বানৌজা তিস্তা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইতিহাস
বাংলাদেশ
নাম: বানৌজা তিস্তা
নির্মাতা: ক্রালজেভিকা শিপইয়ার্ড
অভিষেক: ১৯৫২
কমিশন লাভ: ৬ জুন, ১৯৭৫
ডিকমিশন: ৯ নভেম্বর, ২০২২
মেরামত: ১৯৯৮ (ইঞ্জিন পরিবর্তন)
মাতৃ বন্দর: চট্টগ্রাম
শনাক্তকরণ: পি৩১৪
অবস্থা: নিষ্ক্রিয়
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
প্রকার ও শ্রেণী: ক্রালজেভিকা-শ্রেণীর টহল জাহাজ
ওজন:
  • ১৯৫ টন (স্বাভাবিক অবস্থায়)
  • ২৪৫ টন (পূর্ণ অবস্থায়)
দৈর্ঘ্য: ৪৩.১ মিটার (১৪১ ফু)
প্রস্থ: ৬.৩ মিটার (২১ ফু)
গভীরতা: ১.৭ মিটার (৫.৬ ফু)
প্রচালনশক্তি:
  • ২ x ম্যান ভি৮ভি ৩০/৩৮ ডিজেল ৩,৩০০ এইচপি (এম) (২.৪২ এমডব্লিউ)
  • ২ x শ্যাফট
গতিবেগ: ২১ নট (৩৯ কিমি/ঘ; ২৪ মা/ঘ)
সীমা: ১,৫০০ নটিক্যাল মাইল (১,৭০০ মা; ২,৮০০ কিমি), ১২ নট (২২ কিমি/ঘ) গতিতে
লোকবল: ৪৪ জন (৪ জন কর্মকর্তা)
সেন্সর এবং
কার্যপদ্ধতি:
  • সার্ফেস সার্চ রাডার: ডেক্কা ১২২৯; আই-ব্যান্ড
  • সোনার: ওসিইউ ২; হাল-মাউনন্টেড: এ্যক্টিভ; হাই ফ্রিকোয়েন্সি
রণসজ্জা:
  • ২ × বোর্ফোস ৪০ মিমি এল/৭০ কামান
  • ৪ × ওরলিকন ২০ মিমি কামান
  • ২ × ১২৮ মিমি রকেট লঞ্চার
  • ২ × মার্ক-৬ ডেপ্ট চার্জ লঞ্চার
  • ২ x ডেপ্ট চার্জ রেক

বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (সংক্ষেপেঃ বানৌজা) তিস্তা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি ক্রালজেভিকা-শ্রেণীর টহল জাহাজ। এটি নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।[১][২][৩][৪][৫]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

বানৌজা তিস্তা হলো টাইপ ৫০১ ক্রালজেভিকা-শ্রেণির টহল জাহাজ। এটি ১৯৫২ সালে যুগোস্লাভিয়া নৌবাহিনীর জন্য পিবিআর ৫০৫ হিসেবে নির্মিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুগোস্লাভিয়া থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য সংগ্রহ করেন। অবশেষে ৬ জুন, ১৯৭৫ সালে জাহাজটি নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করে। ১৯৯৮ সালে জাহাজটির ইঞ্জিন পরিবর্তন এবং পুনঃসংস্কার করা হয়।[৬]। ৯ নভেম্বর, ২০২২ সালে জাহাজটি আনুষ্ঠানিকভাবে নৌবাহিনী থেকে ডিকমিশন করা হয়।[৭]

বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো[সম্পাদনা]

বানৌজা তিস্তা জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৪০.৫ মিটার (১৩৩ ফু), প্রস্থ ৬.৩০ মিটার (২০.৭ ফু) এবং গভীরতা ১.৭ মিটার (৫.৬ ফু)। জাহাজটিতে রয়েছে ২টি ম্যান ভি৮ভি ৩০/৩৮ ডিজেল ৩,৩০০ এইচপি (এম) (২.৪২ এমডব্লিউ) ইঞ্জিন। যার ফলে জাহাজটি ঘন্টায় সর্বোচ্চ ২১ নট (৩৯ কিমি/ঘ; ২৪ মা/ঘ) গতিতে চলতে সক্ষম। এছাড়াও রয়েছে ১টি ডেক্কা ১২২৯; আই-ব্যান্ড সার্ফেস সার্চ রাডার এবং ১টি ওসিইউ ২ হাল-মাউনন্টেড এ্যক্টিভ হাই ফ্রিকোয়েন্সি সোনার।

রণসজ্জা[সম্পাদনা]

বানৌজা তিস্তা জাহাজটির আকার আয়তন অপেক্ষাকৃত ছোট হলেও নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে অভিযান পরিচালনায় এর সক্ষমতা বিশেষভাবে প্রশংসনীয়। শত্রু জাহাজ মোকাবেলা, চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমনে জাহাজটিতে রয়েছে:

  • ২টি বোর্ফোস ৪০ মিমি এল/৭০ কামান;
  • ৪টি ওরলিকন ২০ মিমি কামান;
  • ২টি ১২৮ মিমি রকেট লঞ্চার;
  • ২টি মার্ক-৬ ডেপ্ট চার্জ লঞ্চার;
  • ২টি ডেপ্ট চার্জ রেক।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Baker, III, A. D. (১৯৯৮)। The Naval Institute Guide to Combat Fleets of the World 1998–1999। Annapolis, Maryland, USA: Naval Institute Press। আইএসবিএন 1-55750-111-4 
  2. "বানৌজা কর্ণফুলী বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি ক্রালজেভিকা শ্রেনীর"bn.freejournal.info। ২০২১-১১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-২৭ 
  3. "যুদ্ধজাহাজে তিন ঘণ্টা" 
  4. "মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে ৫২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা মূল্যের ৮৭ লাখ ২৯ হাজার মিটার অবৈধ জাল আটক করেছে নৌবাহিনী"আইএসপিআর। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২৪ 
  5. "SHIPYARD KRALJEVICA LIST OF DELIVERED VESSELS 1946. - 2007." (পিডিএফ)Shipyard Kraljevica-List of Delivered Vessels 1946-2007 (ক্রোয়েশীয় ভাষায়)। ১৪ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০২০ 
  6. Gardiner, Robert; Chumbley, Stephen (১৯৯৫)। Conway's All The World's Fighting Ships 1947–1995। Annapolis, Maryland, USA। আইএসবিএন 1-55750-132-7 
  7. "বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ তিস্তা ও কর্ণফুলী এর ডি-কমিশনিং অনুষ্ঠিত"আইএসপিআর। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-২৩