২০১৪ বাংলাদেশে হিন্দু বিরোধী সহিংসতা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশে দশম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং তার মিত্র জামায়াতে ইসলামী এই নির্বাচন বর্জন করে। বিরোধী দলগুলোর ধারাবাহিক হরতাল ও সহিংসতার মধ্যে নির্বাচন হয়। ভোটের পর বিরোধী দলের কর্মী এবং সমর্থকরা সংখ্যালঘু বাঙালি হিন্দুদের ওপর হামলা শুরু করে। লুটপাট, ভাঙচুর এবং সারা দেশে বেশ কয়েকটি জেলায় হিন্দুদের বাড়িঘরে আগুন দেয়।[১] জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এর সাতজনকে এই হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।[২]জাতীয় মানবাধিকার কমিশন নির্বাচনের পর হিন্দুদের উপর হামলার জন্য সরকারকে দায়ী করে।[৩]ভারতে তৎকালীন বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার নিন্দা জানায়।[৪]

আক্রমণ[সম্পাদনা]

চট্টগ্রাম বিভাগ[সম্পাদনা]

৫ জানুয়ারী বিকেলে চট্টগ্রাম বিভাগের সাতকানিয়া উপজেলা, লোহাগড়া উপজেলা এবং বনশখালি উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায় আক্রমণের শিকার হয়। জামাতি ইসলাম এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ক্যাডাররা অন্ততপক্ষে ১৫০ টি হিন্দু বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে।[৫]

লোহাগড়া উপজেলায় জামাতি ইসলাম ও বিএনপির কর্মীরা হিন্দুদের বাড়িঘরে লুটপাত করে, তাদের সম্পত্তি বিনষ্ট করে এবং কলুজান এলাকায়; হিন্দুদের বাজারে হিন্দুদের দোকানের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে।[৬] তারা হিন্দুদের মন্দির ভাঙারও প্রয়াস চালায়।[৬]

লক্ষীপুর জেলায়; ৯ জানুয়ারী রাতে; রামগঞ্জ উপজেলার গ্রাম নারায়ণপুরের কালি মন্দিরে দুর্বৃত্ত কর্তৃক অগ্নিসংযোগ করা হয়।[৭]

ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলায় ইসলামী মৌলবাদীরা শ্রী শ্রী দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ১৬ জানুয়ারী অগ্নিসংযোগ করে। তারা সেই মন্দির থেকে মুল্যবান সামগ্রীও লুটপাত করে।[৮]

ঢাকা বিভাগ[সম্পাদনা]

নেত্রকোণা জেলায় ৭ জানুয়ারীতে কালিমন্দিরে ভাঙচুর করা হয়, মধ্যরাতে করা হয় অগ্নিসংযোগ।[৯]

নেত্রকোণা জেলার, সদর উপজেলায় বাদে দুদখোর এলাকায় দুর্বৃত্তরা আরেকটি কালী মন্দির জ্বালিয়ে দেয়। সেই মন্দিরটি চন্দন নামক স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যের বাড়িতে অবস্থিত ছিল।[১০]

১০ জানুয়ারী গাজীপুর জেলা, কাপাসিয়া উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নের বাকদী মালিবাড়ি এলাকায় হিন্দু বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।[১১]

ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের দক্ষিণে; বাংলাদেশের ইস্কন মন্দিরের হেডকোয়ার্টার অবস্থিত, যা ২০১৪ সালের ৩০ জুন রাতের ১০:২০ এ শতাধিক উগ্রপন্থিদের দ্বারা আক্রমণের শিকার হয়।[১২]

খুলনা বিভাগ[সম্পাদনা]

যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলায় ৫ জানুয়ারীতে ৭০ থেকে ৮০ জন বিএনপির নেতাকর্মী ; সকাল দশটার দিকে অন্তত ৫ জন হিন্দুর উপর ভোট দেওয়ার অপরাধে আক্রমণ করে।[১৩] আক্রান্তদের বাঁচানোর জন্য পুলিশ ফাকা গুলি ছুড়লে, আক্রমণকারীরা পালিয়ে যায়, এবং যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে যায়, তারা দলবল নিয়ে আবারো ফিরে আসবে। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে প্রায় আড়াইশ কর্মী নিয়ে জামাতি ইসলাম এবং বিএনপির কর্মীরা; ধারালো অস্ত্রসাজে সজ্জিত হয়ে, হিন্দু অধ্যুষিত গ্রাম মালয়পাড়াতে আক্রমণ করে, সেখানে তারা প্রায় একশ ত্রিশটি বাড়িঘরে ভাঙচুর চালায় এবং দশটি ঘরেআগুন লাগিয়ে দেয়।[১৪] জামাতি ইসলাম এবং ইসলামী ছাত্র শিবির বন্দুক, ককটেইল, চাপাতি, লোহার ডান্ডা নিয়ে হিন্দুদের ধাওয়া করে, প্রায় শতাধিক হিন্দু ভৈরব নদীতে ঝাপ দেয় এবং সাঁতরে অন্য পাড়ে উঠে।[১৩] হিন্দুদের নারকেল,কলা গাছ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, কেটে ফেলা হয়। গোয়ালঘর পুড়িয়ে ফেলা হয়। মুর্তি ভেঙে ফেলা হয়। অন্ততপক্ষে ২০ জন এই আক্রমণে গুরুতর আহত হয়।[১৩] সেই গ্রামের প্রায় ৬০০ হিন্দু ভৈরব নদী সাঁতরে শ্রীধর ইউনিয়নের দিয়াপাড়া গ্রামে আশ্রয় নেয়।[১৪]

৭ জানুয়ারীর রাতে, মুখোশধারী মানুষরা যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার হজরাইল ঋষিপল্লীর দুইটি হিন্দু বাড়িতে আক্রমণ চালায়। তারা পুরুষদের জিম্মি করে, নারীদের গণধর্ষণ করে।[১৫][১৬]

৮ জানুয়ারি মোরালগঞ্জ উপজেলার কাচুবুনিয়াতে বাগেরহাট জেলায় রাধাগোবিন্দ মন্দির একটি কালি মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করা হয়।[৭] ইসলামী মৌলবাদীদের দ্বারা ৯ জানুয়ারী, রামচন্দ্রপুরের রাধাগোবিন্দ সেবাশ্রম এবং শ্রী শ্রী শ্যামা মন্দির জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।[৮]

বাগেরহাট জেলার মোরালগঞ্জ উপজেলায় ১৬ জানুয়ারীতে রাধাগোবিন্দ মন্দিরের শাশ্বতী পূজা মণ্ডপ; ইসলামী মৌলবাদীরা পুনরায় অগ্নিসংযোগ করে।[৮]

মাগুরা জেলায় ১০ জানুয়ারী মাগুরা সদর উপজেলার সাতদোহা এলাকা থেকে দুইটি হিন্দু মন্দির থেকে স্বর্ণালঙ্কার চুরি করা হয়।[৭][১৭] দুর্বৃত্তরা শ্রী শ্রী নেংটা বাবার আশ্রমের দুইটি মন্দিরে ভাঙচুর করে, এবং দানবাক্স থেকে ক্যাশ চুরি করে, চুরি করে স্বর্ণ ও রুপার মুল্যবান সামগ্রী।[১৮]

৫ জানুয়ারীর রাতে সাতক্ষীরা জেলায় ৪৬ টা ঘর এবং হিন্দু ধর্মের সম্পত্তি বিনষ্ট করা হয়েছিল এবং ৬টা ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। দুর্বৃত্তরা হিন্দুদের আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়ার জন্য দায়ী করে।[৫]

রংপুর বিভাগ[সম্পাদনা]

৫ জানুয়ারীর সকালে বিরোধী দলের শতাধিক কর্মী দিনাজপুর জেলার সদর উপজেলার করনাই গ্রামে আক্রমণ করে। তারা হিন্দু মালিকানাধীন ৮টি দোকানে লুটপাত করে এবং ১২ টি হিন্দু ঘরে অগ্নিসংযোগ করে।[১৯]

৭ জানুয়ারীর রাতে বিএনপি এবং জামাতি ইসলামের কর্মীরা গাইবান্ধা জেলার গাইবান্ধার সদর উপজেলার কুপতোলা ইউনিয়নের পাচটি হিন্দু দোকান এবংদুইটি বাড়ি ধ্বংস করে দেয়। পাচজন লোক এ আক্রমণে আহত হয়।[৫]

