বিষয়বস্তুতে চলুন

বানৌজা অদম্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইতিহাস
বাংলাদেশ
নাম: বানৌজা অদম্য
নির্মাণাদেশ: ২ মে, ২০১০
নির্মাতা: খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড
অর্জন: ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৩
কমিশন লাভ: ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৩
মাতৃ বন্দর: খুলনা
শনাক্তকরণ: পি২৬২
অবস্থা: সক্রিয়
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
প্রকার ও শ্রেণী: পদ্মা-শ্রেণীর টহল জাহাজ
ওজন: ৩৫০ টন
দৈর্ঘ্য: ৫০.৪ মিটার (১৬৫ ফুট)
প্রস্থ: ৭.৫ মিটার (২৫ ফুট)
উচ্চতা: ১৩.৭ মিটার (৪৫ ফুট)
গভীরতা: ১.৯০ মিটার (৬.২ ফুট)
ড্রাফট: ৪.২ মিটার (১৪ ফুট)
প্রচালনশক্তি:
  • ৪ × ১,৩৬২ অশ্বশক্তি (১,০১৬ কিলোওয়াট) বিশিষ্ট ডুয়েটজ টিবিডি ৬২০ভি৮ ডিজেল ইঞ্জিন (জার্মানি);
  • ১ × ১২০ কিলোওয়াট বিশিষ্ট সিএটি জেনারেটর (যুক্তরাজ্য);
  • ১ × ৪৯ কিলোওয়াট বিশিষ্ট সিএটি ইমারজেন্সি জেনারেটর (যুক্তরাজ্য);
  • জেডএফ ৭৬০০ ট্রান্সমিশন (জার্মানি);
  • ২ × শ্যাফট
গতিবেগ: ২১ নট (৩৯ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা; ২৪ মাইল প্রতি ঘণ্টা)
সীমা: ১,৫০০ নটিক্যাল মাইল (২,৮০০ কিলোমিটার; ১,৭০০ মাইল)
সহনশীলতা: ৭ দিন
নৌকা ও অবতরণ
নৈপুণ্য বহন করে:
১টি
লোকবল: ৪৫ জন
সেন্সর এবং
কার্যপদ্ধতি:
  • ১ × ফুরুনো ডিআরএস৪ডব্লিউ র‍্যাডার (জাপান);
  • ১ × ফুরুনো এফএআর-৩৩২০ চার্ট র‍্যাডার (জাপান);
  • ১ × ফুরুনো নেভিগেশনাল ইকো সাউন্ডার এফই-৭০০
রণসজ্জা:
  • ২ × টুইন ব্যারেল ৩৭ মিমি কামান;
  • ২ × এসটিকে-৫০এমজি ১২.৭ মিমি বিমান-বিধ্বংসী মেশিনগান;
  • ৬ × কিউডব্লিউ-২ ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণ যোগ্য বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র;
  • সামুদ্রিক মাইন
টীকা: ১ × এফার ১৫৫এম ডেক ক্রেন (ইতালি)

বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (সংক্ষেপেঃ বানৌজা) অদম্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্যাট্রোল ক্রাফট, যা পদ্মা-শ্রেণীর প্রথম ব্যাচের অন্তর্ভুক্ত। গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় এটি খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডে নির্মিত হয়।

বর্তমানে, বানৌজা অদম্য ২৬ প্যাট্রোল ক্রাফট স্কোয়াড্রনের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। এর প্রধান কার্যক্রমগুলো নিম্নরূপ:

  • সামুদ্রিক এবং উপকূলীয় অঞ্চলে টহল প্রদান: দেশের জলসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে এটি নিয়মিত টহল কার্যক্রমে নিয়োজিত।
  • উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম: প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্যান্য জরুরি পরিস্থিতিতে সমুদ্রপথে উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে।
  • অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ: দেশের জলসীমা দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালান প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
  • জলদস্যুতা দমন: জলদস্যুদের কার্যকলাপ দমনে এবং বাণিজ্যিক নৌযানের নিরাপত্তা বিধানে সহায়ক হয়।
  • মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা: দেশের সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় এটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

বানৌজা অদম্য বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা সুরক্ষায় এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা বিধানে একটি অপরিহার্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত।[][][][][][][][][][১০][১১]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বানৌজা অদম্য নির্মাণ একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক, কারণ এটি খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড-এ নির্মিত প্রথম দেশীয় প্রযুক্তির যুদ্ধজাহাজ। এর নির্মাণ ইতিহাস নিম্নরূপ:

বানৌজা অদম্য নির্মাণের প্রেক্ষাপট:

  • বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নিজেদের জলসীমা সুরক্ষায় দেশীয় প্রযুক্তির ব্যবহার উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সরকার অভ্যন্তরীণভাবে যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে, "পদ্মা" শ্রেণীর প্যাট্রোল ক্রাফট নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এই শ্রেণীর জাহাজগুলো উপকূলীয় অঞ্চলে টহল, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যুতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

নির্মাণ প্রক্রিয়া ও সময়রেখা:

