বিষয়বস্তুতে চলুন

বায়ু মন্দির

বায়ু মন্দির
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
ঈশ্বরবায়ু (দেবতা), ব্রহ্মা, অবলোকিতেশ্বর
অবস্থান
অবস্থানআঙ্কর থম
দেশকম্বোডিয়া
বায়ু মন্দির কম্বোডিয়া-এ অবস্থিত
বায়ু মন্দির
কম্বোডিয়ায় বায়ু মন্দিরের অবস্থান
স্থানাঙ্ক১৩°২৬′২৮″ উত্তর ১০৩°৫১′৩১″ পূর্ব / ১৩.৪৪১১১° উত্তর ১০৩.৮৫৮৬১° পূর্ব / 13.44111; 103.85861
স্থাপত্য
ধরনবায়ন
সৃষ্টিকারীসপ্তম জয়বর্মণ
সম্পূর্ণ হয়দ্বাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে
ওয়েবসাইট
bayon-temple.business.site

বায়ু মন্দির বা বায়ন মন্দির (খ্মের ভাষা: ប្រាសាទបាយ័ន, প্রাসাদ বায়ন) দ্বাদশ শতাব্দীতে কম্বোডিয়ার অংকোর নগরে নির্মিত একটি খমের মন্দির। এর প্রাচীন নাম ছিল মধ্যাদ্রি। এটি আংকোরভাট মন্দির-এর পর আংকোর অঞ্চলের দ্বিতীয় সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্দির। এটি রাজা সপ্তম জয়বর্মণ-এর শাসনামলে দ্বাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে বা ত্রয়োদশ শতাব্দীর শুরুতে হিন্দুমন্দির হিসেবে নির্মিত হয়েছিল। এই মন্দির আঙ্কর থম নগরের কেন্দ্রে অবস্থিত, যা সপ্তম জয়বর্মনের রাজধানী ছিল।।[][] জয়বর্মনের মৃত্যুর পরবর্তী হিন্দু ও থেরবাদ বৌদ্ধ শাসকেরা এই মন্দিরে বিভিন্ন পরিবর্তন ও সংযোজন করেন।

বায়ু মন্দির

নামার্থ

[সম্পাদনা]
বায়ু মন্দিরের টাওয়ারে খোদাই করা মুখাবয়ব

বায়ু মন্দিরের মূল নাম ছিল “জয়গিরি” (খমের: ជ័យគីរី, লাতিন লিপিতে: Chey Kĭri), যার অর্থ “জয়ের পর্বত” বা “ব্রহ্মার পর্বত”। এখানে “জয়া” শব্দটি ব্রহ্মার আরেক নাম, আর “গিরি” মানে পর্বত। এই নামটির সংস্কৃত মূল সীহাগিরি (“সিংহশিলা”) নামটির মতোই, যা অনুরূপ অর্থ বহন করে। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] “বায়ন” নামটি প্রথম দেন ফরাসি প্রত্নতাত্ত্বিক এতিয়েন আইমনিয়ে (Étienne Aymonier) ১৮৮০ সালে। তাঁর প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন যে, “বায়ন” নামটি লাতিন অক্ষরে লেখা হয়েছিল খমের শব্দ “বায়ান্ত” (Bayânt)-এর প্রতিলিপি হিসেবে, যা সম্ভবত পালি শব্দ “বেজয়ন্ত” (Vejayant) বা সংস্কৃত “বৈজয়ন্ত” (Vaijayant) থেকে বিকৃত হয়েছে। “বৈজয়ন্ত” শব্দটি ইন্দ্রের স্বর্গীয় প্রাসাদের নাম, এবং ধারণা করা হয়, বায়ন মন্দিরটি সেই স্বর্গীয় প্রাসাদের পার্থিব প্রতিরূপ হিসেবে নির্মিত হয়েছিল। এছাড়া তিনি বলেন, প্রথম শব্দাংশ “বা–” (Ba) সম্ভবত একটি সংস্কৃতীয় উপসর্গ, যা অন্য স্থাননামের মতো (যেমন বা ফনম) “রক্ষক” বা “রক্ষাকারী” অর্থ প্রকাশ করতে পারে। []

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Higham, C., 2001, The Civilization of Angkor, London: Weidenfeld & Nicolson, আইএসবিএন ৯৭৮১৮৪২১২৫৮৪৭, পৃ. ১২১
  2. Higham, C., 2014, Early Mainland Southeast Asia, Bangkok: River Books Co., Ltd., পৃ. ৩৭৮–৩৮২ আইএসবিএন ৯৭৮৬১৬৭৩৩৯৪৪৩
  3. Aymonier, Etienne (১৮৮০)। Excursions et reconnaissances (ফরাসি ভাষায়)। Saigon। পৃ. ১৮৫।{{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অবস্থানে প্রকাশক অনুপস্থিত (লিঙ্ক)

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]