বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র
বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র | |
---|---|
![]() | |
![]() | |
প্রাক্তন নাম | বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র |
সাধারণ তথ্যাবলী | |
অবস্থা | সম্পন্ন |
ধরন | সম্মেলন সুবিধা |
স্থাপত্যশৈলী | আধুনিক স্থাপত্য |
অবস্থান | আগারগাঁও, শেরে বাংলা নগর, ঢাকা |
শহর | ঢাকা |
দেশ | বাংলাদেশ |
সম্পূর্ণ | ২০০১ |
উন্মুক্ত হয়েছে | ২০০২ |
নির্মাণব্যয় | ৫ কোটি মর্কিন ডলার |
ভূতল | ৫০,০০০ বর্গ মিটার |
নকশা ও নির্মাণ | |
স্থপতি | বেইজিং ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেকচারাল ডিজাইন্স অ্যান্ড রিসার্চ |
অন্যান্য তথ্য | |
পার্কিং | ৭০০ |
ওয়েবসাইট | |
বাংলাদেশ চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র |
বাংলাদেশ চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, যা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র নামেও পরিচিত, হলো ঢাকার শেরেবাংলা নগরের আগারগাঁও-এ অবস্থিত বাংলাদেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র।[১] ২০০১ সালে সম্মেলন কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয় এবং এটির নকশা করেছে বেইজিং ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেকচারাল ডিজাইন্স অ্যান্ড রিসার্চ।[২] এটি মূলত বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ।
নির্মাণ ও নামকরণ
[সম্পাদনা]সম্মেলন কেন্দ্রটি নির্মাণের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল ২০০২ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ১১৪ সদস্যের জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের ত্রয়োদশ শীর্ষ সম্মেলনটি অয়োজন করা। এই উদ্দেশ্যেই ২০০০ সালের দিকে ৫ কোটি মার্কিন ডলারের চীনা অর্থায়নে ৫০, ০০০ বর্গমিটার জায়গার উপর এর আনু্ঠিানিক নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। কেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য প্রায় ৪০০ জনের মতন চীনা ইঞ্জিনিয়ার এবং কারিগর কাজ করেন এবং ২০০১ সালে নির্মাণ শুরুর প্রায় ১৭ মাস পর কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ সম্মন্ন হয়। প্রথমে অনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র নামকরণ করা হলেও ২০০২ সালের ১২ জানুয়ারি কেন্দ্রটির আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এর নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র রাখা হয়। ২০০৯ সালে সম্মেলন কেন্দ্রটিকে পুনরায় ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র’ নামকরণ করা হয়। ২০২৫ সালে এটি আগের নাম বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র নামকরণ করা হয়।[৩][৪]
ভবনের কাঠামো
[সম্পাদনা]প্রধান সম্মেলন কক্ষটিতে ৭০০ প্রতিনিধি ও গ্যালরিতে ১০০০ পর্যবেক্ষকসহ মোট ১৭০০ টি আসন রয়েছে। বিভিন্ন সভার জন্য এতে ২০০ আসন বিশিষ্ঠ দুটি ক্ষ, চারটি আলোচনা কক্ষ ও ৭০০ আসন বিশিষ্ঠ একটি ফোডকোর্ট রয়েছে। এছাড়াও সাংবাদিকদের জন্য রয়েছে ৩০০ আসন বিশিষ্ঠ একটি কক্ষ। প্রধান সম্মেল কক্ষের খোলা ছাদের আয়তন ২২ মিটার এবং এটি ২৪টি কংক্রিট স্তম্ভের উপর স্থাপিত। মোট সম্মেল কেন্দ্রটি ৫০০০০ বর্গমিটারের হলেও এর মূল ভবনটি ২০,০০০ বর্গমিটার জায়গার উপর নির্মিত ও ভবনের চারপাশের খোলা প্রাঙ্গনের আয়তন ৩০,০০০ বর্গমিটার।[২]
সম্মেলন কেন্দ্রটিতে ৭০০ গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাসহ রয়েছে ১২৮টি দেশের পতাকা স্থাপনের দন্ড। পতাকা দন্ডগুলো পানির ফোয়ারার চারপাশে স্থাপন করা হয়েছে। কেন্দ্রটিতে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মেলন, রপ্তানি মেলার আয়োজন করা হয়। সম্পূর্ণ কেন্দ্রটি ইলেক্টনিক পদ্ধতিতে পরিচালনা করা হয়ে থাকে।
স্থিরচিত্র
[সম্পাদনা]-
আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের উত্তর-পশ্চিম দিক
-
আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের প্রধন প্রবেশপথ (পূর্ব-উত্তর) দিকে
-
আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনের দিক
-
আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র মূল ভবন
-
আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পশ্চিম দিকের দেয়াল
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Dhaka International Trade Fair-2014"। Ditf-epb.gov.bd। ২০১৪-১০-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-১৫।
- ↑ ক খ এনামুল হক (২০১২)। "বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ "Bangladesh China Friendship Conference Center (BCFCC)"। BCFCC। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।
- ↑ "চীন মৈত্রীতে এশিয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ৮ নভেম্বর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]উইকিমিডিয়া কমন্সে বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।
- অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
- বাংলাপিডিয়ায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র