫ ভাগ মানুষ। অথচ সেই ৫ ভাগ মানুষই কোন আয়কর দিত না। যারা আয়কর দিত তারা তেমন কোন সুবিধা ভোগ করতে পারত না। এবং এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে যারা প্রতিবাদ করত তাদেরকে এই বাস্তিল দুর্গে বন্দী করে নির্যাতন করা হত। বাস্তিল দুর্গ ছিল স্বৈরাচারী সরকারের নির্যাতন ও জুলুমের প্রতীক। একবার কোন বন্দী সেখানে প্রবেশ করলে জীবন নিয়ে আর ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকত না । কারাগারের ভিতরেই মেরে ফেলা হত অসংখ্য বন্দীদের। ১৭৮৯ সালের ১৪ জুলাই নির্বাচিত প্রতিনিধি, রক্ষী বাহিনির সদস্য এবং বাস্তিল দুর্গের আশেপাশের বিক্ষুব্ধ মানুষ বাস্তিল দুর্গ অভিমুখে রওনা হয়। রক্তক্ষয় এড়াতে প্রতিনিধিরা দুর্গের প্রধান দ্য লোনের কাছে আলোচনার প্রস্তাব দেন। প্রস্তাব ছিল বাস্তিলে ৭ জন রাজবন্দীকে মুক্তি দেয়া। দ্য লোন সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতে বিক্ষুব্ধ জনতার ঢেউ বাস্তিল দুর্গে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দুর্গের সৈন্যরাও ভিতর থেকে কামান দাগতে থাকে। প্রায় দুইশো বিপ্লবী মানুষ হতাহত হয় । এরপর চারিদিক থেকে উত্তেজিত বিক্ষুব্ধ জনতা বাস্তিল দুর্গ ধ্বংস করে। জয় হয় সাম্য, মৈত্রী এবং স্বাধীনতার।

এই ঘটনাটি ফ্রান্সের জাতীয় উৎসব বলে পালন করা হয়। বাস্তিল দুর্গ টির অবস্থান পারি শহরে। রাজকীয় অস্ত্রাগার হিসেবে ব্যবহৃত হতো। যাদের আক্রমণে পতন হয় তারা স্য কুলোৎ নামে পরিচিত। বাস্তিল দুর্গ টি ছিল বুরবো রাজবংশের স্বৈরতন্ত্রের প্রতীক।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Lüsebrink and Reichardt p.43
  2. Schama, Simon (২০০৪-০৮-০৫)। Citizens: A Chronicle of The French Revolution (ইংরেজি ভাষায়)। Penguin Books Limited। আইএসবিএন 9780141017273