লালমনিরহাট জেলায় বিরোধী দল দ্বারা হুমকি দেওয়া হয়েছিল, ভোট না দেওয়ার জন্য। প্রশাসন থেকে নিরাপত্তা না পাওয়ায় সেখানের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ভোট দিতে যায়নি।[১৪] লালমনিরহাট পূজা উৎযাপন পরিষদ এর সাধারণ সেক্রেটারির মতে শুধুমাত্র ৪ থেকে ৫ শতাংশ হিন্দুই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছিল।[১৪] শফিনগর এবং সেনপাড়া গ্রামের শতাধিক হিন্দু পরিবার; নির্বাচনের পর জামাতি ইসলাম ও ইসলামী ছাত্র শিবির থেকে হুমকি পায়।[৫]

ঠাকুরগাঁও জেলার গোপালপুর গ্রামের প্রায় ৫০০ পরিবার থেকে ১২০০ হিন্দু ইস্কন মন্দিরে আশ্রয় নেয়।[৬]

রাজশাহী বিভাগ[সম্পাদনা]

বগুড়া জেলায়, জামাতি ইসলাম ও বিএনপির কর্মীরা নন্দীগ্রাম উপজেলায় হিন্দুদের উপর আক্রমণ করে।[৬]জয়পুরহাট জেলায়, একজন হিন্দুর ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়, একজন বদ্ধ ব্যক্তি, এরকম কোলাহলের দরুণ আতঙ্কে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান।[৫] নাটোর জেলার সুকাশ ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের হিন্দুদের হুমকি দেওয়া হয়, যায়ে তারা ভোট দিতে না যায়। তা সত্বেও তিনজন হিন্দু ৫ জানুয়ারী ভোট দিতে যান। নির্বাচনের পরে তাদের ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়।[৫]

ইসলামী মৌলবাদীরা পুনরায়, বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম উপজেলায় ১২ জানুয়ারী আক্রমণ করে, কিছু বাড়িঘরে লুটপাত করা হয়, কোনো বাড়িঘরে হামলা করা হয়, কিছু টিউবওয়েল উপড়ে তা নিয়ে যাওয়া হয়।[১০]

বরিশাল বিভাগ[সম্পাদনা]

বরিশাল জেলার, একটি হিন্দু পরিবারকে তাদের ঘর থেকে বাস্তুচ্যত করা হয়।[২০] এটি আগালিঝাড়া উপজেলার থানেশ্বরকাথি গ্রামে ঘটেছিল।বর্তমান সরকার আওয়ামীলীগ এর কর্মী যুবলীগ ক্যাডার তার দলবল নিয়ে মি. তপন সরকারের ঘর দখল করতে আসে। তারপর তারা মি. তপন সরকার এবং তার পরিবারকে মারধোর করে, এরপর তপনের পরিবার কাছাকাছি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়।[২০]

পিরোজপুর জেলার বান্দরবান উপজেলায়, ৫ জানুয়ারীর জাতীয় নির্বাচনের পর ১২ তারিখ ইসলামী মৌলবাদীরা প্রাচীন দুর্গা মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করে। সেইসব মৌলবাদীরা মন্দিরকে ভষ্মীভুত করে দেয়। t.[১০]

সরকারী অবস্থা[সম্পাদনা]

২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি, জাতীয় ইংরেজি দৈনিক ডেইলী স্টার; উচ্চ আদালতে পুলিশ কর্তৃক সাবমিট কৃত রিপোর্টের সারাংশ প্রকাশ করে। এই রিপোর্ট অনুসারে, ২১ জেলায় প্রায় ১৬০ টি হিন্দু পরিবারের উপর, জাতীয় নির্বাচনের পর আক্রমণ হয়। যেখানে হিন্দুদের প্রায় ৪০ লক্ষ সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।[২১]

প্রতিক্রিয়া[সম্পাদনা]

অভ্যন্তরীণ প্রতিক্রিয়া[সম্পাদনা]