  • নির্মাণাদেশ: ২০১০ সালের ২ মে বাংলাদেশ নৌবাহিনী খুলনা শিপইয়ার্ডের সাথে বানৌজা অদম্য এবং পদ্মা শ্রেণীর আরও কয়েকটি জাহাজ নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষর করে।
  • ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন: ২০১১ সালের ৫ মার্চ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই জাহাজটির নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌবাহিনী চীনা কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় জাহাজ নির্মাণ শুরু করে। চায়না ক্ল্যাসিফিকেশন সোসাইটি (সিসিএস) এর নীতিমালা অনুসরণ করে এর নির্মাণ কাজ পরিচালিত হয়।
  • অভিষেক: সুনির্দিষ্ট তারিখ পাওয়া যায়নি, তবে ২০১৩ সালের শুরুর দিকে বানৌজা অদম্য আনুষ্ঠানিকভাবে পানিতে ভাসানো হয় বলে অনুমান করা যায়। এটি বাংলাদেশের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে নির্মিত পদ্মা-শ্রেণীর চতুর্থ যুদ্ধজাহাজ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
  • হস্তান্তর: ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বানৌজা অদম্যকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হয়।
  • কমিশন লাভ: ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৩ তারিখে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করে এবং সক্রিয়ভাবে নৌবহরে যুক্ত হয়।

গুরুত্ব ও অবদান:

  • বানৌজা অদম্য নির্মাণ বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পের জন্য একটি যুগান্তকারী ঘটনা। এর মাধ্যমে দেশের নিজস্ব শিপইয়ার্ডের সক্ষমতা প্রমাণিত হয় এবং ভবিষ্যতে আরও আধুনিক যুদ্ধজাহাজ নির্মাণে আস্থা তৈরি হয়। বানৌজা পদ্মা দেশের জলসীমা সুরক্ষায় এবং বিভিন্ন সামুদ্রিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
  • এই জাহাজটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর "পদ্মা" শ্রেণীর প্রথম ব্যাচের অন্তর্ভুক্ত। এই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় খুলনা শিপইয়ার্ডে আরও বেশ কয়েকটি পদ্মা শ্রেণীর জাহাজ নির্মিত ও কমিশন লাভ করেছে, যা দেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে।

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

বানৌজা অদম্য, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্যাট্রোল ক্র্যাফট, প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের সামুদ্রিক ও উপকূলীয় নিরাপত্তা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর কর্মজীবনে অর্জিত সাফল্য এবং বহুমুখী অবদান এটিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি অপরিহার্য অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

  • সামুদ্রিক ও উপকূলীয় অঞ্চলে টহল ও নিরাপত্তা: বানৌজা অদম্য নিয়মিতভাবে দেশের বিশাল সামুদ্রিক এলাকা এবং উপকূলীয় অঞ্চলে টহল কার্যক্রমে নিয়োজিত থাকে। এর প্রধান কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের জলসীমায় সার্বভৌমত্ব রক্ষা, সন্দেহজনক গতিবিধি পর্যবেক্ষণ এবং সামুদ্রিক সীমান্ত সুরক্ষিত রাখা। এটি দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বাণিজ্যিক সমুদ্রপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম: প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অন্যান্য জরুরি পরিস্থিতিতে বানৌজা অদম্য অসংখ্য উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছে। সমুদ্রে বিপন্ন জাহাজ বা জেলেদের জীবন রক্ষায় এর দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ বহুবার প্রশংসিত হয়েছে। এটি দুর্যোগ কবলিত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণেও সহায়তা প্রদান করে থাকে।
  • অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ: বাংলাদেশের দীর্ঘ উপকূলীয় অঞ্চল এবং বঙ্গোপসাগরের কৌশলগত অবস্থানের কারণে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বানৌজা অদম্য এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। এর নিয়মিত টহল এবং নজরদারির ফলে বহু অবৈধ অনুপ্রবেশকারীকে আটক করা সম্ভব হয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ চোরাচালানকৃত পণ্য জব্দ করা হয়েছে।
  • জলদস্যুতা দমন ও আটক: জলদস্যুতা বৈশ্বিক সামুদ্রিক বাণিজ্যের জন্য একটি মারাত্মক হুমকি। বাংলাদেশ নৌবাহিনী এই হুমকি মোকাবিলায় বদ্ধপরিকর, এবং বানৌজা অদম্য এই প্রচেষ্টার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুতার ঘটনা প্রতিরোধ এবং জড়িতদের আটক করার ক্ষেত্রে একাধিক সফল অভিযান চালিয়েছে, যা সমুদ্রপথের নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।
  • মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের গুরুত্ব অপরিসীম। বানৌজা অদম্য অবৈধ মৎস্য আহরণ প্রতিরোধে কঠোর নজরদারি করে। এটি সরকার ঘোষিত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ সহ বিভিন্ন মৎস্য সংরক্ষণ অভিযানে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। এর কার্যক্রমে দেশের মৎস্য সম্পদ সুরক্ষিত থাকে এবং প্রাকৃতিক সামুদ্রিক পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকে। এছাড়াও, দেশের সামুদ্রিক প্রাকৃতিক সম্পদ যেমন তেল ও গ্যাসের অনুসন্ধান এবং সুরক্ষায় এটি সহায়তা প্রদান করে।
  • জাতীয় দিবসসমূহে জাহাজের প্রদর্শন: বানৌজা অদম্য জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবস যেমন স্বাধীনতা দিবস, সশস্ত্র বাহিনী দিবস এবং বিজয় দিবসে জনগণের জন্য প্রদর্শিত হয়। এই প্রদর্শনীগুলো সাধারণ মানুষকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা দেয় এবং দেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করে। এটি তরুণ প্রজন্মকে নৌবাহিনীতে যোগদানে উৎসাহিত করতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

