বাংলাদেশে সাংবাদিকদের উপর হামলা
বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ঘটনায় সাংবাদিকদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশে রাষ্ট্রযন্ত্রের মাধ্যমে সাংবাদিক নির্যাতনের হার ১২ দশমিক ৫ শতাংশ থাকলেও এক বছরের ব্যবধানে ২০১৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। যার প্রায় ২৩ শতাংশ নির্যাতনই হয়েছে পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের হাতে।[১] আইন ও সালিশ লিস কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত ১১৯ জন সাংবাদিক নানামুখী হামলা, মামলা ও নির্যাতনের শিকার হন। এদের মধ্যে ৩৮ জন পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার এবং ১৯ জন প্রকাশিত সংবাদের জেরে মামলার শিকার হন।[২]
ঘটনাবলী
[সম্পাদনা]বিশ্বমুক্ত গণমাধ্যম সূচক ২০২২ অনুযায়ী ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬২তম।[২]
১৯৯৯ সালে
[সম্পাদনা]১৯৯৯ সালের ১৮ জানুয়ারি হরকাতুল জিহাদ আল-ইসলামী বাংলাদেশ, শামসুর রাহমানকে ঢাকার শ্যামলীতে তার বাসভবনে হত্যার চেষ্টা করে।[৩] হামলাকারীরা কুড়াল দিয়ে তার মাথা কেটে ফেলার চেষ্টা করলে তার স্ত্রী গুরুতর আহত হন। হামলাকারীদের নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা কলেজের ছাত্র হাসান।[৪] তবে তিনি প্রাণে বেঁচে যান।[৫] ১৯৯৯ সালের ৮ জুলাই অপরাধ তদন্ত বিভাগের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল কাহহার আখন্দ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৪ সালে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে সাক্ষীর অভাবে অভিযুক্ত হত্যাকারীদের খালাস দেওয়া হয়। বাংলাদেশ পুলিশ ২০১৬ সালে মামলাটি পুনরায় শুরু করার বিবেচনা করে।[৬]
২০০১ সালে
[সম্পাদনা]- ২০০১ সালের জানুয়ারীতে অনুসন্ধানী সাংবাদিক টিপু সুলতান ফেনী জেলার একটি অগ্নিনির্বাপক হামলার অনুসন্ধান করে ঐ বছরের ১৭ জানুয়ারি একটি প্রতিবেদন ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশে প্রকাশ করেন। এ প্রতিবেদনে স্থানীয়ভাবে "ফেনীর গডফাদার" বা ফেনীর শীর্ষসন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত, স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও তৎকালিন আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য জয়নাল হাজারীর নাম প্রকাশ পায়।[৭][৮] ফলে এর আটদিন পর ২৫ জানুয়ারি, প্রায় ১৫ জন মুখোশধারীর একটি দল টিপু সুলতানকে অপহরণ করে। লাঠি-সোটা, ক্রিকেট ব্যাট এবং রড দিয়ে তাকে প্রচণ্ড মারধর করে হামলাকারীরা তার হাত-পা ভেঙ্গে দেয়।[৯] বিশেষ করে তার ডান হাতের উপর লক্ষ্য করে মারধর করে, যা তিনি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন তৈরিতে ব্যবহার করতেন।[৮] টিপুর মতে, তার আক্রমণকারীরা তাকে বলেছিল, "এটা হাজারীর আদেশ।"[১০] মারধর করার পর, অচেতন হয়ে পড়লে তাকে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়া হয়।[৮] তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও মেডিকেল কর্মীরা জয়নাল হাজারীর হুমকির ভয়ে টিপুর চিকিৎসা প্রদান থেকে বিরত থাকে এবং তার চিকিৎসা সম্পন্ন হওয়ার আগেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে সাংবাদিকদের একটি দল আন্তর্জাতিক প্রচারণা চালিয়ে পর্যাপ্ত তহবিল সংগ্রহ করে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে বিদেশে পাঠানো হয়।[১১] ফলে এক বছরের মধ্যে তিনি ডান হাতের ব্যবহার-ক্ষমতা পুনরায় ফিরে পান।[১০]
- শাহরিয়ার কবির বাংলাদেশে মানবাধিকার বিষয়ক সাংবাদিক হিসেবে বহু বছর ধরে লেখালেখি করছেন। সরকার কর্তৃক বেআইনি আক্রমণ বলে অভিহিত করা হলেও ২০০০-এর দশকের শুরুর দিকে তাকে দুবার গ্রেপ্তার করা হয়।[১২] বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এর খালেদা জিয়া সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০১ সালের নভেম্বরে তিনি প্রথম গ্রেপ্তার হন। তিনি ২০০১-এর অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলার তদন্ত করছিলেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধে অংশ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মন্ত্রীকে অভিযুক্ত করলে সরকার তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ এবং "সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার" অভিযোগ আনে।[১৩] অতঃপর ২০০২ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি জামিনে মুক্তি পান।[১৪][১৫] পরের মাসে ফেব্রুয়ারীতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে তার জন্য আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বোমা নিক্ষেপ করা হলে এক প্রত্যক্ষদর্শী নিহত হয়।[১৬]
২০০৬ সালে
[সম্পাদনা]- ২০০৬ সালের অক্টোবরে বিক্ষুব্ধ জনতা সাপ্তাহিক ব্লিটজের অফিসে হামলা চালায় এবং সালাহ উদ্দিন শোয়েব চৌধুরীকে মারধর করে তার গোড়ালি ভেঙে দেয়।[১৭] এর আগে চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২০০৩ সালে দেশের তথ্য পাচার, রাষ্ট্রদ্রোহ, এবং ধর্মঅবমাননার অভিযোগ আনা হয় এবং ২০০৪ সালের ২৪ জানুয়ারী ঢাকার বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে তার কাছ থেকে প্রাপ্ত কাগজপত্রের ভিত্তিতে দাবি করা হয় যে তিনি মোসাদের একজন প্রতিনিধি। ২০১৪ সালের ৯ ই জানুয়ারী তিনি বাংলাদেশের দণ্ডবিধি ৫০৫ (এ) ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহের জন্য ঢাকার একটি আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হন।[১৮][১৯] এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অর্থ জালিয়াতির অভিযোগও রয়েছে।[২০] ২০১৪ সালে সালাহ উদ্দিন শোয়েব চৌধুরীকে বাংলাদেশের আদালত দোষী সাব্যস্ত করে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়। [২১][২২][২৩] ২০১৫ সালে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়।[২৪][২৫]
২০০৭ সালে
[সম্পাদনা]- ২০০৭ সালের ১১ই মে তাসনিম খলিলকে ঢাকার ধানমন্ডি থানায় সাদা পোশাকধারী চার সেনা কর্মকর্তা আটক করে।[২৬][২৭][২৮][২৯] বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা-ডিজিএফআই হেফাজতে থাকাকালীন অবস্থায় তাকে নির্যাতন করে বলে জানা যায়।[২৬][৩০][৩০] অভিযোগ আছে, দেশে ঐ সময় জরুরি অবস্থার কারণে তাকে কোনরূপ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেফতার করা হয়।[৩১] আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তার পুরো বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তার পাসপোর্ট, কম্পিউটার এবং টেলিফোন সরঞ্জাম এবং তার সাংবাদিকতার কাজে ব্যবহৃত কাগজপত্র এবং ইলেকট্রনিক ফাইল বাজেয়াপ্ত করে।[২৬] তার অবস্থানকারী এলাকা ধানমন্ডি থানায় না নিয়ে তাকে সংসদ ভবন সেনা শিবিরে দুর্নীতি দমন টাস্কফোর্সের জিম্মায় নিয়ে যাওয়া হয়।[২৬][২৭] যেখানে বন্দি থাকাকালে তিনি বেশিরভাগ সময় চোখ বন্ধ অবস্থায় ছিলেন এবং তাকে লাটিপেটা করে নির্যাতন করা হয়। ঐ সময়টাতে নূর আহমেদ, জাহাঙ্গীর আলম আকাশের মতো সাংবাদিক সহ অন্যান্য সাংবাদিকদেরও আটক এবং নির্যাতন করা হয়েছিল।[৩২][৩৩]
- বাংলাদেশে সামরিক শাসনের বিরোধিতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় সোচ্চার থাকার কারণে নূরুল কবীর বেশ কয়েকবার আক্রমণের শিকার হন। ২০০৭/৮ সালে তার দুটি পা ভেঙে যায় এবং মোটরবাইকে করে বন্দুকধারীরা তাকে ধাওয়া করেছিল।[৩৪] ব্যক্তিগত জীবনেও হুমকির মুখে পড়েন নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবির।[৩৫]
২০০৯ সালে
[সম্পাদনা]২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ, চট্টগ্রাম-২ ও চট্টগ্রাম-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম আবুল কাসেমের ছেলে এস এম আল মামুন সীতাকুণ্ড উপজেলায় শিপ ব্রেকিং সংস্থা ইউনিক শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের জন্য জাহাজ ভাঙা সংস্থার কাছ থেকে জমি দখলের প্রচেষ্টা চালায়। তার ছেলে সাংবাদিকদের উপর হামলা চালিয়ে এই ঘটনাটি সংবাদ প্রকাশ হওয়া থেকে আটকানোর চেষ্টা করে।[৩৬][৩৭] পরবর্তীতে কাশেম তার ছেলের কৃতকর্মের জন্য মাফ চান।[৩৮]
২০১২ সালে
[সম্পাদনা]ভোলার লালমোহনে দৈনিক মানবজমিন ও বরিশাল প্রতিদিন পত্রিকার লালমোহন উপজেলা প্রতিনিধি নাইমুল ইসলাম নামের এক সাংবাদিক সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে গুরুত্বর আহত হন। পরে তাকে লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।[৩৯]
২০১৩ সালে
[সম্পাদনা]- ২০১৩ সালে আল-কায়েদার নেতা আনোয়ার আল-আওলাকির দ্বারা অনুপ্রাণিত চারজন যুবক আসিফ মহিউদ্দীনের উপর তার বাসার বাইরে হামলা করে এবং ছুড়িকাঘাত করে।[৪০][৪১] এপ্রিল মাসে, মহিউদ্দিনকে আরও তিনজন ব্লগারের সাথে "ঈশ্বরনিন্দামূলক" পোস্টের জন্য গ্রেফতার করা হয়।[৪২] গ্রেফতারকৃত ব্লগারদের মধ্যে তিনজনকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়,[৪৩] তবে আসিফ মহিউদ্দীনের জামিনকে প্রত্যাখ্যান করা হয় এবং তাকে ২ জুন, ২০১৩ তারিখে জেলখানায় পাঠানো হয়।[৪৪] তিন মাস পর তিনি মুক্তি লাভ করেন, কিন্তু তখনও তিনি অভিযুক্ত ছিলেন।
- ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৫০ বারের ও বেশি মানহানি ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় অভিযুক্ত করে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে দল এবং সরকারী কর্মকর্তারা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যাকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট অবমাননার দায়ে সাজা দেয়। ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে এবং তার ইলেকট্রনিক্স ও স্টোরেজ ডিভাইস জব্দ করে। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও অন্যান্য অভিযোগে আদালত ১৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।[৪৫][৪৬][৪৭][৪৮][৪৯][৫০][৫১] ওই দিন সন্ধ্যায় পুলিশ দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করে দেয়।[৫২] ফরহাদ মজহার, একজন সাংবাদিক এবং পারিবারিক বন্ধু, রহমানের শরীরে ক্ষতচিহ্ন দেখেন যা পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের চিহ্ন বলে মনে হয়।[৫৩] রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে সাত দিনের রিমান্ডে পুলিশ মাহমুদুর রহমানকে নির্যাতন করেছে বলে দাবি করে রহমানের স্ত্রী অভিযোগ করেন। সুপ্রিম কোর্ট ইঙ্গিত দিয়ে যে এটি ২০১৩-এর ২১ এপ্রিল রিটে জবাব দেবে।[৫৪] মোট ১৩ দিন রিমান্ডে ছিলেন রহমান। আমার দেশ রিপোর্টে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল বলে অভিযোগ এনে ১২ জুন, মাহমুদুর রহমানকে ২২ ফেব্রুয়ারির বিক্ষোভে বিশৃঙ্খলার জন্য আবার ৩ দিনের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়।[৫৫][৫৬] ৩ ডিসেম্বর আদালত রহমানকে আরও ছয় দিনের রিমান্ড এবং কারাগারে বন্দী করার আদেশ দেয়।[৫৭][৫৮]
- ২০১৩ সালের ১১ মার্চ একটি সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে ককটেল নিক্ষেপের শিকার হন নাঈমুল ইসলাম খান। এতে তিনি ও তার স্ত্রী আহত হন এবং তাদেরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যেতে হয়। তবে আক্রমণের উৎস অজানা থেকে যায়। সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো দাবি করে যে তিনি টেলিভিশন টকশোতে কথা বলেন তাই তার ওপর এ হামলা হয়েছে।[৫৯][৬০]
২০১৪ সালে
[সম্পাদনা]এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালে মোট ২১৩ জন সাংবাদিক ও আটজন ব্লগার বিভিন্নভাবে আক্রমণের শিকার হন। এর মধ্যে চারজন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। যেখানে গুরুতর জখম হন ৪০ জন। অন্যদিকে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন ৬২ জন সাংবাদিক।[১]
- ২০১৪ সালের ১লা জানুয়ারি অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি চট্টগ্রামে সময় টিভির একটি গাড়িতে বোমা নিক্ষেপ করে, এতে গাড়ির চালক আহত হয়।[৬১] এই চ্যানেলের সাংবাদিকরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীদের এর জন্য অভিযুক্ত করেন।[৬২]
২০১৫ সালে
[সম্পাদনা]- ৪ জানুয়ারি গুলশানে বিএনপির কার্যালয়ের পাশে অবস্থানরত সাংবাদিকদের উপর ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা হামলা চালালে আরটিভির ইকবাল, আমাদের সময় পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার মামুন স্ট্যালিন, বাংলা ট্রিবিউনের সালমান তারেক, আরটিএনএনের শামছুজ্জামান নাঈম, দৈনিক নতুন সময়ের হোসাইন তারেক, দৈনিক বাস্তবায়নের সোহেলী পারভীন শিখাসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন। পুলিশের উপস্থিতিতেই এ হামলার ঘটনা ঘটলেও পুলিশ হামলার ব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজী হয়নি।[৬৩]
- ৩ ফেব্রুয়ারি পত্রিকা কার্যালয় থেকে বাসায় ফেরার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে একদল সন্ত্রাসী সাংবাদিক এবিএম আজরাফ টিপুর উপর হামলা চালায়। তাকে মারাত্মক আহত অবস্থায় নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।[৬৪]
- ৬ মার্চ সাংবাদিক রাশেদুল হাসানকে তুলে নিয়ে হাত-পা ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা[৬৫]। ওইদিন বেলা ১১টার দিকে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে ডেকে পাশের খালপাড়ে নিয়ে তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে[৬৬] আহত করে। তিনি স্থানীয় দৈনিক ফেনীর সময়ের সহ-সম্পাদক ও অনলাইন নতুন ফেনীর সম্পাদক। এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন রাশেদুল হাসান।
