বায়োটেলিমিতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

বায়োটেলিমিতি (অথবা চিকিৎসা টেলিমিতি)  হচ্ছে দূর হতে ভ্রাম্যমাণ রোগীর বিভিন্ন জৈবনিক চিহ্নসমূহ  পর্যবেক্ষণ,  জীববিজ্ঞান, চিকিৎসাবিজ্ঞান এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবায় টেলিমিতির প্রয়োগ। [১]


প্রয়োগ[সম্পাদনা]

বায়োটেলিমিতি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় হাসপাতালের হৃদরোগ ইউনিটে। যদিও যেকোন শারীরতাত্ত্বিক সিগনাল ফলত পাঠানো সম্ভব, এর প্রয়োগ শুধু হৃদ এবং অক্সিজেন সম্পৃক্তি পর্যবেক্ষণেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।

বায়োটেলিমিতি বন্যপ্রাণীর শারীরতাত্ত্বিক, আচার এবং  সক্রিয়তা দূর হতে পর্যবেক্ষণে বহূল ব্যবহৃত  হচ্ছে।[২]ইহা প্রাণীর পরিযান বুঝতে ব্যবহার করা যায় এবং তারা যে পরিবেশে বাস করছে সেখানকার জীবক্রিয়া প্রভাবকসমূহ এবং এই পরিবেশ  প্রাণীদের উপর যে শারীরবৃত্তিক প্রভাব ফেলছে তা বিভিন্ন জৈব চলক যেমন হৃদ স্পন্দনের হার এবং তাপমাত্রা  নির্ণয় করে বুঝা যায়। [৩] টেলিমিতি সিস্টেম  প্রাণীদেহে বাহ্যিক অথবা  আভ্যন্তরীণ উভয়রূপে  সংযোগ করা যায়, যে মাধ্যমে প্রাণী বিচরণ করে তার উপর ভিত্তি করে প্রেরণ যন্ত্র সংযোগ করা হয়।[৩]উদাহরণস্বরূপ জলজ প্রাণীদের ক্ষেত্রে বেতার অথবা আল্ট্রাসনিক সিগনাল রূপে ডাটা প্রেরণ করা হয়। কিন্তু স্থলজ বা উড্ডয়নশীল প্রাণীদের ক্ষেত্রে  জিপিএস এবং  স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ডাটা প্রেরণ করা হয়।[৩]


বায়োটেলিমিতি সিস্টেমের উপাদানসমূহ[সম্পাদনা]

একটি বৈশিষ্ট্যমূলক বায়োটেলিমিতি  সিস্টেম গঠিত হয় নিম্নরূপে:

  • সুনির্দিষ্ট সিগনাল পর্যবেক্ষণের জন্য উপযোগী সেন্সর
  • ব্যাটারি, রোগীর পরিহিত প্রেরন যন্ত্র      
  • একটি বেতার এন্টেনা এবং গ্রাহক যন্ত্র
  • রোগী হতে প্রাপ্ত তথ্য প্রদর্শনের জন্য মনিটর


 

ইতিহাস[সম্পাদনা]

বায়োটেলিমিতির প্রথম উল্লেখযোগ্য ব্যবহার করা হয় মহাকাশ প্রতিযোগিতায়,যেখানে প্রাণী বা মানব যাত্রীদের শারীরতাত্ত্বিক  সিগনাল পৃথিবীতে পাঠানো হয় বিশ্লেষণের জন্য(চিকিৎসা যন্ত্র  নির্মাণ প্রতিষ্ঠান স্পেসল্যাব হেলথকেয়ার ১৯৫৮ সালে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণায় তাদের নির্মিত বায়োটেলিমিতি সিস্টেম কার্যকর করে )।

প্রাণীদেহে বায়োটেলিমিতির ব্যবহার শুরু হয় আশির দশকে।.[৪] প্রাণীদেহে বায়োটেলিমিতির ব্যবহারে অগ্রগতি হয়েছে। এখন শুধু শারীরতাত্ত্বিক ও গতিবিধি পর্যবেক্ষণেই না, বিভিন্ন প্রাণীর পারস্পরিক মিথষ্ক্রিয়া (যেমনঃ শিকারী ও তার শিকার) বুঝতেও ব্যবহার করা হয়।[৫]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]


তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Singh, K। "Biotelemetry: Could technological developments assist healthcare in rural India" (পিডিএফ) 
  2. Cooke, Steven J.; Hinch, Scott G.; Wikelski, Martin; Andrews, Russel D.; Kuchel, Louise J.; Wolcott, Thomas G.; Butler, Patrick J. (২০০৪-০৬-০১)। "Biotelemetry: a mechanistic approach to ecology"। Trends in Ecology & Evolution19 (6): 334–343। আইএসএসএন 0169-5347ডিওআই:10.1016/j.tree.2004.04.003পিএমআইডি 16701280 
  3. "The Use of Biotelemetry in the Study of Animal Migration | Learn Science at Scitable"www.nature.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১২ 
  4. Wolcott, T.G. (১৯৮০)। "Optical and radio-optical techniques for tracking nocturnal animals."। A Handbook for Biometry and Radio Tracking। Editors Amlaner C.J. & MacDonald D.W. (Oxford: Pergamon Press, 1980)279-286.: 333–338। আইএসবিএন 9780080249285ডিওআই:10.1016/B978-0-08-024928-5.50044-0 
  5. Halfyard, Edmund A.; Webber, D.; Papa, J. Del; Leadley, T.; Kessel, S. T.; Colborne, S. F.; Fisk, A. T. (২০১৭)। "Evaluation of an acoustic telemetry transmitter designed to identify predation events"। Methods in Ecology and Evolution (ইংরেজি ভাষায়)। 8 (9): 1063–1071। আইএসএসএন 2041-210Xডিওআই:10.1111/2041-210X.12726অবাধে প্রবেশযোগ্য 


বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]