বানৌজা সাগর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইতিহাস
বাংলাদেশ
শ্রেণী এবং ধরন: টাইপ ০১০-শ্রেণীর মাইন স্যুইপার
নাম: বানৌজা সাগর
কমিশন লাভ: ২৭ এপ্রিল, ১৯৯৫
মাতৃ বন্দর: চট্টগ্রাম
শনাক্তকরণ: এম৯১
অবস্থা: সক্রিয়
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
ওজন: ৫৬৯ টন
দৈর্ঘ্য: ৫৯.৯৪ মিটার (১৯৬.৭ ফু)
প্রস্থ: ৮.৩৮ মিটার (২৭.৫ ফু)
গভীরতা: ২.০৬ মিটার (৬.৮ ফু)
প্রচালনশক্তি:
  • ২ × পিসিআর/কলোমনা টাইপ ৯-ডি-৮ ডিজেল
  • ২,০০০ অশ্বশক্তি (১,৫০০ কিওয়াট)
  • ২ × শ্যাফট
গতিবেগ: ১৪ নট (২৬ কিমি/ঘ; ১৬ মা/ঘ)
সীমা: ৩,০০০ নটিক্যাল মাইল (৩,৫০০ মা; ৫,৬০০ কিমি), ১০ নট (১৯ কিমি/ঘ; ১২ মা/ঘ) গতিতে
লোকবল: ৭০ জন (১০ জন কর্মকর্তা)
সেন্সর এবং
কার্যপদ্ধতি:
  • টাইপ ৭৫৬ আই-ব্যান্ড সার্ফেস সার্চ রাডার
  • সেলসিয়াস টেক সিএএমএস ৩৬/৩৯ এক্টিভ হাই ফ্রিকোয়েন্সি মাইন ডিটেকশন সোনার
রণসজ্জা:
  • ২ × টাইপ ৭৬ টুইন ব্যারেল ৩৭ মিমি নেভাল গান;ষ
  • ২ × টাইপ ৬১ ২৫ মিমি বিমান-বিধ্বংসী গান
  • ২ × টুইন ব্যারেল ১৪.৫ মিমি মেশিন গান
  • ২ × বিএমবি-২ প্রোজেক্টর ২০টি ডেপ্ট চার্জ
  • ১২-১৬ সামুদ্রিক মাইন

বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (সংক্ষেপেঃ বানৌজা) সাগর বাংলাদেশ নৌবাহিনীর টাইপ ০১০-শ্রেণীর একটি মাইন বিধ্বংসী জাহাজ। জাহাজটি গভীর সমুদ্র এবং উপকূলীয় অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।[১][২][৩][৪]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

সশস্ত্র বাহিনীর জন্য গৃহীত আধুনিকায়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার গণচীন থেকে বানৌজা সাগর জাহাজটি সংগ্রহ করে। বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৩ সালে চীন থেকে জাহাজ ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি সম্পাদন করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৮ ডিসেম্বর, ১৯৯৪ সালে টাইপ ০১০-শ্রেনির প্রথম জাহাজ হস্তান্তর করে। অবশেষে ২৭ এপ্রিল, ১৯৯৫ সালে বানৌজা সাগর জাহাজটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করে। বর্তমানে এটি নৌবাহিনীতে মাইন বিধ্বংসী জাহাজ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ১৯৯৮ সালে জাহাজটিকে আপগ্রেড করা হয়‌। যার আওতায়, তামির II হাল মাউনন্টেড এ্যাক্টিভ সার্চ এন্ড অ্যাটাক সোনার টিকে কানাডিয়ান সেলসিয়াস টেক সিএমএএস৩৬/২৯ মাইন সনাক্তকরণ সোনার দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়। এছাড়াও বানৌজা সাগর ২৮ নভেম্বর, ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে ডুবে যাওয়া মাছ ধরার জাহাজ এফভি বন্ধন জাহাজটির উদ্ধার অভিযানে অংশগ্রহণ করে।

বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো[সম্পাদনা]

বানৌজা সাগর জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৫৯.৯৪ মিটার (১৯৬.৭ ফু), প্রস্থ ৮.৩৮ মিটার (২৭.৫ ফু) এবং গভীরতা ২.০৬ মিটার (৬.৮ ফু)। জাহাজটিতে রয়েছে ২টি পিসিআর/কলোমনা টাইপ ৯-ডি-৮ ডিজেল ইঞ্জিন ২,০০০ অশ্বশক্তি (১,৪৯১ কিওয়াট) এবং ২টি শ্যাফট। যার ফলে জাহাজটি ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১৪ নট (২৬ কিমি/ঘ; ১৬ মা/ঘ) গতিতে চলতে সক্ষম। এছাড়াও রয়েছে ১টি কানাডিয়ান সেলসিয়াস টেক সিএমএএস৩৬/২৯ মাইন ডিটেকশন সোনার এবং ১টি টাইপ ৭৫৬ আই-ব্যান্ড সার্ফেস সার্চ রাডার

রণসজ্জা[সম্পাদনা]

বানৌজা সাগর জাহাজটি যুদ্ধকালীন সময়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করলেও শান্তিকালীন সময়ে নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে অভিযান পরিচালনায় এর সক্ষমতা বিশেষভাবে প্রশংসনীয়। শত্রু জাহাজ মোকাবেলা, চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমনে জাহাজটিতে রয়েছে:

  • ২টি টাইপ ৭৬ টুইন ব্যারেল ৩৭ মিমি নেভাল গান;
  • ২টি টাইপ ৬১ ২৫ মিমি বিমান-বিধ্বংসী গান;
  • ২টি টুইন ব্যারেল ১৪.৫ মিমি বিমান-বিধ্বংসী মেশিনগান;
  • ২টি বিএমবি-২ প্রোজেক্টর (২০টি ডেপ্ট চার্জ);
  • ১২-১৬ সামুদ্রিক মাইন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "BNS Sagar - Mine Sweeper (MSO)"GlobalSecurity.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-১৭ 
  2. "Navy divers locate sunken vessel in Bay."। thedailystar.net। ২৯ নভেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৫ 
  3. "বঙ্গোপসাগরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়া একটি ফিশিং বোট থেকে ৫ জেলেকে উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী"আইএসপিআর। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-২৮ 
  4. "Battleship"। ২০১৫-০১-০৪।