- ১৩ জুলাই রাত ৮টার দিকে জয়পুরহাটে দেশ টিভি ও দৈনিক করতোয়ার জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মোস্তাকিম ফাররোখ পেশাগত কারণে ক্যামেরা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হলে দেখতে পান তার বাড়ির সামনে মো. সাহাদাত হোসেন সাগর, মো. আবু তাহেরসহ ১০-১২জন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী নিজেদের মধ্যে অশ্লীল ও অশ্রাব্য ভাষায় চিৎকার করছে। সেখান থেকে তাদের চলে যেতে বললে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে তার ওপর হামলা চালায়। সাংবাদিক মোস্তাকিম ফাররোখ তখন তাদের ছবি তুলতে গেলে তারা তার ক্যামেরা ও ল্যাপটপ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং তাকে অপহরণ করে নতুন হাটের দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা চালায়। সে সময় তার চিৎকারে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পথচারীরা এগিয়ে এলে ওই ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে মোস্তাকিম ফাররোখের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের আট নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।[৬৭]
২০১৬ সালে
[সম্পাদনা]- এপ্রিল ২০১৬ সালের প্রথম দিকে যুব এলজিবিটিদের নিয়ে "রেইনবো র্যালি" আয়োজন করার চেষ্টা করার পর বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র সমকামীদের পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা,[৬৮] জুলহাজ মান্নান মৃত্যুর হুমকি পান। পরে তিনি ও অন্য আর একজন এলজিবিটি কর্মী মাহবুব রাব্বি তনয় একসাথে তার অ্যাপার্টমেন্টে ছুরিকাঘাতের আক্রমণে নিহত হন।[৪৫] একজন প্রতক্ষ্যদর্শীর মাধ্যমে জানা যায়, পাঁচজন লোক, ঘটনাস্থল থেকে "আল্লাহু আকবার" ("আল্লাহ মহান") বলতে বলতে পালিয়ে যায়। আনসার-আল-ইসলাম, আল-কায়েদার-সাথে সংযুক্ত একটি গ্রুপ এই খুনের হামলার দায় স্বীকার করেছে।[৬৯][৭০]
- ২০১৬ সালের মে মাসে মাদক ব্যবসায়ীরা সময় টিভির কক্সবাজার জেলার সংবাদ প্রতিবেদক সুজাউদ্দিন রুবেলকে মাদক পাচার সম্পর্কিত তার প্রতিবেদনের জন্য লাঞ্ছিত করে।[৭১]
- স্বৈরশাসক জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সমালোচনার জন্য শফিক রেহমানকে ১৯৮৬ সালে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়। পরে ১৯৯১ সালে তিনি দেশে ফিরেন।[৭২] তিনি ২০০৮ সালে যায়যায়দিন পত্রিকার মালিকানা বিক্রি করতে বাধ্য হন এবং ২০০৭-০৮ সালের সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসন ব্যবস্থার সমালোচনা করায় আবারো জোরপূর্বক নির্বাসিত হন।[৭৩] ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল 'বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে “অপহরণ ও হত্যা-চেষ্টা ষড়যন্ত্রের” অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়।[৭৪] তবে দাবিটি মার্কিন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টস খারিজ করে দেয়।[৭৫] মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।[৭৬]
- ২০০০-এর দশকে খালেদা জিয়া সরকারের আমলে মাহফুজ আনাম ক্ষমতাসীন বিএনপি নেতাদের মানহানির মামলার সম্মুখীন হন। ২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আনাম ফৌজদারি মানহানির ৩০টি মামলাসহ ৮৩টি মামলার সম্মুখীন হন।[৭৭][৭৮] যা বিভিন্ন আদালতে জামিনের জন্য তাকে সারা দেশে ঘুরতে বাধ্য করে। আনামের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলি পেন আমেরিকা কর্তৃক সমালোচিত হয়।[৭৯] আনামকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য তহবিল আটকানোর চেষ্টায় অভিযুক্ত করেন, তবে আনাম তা অস্বীকার করেন।[৮০][৮১][৮২][৮৩] হাসিনা সরকার দ্য ডেইলি স্টারের সরকারি বিজ্ঞাপনগুলি সীমিতহারে বন্ধ করে দেয়,[৮৪] যা আনামের সংবাদপত্রের আয়ের একটি প্রধান উৎস। এ লক্ষ্যে ২০১৫ সালে সরকার কোম্পানিগুলিকে ডেইলি স্টারে বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে বলে ও তার লেখা সম্পাদকীয় সংখ্যা কমাতে বাধ্য করে।[৮৫]
- ৬ নভেম্বর রাজধানীর চকবাজারে দেবীদাস লেনে অবৈধ পলিথিন ব্যাগ তৈরির কারখানা নিয়ে প্রতিবেদন করতে গিয়ে হামলার শিকার হন যমুনা টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক শাকিল হাসান ও ক্যামেরাপারসন শাহীন আলম।[৮৬] রহিম, জব্বার, জাকিরের নেতৃত্বে হামলাকারীরা তাদের ওপর চড়াও হয় এবং ক্যামেরা ভাঙচুর করে।[৮৭] হামলা থেকে বাঁচতে নিকটস্থ একটি মুদি দোকানে আশ্রয় নিলে হামলাকারীরা শাকিল হাসানের গায়ে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন বাধা দেওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান শাকিল। এ ঘটনায় শাকিল হাসান বাদী হয়ে চকবাজার থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করলে দুই আসামি গ্রেপ্তার হলেও পরে জামিনে বেরিয়ে যায়।[৮৮]
২০১৭ সালে
[সম্পাদনা]২০১৭ সালের ৩০শে নভেম্বর তারিখে, তৎকালীন ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফের পুত্রের নেতৃত্বে সময় টিভির একজনসহ মোট চার সাংবাদিককে আক্রমণ করে আহত করে।[৮৯]
২০১৮ সালে
[সম্পাদনা]- ৪ জানুয়ারি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের কর্মী অয়নকে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলামের কর্মী তানভীর চৌধুরী শাকিল হাতুরী দিয়ে মাথা থেতলিয়ে দেয়ার সংবাদ বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশ পায়। এর জেরে শাকিল দৈনিক পত্রিকার জবি প্রতিনিধি এহসানুল মাহবুব জোবায়েরের মাথায় কাচের গ্লাস দিয়ে আঘাত করে। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা তাকে উদ্ধার করে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
জানা যায়, এর আগেও শাকিলের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে ভর্তি পরীক্ষার সময় ভর্তি পরীক্ষার্থীদের কাছে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ সহ সাংবাদিকদের হুমকি এবং মোবাইল কেড়ে নেয়ার অভিযোগ আছে। এদিকে সাংবাদিকের উপর হামলা করে নিজেকে নির্দোশ প্রমানের জন্য শাকিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিসে উল্টো তার উপর সাংবাদিক জোবায়েরের হামলার অভিযোগ করে।[৯০]
- সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়ায় ৫ই জানুয়ারি আওয়ামী লীগের গণতন্ত্রের রক্ষা দিবসের দিন ছাত্রলীগ যুবলীগের দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও শহরের প্রধান সড়কে প্রকাশ্যে অস্ত্র বহন করা সময় জনগণের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টিকারীদের সশস্ত্র ছবি তোলেন শিশির আলম নামক এক সাংবাদিক এ সময়ে উভয়পক্ষের সন্ত্রাসীরা সম্মিলিত হয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে জখম করে ফেলে রাখা হয় এরপর বাজারে উপস্থিত পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয় এই ঘটনায় সিরাজগঞ্জের সাংবাদিকরা বিচার চেয়ে শহীদ মিনারে মানববন্ধন করেছে এবং পৌর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সরকার ও ছাত্রলীগের উপজেলা শাখার সভাপতি আল মাহমুদ সহ ছয় জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন সাংবাদিক শিশির আলম তিনি উল্লাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং আমাদের সময় ডটকম ও দৈনিক আমাদের অর্থনীতি পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন । হামলার সময় তার ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে সন্ত্রাসীরা এতে করে সমস্ত ডকুমেন্ট ধ্বংস করা হয় ।
- পাথর লুটকে কেন্দ্র করে একজন প্রবাসীকে হত্যার মামলায় আসামি আওয়ামীলীগনেতা লিয়াকতসহ ৩১ জন আসামি জামিন নিতে সিলেটের আদালতে যান। আদালত একজনের জামিন মন্জুর করে বাকি ৩০ জনকে জেল হাজাতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। খবর পেয়ে আসামিদের ছবি তুলতে যান যমুনা টিভির ক্যামেরাপার্সন নিরানন্দ পাল, দৈনিক যুগান্তরের ফটোগ্রাফার মামুন হাসান ও চ্যানেল নাইনের ক্যামেরা পার্সন শাকিল আহমদ সোহাগ। এসময় লিয়াকতের নিদের্শে সাংবাদিকদের উপর হামলা ও ক্যামেরা ভাংচুর করে তার বাহিনী। এতে প্রায় ৩ লক্ষাধিক মুল্যের একটি ক্যামেরা ভেঙ্গে যায়। পরে আহত সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ওমসানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যমুনা টিভির ক্যামেরাপার্সন নিরানন্দ পালের মাথায় মারাত্মক জখম হয়।[৯১]
- ১০ ফেব্রয়ারি পুরান ঢাকার নয়াবাজারে বন্ড চোরাচালানের বিরুদ্ধে অভিযানের ফুটেজ সংগ্রহকালে নিউজ টোয়েন্টিফোর রিপোর্টিং টিমের ওপর হামলা চালায় অবৈধ বন্ড সন্ত্রাসীরা। এসময় নিউজ টোয়েন্টি ফোরের রিপোর্টার ফখরুল ইসলাম ও ক্যামেরাপারসন শেখ জালাল গুরুতর আহত হন। সন্ত্রাসীরা তাদের ক্যামেরা ও ব্যাকপ্যাক ছিনতাই করে নেয় এবং প্রতিষ্ঠানটির গাড়িও ভাঙচুর করে।[৯২]
- ২০১৮-র নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন চলাকালে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিকলীগের কর্মী বলে অভিযোগ রয়েছে, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী এবং আন্দোলনের খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ করে ১৫ জন সাংবাদিক সহ প্রায় ১১৫ জন শিক্ষার্থীকে আহত করে।[৯৩][৯৪][৯৫] ৩ আগস্ট ধানমন্ডিতে আন্দোলনের ভিডিও ধারণ করায় কিছু দুর্বৃত্ত অনলাইন সংবাদমাধ্যম প্রিয় ডটকমের সাংবাদিক প্রদীপ দাসকে মারধোর করে এবং পরে প্রিয় ডটকমের অফিসে ভাঙচুর করে।[৯৬][৯৭] জিগাতলায় ছাত্রলীগ কর্মীরা দ্য ডেইলি স্টার সংবাদপত্রের ৩ জন সাংবাদিককে পেটায় এবং একজন নারী সাংবাদিকের শ্লীলতাহানি করে।[৯৮] স্থানীয় অন্যান্য সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন যে তাদের ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয়েছে,[৯৯] মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়েছে[৯৮] এবং চলমান সহিংসতার ভিডিও ফোন থেকে মুছে ফেলতে বাধ্য করা হয়েছে।[১০০] নাগরিক সংগঠন 'সুজন'-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের বাড়িতেও আক্রমণ করা হয়।[১০১] ছাত্রলীগকর্মীদের হাতে শুধু সাংবাদিক নয়, বৃদ্ধ ও নারী পথচারীসহ প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী আহত হন, যার মধ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস, দৈনিক বণিক বার্তা ও যুগান্তরের ফটোজার্নালিস্টসহ একজন ফ্রিল্যান্স ফটোজার্নালিস্টও ছিলেন।[১০২][১০৩] আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও হামলাকারীদের ঠেকানোর কোনো চেষ্টা না করে উল্টো কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।[১০৩][১০৪] হামলাকারীরা সাংবাদিকদের ক্যামেরা কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে এবং হুমকি দেয়।[১০৫][১০৬][১০৭][১০৮]
- ৫ আগস্ট আলোকচিত্রী শহিদুল আলম চলমান আন্দোলন সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা আল জাজিরাতে সাক্ষাৎকার দেয়ার পর সেদিন রাতে সাদাপোশাকের পুলিশ তাকে আটক করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়;[১০৯][১১০][১১১] পরদিন তাকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় "গণমাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচারের" অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং তাকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। শহিদুল আদালতে বলেন যে তাকে রিমান্ডে মারধোর করা হয়েছে।[১১২][১১৩] আদালত তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেন।[১১৪][১১৫] ৮ আগস্ট শহিদুলকে হাসপাতালে চেকআপ করিয়ে এনে[১১৬] আবার পুলিশ হেফাজতে কারাগারে নেয়া হয়।[১১৭] প্রায় সাড়ে তিনমাস কারাভোগের পর ২০ নভেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান।[১১৮]
২০১৯ সালে
[সম্পাদনা]- ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে যমুনা টেলিভিশনে কর্মরত তিন সাংবাদিক বগুড়ার একটি পুনর্বাসন কেন্দ্রে আট থেকে দশজন লোকের হাতে লাঞ্ছিত হন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করে পুলিশ।[১১৯]
- ২৯ জানুয়ারি বাংলাদেশ এডুকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (বিইআরএফ) সক্রিয় সদস্য ও আরটিভির সাংবাদিক সোহেল রানা এবং ক্যামেরাপারসন নাজমুল হোসেনকে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপতালে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় এক ওয়ার্ড বয়ের নেতৃত্বে ৮-১০ জনের একটি গ্রুপ সংঘবদ্ধভাবে হামলা করে। পরবর্তীতে সোহেল রানা ও নাজমুল হোসেন সায়মনের ওপর সন্ত্রাসী হামলা এবং এসএ টিভির সাংবাদিক বাতেন বিপ্লবকে হত্যার হুমকির ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ এডুকেশন রিপোর্টার্স ফোরাম।[১২০]
- নিউমার্কেট এলাকায় থিম ওমর প্লাজার সামনে মোটরসাইকেল রাখায় দৈনিক কালের কণ্ঠ পত্রিকার ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলামের ওপর চড়াও হয় সেখানকার নিরাপত্তা কর্মীরা।[১২১] এক পর্যায়ে তারা ওই সাংবাদিককে এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরে স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী ও পথচারী তাকে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কয়েকজন সাংবাদিক। প্রতিবাদ করায় তাদেরও থিম ওমর প্লাজার ভেতরে আটকে রাখে নিরাপত্তা কর্মীর। শেষে পুলিশ গিয়ে অবরুদ্ধ সাংবাদিকদের উদ্ধার করে এবং হামলাকারীদের হেফাজতে নেয়।[১২২]
- বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এসএম সাইফুল ইসলাম কবির নামে এক সাংবাদিককে মারধর করে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। বিএনপির সমাবেশে যেতে বাঁধা দেয়ার জন্য সেখানে চেকপোস্ট স্থাপন করেছিলেন স্থানীয় যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। সাংবাদিক কবির ছাড়াও তার সঙ্গে থাকা স্ত্রী, বড় ভাই ও অটোচালককেও মারধর করা হয়। মারধরের শিকার কবির দৈনিক অবজারভার পত্রিকার মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি এবং উপজেলার ভাইজোড়া এলাকার বাসিন্দা। পরে তাকে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।[১২৩]
- ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ফাঁসি কার্যকর হওয়া কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ হিসেবে উল্লেখ করা হলে এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পরদিন ১৩ ডিসেম্বর পত্রিকাটির কার্যালয় ভাঙচুর করে মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের একদল নেতাকর্মী।[১২৪] মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সেক্রেটারি আল মামুনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা বিকাল ৫টার দিকে কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে প্রায় এক ঘণ্টা ভাঙচুর চালায় ও কার্যালয়ে ঢুকে বেশ কয়েকটি টেলিভিশন, কম্পিউটার ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে,[১২৫] এবং মেইন গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। কয়েক ডজন কম্পিউটার ও অন্যান্য অফিস সরঞ্জাম এবং আসবাবপত্র ভাংচুরের পর তারা সংবাদপত্রের বেশ কয়েকটি কপি পুড়িয়ে দেয় এবং সম্পাদককে রাস্তায় টানাহেঁচড়া করে নিয়ে গিয়ে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতাকে 'শহীদ' হিসেবে বর্ণনা করার জন্য রাস্তায় টিভি ক্যামেরার সামনে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করার চেষ্টা করে।[১২৬] সরকার সমর্থক গোষ্ঠী তাকে লাঞ্ছিত ও হয়রানি করার পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে হাতিরঝিল থানায় নিয়ে যায় এবং বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর অধীনে কারাগারে পাঠায়।[১২৭][১২৮][১২৯]
- আবুল আসাদ ও ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর প্রসঙ্গে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘শুধু কথা বলার কারণে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আবুল আসাদকে এক বছর যাবৎ আটকে তাকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। অথচ যারা লক্ষ-কোটি টাকা পাচার করেছে তাদের জামিন আগেই হয়ে যায়। এটা কি গণতন্ত্র হতে পারে?[১৩০] বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এক প্রতিবাদ সভায় বলে, দৈনিক সংগ্রামের উপর যে হামলা করা হয়েছে এবং সম্পাদককে যে নির্যাতন করা হয়েছে তা বর্বর। এ নির্যাতন শুধু আসাদ ভাইয়ের উপর নয়, পুরো সাংবাদিকের উপর।[১৩১] দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ও সম্পাদক আবুল আসাদকে অবিলম্বে নি:শর্ত মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়ে এক সভায় গণমাধ্যমের ওপর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সব ধরনের চাপ ও হুমকি বন্ধ, আসন্ন সিটি নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, ঢাকাসহ সারাদেশে সাংবাদিকদের গণহারে চাকরিচ্যুতি, অব্যাহত হামলা, মামলা ও হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানায়।[১৩২] এক বছর কারাবন্দী থাকার পর ২০২০ এর ডিসেম্বরে তিনি মুক্তি পান।[১৩৩]
২০২০ সালে
[সম্পাদনা]- জামালপুরে সাংবাদিক শেলু আকন্দের উপর হামলাকারী রুনু খানসহ সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন সাংবাদিকরা। তারা বলেন, সন্ত্রাসের গডফাদার ও ভুমিদস্যু রুনু খান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী সিনিয়র সাংবাদিক শেলু আকন্দকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে দুপা গুড়িয়ে দেয়। পরে পঙ্গুত্ব নিয়ে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। এর আগে কালের কন্ঠের সাংবাদিক মোস্তফা মনজুসহ একের পর এক সাংবাদিকদের উপর হামলা করেও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে রুনু খান বাহিনী। তারা আরো বলেন, মামলা হলেও রাজনৈতিক প্রশ্রয়দাতাদের শেল্টারে পুলিশ গ্রেপ্তার করছেনা। উল্টো প্রকাশ্যে মানববন্ধন করে হুমকি ধামকি দিচ্ছে রুনু খান। এই সন্ত্রাসী রাজনৈতিক গডফাদার ও পুলিশের আস্কারা পেয়ে বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে। যে কোন মুহুর্তে প্রানহানির আশংকা নিয়ে জামালপুরের কর্মরত সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।[১৩৪]
- ২০২০-এর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকেরা মারধর ও নিগ্রহের শিকার হন। বিশেষ করে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে যখনই কোনো সাংবাদিক দলীয় ক্যাডারদের জবরদস্তি ও সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ছবি তুলেন, তখনই তার ওপর চড়াও হয় তারা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক সাংবাদিক জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ–সমর্থিত প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ হোসেনের সমর্থকেরা শনিবার তাকে পেটায়। কাউন্সিলর পদে জয়ী হয়ে রোববার তাকে হাসপাতালে দেখতে যান সেই কাউন্সিলর। সে সময় তিনি মামলা না করার ‘পরোক্ষ হুমকি’ দিয়ে আসেন।[১৩৫]
- রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস তার ২০২০-এর দেশ ভিত্তিক রিপোর্টে উল্লেখ করে যে ২০২০ সালের ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সময় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা নির্বাচনের সময় ব্যাপক কারচুপি লুকিয়ে রাখতে চেষ্টা করার সময় কমপক্ষে ১০ জন সাংবাদিককে নৃশংসভাবে আক্রমণ ও মারধর করে।[১৩৬] নির্বাচন–পরবর্তী সহিংসতার তথ্য সংগ্রহ করতে বাড্ডার বেরাইদ এলাকায় যান সাংবাদিক হাসনায়েন তানভীর এবং ক্যামেরাপারসন সাইফুল ইসলাম। এ সময় স্থানীয় সাংসদ এ.কে.এম. রহমতুল্লাহর ভাগনে ও নবনির্বাচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আয়ুব আনছারের সমর্থকেরা তাদের ওপর হামলা চালায়। তারা মাছরাঙা টিভির গাড়ি ভাঙচুর করে এবং ক্যামেরা থেকে মেমোরি কার্ড ছিনিয়ে নেন।[১৩৫]
- মে মাসে রাষ্ট্রপক্ষের কোন জোড়ালো আবেদন না থাকায় এবং থানা পুলিশের রিমান্ডের কোন আবেদন না থাকার কারণে গ্রেফতারকৃত নাশকতাসহ একাধিক মামলা, পুলিশ সদস্য মফিজ হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি এবং তেলচোরদের অন্যতম হোতা সিরাজ মন্ডলসহ ১২ আসামীর জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। জামিন শুনানীর আগে থেকে সিরাজ মন্ডলদের শতাধিক ক্যাডার বাহিনী আদলত প্রাঙ্গনে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে গারদখানার সামনে আসামীদের ছবি তুলতে গেলে সিরাজমন্ডলের সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার শিকার হন দুই ফটো সাংবাদিক জুম্মন সোহেল ও মনিকা। সন্ত্রাসীরা তাদের ক্যামেরা কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে। সন্ত্রাসীরা আদালত প্রাঙ্গনে অবস্থান নিলেও পুলিশের তৎপরতা না থাকায় ওই দুই সংবাদিক হামলার শিকার হন বলে প্রতীক্ষদর্শীরা জানান।[১৩৭]
- রাজধানীর গেন্ডারিয়ার ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ–সমর্থিত এক কাউন্সিলর প্রার্থী ও তার বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে ধাওয়া–পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তথ্য সংগ্রহ করতে ঘটনাস্থলে যান বাংলাদেশ প্রতিদিন–এর রিপোর্টার মাহবুব মমতাজী এবং দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এর নুরুল আমিন জাহাঙ্গীর। সে সময় ছাত্রলীগের গেন্ডারিয়া থানার সাবেক সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সহসভাপতি শহিদুল আলম তাদের নাজেহাল করেন। পরদিন তিনি উল্টো ওই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেই থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন এবং তাদের জামায়াতের এজেন্ট বলে অভিহিত করেন।[১৩৫] মূলত ভোটের দিন জামিয়া অ্যারাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদ মাদ্রাসা কেন্দ্রে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাংবাদিক মাহবুব মমতাজী, দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার নূরুল আলম জাহাঙ্গীর এবং দিন প্রতিদিন পত্রিকার সাংবাদিক পাপনকে হেনস্তা করেন শহিদুল ইসলাম খান রিয়াদ, যে কারণে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।[১৩৮]
- জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল রাতের আঁধারে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পেয়ে তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান এবং ছবি তোলেন এক সাংবাদিক। ফলে ক্ষোভ মেটাতে তাকে মোবাইল চোর ও ছিনতাইকারী অপবাদ দিয়ে বেধড়ক পেটান এক ছাত্রলীগ নেতা। পরে নির্যাতনের ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এরপর ওই সাংবাদিকের বক্তব্যের আরেকটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।[১৩৯]
- হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে সরকারি ত্রাণ হিসেবে মাথাপিছু ১০ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান দিচ্ছিলেন ৫ কেজি চাল। এই অনিয়মের খবর ফেসবুকে লাইভ প্রচার করায় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার লোকজনের হামলায় তিন সাংবাদিকসহ ৫ জন আহত হন। ২০২০ এর ১ এপ্রিল উপজেলার আউশকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।[১৪০]
- ৩ জুলাই মুগদা জেনারেল হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার নমুনা দিতে লাইনে দাঁড়ানো রোগীকে মারধরের ছবি তুলতে যাওয়ায় বাংলাদেশ প্রতিদিনের ফটো সাংবাদিক জয়িতা রায় ও দেশ রূপান্তরের ফটো সাংবাদিক রুবেল রশীদের ওপর হামলা চালায় আনসার সদস্যরা এবং তাদের ক্যামেরাও ভেঙে ফেলে॥[১৪১]
২০২১ সালে
[সম্পাদনা]- ১৬ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে জমিজমা সংক্রান্ত কলহের জেরে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন ও বাংলাদেশ টুডে পত্রিকার ফুলবাড়ী উপজেলা প্রতিনিধি এবং ফুলবাড়ী জছিমিঞা মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আমিনুল ইসলামের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখমের ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।[১৪২]
- ১৫ই ফেব্রুয়ারী ২০২১ (সোমবার) চতুর্থ ধাপের পৌরসভা নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে ২৪ ঘন্টা সংবাদ ভিত্তিক বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি নিউজ এর শেরপুর প্রতিনিধি এস এম জুবায়ের (দীপ) এর উপর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মুরশীদুর রহমান আকন্দের নির্দেশে হামলা চালায় তার অনুসারীরা। মুরশীদুর রহমান আকন্দ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও শেরপুর পৌরসভার চকপাঠক মহল্লার বাসিন্দা। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মুরশীদুর রহমান আকন্দের অনুসারী নাহিদ হাসান ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হয়। এতে পুরনো দ্বন্দ্ব আবারো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে এবং ওই রাতে মুরশীদুর রহমান আকন্দের অনুসারীরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে শেরীঘাট এলাকায় প্রতিপক্ষের দোকান ও বাড়িঘরে হামলা চালায়। এই হামলার ঘটনার সংবাদ সংগ্রহের জন্য ডিবিসি নিউজের শেরপুর প্রতিনিধি এস এম জুবায়ের ঘটনাস্থল পূর্বশেরী এলাকায় যাওয়ার পথে ছাত্রলীগ নেতা মুরশীদুর রহমান আকন্দের অনুসারীদের একটি মিছিল আসতে থাকে, পরে সেখানে অন্যান্য সাংবাদিকেরা উপস্থিত হলে তাকে উদ্ধার করে শেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। (১৫৫ ১৫৬ ১৫৭ ১৫৮১৫৯১৬০
- রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভা নির্বাচনে প্রচারণার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের হামলার শিকার হন মাছরাঙা টেলিভিশন রাজশাহীর ক্যামেরাপারসন মাহফুজুর রহমান রুবেল এবং দীপ্ত টিভির ক্যামেরাপারসন রফিকুল ইসলাম। রুবেল জানান, ‘পেশাগত দায়িত্বপালনকালে আকস্মিকভাবে মুক্তার আলীর সমর্থকরা হামলা চালান। এ সময় আমার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। হামলাকারীরা আমার মোবাইল ফোন সেটটি ভেঙে ফেলে। তারা আমার ক্যামেরাও ভাঙার চেষ্টা করে। এ সময় দিপ্ত টিভির ক্যামেরাপারসন রফিকুল ইসলামকেও মারধর করা হয়।[১৪৩]
- রাষ্ট্রীয় গোপন নথি সরানো[১৪৪] ও অনুমতি না নিয়ে ছবি তোলার অভিযোগে রোজিনা ইসলাম ১৮ মে ২০২১ সালে গ্রেফতার হন। দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় তাকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে মানবধিকার সংস্থা থেকে দাবি উঠে ও সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারিত হয়।[১৪৫][১৪৬][১৪৭][১৪৮][১৪৯] রোজিনাকে আটকের আইনকে ‘ঔপনিবেশিক যুগের আইন’ বলে আখ্যায়িত করে ওয়াশিংটন পোস্ট ‘দুর্নীতি অনিয়মের সংবাদের জন্য খ্যাত সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে।[১৫০][১৫১] রোজিনার ওপর নির্যাতন ও মামলা বিষয়ে আল জাজিরা ইংরেজি সংস্করণে ‘রোজিনা ইসলাম: বাংলাদেশ এরেস্ট জার্নালিস্ট ফর কোভিড রিপোর্টিং’ (রোজিনা ইসলাম: বাংলাদেশ কোভিড প্রতিবেদনের জন্য সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে) শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে। সেখানে এক বিবৃতিতে রোজিনা ইসলামকে আটক ও নির্যাতনের বিবরণ দিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় ও তার মুক্তি দাবি করা হয়।’[১৫২] ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক গোপনীয়তা আইনের মামলায় প্রথম গ্রেপ্তার হওয়া রোজিনা ইসলাম ২৩ মে ২০২১ সালে আদালতে তার পাসপোর্ট জমা রাখার শর্তে ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় মুক্তি পান।[১৫৩]
