বারমুডা জাতীয় ফুটবল দল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বারমুডা
দলের লোগো
ডাকনামগোম্বি যোদ্ধা
অ্যাসোসিয়েশনবারমুডা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন
কনফেডারেশনকনকাকাফ (উত্তর আমেরিকা)
প্রধান কোচকাইল লাইটবোর্ন
অধিনায়কদান্তে লেভেরক
সর্বাধিক ম্যাচদামোন মিং (৪২)
শীর্ষ গোলদাতাশন গোটার (২০)
মাঠবারমুডা জাতীয় স্টেডিয়াম
ফিফা কোডBER
ওয়েবসাইটwww.bermudafa.com
প্রথম জার্সি
দ্বিতীয় জার্সি
ফিফা র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ১৭১ অপরিবর্তিত (২১ ডিসেম্বর ২০২৩)[১]
সর্বোচ্চ৫৮ (ডিসেম্বর ১৯৯২)
সর্বনিম্ন১৮৯ (সেপ্টেম্বর ২০১১)
এলো র‌্যাঙ্কিং
বর্তমান ১৬৫ হ্রাস ৪ (১২ জানুয়ারি ২০২৪)[২]
সর্বোচ্চ৯২ (ডিসেম্বর ১৯৯২)
সর্বনিম্ন১৭৭ (মার্চ ২০০৮)
প্রথম আন্তর্জাতিক খেলা
 আইসল্যান্ড ৪–৩ বারমুডা 
(রেইকিয়াভিক, আইসল্যান্ড; ১০ আগস্ট ১৯৬৪)
বৃহত্তম জয়
 বারমুডা ১৩–০ মন্টসেরাট 
(হ্যামিল্টন, বারমুডা; ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৪)
বৃহত্তম পরাজয়
 ডেনমার্ক ৬–০ বারমুডা 
(আলপর, ডেনমার্ক; ১ জুলাই ১৯৬৯)
 কানাডা ৬–০ বারমুডা 
(কানাডা; ৮ মে ১৯৮৩)
 মেক্সিকো ৬–০ বারমুডা 
(মেক্সিকো; ১৭ মে ১৯৮৭)
কনকাকাফ গোল্ড কাপ
অংশগ্রহণ১ (২০১৯-এ প্রথম)
সেরা সাফল্যগ্রুপ পর্ব (২০১৯)

বারমুডা জাতীয় ফুটবল দল (ইংরেজি: Bermuda national football team) হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে বারমুডার প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম বারমুডার ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বারমুডা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৬২ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং ১৯৬৭ সাল হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা কনকাকাফের সদস্য হিসেবে রয়েছে।[৩] ১৯৬৪ সালের ১০ই আগস্ট তারিখে, বারমুডা প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; আইসল্যান্ডের রেইকিয়াভিকের অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে বারমুডা আইসল্যান্ডের কাছে ৪–৩ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে।

৮,৫০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট বারমুডা জাতীয় স্টেডিয়ামে গোম্বি যোদ্ধা নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় যুক্তরাজ্যের ডেভনে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন কাইল লাইটবোর্ন এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন রবিন হুডের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় দান্তে লেভেরক

বারমুডা এপর্যন্ত একবারও ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অন্যদিকে, কনকাকাফ গোল্ড কাপে বারমুডা এপর্যন্ত মাত্র ১ বার অংশগ্রহণ করেছে, যেখানে তারা শুধুমাত্র গ্রুপ পর্বে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছিল।

কাইল লাইটবোর্ন, দামোন মিং, রেগি লাম্বে, শন গোটার এবং জন বেরি নুসুমের মতো খেলোয়াড়গণ বারমুডার জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

র‌্যাঙ্কিং[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ১৯৯২ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে বারমুডা তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (৫৮তম) অর্জন করে এবং ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ১৮৯তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে বারমুডার সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ৯২তম (যা তারা ১৯৯২ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ১৭৭। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো:

ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং
২১ ডিসেম্বর ২০২৩ অনুযায়ী ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং[১]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
১৬৯ অপরিবর্তিত  কিউবা ৯৮০.৬৫
১৭০ হ্রাস  ভানুয়াতু ৯৮০.৩৩
১৭১ অপরিবর্তিত  বারমুডা ৯৭২.৩৬
১৭২ অপরিবর্তিত  মাল্টা ৯৬৭.২৯
১৭৩ অপরিবর্তিত  সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জ ৯৫৩.৪৭
বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং
১২ জানুয়ারি ২০২৪ অনুযায়ী বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং[২]
অবস্থান পরিবর্তন দল পয়েন্ট
১৬৩ বৃদ্ধি  তাহিতি ১১৮৬
১৬৪ হ্রাস  চাদ ১১৫৯
১৬৫ হ্রাস  বারমুডা ১১৪৯
১৬৬ বৃদ্ধি  দক্ষিণ সুদান ১১৪৭
১৬৬ বৃদ্ধি ১২  পুয়ের্তো রিকো ১১৪৭

প্রতিযোগিতামূলক তথ্য[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপ[সম্পাদনা]

ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব
সাল পর্ব অবস্থান ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো ম্যাচ জয় ড্র হার স্বগো বিগো
উরুগুয়ে ১৯৩০ অংশগ্রহণ করেনি অংশগ্রহণ করেনি
ইতালি ১৯৩৪
ফ্রান্স ১৯৩৮
ব্রাজিল ১৯৫০
সুইজারল্যান্ড ১৯৫৪
সুইডেন ১৯৫৮
চিলি ১৯৬২
ইংল্যান্ড ১৯৬৬
মেক্সিকো ১৯৭০ উত্তীর্ণ হয়নি ১২
পশ্চিম জার্মানি ১৯৭৪ অংশগ্রহণ করেনি অংশগ্রহণ করেনি
আর্জেন্টিনা ১৯৭৮
স্পেন ১৯৮২
মেক্সিকো ১৯৮৬
ইতালি ১৯৯০
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৪ উত্তীর্ণ হয়নি ১০ ১৪ ১৫
ফ্রান্স ১৯৯৮ প্রত্যাহার প্রত্যাহার
দক্ষিণ কোরিয়া জাপান ২০০২ উত্তীর্ণ হয়নি ১৫
জার্মানি ২০০৬ ২৩
দক্ষিণ আফ্রিকা ২০১০
ব্রাজিল ২০১৪
রাশিয়া ২০১৮
কাতার ২০২২ অনির্ধারিত অনির্ধারিত
মোট ০/২১ ৩৬ ১৫ ১১ ৭৬ ৪৬

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ফিফা/কোকা-কোলা বিশ্ব র‍্যাঙ্কিং"ফিফা। ২১ ডিসেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ 
  2. গত এক বছরে এলো রেটিং পরিবর্তন "বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং"eloratings.net। ১২ জানুয়ারি ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ জানুয়ারি ২০২৪ 
  3. "This Week in CONCACAF History: March 1-5"। CONCACAF.com (2011)। মার্চ ৯, ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৩১, ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]