বানৌজা খান জাহান আলী (১৯৮৭)
ইতিহাস | |
---|---|
বাংলাদেশ | |
নাম: | বানৌজা খান জাহান আলী |
নির্মাতা: | নাইকাই শিপবিল্ডিং, সিদোতা পোতাঙ্গন, ওনোমিচি, জাপান |
নির্মাণের সময়: | ১৯৬৩ |
অর্জন: | ১৯৮৩ |
কমিশন লাভ: | ১৪ জুলাই ১৯৮৭ |
ডিকমিশন: | ২৪ আগস্ট ২০১৫ |
শনাক্তকরণ: | আই এম ও - ৫৪১৩৫৪৯ |
অবস্থা: | নিষ্ক্রিয় |
সাধারণ বৈশিষ্ট্য | |
ওজন: |
|
দৈর্ঘ্য: | ৭৬ মিটার (২৪৯.৩ ফুট) |
প্রস্থ: | ১১ মিটার (৩৬.১ ফুট) |
বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (সংক্ষেপেঃ বানৌজা) খান জাহান আলী বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নিষ্ক্রিয় তেলবাহী জাহাজ। জাহাজটি ১৯৮৩ সালে বহরে যুক্ত হয়, ১৯৮৭ সালে এটি কমিশন লাভ করে। বিভিন্ন যুদ্ধজাহাজে তেল ও পানি সরবরাহের পাশাপাশি এটি বিভিন্ন নৌ মহড়া ও অপারেশনে অংশ নেয়। দীর্ঘ ২৮ বছর সচল থাকার পর ২০১৫ সালে এটি নিষ্ক্রিয় করা হয়।[১] এটি ছিল বাংলাদেশের প্রথম ও সর্ববৃহৎ তেলবাহী জাহাজ।[২] নৌবাহিনী একই নামে নবনির্মিত তেলবাহী জাহাজ ২০১৫ সালে কমিশন প্রদান ও ব্যবহার শুরু করে।[৩]
ইতিহাস[সম্পাদনা]
বানৈজা খান জাহান আলী ১৯৬৩ সালে জাপানের ওনোমিচিতে অবস্থিত সিদোতা পোতাঙ্গনে নাইকাই শিপবিল্ডিং কোম্পানি কর্তৃক শোহো মারু নামে নির্মিত হয়েছিল।[৪][৫] জাহাজটি প্রথমে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ)-এর জন্য কেনা হয়েছিল। বিআইডাবিউটিএ ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত 'টি-১০৫৬' নামে এটি ব্যবহার করে[১][৪] এবং একইবছর বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে হস্তান্তর করে। ১৯৮৭ সালের ১৪ জুলাই বানৈজা খান জাহান আলী নামে কমিশন লাভ করে। জাহাজটি বিশুদ্ধ পানির পাশাপাশি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ওয়েল কোম্পানি থেকে তেল সংগ্রহ করে নৌবাহিনীর জাহাজসমূহে সরবরাহ করতো।[২] সমুদ্রে চোরাচালান, মৎস্য চুরি রোধ সংক্রান্ত অপারেশন প্রতিরোধ, ট্রেজার সিল্ড, টেকএক্স, এবং এক্সারসাইজ সি-থান্ডারের মত সামুদ্রিক মহড়া ছিল এটির উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম।[১][২] দীর্ঘ ২৮ বছর ব্যবহারের পর ২০১৫ সালের ২৪ আগস্ট জাহজটিকে অবসর দেয়া হয়।[১]
বৈশিষ্ট্য ও সক্ষমতা[সম্পাদনা]
বানৈজা খান জাহান আলী-এর খালি অবস্থায় ওজন ১৩৪৩ টন এবং তরলপূর্ণ অবস্থায় ২৩৪১ টন।[৪] দৈর্ঘ্য ৭৬ মিটার[২] ও প্রস্থ ১১ মিটার।[৫] এটি ২৬ লাখ ৫৬ হাজার ৮৮২ লিটার তেল এবং ১ হাজার ৬০০ টন পানি ধারণ ও বহনে সক্ষম ছিল।[১]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "নৌবাহিনীর তেলবাহী জাহাজ 'খান জাহান আলী'র ডি-কমিশনিং"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২০১৫-০৮-২৪। ২০২২-০২-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৬।
- ↑ ক খ গ ঘ "বিদায় নিল বিএনএস খান জাহান আলী"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২০১৯-০৮-২৪। ২০১৫-১০-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৬।
- ↑ "প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মংলায় অয়েল ফ্লিট ট্যাঙ্কার কমিশনিং এবং ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি (এলসিইউ) সংযুক্তকরণ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন…"। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (বাংলাদেশ)। ২০১৫-০৯-০৬। ৬ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৬।
- ↑ ক খ গ "KHAN JAHAN ALI - 5413549 - OIL PRODUCTS TANKER"। মেরিটাইম কানেক্টর (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৯-০৫। ২০১৯-০৯-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৬।
- ↑ ক খ "KHAN JAHAN ALI, Oil Products Tanker - Details and current position - IMO 5413549"। ভেসেল ফাইন্ডার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৪-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৬।