বাংলাদেশ–সুইডেন সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাংলাদেশ-সুইডেন সম্পর্ক
মানচিত্র Bangladesh এবং Sweden অবস্থান নির্দেশ করছে

বাংলাদেশ

সুইডেন

বাংলাদেশ-সুইডেন সম্পর্ক বলতে বাংলাদেশসুইডেনের মধ্যে আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ককে বোঝায়। স্টকহোমে বাংলাদেশের একটি দূতাবাস ও ঢাকায় সুইডেনের একটি দূতাবাস রয়েছে।[১][২]

সম্পর্ক[সম্পাদনা]

১৯৭১ সালে নবগঠিত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম দেশগুলোর মধ্যে সুইডেন অন্যতম। সুইডেন এবং বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক প্রধানত অপেক্ষাকৃত ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজে সহযোগিতা এবং ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য বিনিময় নিয়ে গঠিত। সুইডিশ ব্যবসা ও শিল্পের জন্য বাংলাদেশ একটি দ্রুত বর্ধনশীল বাজারে পরিণত হয়েছে। প্রধানত ফ্যাশন এবং টেক্সটাইল শিল্পে পঞ্চাশেরও বেশি সুইডিশ কোম্পানি বাংলাদেশে সক্রিয়। সুইডেন সাধারণত ওয়ার্কশপ পণ্য ও টেলিকম সরঞ্জাম রপ্তানি ও বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক এবং অন্যান্য বস্ত্র আমদানি করে।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের সাথে সুইডিশ উন্নয়ন সহযোগিতা শুরু হয়। বর্তমান ফলাফল কৌশল ২০১৪-২০২০। সুইডিশ উন্নয়ন সহযোগিতা মানবাধিকার ও গণতন্ত্র, দারিদ্র্য হ্রাস, পরিবেশ ও জলবায়ু এবং স্বাস্থ্য বিষয়ের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। ২০১৮ সালে দক্ষিণ বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী এলাকায় সংকট প্রতিরোধের ক্ষমতা জোরদার করার লক্ষ্যে বিদ্যমান কৌশলে পঞ্চম লক্ষ্য যুক্ত করা হয়। উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসাবেলা লাভলিন ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ পরিদর্শন করেন। ২০১৭ সালের ১৫-১৬ জুন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুইডেন সফর করেন এবং সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লফভেনের সাথে সাক্ষাৎ করেন। ২০১৭ সালের নভেম্বরমাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্গট ওয়ালস্টর্ম রাজধানী ঢাকা এবং কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন।[৩]

কূটনৈতিক সম্পর্ক[সম্পাদনা]

২০২১ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত বাংলাদেশ স্টকহোমে একটি দূতাবাস বজায় রেখেছে। দূতাবাসের প্রধান রাষ্ট্রদূত মোঃ নজরুল ইসলাম, যিনি নরওয়ে এবং ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতও।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Official homepage of Embassy of Bangladesh in Sweden"। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১৯ 
  2. "Official homepage of Embassy of Sweden in Bangladesh"। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১৯ 
  3. "The Swedish Government on the Bangladesh and Sweden relations (in Swedish)"। সংগ্রহের তারিখ ১৪ এপ্রিল ২০১৯ 
  4. "সুইডেনের আগ্রহকে কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ"Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৫-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-০৫