বাসন্তী দেবী (পরিবেশবিদ)
বাসন্তী দেবী | |
|---|---|
২০১৬ সালে পুরস্কারের সাথে বাসন্তী দেবী | |
| জন্ম | ১৯৬০-এর দশক[১] উত্তরাখণ্ড[১] |
| জাতীয়তা | ভারতীয় |
| শিক্ষা | লক্ষ্মী আশ্রম |
| পেশা | পরিবেশবাদী |
| পরিচিতির কারণ | গাছ বাঁচাতে নারীদের নেতৃত্ব দেওয়া |
| দাম্পত্য সঙ্গী | তাঁর কিশোর বয়সে মারা যান |
বাসন্তী দেবী একজন ভারতীয় পরিবেশবিদ। তিনি উত্তরাখণ্ডের গাছ সংরক্ষণের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। ২০১৬ সালে তিনি ভারতের নারীদের সর্বোচ্চ পুরস্কার, নারী শক্তি পুরস্কারে ভূষিত হন।
জীবন
[সম্পাদনা]বাসন্তী দেবী তাঁর কৈশোরকাল কাটিয়েছেন কৌশানির কাছে[১] লক্ষ্মী আশ্রমে, এটি সরলা বেহন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত তরুণীদের জন্য একটি গান্ধীবাদী আশ্রম।[২] বারো বছর বয়সে বিবাহিত হওয়ার পর খুব অল্প বয়সেই তিনি বিধবা হয়ে যান। এরপর ১৯৮০ সালে তিনি সেই আশ্রমে চলে আসেন।[১] বিয়ের আগে স্কুলে গেলেও তিনি শুধুমাত্র পড়তে পারতেন। আশ্রমে তিনি দ্বাদশ শ্রেণীতে পৌঁছানোর পরও পড়াশোনা চালিয়ে যান এবং শিক্ষকতার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন। মজুরি খুব কম ছিল কিন্তু তাঁর বাবা কাজটি অনুমোদন করেছিলেন।[১]
তিনি একজন পরিবেশবাদী হয়ে ওঠেন। তিনি উত্তরাখণ্ডের বন সংরক্ষণের ব্যাপার নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতেন।[৩]
কোশি নদী উত্তরাখণ্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ।[১] এই নদীটি বিহারে ভয়াবহ বন্যার জন্য দায়ী, বন্যার প্রভাবে কয়েক হাজার হেক্টর জমি এবং দশ লক্ষ মানুষ প্রভাবিত হতে পারে।[৪] বাসন্তী দেবী একটি প্রবন্ধ পড়েছিলেন, যেখানে অনুমান করা হয়েছিল যে বর্তমান হারে গাছ কাটা অব্যাহত থাকলে এক দশকের মধ্যে নদীর অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তিনি স্থানীয় মহিলাদের সাথে কথা বলতে গিয়ে ব্যাখ্যা করলেন যে এটি তাদের বন এবং তাদের জমি। তিনি তাদের প্রশ্ন করলেন নদী শুকিয়ে গেলে কি উপায় হবে। এর পর মানুষ তাঁর কথা বিশ্বাস করতে শুরু করে।[১]
তিনি একটি আলোচনা শুরু করলেন। গ্রামবাসী এবং কাঠ কোম্পানিগুলি নতুন কাঠ কাটা বন্ধ করবে বলে একমত হল। গ্রামবাসীরা একমত হয়েছিল যে তারা কেবল পুরানো কাঠ পোড়াবে।[১] বাসন্তী দেবী সম্প্রদায়-গোষ্ঠী সংগঠিত করেছিলেন,[৩] তাদের বুঝিয়েছিলেন বনজ সম্পদ সংরক্ষণ করা দরকার এবং তারা বনের আগুন নেভানোর জন্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করবে। এর প্রভাব ধীরে ধীরে দেখা যাচ্ছে, এটা লক্ষ্য করা গেছে যে গ্রীষ্মকালে শুকিয়ে যাওয়া ঝর্ণাগুলো এখন সারা বছরই প্রবাহিত থাকে। অধিকন্তু, বনটি আরও বৈচিত্র্যময় হয়ে উঠেছে কারণ ওক, রডোডেনড্রন এবং মাইরিকা এসকুলেন্টার মতো প্রশস্ত পাতাযুক্ত গাছ এখন দেখা যায়।[১]
২০১৬ সালের মার্চ মাসে বাসন্তী দেবী নতুন দিল্লিতে যান, যেখানে তাঁকে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক নারী পুরস্কার, নারী শক্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।[৫]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- 1 2 3 4 5 6 7 8 9 "Basanti and the Kosi: How one woman revitalized a watershed in Uttarakhand"। www.indiawaterportal.org। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২০।
- ↑ "About the Ashram – Friends of Lakshmi Ashram" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২০।
- 1 2 "President Pranab Mukherjee presented 2015 Nari Shakti awards"। Jagranjosh.com। ৯ মার্চ ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২০।
- ↑ "Flood devastation in Bihar state" (ব্রিটিশ ইংরেজি ভাষায়)। ২৫ আগস্ট ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুলাই ২০২০।
- ↑ Dhawan, Himanshi (৮ মার্চ ২০১৬)। "Nari Shakti awards for women achievers"। The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০২০।