বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন
![]() প্রাতিষ্ঠানিক লোগো | |
সংক্ষেপে | বিএডিসি |
---|---|
গঠিত | ১৯৬১ |
ধরন | সরকারি |
আইনি অবস্থা | সক্রিয় |
অবস্থান | |
যে অঞ্চলে কাজ করে | বাংলাদেশ |
দাপ্তরিক ভাষা | বাংলা ও ইংরেজি |
চেয়ারম্যান | আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ এনডিসি |
প্রধান অঙ্গ | কৃষি মন্ত্রণালয় |
ওয়েবসাইট | বিএডিসি |
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন সংক্ষেপে বিএডিসি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন একটি স্বায়ত্বশসিত প্রতিষ্ঠান। এর প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত
ইতিহাস ও গঠন[সম্পাদনা]
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি), তদানিন্তন পূর্বপাকিস্তান কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন নামে কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন অধ্যাদেশ, ১৯৬১ (ই.পি. অধ্যাদেশ XXXVII,১৯৬১) এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়। সরকারের কৃষি খাতের অন্যান্য উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান হতে কার্যক্রমের দিক থেকে ভিন্নতর বিবেচিত হওয়ায় ১৯৭৫ সালে বিএডিসি’কে বাংলাদেশ কৃষি উপকরণ সরবরাহ এবং সেবা কর্পোরেশন (বিএআইএসএসসি) হিসেবে পুনঃনামকরণ করা হয়। কিন্তু ১৯৭৬ সালে বিএআইএসএসসি এর নাম পুনঃ পরিবর্তন করে বিএডিসি নাম পুনর্বহাল করা হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন একটি স্বায়ত্ব শাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিএডিসি’র ভিত্তি ঢাকা শহর কেন্দ্রিক হলেও এর সেবার পরিধি সমগ্র বাংলাদেশে বিস্তৃত। মাঠপর্যায়ের অফিসসমূহ উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত, এমনকি কোন কোন ক্ষেত্রে আরো প্রত্যন্ত এলাকায় অফিসের সুবিস্তৃত নেটওয়ার্ক রয়েছে।
কর্পোরেশনের সাধারণ ও প্রশাসনিক দিকনির্দেশনা এবং অন্যান্য বিষয়াবলী সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে পরিচালনাপর্ষদ এর উপর ন্যস্ত। কর্পোরেশনের সাংগঠনিক কাঠামো ৫টি উইং এর সমন্বয়ে গঠিত। এগুলো হলো: বীজ ও উদ্যান, ক্ষুদ্রসেচ, সার ব্যবস্থাপনা, অর্থ এবং প্রশাসন।
বিএডিসি’র উপর অর্পিত মৌলিক কাজগুলো হচ্ছে: সারা বাংলাদেশে কৃষি উপকরণ উৎপাদন, সংগ্রহ (ক্রয়), পরিবহন, সংরক্ষণ এবং বিতরণ ব্যবস্থাপনা টেকসই করা এবং অত্যাবশ্যকীয় কৃষি উপকরণ যেমন: বীজ, সার সরবরাহ এবং ভূপরিস্থ ও ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষকের জন্য সেচের সুযোগ সৃষ্টি করা।
বিএডিসি’তে কৃষি, প্রকৌশল, অর্থনীতি, ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিভিন্ন পেশার পেশাজীবীগণ একত্রে কাজ করছেন। সর্বমোট মঞ্জুরীকৃত পদের সংখ্যা ছিল ২৫,৪৫১টি। কিন্তু ৯০ এর দশকের শুরুতে বিএডিসি হতে সারব্যবস্থাপনা কার্যক্রম প্রত্যাহার ও সেচকার্যক্রম বেসরকারীকরণ এবং স্বাভাবিক ও স্বেচ্ছা অবসর প্রদানের ফলে জনবল হ্রাস পায়।
এক গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ১৯৯৯ সালে (বাংলাদেশ গেজেট ২২ নভেম্বর, ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত) কর্পোরেশনটি পুনর্গঠন করা হয় এবং মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন ও সেচের উপর কিছু নতুন কার্যক্রম প্রদান করা হয়। বিএডিসিতে নতুন নতুন প্রকল্প ও কর্মসূচির মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে সেচ কাজে ভূপরিস্থ পানি ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি, জি২জি পদ্ধতির মাধ্যমে সারআমদানি, বীজ উৎপাদন কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ সহ উচ্চফলনশীল জাতের বীজবর্ধন ও বিভিন্ন প্রকার প্রতিকূল সহিষ্ণু জাতের উৎপাদন বৃদ্ধির কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। [১]
ভিশন এবং মিশন[সম্পাদনা]
ভিশন[সম্পাদনা]
মানসম্পন্ন কৃষি উপকরণ যোগান ও দক্ষ সেচ ব্যবস্থাপনা।
মিশন[সম্পাদনা]
উচ্চ ফলনশীল বিভিন্ন ফসলের বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও সরবরাহ বৃদ্ধি করা, সেচ প্রযুক্তি উন্নয়ন, ভূ-পরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার, জলাবদ্ধতা দূরীকরণের মাধ্যমে সেচ দক্ষতা ও সেচকৃত এলাকা বৃদ্ধি এবং কৃষক পর্যায়ে মানসম্পন্ন সার সারবরাহ করা।
কার্যক্রমসমূহ[সম্পাদনা]

- সারা বাংলাদেশে কৃষি উপকরণ উৎপাদন, সংগ্রহ (ক্রয়), পরিবহন, সংরক্ষণ এবং বিতরণ ব্যবস্থাপনা টেকসই করা।
- অত্যাবশ্যকীয় কৃষি উপকরণ, যেমনঃ বীজ, সার সরবরাহ এবং ভূপরিস্থ ও ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষকের জন্য সেচের সুযোগ সৃষ্টি করা।
উইংসমূহ[সম্পাদনা]
কর্পোরেশনের সাংগঠনিক কাঠামো ৫টি উইং এর সমন্বয়ে গঠিত।
- বীজ ও উদ্যান উইং
- সার-ব্যবস্থাপনা উইং
- ক্ষুদ্রসেচ উইং
- প্রশাসন উইং
- অর্থ উইং
আরো দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)"। www.badc.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৪-২০।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]