- ২০ সেপ্টেম্বর এটিএন বাংলা, এটিএন নিউজ ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি এবং শরীয়তপুর ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রোকনুজ্জামান পারভেজ তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বসা ছিলেন। সে সময় দোকানের সামনে শরীয়তপুর পৌরসভার উত্তর পালং গ্রামের নাজমুল মাদবর ও নাঈম মাদবরের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন লোক এসে এক নারীকে লাঠি ও রড দিয়ে পেটাতে থাকে। তখন ওই নারী আত্মরক্ষায় সাংবাদিক পারভেজের দোকানে ঢুকে পড়লে সন্ত্রাসীরা সেখানে ঢুকেও তাকে পেটাতে থাকে। এতে সন্ত্রাসীদের দোকান থেকে বের হতে বলেন পারভেজ। এ সময় সন্ত্রাসীরা পারভেজকে বলে, ভিডিও করছস কেন? পরে তাকে কিল-ঘুষি মারে এবং রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে পালং মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত অবস্থায় পারভেজকে উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পারভেজ জানান, তার দোকানের ক্যাশে রাখা ও সঙ্গে থাকা নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।[১৫৪]
২০২২ সালে
[সম্পাদনা]আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-এর জুলাই পর্যন্ত ১১৯ জন সাংবাদিক নানামুখী হামলা, মামলা ও নির্যাতনের শিকার হন। এদের মধ্যে ৩৮ জন পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হামলার এবং ১৯ জন প্রকাশিত সংবাদের জেরে মামলার শিকার হন। এসব ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও বাস্তব অর্থে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিচার শেষ হয় না বলে মনে করে টিআইবি।[১৫৫] বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, এ সরকার সাংবাদিকদের ওপর খুন, গুম ও নির্যাতন চালাচ্ছে। আমাকেও কারাগারে নেওয়া হয়েছিল। এখনও মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি। সরকারের দুর্নীতি ও অনিয়মে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ। অবিলম্বে গণমাধ্যমবিরোধী সব আইন বাতিলের দাবি জানাই।[১৫৬] বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) এর প্রকাশিত সূচকে দেখা যায় ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২তম। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মাপকাঠিতে আগের বছর ২০২১ সালে যা ছিল ১৫২তম।[১৫৭]
- জানুয়ারি মাসে মহেশখালীর শাপলাপুর পাহাড়ী ঢালায় সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে আ. ন. ম হাসান, ফারুক ইকবাল, এম রুবেল এবং একে রিফাত নামে ৪ সাংবাদিক সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। ৬/৭ জন মুখোশ পড়া সন্ত্রাসী অস্ত্র, রাম দা, লাঠি নিয়ে গতিরোধ করে রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে সাংবাদিকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে শারীরিকভাবে চরম লাঞ্ছিত, মারধর ও তাদের মোবাইল ক্যামরাসহ বেশ কিছু জিনিস ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। এসময় তারা শাপলাপুরের আওয়ামী লীগ সভাপতি ডা: ওসমানের বিরুদ্ধে না লেখার জন্য এবং ভবিষ্যতে এই এলাকায় না আসা ও মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়। ঘটনা জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে।[১৫৮]
- শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার দক্ষিণ তারাবুনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজালাল মাল ও তার ভাই মিন্টু মালসহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী সাংবাদিক খোরশেদ আলম বাবুলের ওপর অমানবিক হামলা করে তাকে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।[১৫৯]
- ২৬ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকায় জমির স্কিমের টাকার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাধীন বাংলা ও দৈনিক দেশ পত্রিকার সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেনের শরীরে ও মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাত ও জখম করে বাবুল মিয়া নামের একজন। পরে আহত অবস্থায় নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়।[১৬০]
- ২২ মে মানবজমিন পত্রিকার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ইয়ারব হোসেন বেতনা নদী খনন প্রকল্পের তথ্য জানতে গেলে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ে তাকে বেধড়ক পেটানো হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়েরের নির্দেশে ঠিকাদার ও সিকিউরিটি গার্ডরা তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। ঘটনাটির খবর ছড়িয়ে পড়লে জেলার বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিক, সদর থানা পুলিশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে হামলার শিকার সাংবাদিককে উদ্ধার করে।[১৬১]
- ২৬ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা চলাকালে ডেইলি ক্যাম্পাসের সাংবাদিক আবির আহমেদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ সময় তার মুঠোফোন কেড়ে নেয় তারা।[১৬২]
- পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে চ্যানেল এস ইউকে সিলেট অফিসের চিফ রিপোর্টার ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েসন (ইমজা) সিলেটের সভাপতি মঈন উদ্দিন মনজুর ক্যামেরা ভাংচুর ও তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করা হয়।[১৬৩][১৬৪] এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে লাইভ ভিডিওতে দেখা যায় এমসি কলেজের ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব লাঠি দিয়ে মঞ্জুকে আঘাত করে।[১৬৫][১৬৬] পরে ২৪ মে রাতে ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে অভিযুক্ত করে এসএমপির কতোয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি।[১৬৭] এর আগে অপর একটি ঘটনায়ও ২০১৮ সালে সাংবাদিক মঞ্জুর বাসায় হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।[১৬৮]
- ২৮ মে মোহনা টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি আব্দুল জলিলের ওপর হামলা করে মাদক ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারীরা। উল্লেখ্য, মাদক ও চোরাচালান নিয়ে বিভিন্ন সময়ে তিনি সংবাদ প্রকাশ করেন।[১৬৯]
- জুনে বাংলাদেশের সংবিধান লঙ্ঘনপূর্বক বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক অধিকার খর্ব করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত এক সাংবাদিকের মোবাইল ফোন তল্লাশি সহ ছাত্রদলের একজন কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে।[১৭০]
- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিক শাহাবুদ্দিনের উপর হামলা করে মাদার বখ্শ ছাত্রলীগ হল শাখার সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন কাজল। পরে তাকে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।[১৭১]
- ৭ জুলাই কমলাপুর রেলস্টেশন কাউন্টারের বুকিং সহকারীদের হাতে মারধরের শিকার হন যমুনা টেলিভিশনের নিউজরুম এডিটর রাসেল শেখ। কাউন্টারের সামনে টিকিট প্রত্যাশীদের লম্বা লাইন থাকা স্বত্বেও বুকিং সহকারীরা অন্য কাউন্টারে গিয়ে খোশগল্প আর ফোনে কথা বলায় ব্যস্ত থাকার প্রতিবাদ করে ঘটনাটির ভিডিও করতে যাওয়ায় বুকিং সহকারী ও রেলকর্মীদের মারধরের শিকার হন তিনি।[১৭২]
- কাঁঠালদিয়া বস্তির উচ্ছেদকৃত জায়গায় বাংলাদেশ স্টিল করপোরেশনের নির্মাণাধীন ভবনের বিপুল পরিমাণ লোহার রড চুরি হয়। ওই লোহা বিক্রির টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই রাশেদ খান মেনন ও অনিক গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ ছাড়া রাজনৈতিক মিছিলে যাওয়া, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল।পরে ২ জুলাই রাত ১১টার দিকে মিত্তিবাড়ি এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়। এতে উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ করতে গেলে থানা ফটকের সামনে ফের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করায় এশিয়ান টেলিভিশনের প্রতিনিধি আরিফ চৌধুরীর ওপর হামলা চালায় তারা। একপর্যায়ে হামলাকারীরা সাংবাদিক আরিফের মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ও আইডি কার্ড কেড়ে নেয়।[১৭৩]
- ১৪ জুলাই জাতীয় পার্টির জলঢাকা উপজেলা কার্যালয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে উপজেলা জাতীয় পার্টির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সাইদার রহমান বুলুর ওপর আক্রমণ করে পরাজিত দুলাল হোসেন। এ সময় দৈনিক মানবকণ্ঠের জলঢাকা উপজেলা প্রতিনিধি রাশেদুজ্জামান সুমন ছবি তুলতে গেলে দুলাল হোসেন তার মাথায় ঘুষি মারে। ঘুষিতে মাথা ফেটে যায় তার। পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।[১৭৪]
- ১ আগস্ট ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মুজাহিদুল ইসলাম নাঈম নামে ঢাকা টাইমস পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও আলফাডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে আলফাডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র সাইফুর রহমান সাইফারের ভাই জাপান ও তার অনুসারীরা।[১৭৫] ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানায়, ঢাকা যাবেন বলে আলফাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের রাজধানী পরিবহনের কাউন্টারে টিকিট কিনে বাসে ওঠেন মুজাহিদের এক বন্ধু। তবে ‘ক্যাশ কাউন্টার’ থেকে বলা হয় তিনি টাকা দেননি। তাই তাকে ঢাকায় যেতে দেওয়া হবে না। মুজাহিদ ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি জানার চেষ্টা করলে কাউন্টারের ম্যানেজার পৌর মেয়রের ভাই জাপান ও তার সহযোগীদের সঙ্গে মুজাহিদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জাপান ও তার সহযোগীরা কাঠের বাটাম দিয়ে মুজাহিদকে বেধড়ক পেটালে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে এলাকাবাসী মুজাহিদকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।[১৭৬]
- ১ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হকের হেনস্তার শিকার হন ঢাকা পোস্টের নিজস্ব প্রতিবেদক তানভীরুল ইসলাম। হেনস্তার শিকার তানভীরুল জানান, হাসপাতালটির এক চিকিৎসকের অনিয়মের খবর সংগ্রহ করতে ৩১ জুলাই দুপুরে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালকের বক্তব্য নিতে যান তিনি। তবে ব্যস্ততা দেখিয়ে পর দিন দুপুর ২টায় হাসপাতালে দেখা করতে বলেন পরিচালক। সে অনুযায়ী তিনি হাসপাতালে পরিচালকের রুমে গিয়ে কথাবার্তা শুরু করেন। এক পর্যায়ে ঢামেকের একজন চিকিৎসকের অনিয়মের ভিডিওসহ ঢামেক সংশ্লিষ্ট কয়েকটি অনিয়ম নিয়ে কথা বললে পরিচালক উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তিনি ক্ষেপে যান এবং ভিডিও বন্ধ করতে বলেন। এরপর তিনি নিজের চেয়ার থেকে উঠে এসে তার মোবাইল কেড়ে নেন। এ সময় তিনি তাকে গালিগালাজ করেন। তিনি আরও বলেন, এক পর্যায়ে আমি সাক্ষাৎকার বন্ধ করে চলে আসতে চাইলে তিনি আমাকে তার কক্ষে বসিয়ে রাখেন এবং অফিসে কর্মরত অন্যদের ঢাকা পোস্টের ঢামেক প্রতিনিধিকে হাসপাতালে আসতে বলার নির্দেশ দেন। এমনকি যতক্ষণ পর্যন্ত ঢাকা পোস্টের ঢামেক প্রতিনিধি না আসবে ততক্ষণ আমাকে বসে থাকতে হবে বলে নির্দেশ দেন পরিচালক।[১৭৭]
- ২ আগস্ট রাজধানীর তালতলা এলাকায় ভিক্টর ট্রেডিং করপোরেশনে মেডিকেলের যন্ত্রাংশ কেনাকাটায় অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মারধরের শিকার হন ডিবিসি নিউজের স্টাফ রিপোর্টার সাইফুল ইসলাম জুয়েল ও ক্যামেরাপারসন আজাদ আহমেদ। এসময় ক্যামেরা ভাঙচুর ও ফুটেজ ডিলেট করে দেয় হামলাকারীরা। পরে এ ঘটনায় মূল অভিযুক্তসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) শেরেবাংলা নগর থানা।[১৭৮]
- ৮ আগস্ট সুনামগঞ্জে আদালত প্রাঙ্গণে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মোবাইলে চিত্র ধারণ করার সময় যমুনা টিভির সুনামগঞ্জ প্রতিনিধির মোবাইল ছিনিয়ে নেন এক পুলিশ সদস্য। পরে চ্যানেল ২৪ এর জেলা প্রতিনিধি এআর জুয়েল মোবাইল ফোনটি ফিরিয়ে আনতে গেলে ওই সাংবাদিকের সঙ্গেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করে কোর্টের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা। এসব দেখে আদালত প্রাঙ্গণে থাকা আইনজীবীরা এগিয়ে আসলে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের সঙ্গেও খারাপ আচরণ করে পুলিশ সদস্যরা। পরে আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশ ও আইনজীবীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে এসে দোষীদের শাস্তির আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।[১৭৯]
- ৯ আগস্ট রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে এসপিএ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে একজন ‘ভুয়া চিকিৎসকের’ বিষয়ে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে মারধরের শিকার হন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের প্রতিবেদক হাসান মিসবাহ ও ক্যামেরা পারসন সাজু মিয়া।[১৮০] এ সময় তাদের ব্যবহৃত ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয় এবং ছিনিয়ে নেওয়া হয় মোবাইল ও গাড়ির চাবি। এমনকি প্রায় দুই ঘণ্টা তাদের আটকে রাখা হয়। জানা যায়, চিকিৎসা ব্যবস্থায় অব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক এসআই মিলে তাদের মারধর করে। পরে থানা থেকে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।[১৮১] বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএইচআরএফ) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক হাসান মিসবাহর ওপর হামলাকারী সেই চিকিৎসক ডা. এম এইচ উসমানীর বিএমডিসি সনদ বাতিলের দাবিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি বরাবর স্মারকলিপি পাঠায় বিএইচআরএফ। একইসঙ্গে তার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত এবং হাসান মিসবাহর উন্নত চিকিৎসা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।[১৮২]