  • খালেদা জিয়াঃ বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দলের নেত্রী, তার দল বিএনপি ও জোটবদ্ধ জামাতি ইসলামের, সংখ্যালঘু হিন্দু ধর্মের মানুষের উপর আক্রমণের অভিযোগ প্রত্যাখান করেন।[২২]
  • বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রধান মিজানুর রহমান, এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন; বাংলাদেশ সরকার নির্বাচনের পরে, হিন্দুদের উপর আক্রমণ প্রতিহত করতে সম্পুর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।[২২]
  • গণজাগরণ মঞ্চ ১০ জানুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থেকে যশোরে, যেসব হিন্দুরা জামাত-শিবিরের দ্বারা আক্রমণের স্বীকার হয়েছে, তাদের দেখতে অভয়পাড়া জেলার মালয়পাড়া তে যায়। মঞ্চ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্বববিদ্যালয়ে, মানিকগঞ্জে, ফরিদপুরের মধুখালিতে এবং মাগুরাতে একই দিনে রাস্তায় র‍্যালী বের করে।[২৩]
  • মানবাধিকার কমিশন আইন ও শালিসকেন্দ্র এই সমস্ত আক্রমণের বিরুদ্ধে বিবৃতি দান করে। বিববৃতিতে বলা হয়েছে, যারা ক্ষতির শিকার হয়েছে, তাদের যেন দ্রুততার সাথে পুনর্বাসন করা হয়। মোহাম্মদ নুর খান, যিনি এর প্রধান পরিচালক ছিলেন, তিনি এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন, নিরাপত্তার অভাবে অনেকেই তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে।[২৪]
  • কর্মজীবি নারী: নারী অধিকারকর্মীর একটি এনজিও, মানববন্ধন করে, প্রশাসনকে অনুরোধ জানায়, যাতে করে হিন্দু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা দেয় এবং এই ন্যাক্কারজনক হামলার পিছনে যে বা যারা; তাদের যেন দৃষ্টান্তমুলক সাজা হয়।[২৪]
  • রাঙামাটিতে, সনাতন যুব পরিষদ এবং পূজা উৎযাপন কমিটি, হামলাকারীদের সাজার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানায়।[২৪]
  • শেরপুরে, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন, মানববন্ধন করে, সকল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিরাপত্তা প্রদান এবং হামলাকারী প্রত্যেকের বিচারের দাবী জানায়।[২৪]
  • বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের প্রধান, সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম উদ্বেগ প্রকাশ করেন ।[২৪]
  • সাড় তিনশজন বুদ্ধিজীবী যারা মতাদর্শ গতভাবে বিএনপি এবং জামাতের চেতনায় বিশ্বাসী, তারা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের সমালোচনা করে, এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে স্বচ্ছ তদন্ত দাবী করে।[২৪]
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমীতি (DUTA), মানববন্ধন করে, এবং যারা ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করেছে, তাদের বিরুদ্ধে তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানায়।[২৪]

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া[সম্পাদনা]

ভারতের রাজনৈতিক দল বিজেপি, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করে।[২৫]

গ্রেফতার[সম্পাদনা]

এই সমস্ত আক্রমণের সাথে জড়িত সন্দেহে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়। বাংলাদেশ সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, এইসব দুস্কৃতিকারীদের সাজা দেওয়ার জন্য স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করবে।[২৬] আইনমন্ত্রণালয়, উচ্চ আদালতকে পরামর্শ দেয়, যাতে করে এইসব অপরাধীদের 'জঙ্গিবাদ বিরোধী আইনে'র আওতায় বিচার করা হয়।[২৬]

মন্দিরে হামলার তালিকা[সম্পাদনা]

তারিখ মন্দির স্থান উপজেলা জেলা বিভাগ
৩০ জুন, ২০১৪ স্বামীবাগ ইসকন মন্দির স্বামীবাগ ঢাকা জেলা ঢাকা বিভাগ
৮ জানুয়ারী, ২০১৪ কালি মন্দির বটতলা কলমাকান্দা উপজেলা নেত্রকোণা জেলা ঢাকা বিভাগ
৮ জানুয়ারী, ২০১৪ কালি মন্দির কাচুবুনিয়া মরেলগাঞ্জি উপজেলা বাগেরহাট জেলা খুলনা বিভাগ
৮ জানুয়ারী ২০১৪ রাধা গোবিন্দ মন্দির কাচুবুনিয়া মোরেলগঞ্জ উপজেলা বাগেরহাট জেলা খুলনা বিভাগ
৯ জানুয়ারী ২০১৪ কালি মন্দির নারায়নপুর রামগঞ্জ উপজেলা লক্ষীপুর জেলা চট্টগ্রাম বিভাগ
১০ জানুয়ারী ২০১৪ শ্রী শ্রী নেংটা বাবার আশ্রম সাতদোহা মাগুরা সদর উপজেলা মাগুরা জেলা খুলনা বিভাগ
১২ জানুয়ারী ২০১৪ দুর্গা মন্দির ইকরী ইউনিয়ন ভান্দরিয়া উপজেলা পিরোজপুর জেলা বরিশাল বিভাগ

