বারুণী
বারুণী | |
---|---|
সুরার দেবী | |
অন্যান্য নাম | জলদেবী, জলপরী |
অন্তর্ভুক্তি | দেবী , মাতৃকা |
আবাস | মহাসাগর, জললোক |
মন্ত্র | ওঁ জলদেব্যায় নমঃ , ওঁ বারুণীয়ে নমঃ |
বাহন | মকর |
সঙ্গী | বরুণ দেব |
বারুণী (এছাড়াও তিনি বরুণানী অবং জলদেবী নামে পরিচিতা) হলেন এক হিন্দু পৌরাণিক দেবী৷ তিনি বরুণ দেবকে নিজের পতি হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন৷ ঋক বেদে বরুণানী সম্পর্কে বিশদের উল্লেখ রয়েছে৷ তিনি হলেন সুরার দেবী৷[১]
জনশ্রুতি
[সম্পাদনা]ঋক বেদে দেবী বারুণীর উল্লেখ পাওয়া যায় বিস্তর৷ হিন্দু পুরাণ অনুসারে দেবী বারুণীর চরিত্রের পেছনে দুটি কাহিনী হয়েছে৷
সমুদ্রমন্থনে সমস্ত প্রকার ভেষজসমূহ এবং চৌদ্দ প্রকার রত্ন উত্থিত হয়, যা দেবতাগণ এবং অসুরগণের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যায়৷ যদিও পুরাণে ১৪ টি রত্নোত্থানের কথা উল্লেখ রয়েছে কিন্তু অন্যান্য বিভিন্ন পুস্তকে এই রত্নের সংখ্যা ৯ থেকে ১৪ অবধি উল্লেখ পাওয়া যায়৷ সর্বাধিক উল্লেখপ্রাপ্ত রত্নগুলি শিব, বিষ্ণু, মহর্ষি, দেব এবং অসুরগণের মধ্যে ভাগাভাগি হয়৷ বিষপান করে দেব ও অসুর উভয়কে রক্ষা করার জন্য ভগবান শিব বিশেষ রত্নের অধিকারী হন৷[২] রত্ন ও ভেষজ ছাড়াও তিন প্রকার দেবী এই সমুদ্র মন্থনের ফলে ক্ষীরসাগর থেকে উত্থিত হন৷ তারা হলেন,
- লক্ষ্মী: তিনি হলেন সৌভাগ্য এবং ঐশ্বর্যের দেবী৷ তিনি বিষ্ণুকে নিজের স্বামী রূপে গ্রহণ করেন৷
- অপ্সরা: মন্থনের ফলে একাধিক সুদর্শনা নারীর সৃৃষ্টি হয় যথা, রম্ভা, মেনকা, পুঞ্জীস্থলা এবং আরো অনেক অপ্সরা৷ তারা প্রত্যেকেই গন্ধর্বদের নিজেদের সঙ্গী রূপে চয়ন করেন৷
- বারুণী: একপ্রকার জোর জবরদস্তি করেই অসুররা তাকে নিজেদের ভাগে টেনে নেন অপিরচ্ছন্নতার সহিত তার জন্ম হয় এবং তিনি ছিলেন তর্কবাগিনী৷
আবার অন্যমতে বারুণী বা বরুণানী ছিলেন বরুণদেবের স্ত্রী৷ সমুদ্রমন্থন পর্বে তার উত্থানের ফলে অসুররা একপ্রকার জোড় করেই তাকে নিজ হস্তোগত করলেও অমৃৃতলাভ করে দেবতারা অজেয় হন৷ পরে অসুরকুল বিনাশ হলে বরুণ দেব বরুণানীকে বিবাহ করেন৷
বারুণী স্নান
[সম্পাদনা]স্কন্দ পুরাণে লেখা আছে যে চৈত্রমাসের কৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে শতভিষা নক্ষত্র যোগ হলে সেই তিথি বারুণী নামে পরিচিত। হিমালয় কন্যা গঙ্গার অপরনাম বারুণী। বারুণী স্নান এখানে গঙ্গা স্নানেরই প্রতিরুপ। শাস্ত্র মতে কোন বছর যদি ঐদিনটি শনিবার হয় তবে ঐ বারুণী স্নান অসাধারণত্ব লাভ করে মহা বারুণী স্নান রুপ লাভ করে। [৩]