- ১২ আগস্ট লালমনিরহাটে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার লালমনিরহাটের জেলা প্রতিনিধি আব্দুর রব সুজন, যমুনা টেলিভিশনের লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি আনিসুর রহমান ও এখন টেলিভিশনের লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি মাহফুজুল ইসলাম বকুল নামের ৩ সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আজিজার রহমান মণ্ডল ও তার ছেলেরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।[১৮৩] আহত সাংবাদিকদের অভিযোগ, পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আজিজার মণ্ডলের ছেলে সুলতান মণ্ডল এক নারীকে তুলে নিয়ে গেছেন বলে খবর পেয়ে তারা ঘটনার তদন্তে যান। সেখানে গেলে আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজার মণ্ডল এবং তার ৩ ছেলে সুলতান মণ্ডল, সাহেদ মণ্ডল, শাহজাহান মণ্ডল ও তাদের সহযোগীরা তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় লাঠি ও লোহার রড দিয়ে তাদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়। এছাড়া যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক আনিসুর রহমানের ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়।[১৮৪] পরে স্থানীয়রা আহত সাংবাদিকদের উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।[১৮৫]
- ১৪ আগস্ট দৈনিক তৃতীয়মাত্রা পত্রিকার সাভার প্রতিনিধি সোহেল রানার ওপর হামলা হয়। এ সময় সোহেলকে বেধড়ক মারধর করে হামলাকারীরা। পরে তার ওপর হামলার ঘটনায় পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ পাভেল আহমেদকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।[১৮৬]
- ১৭ আগস্ট চট্টগ্রাম আদালতে সংবাদ সংগ্রহে যাওয়ার পথে আইনজীবীদের মারধরের শিকার হন যমুনা টেলিভিশনের রিপোর্টার আল আমিন সিকদার ও ভিডিও জার্নালিস্ট আসাদুজ্জামান লিমন। হামলায় আহত দুই সংবাদকর্মীকে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।[১৮৭] চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) সদস্য, তাদের ওপর হামলায় জড়িত আইনজীবীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও বার কাউন্সিল সনদ বাতিলের দাবিতে আইনমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পাঠায়।[১৮৮]
- ২৭ আগস্ট বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শাহজালাল হলে র্যাগিংয়ের ঘটনা সমাধান করতে গিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহকারী প্রক্টর। এ সময় তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। খবর পেয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রথমে হেনস্তা ও পরে হামলার শিকার হন ক্যাম্পাসে কর্মরত ঢাকা পোস্টের বাকৃবি প্রতিনিধি মুসাদ্দিকুল ইসলাম তানভীর, দৈনিক খোলা কাগজ পত্রিকার বাকৃবি প্রতিনিধি ইফতেখারুল ইসলাম সৈকত এবং ক্যাম্পাস লাইভ ২৪ ডটকমের বাকৃবি প্রতিনিধি রায়হান আবিদ।[১৮৯]
- সাভারে সাংবাদিকের ওপর হামলার পর উল্টো সেই সাংবাদিকের বিরুদ্ধেই মামলা করেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সামিউল আলম শামীম। দৈনিক তৃতীয় মাত্রার সাভার প্রতিনিধি সোহেল রানা ও দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের সাভার প্রতিনিধি জাহিন সিংহ'র বিরুদ্ধে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে মামলা করেন তিনি।[১৯০] সোহাগ তার বাহিনী নিয়ে আশুলিয়ার একটি বাড়িতে ঢুকে হামলা, মারধর, লুটপাট ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় ইউপি সদস্য সোহাগসহ আটজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। গণমাধ্যমে এ সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর ইউপি সদস্য ও তার অনুসারীরা সংবাদকর্মীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে সাভার উপজেলা পরিষদের ভিতরে সাংবাদিক সোহেল রানার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়।[১৯১]
- ৫ সেপ্টেম্বর সকালে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে রাজশাহী নগরীর আমবাগান এলাকায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)‘র কার্যালয়ে হামলায় এটিএন নিউজের রিপোর্টার বুলবুল হাবিব ও ক্যামেরাপারসন রুবেল ইসলাম আহত হন।[১৯২] পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।[১৯৩] সরকারি কর্মকর্তারা নতুন নির্ধারিত অফিস সময় কতটা মেনে চলছেন তা সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছিল।[১৯৪] দেরিতে অফিসে ঢোকার সময় তাদের সরাসরি সম্প্রচার দেখে বিএমডিএ নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশিদ চিৎকার করে সাংবাদিকদের দিকে এগিয়ে যান। পরে বিএমডিএ কর্মীদের একটি অংশ সাংবাদিকদের উপর হামলা করেন এবং তাদের আহত করেন। সরাসরি সম্প্রচার করা ওই সংবাদে দেখা যায়, অফিস শুরুর নির্ধারিত সময়ের পর এক ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও বিএমডিএ চেয়ারম্যান ও নির্বাহী পরিচালকসহ বেশিরভাগ কর্মকর্তা অফিসে এসে পৌঁছাননি।[১৯৫] এটিএন নিউজের সাংবাদিকদের ওপর হামলার খবর পেয়ে অন্যান্য সাংবাদিকরা বিএমডিএ এর সদর দপ্তরে সামনে গিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।[১৯৬] বিএমডিএর চেয়ারম্যান আক্তার জাহান জানান, ভিডিও ফুটেজ দেখে দুই সাংবাদিকের উপর হামলার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় দুইজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।[১৯৭]
- ৮ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া শহরে ছুরিকাঘাতে দৈনিক সময়ের কাগজ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার শহীদুল ইসলাম ওরফে মিঠু আহত হন। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন শহীদুলকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। তার শরীরে ৩৩টি সেলাই পড়েছে বলে চিকিৎসক জানান।[১৯৮]
- ১১ সেপ্টম্বর ভূ-পর্যটক ও ভ্রমণ কাহিনী লেখক রামনাথ বিশ্বাসের বাড়ি দখলের ঘটনায় তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন সাংবাদিক রাজীব নূর ও তার সহকর্মীরা। হামলায় আহত অন্য সাংবাদিকের মধ্যে ছিলেন কালের কণ্ঠের বানিয়াচং প্রতিনিধি মোশাহেদ মিয়া, স্থানীয় সাংবাদিক তৌহিদ মিয়া ও আলমগীর রেজা।[১৯৯] আহত সাংবাদিক রাজীব নূর জানান, বানিয়াচংয়ের ভূ-পর্যটক রামনাথ বিশ্বাসের বাড়ি দখল নিয়ে তথ্য সংগ্রহকালে দখলদার ওয়াহিদ মিয়া লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে এবং ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ছবি মুছে ফেলে দেয় হামলাকারীরা।[২০০]
- পটুয়াখালীর সাংবাদিক টেলিভিশন চ্যানেল নিউজ টুয়েন্টি ফোর, বাংলাদেশ প্রতিনিধি ও বিডি নিউজের পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি সঞ্জয় দাস লিটুর উপর আগে থেকে নজর রাখা এক সন্ত্রাসী পটুয়াখালীর কাছাকাছি পৌঁছালে তার উপর হামলা করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।[২০১]
- ২৫ সেপ্টেম্বর শেরপুর শহরের নয়ানীবাজারে একটি দোকানের পাশে জেলা রিপোর্টার শহিদুল ইসলাম হিরার মোটরসাইকেল রাখাকে কেন্দ্র করে তর্কাতর্কি শুরু করে মানিক নামে এক ব্যক্তি। এক পর্যায়ে তার উপর হামলা চালায় মানিকসহ কয়েকজন। সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শহিদুল ইসলাম হিরাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার সময় পেছন থেকে আবারও ১০ থেকে ১২ জনের একটি সন্ত্রাসী দল হামলা চালায়। এতে নাক-মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পান এবং তার সাথে থাকা মোবাইলসহ নগদ অর্থ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ ও সময় টিভির ভিডিও জার্নালিস্ট বাবু চক্রবর্তী তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।[২০২]
- ২৬ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগ কর্মীর জন্মদিন পালন করতে না যাওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ঢাকা মেইল ও দৈনিক কালবেলার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রেদওয়ান আহমদকে মারধর করে ছাত্রলীগের অনুসারীরা। এ সময় তারা ‘ছাত্রলীগ না করলে হলে থাকা যাবে না’ বলে ওই সাংবাদিককে হুমকি দেয়।[২০৩]
- ১ অক্টোবর পাসপোর্ট যাত্রী পারাপারের নিউজ সংগ্রহ করতে গেলে একদল দুর্বৃত্ত উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। একপর্যায়ে তারা আরটিভি’র ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে খবর পেয়ে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনাস্থল যান।[২০৪]
- ২ অক্টোবর রাজশাহীতে সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তরের রাজশাহীর স্টাফ রিপোর্টার তানজিমুল হকের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। রাজশাহীর গোদাগাড়ীর পাকড়ির ইউনিয়নের ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে নগরীতে অবৈধ ওষুধ কারখানা বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে বায়োহার্বস আয়ুর্বেদিক কোম্পানীর কর্মচারিরা হামলা চালিয়ে সাংবাদিক তানজিমুল হকে মারধর ও গাড়ি ভাংচুর করে।[২০৫] তানজিমুল হকের ওপর হামলার পর নগরীর হড়গ্রাম টুলটুলিপাড়ার ওই কারখানায় অভিযান চালায় [[জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর]। পরে নানা অনিয়মের কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।[২০৬]
- ২৯ অক্টোবর দৈনিক যুগান্তরের মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি হোসাইন আহমদ নিজ অফিস থেকে মোটরসাইকেল যোগে পোশাক আনার জন্য ট্রেইলারের দোকানের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি শহরের পুলিশ ফাঁড়ি ও পোস্ট অফিসের সামনে আসলে একটি মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে প্রাইভেট কার থেকে অস্ত্র বের করে সন্ত্রাসীরা তাকে পেটাতে থাকে। একপর্যায়ে আহত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসেন।[২০৭]
- ১ নভেম্বর সাতক্ষীরার তালায় কোন কারণ ছাড়াই এক সাংবাদিকের গলা চেপে ধরে হত্যাচেষ্টা করে সন্ত্রাসী প্রকৃতির এক মুদি দোকানী।[২০৮] তার দোকানটি সরকারি জমির উপর হওয়ায় এ বিষয়ে তালা উপজেলার তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করে। একারণে সেই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপর হামলা করেছিল সে। তবে স্থানীয় প্রভাবশালীদের কারণে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ থেকে সে বেঁচে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।[২০৯]
- জানা যায়, চুয়েটের হলগুলোতে মাদকসেবীরা নিয়মিত মাদকসেবন করে আসছে। চট্টগ্রাম শহরগামী বাসগুলোতে জনসম্মুখে মাদকসেবন তাদের নিত্যনৈমিত্তিক কাজ। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বারবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয়ে লেখালেখি করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ১৫ নভেম্বর চুয়েট সাংবাদিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. গোলাম রব্বানী বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান বেপরোয়া মাদকসেবনের বিরুদ্ধে ফেইবুকে লেখালেখি করেন। তার লেখায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আইদিদের নেতৃত্বে প্রায় ১০ জনের একটি দল ১৬ নভেম্বর দুপুরে সমিতির সভাপতি জিওন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক সায়েদ চৌধুরীকে আটকে রেখে গালাগালি ও হেনস্থা করেন। এ সময় সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. গোলাম রব্বানীকে মারধর করা হয়। এমনকি ভবিষ্যতে মাদকের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সমিতির কেউ লেখালেখি করলে তাদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।[২১০]
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্য সেন হলে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি অবজারভার পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি তাওসিফুল ইসলামকে হেনস্তার অভিযোগ উঠে হল ছাত্রলীগের কিছু কর্মীর বিরুদ্ধে।[২১১] ভুক্তভোগী তাওসিফ বলেন, ‘তারা আমাকেসহ সাংবাদিক সমিতি, সমিতির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে গালিগালাজ করতে থাকেন। তুষার হুসাইন আমাকে মেরে হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে একজন আমাকে ধাক্কা দেন। আমার ধারণা, তুষার হুসাইনের বিরুদ্ধে ডেইলি অবজারভারে ছিনতাইয়ের নিউজ করায় তিনি আগে থেকেই আমার ওপর ক্ষিপ্ত। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বের হয়ে আসলে তাদের আমি বিষয়টা জানাই। পরে তাদের উপস্থিতিতেই আমাকে শাসানো হয় ও উগ্রভাবে বারবার তেড়ে আসতে থাকেন।’[২১২]
- বরিশালের গৌরনদী উপজেলা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ও স্থানীয় একটি অনলাইন নিউজপোর্টালের নির্বাহী সম্পাদককে মারধরের অভিযোগ উঠে পৌর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতাসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান লাইভ প্রচারের সময় পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদ হাওলাদারের নাম প্রচার না করায় সাংবাদিক মোল্লা ফারুক হাসানকে দোকান থেকে তুলে নিয়ে প্রকাশ্যে মারধর করে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় রাশেদ হাওলাদারকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।[২১৩] পরে এই সাংবাদিকের পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে ছাত্রলীগের ১৩ নেতা-কর্মীর নামে মামলা দায়ের করা হয়।[২১৪]
