বাতাসি পাখি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

Swift
পাতি বাতাসি, Apus apus
আবাবিলদের থেকে এদের ডানার গঠন বেশ ভিন্ন
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
বর্গ: Apodiformes
পরিবার: Apodidae
Hartert, 1897
গণ

প্রায় ২০টি গণ

বাতাসি (Swift) একদল ছোট অাকৃতির আকাশচারী পাখি। দৈহিক গড়নের দিক থেকে আবাবিলদের সাথে এদের অসম্ভব সাদৃশ্য থাকলেও প্রকৃতপক্ষে এরা দু'টি ভিন্ন দলের পাখি। সকল বাতাসি Apodiformes (অ্যাপোডিফর্মিস) বর্গের অন্তর্গত Apodidae (অ্যাপোডিডি) গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। এদের দেহ কাল অথবা ছাই বর্ণের পালক দিয়ে আবৃত। পালকে সাদা বা ধূসর ছাপ দেখা যায়। আকারে ছোট। গোত্রীয় বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী এদের পা ক্ষুদ্র। সরু, পশ্চাদমুখী ডানা এদেরকে দ্রুত উড়তে সাহায্য করে।

স্বভাব[সম্পাদনা]

বাতাসির বিভিন্ন প্রজাতিকে প্রাচ্য এবং অস্ট্রেলিয়াতে দেখা যায়। বাংলাদেশে মোট ৭ প্রজাতির স্থায়ী এবং ১ প্রজাতির পরিযায়ী বাতাসি আছে।
দৈহিক আকৃতির কারণে এরা অত্যন্ত দ্রুত উড়তে সক্ষম।প্রায় সারাদিনই এরা উড়াউড়ি করে। উড়ন্ত অবস্থাতেই এরা খাদ্য সংগ্রহ করে থাকে। এদের খাদ্য তালিকায় আছে বিভিন্ন কীট-পতঙ্গ যেমন, উই পোকা, জাবপোকা, বোলতা, মৌমাছি, উড়ুক্বু পিঁপড়া ইত্যাদি।
সাধারণত, রাতের বেলায় এরা বাসায় ঘুমিয়ে কাটায়। তবে কোন কোন প্রজাতির বাতাসি প্রজননকালে রাতেও উড়ে বেড়ায়।
মুখ-নিঃসৃত আঠালো লালা এদের বাসা নির্মাণের প্রধান উপাদান। এর মাধ্যমে এরা বাসার উপকরণ জোড়া লাগায়,গাছের সাথে বাসা সংযুক্ত রাখে।তবে প্রজাতিভেদে নির্মাণ কৌশলে ভিন্নতা দেখা যায়। স্ত্রীপুরুষ পাখি একত্রে বাসা তৈরি করে, ডিমে তা দেয় এবং বাচ্চাদের লালনপালন করে থাকে।

বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রজাতি[সম্পাদনা]

FAMILY: Apodidae

[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, বাংলাপিডিয়া, সপ্তম খণ্ড। প্রধান সম্পাদকঃ সিরাজুল ইসলাম ব্যবস্থাপনা সম্পাদকঃ সাজাহান মিয়া । বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিক,নিমতলী, ঢাকা ১০০০।মার্চ ২০০৩।[পৃষ্ঠাঃ ৫]