বানৌজা অদম্য তার কর্মজীবনের প্রতিটি ধাপে দেশের সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা, সম্পদ রক্ষা এবং জনকল্যাণে অসামান্য অবদান রেখেছে। এর নিরলস কর্মতৎপরতা বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সক্ষমতা এবং পেশাদারিত্বের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ভবিষ্যতে এটি দেশের সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়।

বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো

[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বানৌজা অদম্য দেশের সমুদ্রসীমা সুরক্ষায় নিয়োজিত একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • দৈর্ঘ্য: ৫০.৪ মিটার (১৬৫ ফুট)
  • প্রস্থ: ৭.৫ মিটার (২৫ ফুট)
  • গভীরতা: ৪.১ মিটার (১৩ ফুট)
  • ওজন: ৩৫০ টন

প্রপালশন সিস্টেম:

  • ৪টি ১,৩৬২ অশ্বশক্তি (১,০১৬ কিলোওয়াট) বিশিষ্ট ডুয়েটজ টিবিডি ৬২০ভি৮ ডিজেল ইঞ্জিন (জার্মানি)
  • ১টি ১২০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সিএটি জেনারেটর (যুক্তরাজ্য)
  • ১টি ৪৯ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সিএটি ইমারজেন্সি জেনারেটর (যুক্তরাজ্য)
  • জেডএফ ৭৬০০ ট্রান্সমিশন (জার্মানি)
  • ৪টি শ্যাফট
  • সর্বোচ্চ গতিবেগ: ২১ নট (৩৯ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা; ২৪ মাইল প্রতি ঘণ্টা)

নেভিগেশন ও অনুসন্ধান সরঞ্জাম:

  • ১টি ফুরুনো ডিআরএস৪ডব্লিউ র‍্যাডার (জাপান) সমুদ্রপৃষ্ঠ অনুসন্ধানের জন্য
  • ১টি ফুরুনো এফএআর-৩৩২০ চার্ট র‍্যাডার (জাপান)
  • অভিযান সক্ষমতা: ৪৫ জন সদস্য নিয়ে একনাগাড়ে ৭ দিন অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম।

রণসজ্জা

[সম্পাদনা]

বানৌজা অদম্য জাহাজটির আকার আয়তন অপেক্ষাকৃত ছোট হলেও নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে অভিযান পরিচালনায় এর সক্ষমতা বিশেষভাবে প্রশংসনীয়। শত্রু জাহাজ মোকাবেলা, চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমনে জাহাজটিতে রয়েছে:

  • ২টি টুইন ব্যারেল ৩৭ মিমি বিমান বিধ্বংসী নেভাল গান যা সর্বোচ্চ ৮.২ কিমি দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম
  • ২টি এসটিকে-৫০এমজি ১২.৭ মিমি বিমান-বিধ্বংসী মেশিনগান
  • সামুদ্রিক মাইন
  • ৬টি কিউডব্লিউ-২ ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণ যোগ্য বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ০৭ (সাত) বছরের অগ্রগতির তথ্য প্রচারের ব্যবস্থাকরণ সম্পর্কিত" (পিডিএফ)mod.portal.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২০ 
  2. "PATROL CRAFT – Khulna Shipyard Ltd" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-১১-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১০-২০ 
  3. "4 warships including Somoudra Joy commissioned"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২৩ ডিসেম্বর ২০১৩। ১৫ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০১৫ 
  4. "সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে যুদ্ধ জাহাজ 'অদম্য' এখন চাঁদপুরে"। ৫ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০২২ 
  5. "Tender specification of main engine" (পিডিএফ)Directorate General Defense Purchase (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১১-১৪ 
  6. "সদরঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ বানৌজা অদম্য। BD NAVY Ship ADOMYA #Rakibul_Launch_Videography"। ২৪ জুন ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুন ২০২৩ 
  7. "Bangladesh still aiming for sub purchases"upi.com। United Press International, Inc। ২৭ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জুন ২০১৫ 
  8. প্রতিবেদক, নিজস্ব (২০১৩-১২-২৩)। "ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনীর স্বপ্নপূরণ সময়ের ব্যাপার: রাষ্ট্রপতি"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৬-১৫ 
  9. "স্বাধীনতা দিবসে রাজধানীর সদরঘাটে চলছে নৌবাহিনীর জাহাজ প্রদর্শনী" 
  10. "নৌবাহিনীর জাহাজ P262 #ship #জাহাজ #নৌবাহিনী" 
  11. "বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ। #ship #shorts"