- ফেনীর বিতর্কিত সাবেক পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম সরকারের নির্দেশে পুলিশের দেওয়া গায়েবি মামলায় এসএম ইউসুফ আলী নামে এক সাংবাদিককে গভীররাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন দুপুরে তাকে কোমরে রশি বেঁধে আদালতে তোলা হলে জেলায় কর্মরত সাংবাদিক ও সচেতন মহলে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় শুরু হয়।[২১৫]
- ২ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এএফ রহমান হল দখলে শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক উপগ্রুপ বিজয় ও ভার্সিটি এক্সপ্রেসের সংঘর্ষ ও শিক্ষার্থী আহতের ঘটনা ঘটে। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী প্রক্টর এবং ঘটনার ছবি ও ভিডিও ধারণ করায় কর্মরত সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয় ছাত্রলীগের এক পক্ষের নেতাকর্মী। প্রকাশ্যে দেওয়া হয় তাদের হত্যার হুমকি।[২১৬]
- ৪ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খবর সংগ্রহ কালে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন মানবজমিন ডিজিটালের রিপোর্টার আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও দৈনিক ইত্তেফাকের রিপোর্টার হাসিব পান্থ। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলার শিকার আব্দুল্লাহ আল মারুফ জানান, প্রেস ক্লাব এলাকায় আমরা নিউজ কাভার করতে আসি। এ সময় ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার হোল্ডারদের একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। আমরা মানববন্ধনের নিউজ কাভার করার জন্য দাঁড়ালে মুহূর্তে কয়েকশো ছেলে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হামলা শুরু করে। আমরা সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরেও আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় তারা আমার দুটি মোবাইলফোন, মানিব্যাগ, আইডি কার্ড ও সঙ্গে থাকা আরেকটি ব্যাগ নিয়ে যায়। হাসিব প্রান্থ বলেন, আমার আইফোন ইলেভেন প্রো, মানিব্যাগের ১০ হাজার ৮০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। তারা আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। পুলিশের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটলেও পুলিশ নীরব ভূমিকা পালন করে।[২১৭] ৫ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় তাদের ওপর হামলা এবং মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিয়ন, ক্রাইম রিপোর্টার্স ইউনিটি, রাইজিং বিডির সিনিয়র রিপোর্টার সহ অনেক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।[২১৮] ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদের নেতৃত্ব হামলার সময় ছাত্রলীগের নেতারা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী ও সংবাদ সংগ্রহকারী সাংবাদিকদের উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এক যৌথ বিবৃতিতে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া ও সদস্যসচিব নুরুল হক নুর বলেন,”পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকরা ধারাবাহিক হামলার শিকার হচ্ছেন। অন্যদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দেশজুড়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ঢালাও মামলার মাধ্যমে সাংবাদিকদের হয়রানি করা হচ্ছে।”[২১৯]
- ৪ ডিসেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ছাত্রলীগের মারামারির ভিডিও করায় নয়া শতাব্দীর তোহা ইসলাম, সমকালের ইমরান হুসাইন, ঢাকা পোস্টের মাহাতাব লিমন ও ভোরের কাগজের প্রতিনিধি রকি আহমেদ গুরুতর আহত হন।[২২০] প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে বিএনপি নেতা ইশরাকের গাড়ি বহরে হামলা করে জবি ছাত্রলীগ কর্মীরা। এসময় ক্যাম্পাস প্রতিনিধি তোহা ইসলাম ভিডিও করায় তার উপর অতর্কিত হামলা করে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় ছাত্রলীগের কর্মীরা। পরবর্তীতে ক্যাম্পাসের অন্যান্য সাংবাদিকেরা হামলাকারীকে চিহ্নিত করতে গেলে ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজির নেতৃত্বে আবারও সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলা করে সভাপতি গ্রুপের কর্মী সুজন দাশ অর্ক, তুর্য ও রায়হান কবির। এতে আহত হয়ে পড়লে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে তাদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।[২২১]
- ১০ই ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে বাগেরহাটের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে দিনভর অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। মোরেলগঞ্জ উপজেলায় যুবলীগের এমন একটি অবস্থান থেকে এক সাংবাদিকসহ কয়েকজনকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া যায়।[২২২] বিএনপির সমাবেশে যেতে বাধা দেওয়ার জন্য শুক্রবার রাত থেকেই সেখানে চেকপোস্ট বসান ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। সে সময় এসএম সাইফুল ইসলাম কবির নামে স্থানীয় এক সাংবাদিককে মারধর করে যুবলীগের নেতাকর্মীরা।[২২৩]
- ১১ ডিসেম্বর বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিউজ সংগ্রহ করতে গিয়ে ডিবিসি টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান আরিফুল ইসলাম রুবেল, এটিএন বাংলার ক্যামেরাম্যান শাহজালাল ও মোহনা টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান মো. সুজন হামলার শিকার হন।[২২৪] এসময় তাদের ক্যামেরা ও মোবাইল ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভেঙে যাওয়া মোবাইল, ক্যামেরা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে আটক করে।[২২৫]
- জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ডিএমপির প্রতিরক্ষা বিভাগের কনস্টেবল শাহিনুর রহমান নাগরিক টিভির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সাইদ আরমানকে সরাসরি সম্প্রচার চলাকালে বারংবার হেনস্থা করেন।[২২৬]
- ১৭ ডিসেম্বর বিকেলে বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার টরকি বন্দরে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের ফেসবুক লাইভে নাম না বলায় স্থানীয়ভাবে একটি নিউজ পোর্টালের সাংবাদিক মোল্লা ফারুক হাসানকে পিটিয়ে পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত রাশেদ হাওলাদার পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সভাপতি গৌরনদী কলেজ মাঠে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের ফেসবুক লাইভে তিনি প্রশাসন এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ অন্যান্য সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের নাম বলেছেন। কিন্তু তার নাম বলেননি কেন এই প্রশ্ন তুলে শনিবার বিকেলে দুই দফায় হামলা চালিয়ে তার পা ভেঙে দেয়।[২২৭]
- ২২ ডিসেম্বর লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় নির্বাচনী তথ্য সংগ্রহ করার সময় স্থানীয় এক সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নুরল আমিন ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। আহতাবস্থায় তাকে হাতীবান্ধা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে নুরল আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা অস্বীকার করেন।[২২৮]
- উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের রাংগুনিয়ার এক ইউনিয়নেই ৭০টি অবৈধ ইটভাটা রয়েছে।[২২৯] ২৫ ডিসেম্বর সকালে রাঙ্গুনিয়ার ইসলামপুর ইউনিয়নে ইটভাটার অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সংগ্রহে যান ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের আবু আজাদ। ঘটনার দিন সংবাদ সংগ্রহের একপর্যায়ে তাকে ইউপি মেম্বর মোহনের নেতৃত্বে একদল লোক তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে এবিসি ইটভাটার পাশের একটি কক্ষে আটকে রেখে মারধর, অস্ত্র ঠেকিয়ে জিম্মি ও একপর্যায়ে চাঁদা দাবি করা হয়।[২৩০] এসময় ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজের নির্দেশে অভিযুক্তরা ভুক্তভোগী সাংবাদিকের মোবাইল ও টাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়।[২৩১][২৩২]
২০২৩ সালে
[সম্পাদনা]- নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এশিয়ান টিভির সাংবাদিক রিপন মিয়া সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনের তথ্য সংগ্রহ কালে হামলার শিকার হন তিনি। এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ আবু তাহের নামের একজনকে আটক করে।[২৩৩] পূর্ব শত্রুতার জেরে জলসিঁড়ি এলাকায় তার ওপর হামলা করে ও তার গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করে। পাশাপাশি লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তার বাম হাতের কব্জির হাড় ভেঙে দেয়। সে সময় স্থানীয় বাসিন্দারা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য রূপগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।[২৩৪]
- নওগাঁয় লাইসেন্স সংক্রান্ত তথ্য দিতে ডেকে এক সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠে বিআরটিএ মোটরযান পরিদর্শক ফয়সাল হাসানের বিরুদ্ধে।[২৩৫] ভুক্তভোগী সাংবাদিক আরমান হোসেন রুমন একটি জাতীয় দৈনিকের নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।[২৩৬] জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন বিআরটিএ অফিসে তথ্য নিতে যান তিনি। সেখানে সহকারী পরিচালকের কক্ষে বসে থাকা অবস্থায় বহিরাগত দালালসহ প্রায় ৩০ জনকে সঙ্গে নিয়ে এসে তাকে লাঞ্ছিত করেন মোটরযান পরিদর্শক ফয়সাল হাসান।[২৩৭] অফিস থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আবারও তার ওপর সংঘবদ্ধ হামলা চালান ফয়সাল।[২৩৮]
- ১৬ জানুয়ারি রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশের সংবাদ সংগ্রহে গেলে সময় টিভির ক্যামেরা পার্সন মোবারক হোসেন শুভর ওপর বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা করে বলে অভিযোগ উঠে। হামলার সময় ড্রোন ক্যামেরা ভেঙে দেওয়া, মোবাইল ফোন, ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডসহ মূল্যবান সরঞ্জামাদি ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেন ওই ক্যামেরা পার্সন।[২৩৯] এ বিষয়ে সময় টিভির সাংবাদিক আহমেদ সালেহীনের অভিযোগ, সমাবেশে অংশ নেওয়া বিএনপির কামরাঙ্গীরচর এলাকার মনির চেয়ারম্যান ও থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাইমের অনুসারীরা পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালায়।[২৪০]
- ২৩ জানুয়ারী একটি জমি বিবাদের রিপোর্টিং থেকে ফিরে আসার সময় সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা ভূমিহীন ও সংখ্যালঘুদের নিয়ে লিখা বাংলাদেশী সাংবাদিক রঘুনাথ খাকে তুলে নিয়ে যায়।[২৪১][২৪২] পরে তাকে দুই মামলায় আটক দেখানো হয়।[২৪৩] তাকে থানা হাজতে নির্মমভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠে।[২৪৪] এর প্রতিক্রিয়ায় কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস জানায়, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে সাংবাদিক রঘুনাথ খাকে মুক্তি দিতে হবে এবং তাকে পুলিশ হেফাজতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ও মারধরের অভিযোগের তদন্ত করতে হবে।[২৪৫][২৪৬] মানবাধিকার কর্মী এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জানান, ‘রঘুনাথ খাঁর ব্যাপারে আমাদের কাছে আগে থেকেই তথ্য ছিল৷ তিনি প্রশাসন, বিশেষ করে পুলিশের নানা অনিয়ম নিয়ে অনেক দিন ধরেই রিপোর্ট করছেন৷ তিনি পুলিশের রোষানলে ছিলেন৷ সোমবার সেই কারণেই তাকে আটক করা হয়৷ পুলিশ, বিশেষ করে এসপি সাহেবের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন তিনি৷ সংবাদ মাধ্যমে তাকে নির্যাতনের যে তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তা বর্বরোচিত ও নৃশংস৷ এর জন্য দায়ীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি৷’[২৪৭]
- পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে কথার কাটাকাটি থেকে দৈনিক মানবকণ্ঠ ও বার্তা বাজার পত্রিকার প্রতিনিধি সাংবাদিক নাছরল্লাহ আল কাফী হামলার শিকার হন। পরে গুরতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।[২৪৮]
- ২৪ জানুয়ারি রাজধানীর কারওয়ানবাজার এলাকায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সদস্য ও এসএটিভির স্টাফ রিপোর্টার তাইফুর রহমান তুহিন এবং ক্যামেরা পারসন টিএইচ মুসলিমের ওপর হামলা চালায় মাদক কারবারিরা। এ সময় সাংবাদিকের গাড়ি ও ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়।[২৪৯]
- ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটি, ঠাকুরগাঁও টেলিভিশন র্জানালিষ্ট এ্যাসোসিয়েশন, অনলাইন জার্নালিষ্ট এ্যাসোসিয়েশনসহ জেলা ও উপজেলার সাংবাদিকেরা ঠাকুরগাঁওয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ টোয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি আব্দুল লতিফ লিটুর উপর সন্ত্রাসী হামলা ও মিথ্যা অভিযোগ ছড়ানোর ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেন।[২৫০][২৫১]