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Parveen, Shahnaz (৭ জানুয়ারি ২০১৪)। বিভিন্ন জেলায় হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলার পর আতঙ্কBBC Bangla (Bengali ভাষায়)। Dhaka। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৪ 
  2. "Seven arrested for attacks on Hindus in Bangladesh"NDTV। New Delhi। ৭ জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৪ 
  3. Habib, Haroon (৯ জানুয়ারি ২০১৪)। "Will act against those attacking minorities: Sheikh Hasina"The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০১৪ 
  4. Ghosh, Shubhajyoti (৮ জানুয়ারি ২০১৪)। সুপরিকল্পিতভাবে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে: বিজেপিBBC Bangla (Bengali ভাষায়)। New Delhi। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৪ 
  5. "Attacks on minorities continue"The Daily Ittefaq। Dhaka। ৯ জানুয়ারি ২০১৪। ১০ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০১৪ 
  6. "Hindus under threat"The Daily Star। Dhaka। ৭ জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০১৪ 
  7. "Protests continue, more temples burnt, stolen"New Age। Dhaka। ১১ জানুয়ারি ২০১৪। ২০১৬-০৬-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৪ 
  8. এবার ফেনী বাগেরহাটে মন্দিরে হামলা আগুন [The temple fire in Bagerhat, Feni]। Bangladesh Pratidin। ১৭ জানুয়ারি ২০১৪। ২১ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  9. "Hindu temple in Bangladesh vandalised"The Hindu। ৮ জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৪ 
  10. চার জেলায় আরও মন্দির বাড়িতে আগুন, হামলা [Four district, home to the Temple of Fire, Assault]। Prothom Alo। ১৩ জানুয়ারি ২০১৪। 
  11. Jinnah, Shaikh Shafiuddin (১০ জানুয়ারি ২০১৪)। কাপাসিয়ায় হিন্দু বাড়িতে আগুনBangladesh Pratidin (Bengali ভাষায়)। Dhaka। ১ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৪ 
  12. "ISKCON Chariot Festival attack in Bangladesh sparks protest by Hindus at National Press Club, Dhaka."Struggle for Hindu Existence (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৪-০৭-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-৩১ 
  13. Hossain, Emran (৭ জানুয়ারি ২০১৪)। "Oboynagar reminds of '71 horrors"Dhaka Tribune। ১০ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৪ 
  14. "Terror on Hindus"The Daily Star। Dhaka। ৬ জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৪ 
  15. "2 Hindu housewives violated"bdnews24.com। ১০ জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০১৪ 
  16. Islam, Sayedul (১০ জানুয়ারি ২০১৪)। "নির্বাচনী সহিংসতায় হিন্দু নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ"BBC (Bengali ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৪ 
  17. "Temple ornaments stolen"bdnews24.com। ১০ জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৪ 
  18. "Ornaments, money stolen from Magura temples"Bangladesh Sangbad Sangstha। ১০ জানুয়ারি ২০১৪। ২০১৪-০১-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৪ 
  19. "দিনাজপুরে সংখ্যালঘুদের বাড়ি দোকানে হামলা অগ্নিসংযোগ লুট"Daily Ittefaq (Bengali ভাষায়)। Dhaka। ৬ জানুয়ারি ২০১৪। ১০ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ জানুয়ারি ২০১৪ 
  20. সংখ্যালঘু পরিবারকে মারধর করে ভিটেমাটি ছাড়া করল [Bhitematichara beating minority families]। Prothom Alo। ১১ জানুয়ারি ২০১৪। 
  21. Sarkar, Ashutosh (২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪)। "Police cite 160 attacks on Hindus"The Daily Star 
  22. Habib, Haroon (৯ জানুয়ারি ২০১৪)। "Will act against those attacking minorities: Sheikh Hasina"The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০১৪ 
  23. "Gonojagoron Mancha starts road march to Jessore today"The Daily Star। ১০ জানুয়ারি ২০১৪। 
  24. "Attacks on Hindu communities continue"Dhaka Tribune। ৩০ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০১৫ 
  25. "BJP concerned over violence against Hindus in Bangladesh"The Hindu। ৮ জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৪ 
  26. Banerjie, Monideepa (১০ জানুয়ারি ২০১৪)। "Widespread attacks on Hindus in Bangladesh on polling day"NDTV। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০১৪