- 'সাংবাদিকরা হিরো আলমকে রাজনীতিক বানাচ্ছে' এমন অভিযোগ তুলে বগুড়ায় হিরো আলমের সংবাদ প্রচার করায় দুই সাংবাদিকের ওপর হামলা চালায় এক যুবলীগ নেতা।[২৫২] হামলার শিকার দুই সাংবাদিকের একজন বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি জে এম রউফ এবং অন্যজন স্থানীয় একটি পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম।[২৫৩] পরে হামলাকারী যুবলীগ নেতা শরিফুল ইসলাম শিপলুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।[২৫৪][২৫৫]
- ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের শ্রীপুরে সংবাদের তথ্য সংগ্রহকালে এশিয়ান টেলিভিশনের গাজীপুর প্রতিনিধি আরিফ খান আবিরের ওপর হামলা করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।[২৫৬]
- ৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের দাবিতে আন্দোলনরত চবি চারুকলা বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে অবস্থান নেয়। সেখানে তাদের ওপর চড়াও হয় চবি ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক উপগ্রুপ বাংলার মুখ ও ভার্সিটি এক্সপ্রেসের (ভিএক্স) নেতাকর্মী।[২৫৭] পেশাগত দায়িত্বপালনকালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগের ধাওয়া, বাধা প্রদান, ব্যানার-ফেস্টুন কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলার ভিডিও ধারণ করেছিলেন সমকালের চবি প্রতিনিধি মারজান আক্তার। পরে সেগুলো মুছে ফেলতে তাকে চাপ দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে অস্বীকৃতি জানালে হুমকি দেয় ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মী এবং প্রকাশ্যে তাকে হেনস্তা করা হয়। এ সময় আরটিভির ফটো সাংবাদিক এমরাউল কায়েস মিঠুও হেনস্তার শিকার হন।[২১৬] মারজান আক্তারকে হেনস্তার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের শাস্তি প্রদানের দাবি জানায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।[২৫৮] তাকে হেনস্তায় ১৬ জন জড়িত থাকলেও মাত্র একজনকে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ।[২৫৯] পরে নারী সাংবাদিককে ছাত্রলীগের হেনস্তার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে ‘রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভে আঘাত কেন? প্রশাসন জবাব চাই’, ‘অপরাধীদের চেনা যায় শাস্তি তবু দেওয়া দায়’, ‘ছবি তোলা-ভিডিও করা যাবে না, তাহলে সাংবাদিকের কাজ কী?’ ইত্যাদি লেখা সংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে তারা হাজির হয়।[২৬০]
- ১১ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি পালিত হয়। সেই সংবাদ সংগ্রহ করতে যান যুগান্তর পত্রিকার ধামরাই উপজেলা প্রতিনিধি শামীম আহমেদ। গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাদের মোল্লার অনুসারীরাও বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিতে যান। সেখানে তাকে দেখে কাদের মোল্লা ও তার ভাতিজা, মামাতো ভাইয়েরা তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। সে সময় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর যখম করে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।[২৬১]
- ১২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেইলের অপরাধবিষয়ক প্রতিবেদক খলিলুর রহমান স্টালিন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সংবাদ সম্মেলন শেষে বের হন। ওই সময় পুলিশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করে গাড়িতে তুলছিল।[২৬২] পেশাগত দায়িত্বের অংশ হিসেবে খলিল মোবাইল ফোনে এ ঘটনার ছবি তুলছিলেন এবং ভিডিও ধারণ করছিলেন। এসময় পেছন থেকে এক পুলিশ সদস্য তার গলা ধরে আইডি কার্ড ও মোবাইল কেড়ে নেন।[২৬৩] খলিল নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিলেও সেই পুলিশ সদস্য কোনো কথা না শুনে তাকে গাড়িতে তোলেন। খলিলকে গাড়িতে তোলার সময় সংবাদ সম্মেলন শেষে সেই রাস্তা ধরে যাচ্ছিলেন একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের বিশেষ প্রতিনিধি এনামুল কবীর রূপম। এসময় তিনি পুলিশকে বাধা দেন। পরে খলিলকে ধরে নিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে তোপের মুখে পড়েন পুলিশ সদস্যরা। অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুত সটকে পড়েন তারা।[২৬৪]
- ১৩ ফেব্রুয়ারি দৈনিক ভোরের দর্পণ পত্রিকার পাথরঘাটা প্রতিনিধি ও স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল পাথরঘাটা নিউজের প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম সাকিল বরগুনার পাথরঘাটা থানা মসজিদ-সংলগ্ন পুকুরের বেহাল অবস্থা নিয়ে নিউজ সংগ্রহ করতে সেখানে গেলে পাশের চায়ের দোকান মালিকদের সাথে কথা বলার একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতা জনি পঞ্চায়েত যুবলীগের পরিচিতি সভার নিউজ প্রচার করাকে কেন্দ্র করে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পাথরঘাটা নিউজ.কম-এর লাইভে সুজনকে দেখা যাওয়ার ক্ষিপ্ত হয়ে শাকিল আহমেদের ওপর হামলা চালায় জনি।[২৬৫]
- ২২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রাজশাহী কলেজ মুসলিম ছাত্রাবাসের ই ব্লক ও বি ব্লকে রাজশাহী কলেজ রিপোর্টার্স ইউনিটির (আরসিআরইউ) সদস্য শিক্ষানবিশ গণমাধ্যমকর্মী সাকিব ও শরীফুল ইসলাম এর উপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগ এর মিছিলে অনুপস্থিত থাকায় সাংবাদিকসহ ৩৫ জনকে পিটিয়েছে কলেজ ও স্থানীয় ছাত্রলীগ এর কর্মিরা।[২৬৬] এ ঘটনার পরে সাংবাদিকদের অভিযোগের মুখে অভিযুক্ত ৪ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী নগর ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক শাহরুখ আলম, রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক কাওসার আজম রাফি, রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য রাজু আহম্মেদ ও রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের কর্মী ওয়ালিউর রহমান রিফাতকে সাময়িক বহিষ্কার করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজশাহী মহানগর শাখা।[২৬৭]
- সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় পুলিশের হামলার শিকার হয় অন্তত ১০ জন সাংবাদিক। বুধবার ১৫ মার্চ ২০২৩ আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে এটিএন নিউজের সাংবাদিক জাবেদ আক্তারের অবস্থা গুরুতর। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয় এটিএন নিউজের রিপোর্টার জাবেদ আক্তার, প্রথম আলোর ফটো সাংবাদিক শুভ্র কান্তি দাশ, আজকের পত্রিকার রিপোর্টার এস এম নূর মোহাম্মদ, জাগো নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার ফজলুল হক মৃধা, মানবজমিনের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার আব্দুল্লাহ আল মারুফ, এটিএন বাংলার ক্যামেরাপার্সন হুমায়ুন কবির, সময় টিভির ক্যামেরাপার্সন সোলাইমান স্বপন, ডিবিসির ক্যামেরাপার্সন মেহেদী হাসান মিম ও বৈশাখী টিভির ক্যামেরাপার্সন ইব্রাহিম। এছাড়া আরও কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী আহত হয়।[২৬৮]
- ৯ নভেম্বর রাজশাহী কলেজের গণিত বিভাগে ভাঙচুর চালানোর সময় ছবি তুলতে গেলে বাংলাদেশ জার্নালের জেলা প্রতিনিধি আবু সাঈদ রনি এবং রাজশাহী পোস্টের স্টাফ রিপোর্টার আবদুল আলীমকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী সাঈদ হাসান আশিক, মো. সাহেদুজ্জামান, আশিকুর রহমান সজিব, সাজেদুর রহমান সিজার, মো. মেহেদী, আবদুর রহিম, মো. জাকারিয়া ও সাব্বির হোসেন প্রহার করেন। আহত দুই সাংবাদিককে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। হামলাকারীরা সাংবাদিকদের কাছে থাকা মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।[২৬৯]
- ২৬ নভেম্বর রাজধানীর ঢাকা কলেজের একটি আবাসিক হলে ওবায়দুর সাঈদ নামের এক সাংবাদিককে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ নির্যাতনের খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা কলেজ ক্যাম্পাসে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে গেছেন। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শহীদ ফরহাদ হোসেন হলের ছাত্রলীগ নেতা রাউফুর রহমান ওরফে সোহেলের নেতৃত্বে তাঁকে মারধর করা হয়। বুকে লাথি, এলোপাতাড়ি চড়থাপ্পড়ের পর শক্তি প্রয়োগ করে তাঁর মুঠোফোনের লক খুলতে বাধ্য করা হয়। পরে ফোন থেকে ‘ডিসিয়ান সংবাদকর্মী’ ও সাংবাদিক সমিতির গ্রুপের সব বার্তা স্ক্রিন রেকর্ড করে নেন রাউফুর। বাধা দিতে গেলে তাঁর রুমমেটদেরও মারতে উদ্যত হন রাউফুর। একপর্যায়ে তাঁকে কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন তিনি। ১৫ ঘণ্টা আটকে রাখা ও নির্যাতনের পর শুক্রবার দুপুরের দিকে তাঁকে অধ্যক্ষের কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে বাসায় নিয়ে যান। তিনি ফোন ফেরত পেয়েছেন শনিবার দুপুরের পর।[২৭০]
হত্যাকাণ্ড
[সম্পাদনা]১৯৭২ সালে
[সম্পাদনা]জহির রায়হান মিরপুরে তার ভাই শহীদুল্লাহ কায়সারসহ আরও অনেককে বিহারিরা আটকে রেখেছে খবর পেয়ে ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি সকালে সেনাবাহিনী ও পুলিশের বহরের সঙ্গে মিরপুর ১২ নম্বরের দিকে যান। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বিহারিরা কালাপানি পানির ট্যাংকের সামনে সেনা ও পুলিশ সদস্যদের দিকে গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে তিনি নিহত হন। পরদিন ৩১ জানুয়ারি মিরপুর বিহারি ও পাকিস্তানি সৈন্যদের দখলমুক্ত হলেও তার লাশ আর পাওয়া যায়নি।[২৭১]
২০০৪ সালে
[সম্পাদনা]- মানিক চন্দ্র সাহা নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন বলে দৈনিক সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক বজলুর রহমানের কাছে নিরাপত্তা চান।[২৭২] সাহা আওয়ামী লীগের খুলনা মহানগর শাখার একটি অনুষ্ঠানে যোগদানের পর খুলনা প্রেসক্লাবে যান।[২৭৩] খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে তার উপর বোমা নিক্ষেপের ফলে বিস্ফোরণে তিনি নিহত হন।[২৭৩] তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা তার হত্যাকাণ্ডে শোক প্রকাশ ও নিন্দা জানান।[২৭৪][২৭৫] তার হত্যার মামলায় ১ ডিসেম্বর ২০১৬ সালে আদালত নয় আসামিকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়।
- মানিক চন্দ্র সাহার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করা তার সহকর্মী, হুমায়ুন কবীর বালু তার তিন দিন পর পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির হাতে খুন হন।[২৭৬] খুলনা নগরীতে বালু তার মায়ের বাড়ি থেকে আসার পরে তিন সন্তানকে নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে বাড়িতে ঢোকার সময় তার নিজ বাড়ির সামনে বোমা হামলায় নিহত হন।[২৭৭] ২০২০ সালে বালুকে হত্যার দায়ে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির পাঁচ সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।[২৭৮][২৭৯]
২০০৫ সালে
[সম্পাদনা]অপরাধ ও দুর্নীতি বিষয়ক প্রতিবেদনের জন্য পরিচিত বাংলাদেশী প্রিন্ট সাংবাদিক,[২৮০] গৌতম দাসকে ২০০৫ সালের ১৭ই নভেম্বর তার অফিসে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় এবং তার হাত ও পা ভেঙ্গে গিয়েছিল। তিনি ঢাকা-ভিত্তিক দৈনিক সমকালের জন্য একটি সিরিজ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন, যেখানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কর্মকর্তাদের অবৈধ দুর্নীতির বিস্তারিত প্রতিবেদন উঠে আসে।[২৮১] এছাড়াও, দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানায় যে, দাস নির্মাণ চুক্তি বাগে আনার বিনিময়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে স্থানীয় সরকারী কর্মকর্তাদের সম্পর্কে লিখেছিলেন। ২০০৬ সালের ১৯ জানুয়ারী মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। ২০১৩ সালের ২৭ জুন নয়জন হামলাকারীকে গৌতম দাসকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।[২৮০][২৮২] নয় আসামির মধ্যে একজন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্যের ছেলে,[২৮৩] বাকি আটজনই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নবীন রাজনীতিবিদ।[২৮১]
২০১০ সালে
[সম্পাদনা]১৮ এপ্রিল রাতে সাংবাদিক ফতেহ্ ওসমানী তার বন্ধু আব্দুল মালেককে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে বাসায় ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর শাহী ঈদগাহস্থ শাহ মীর (র.) মাজারের সামনের রাস্তায় পৌঁছালে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন তিনি। ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে ফতেহ ওসমানী ও তার বন্ধু আব্দুল মালেক আহত হন। ২৮ এপ্রিল রাতে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।[২৮৪]
২০১২ সালে
[সম্পাদনা]১১ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি তাদের পেশাগত দৃঢ় কর্মকাণ্ডের কারণে ঢাকায় নিজ বাসভবনে অজ্ঞাত দুর্বৃত্ত কর্তৃক উভয়েই ছুরিকাঘাতে নিহত হন।[২৮৫][২৮৬][২৮৭][২৮৮][২৮৯][২৯০] মামলাটি দীর্ঘদিন ধরে চলমান থাকলেও ডিএনএ পরীক্ষায় দেখা গেছে যে দু'জন ব্যক্তি তাদের হত্যার সাথে জড়িত থাকতে পারে।[২৯১]
২০১৩ সালে
[সম্পাদনা]আফতাব আহমেদ ২০১৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর ঢাকার পশ্চিম রামপুরার ওয়াপদা রোডের নিজ বাড়িতে খুন হন।[২৯২] পরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ও জানায় যে, লাশের হাত ও পা বাঁধা ছিল এবং মুখে একটি গ্যাগ লাগানো ছিল। ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গ কর্তৃক ময়না-তদন্তের প্রতিবেদনে জানানো হয় তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ তাকে হত্যার দায়ে ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।[২৯৩]
২০১৭ সালে
[সম্পাদনা]২ ফেব্রুয়ারি শাহজাদপুরের মণিরামপুরে পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরুর বাড়ির সামনে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে সমকালের শাহজাদপুর উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুল গুলিবিদ্ধ হন।[২৯৪] ওই দিন চিকিৎসার জন্য প্রথমে শিমুলকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে অবস্থার অবনতি দেখে দ্রুত বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরদিন ৩ ফেব্রুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য শিমুলকে বগুড়া থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।[২৯৫]
২০২১ সালে
[সম্পাদনা]১৯ ফেব্রুয়ারি বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বক্তব্যের প্রতিবাদে উপজেলার চাপরাশিরহাট বাজারে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান (বাদল)। ওই সময় কাদের মির্জা ও বাদল গ্রুপের সংঘর্ষ ও গুলি বিনিময়ের একপর্যায়ে দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির গুলিবিদ্ধ হন।[২৯৬] ঘটনার একদিন পর ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।[২৯৭]
২০২২ সালে
[সম্পাদনা]- ৩ জুলাই রাত ৯টার পর থেকে নিখোঁজ হন স্থানীয় দৈনিক কুষ্টিয়ার খবর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি এবং কুষ্টিয়া জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাসিবুর রহমান রুবেল।[২৯৮] নিখোঁজের পাঁচ দিন পর কুষ্টিয়ার কুমারখালীর গড়াই নদী থেকে তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।[২৯৯] বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) কুষ্টিয়ার সভাপতি জানান, সাংবাদিক রুবেল হত্যাকাণ্ডের রহস্য এখনো উন্মোচন করতে পারেনি পুলিশ এবং উল্লেখযোগ্য আসামিও গ্রেপ্তার হয়নি। অথচ নিহত রুবেলের বাড়িতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ওয়ারেন্ট নিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করতে গেছে পুলিশ। এটি সাংবাদিকদের জন্য মানহানিকর ও লজ্জাজনক ঘটনা। এ ঘটনায় তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে সাংবাদিক রুবেল হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।[৩০০]
- ৮ জুন ডিবিসি নিউজের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার আব্দুল বারীর রক্তাক্ত মরদেহ হাতিরঝিলের পুলিশ প্লাজা এলাকা থেকে উদ্ধার করে গুলশান থানা পুলিশ। পুলিশ জানায়, মরদেহ এবং আলামত দেখে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে বারীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করে মৃত্যু নিশ্চিত করেছে ঘাতকরা। ধারণা করা হয়, প্রথমে বারীকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে তিনি বাঁচার জন্য পানিতে নেমে পড়েন। কারণ তার জামা কাপড় ভেজা ছিল। পরে তিনি আবার লেকপাড়ে উঠে এলে তাকে মাটিতে ফেলে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। তার মরদেহের পাশ থেকে রক্তমাখা ছুরি, মানিব্যাগ ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।[৩০১]
https://www.risingbd.com/entertainment-news/96533
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "রাষ্ট্রযন্ত্রের মাধ্যমে দেশে সাংবাদিক নির্যাতন বেড়েছে"। প্রথম আলো। ৪ মে ২০১৫। ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০২৩।
- ↑ ক খ "জুলাই পর্যন্ত নির্যাতনের শিকার ১১৯ সাংবাদিক, টিআইবির উদ্বেগ"। dhakapost। ১০ আগস্ট ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "Huji emerged with open declaration"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ৩০ অক্টোবর ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Huji cadres attacked poet Shamsur in '99"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ৩০ নভেম্বর ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Shamsur Rahman | Bengali poet, journalist, and human rights advocate"। Encyclopedia Britannica (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ Biswas, Prokash; bdnews24.com। "Police plan to resurrect case over attempt to murder poet Shamsur Rahman 17 years ago"। bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Bangladesh: Tipu Sultan, journalist, beaten"। World Organization Against Torture। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০০১। ২৬ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ ক খ গ "2002 Awardee: Tipu Sultan"। Committee to Protect Journalists। ২০০২। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১২।
- ↑ "UA 176/03 Fear for safety / Death threats"। Amnesty International। ১৮ জুন ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১২।
- ↑ ক খ "Attacks on the Press 2001: Bangladesh"। Committee to Protect Journalists। ২৬ মার্চ ২০০২।
- ↑ "Tipu Sultan"। PBS NewsHour। ২০০২। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১২।
- ↑ "Humanist Shahriar Kabir Arrested Again"। International Humanist and Ethical Union। ডিসেম্বর ২০০২।
- ↑ "Bangladesh scribe arrest 'illegal'"। BBC News। ২০০২-০১-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-৩০।
- ↑ Admin, "Humanists Must be Released!", International Humanist and Ethical Union, 5 January 2003, accessed 8 March 2013
- ↑ "Bangladesh court releases journalist"। BBC News। ২০০২-০১-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-৩০।
- ↑ "Bomb explodes at Bangladeshi reception"। BBC News। ২০০২-০২-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-৩০।
- ↑ Freund, Michael (৩ নভেম্বর ২০০৬)। "US slams trial of Bangladeshi newsman"। Holiday International। ২৫ মার্চ ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
On October 5, a mob stormed the premises of Choudhury's newspaper and beat him, fracturing his ankle.
- ↑ "Shoaib jailed for sedition"। The Daily Star। ১০ জানুয়ারি ২০১৪।
- ↑ "Journalist gets seven-year jail sentence for decade-old articles | Reporters without borders"। RSF। ৯ জানুয়ারি ২০১৪।
- ↑ "Blitz editor arrested in fraud case"। Dominica News Online (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-১১-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৭।
- ↑ Winer, Stuart। "Bangladesh editor gets 7 years for attempted Israel trip"। The Times of Israel (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৫।
- ↑ "Bangladesh editor jailed for seven years over Israel visit"। Dawn (ইংরেজি ভাষায়)। Agence France-Presse। ২০১৪-০১-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৫।
- ↑ Tipu, Sanaul Islam (২০১৪-০১-০৯)। "Mysterious Salah Uddin Shoaib gets 7-year jail"। Dhaka Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৩-২৫।
- ↑ "Blitz editor sent to jail"। The Daily Observer। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। ২৪ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "Blitz editor sent to jail"। The Daily Star। ১০ নভেম্বর ২০১২।
- ↑ ক খ গ ঘ "Bangladeshi journalist arrested"। CNN। ১১ মে ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১৩।
- ↑ ক খ "Joint forces detain Daily Star journalist"। bdnews24.com। ১১ মে ২০০৭। ২০ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "BD rights activist arrested"। Dawn। Agence France Presse। ১২ মে ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ Jaing, Joyce (১১ মে ২০০৭)। "Bangladesh: Army releases Daily Star investigative reporter and blogger"। UCLC International Institute। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১৩।
- ↑ ক খ "World in Brief"। Washington Post। ১১ মে ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ "Region: B'desh relaxes restrictions on former PM's"। Daily Times। ১২ মে ২০০৭। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ "Government Challenged Over Torture of Editor in Sylhet"। Reporters Without Borders। ১০ অক্টোবর ২০০৮। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ নভেম্বর ২০১৩।
- ↑ "We wish to inform you: A history of censorship in Bangladesh (1972–2012)"। The Bangladesh Chronicle (Opinion)। ১ এপ্রিল ২০১৩। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Dilrukshi Handunnetti (২৯ মার্চ ২০০৯)। "First AMF award to Lasantha"। The Sunday Leader। Sri Lanka। ১৬ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Editors worried at threats to Nurul Kabir"। The Daily Star। ৩ মার্চ ২০১০।
- ↑ "MP's son 'grabs' land of 4 ship-breakers"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ অক্টোবর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Aide of MP's sons held in assault case"। bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "MP 'sorry' for assault, landgrab bid by sons"। bdnews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "লালমোহনে সাংবাদিকের উপর হামলা"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "4 held over attempt to kill blogger"। The Daily Star। ২ এপ্রিল ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "'Militant atheist' blogger stabbed in Bangladesh"। Hindustan Times। ১৫ জানুয়ারি ২০১৩। ২৭ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ মে ২০১৯।
- ↑ "Blogger Asif Mohiuddin arrested over "blasphemous" blog posts"। Reporters Without Borders। ৩ এপ্রিল ২০১৩। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Two bloggers get bail"। bdnews24.com। ১২ মে ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০১৩।
- ↑ "Blogger Moshiur granted bail, Asif was denied bail and sent to jail"। Dhaka Tribune। ২ জুন ২০১৩। ২১ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০১৩।
- ↑ ক খ "Bangladesh opposition editor Mahmudur Rahman arrested"। BBC News। ১১ এপ্রিল ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ "Bangladesh newspaper editor arrested in raid"। Al Jazeera। ১১ এপ্রিল ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ "Bangladesh Police Arrest Newspaper's Acting Editor"। San Jose Mercury News। Associated Press। ১১ এপ্রিল ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ "Amar Desh acting editor held, put on 13-day remand"। The Independent। Dhaka। ১২ এপ্রিল ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ "Mahmudur Rahman arrested"। bdnews24.com। ১১ এপ্রিল ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ Al-Mahmood, Syed Zain; Wright, Tom (১১ এপ্রিল ২০১৩)। "Bangladesh Arrests Antigovernment Newspaper Editor"। The Wall Street Journal। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ "Mahmudur Rahman on 13-day remand"। Daily Star। ১১ এপ্রিল ২০১৩। ১৯ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ "Amar Desh press sealed"। The Daily Star। ১১ এপ্রিল ২০১৩। ২০ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ "Mahmudur Rahman tortured: family"। New Age। ২০ এপ্রিল ২০১৩। ৯ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ "Order on Sunday"। The Daily Star। ১৮ এপ্রিল ২০১৩। ২০ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ "Mahmudur Rahman on remand"। bdnews24.com। ১২ জুন ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১৩।
- ↑ "Mahmudur Rahman remanded again"। The Financial Express। Dhaka। ১৩ জুন ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১৩।
- ↑ Md Sanaul Islam Tipu (৯ ডিসেম্বর ২০১৩)। "Mahmudur sent to jail after remand"। Dhaka Tribune। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ "BANGLADESH: Guarantee personal integrity and release Acting Editor of Amar Desh, Mr. Mahmudur Rahman"। International Federation for Human Rights। ৫ ডিসেম্বর ২০১৩। ২৬ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩।
- ↑ Gaydazhieva, Stanislava (১৩ মার্চ ২০১৩)। "IFJ speaks in defence of attacked Bangladeshi editor"। New Europe। ১৫ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১৩।
- ↑ "Journalist Naimul Islam Khan injured"। bdnews24.com। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০১৩।
- ↑ "চট্টগ্রামে নির্বাচনী প্রচারণার গাড়িতে হামলা"। সমকাল। ১ জানুয়ারি ২০১৪। ৭ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Somoy TV staff hurt in Ctg blast" [চট্টগ্রামে এক বিস্ফোরণে সময় টিভির কর্মী আহত]। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১ জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
- ↑ "গুলশানে সাংবাদিকের উপর ছাত্র ও যুবলীগের হামলা"। jagonews24। ৪ জানুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন"। জাগোনিউজ২৪.কম। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "ফেনীতে সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম"।
- ↑ "ফেনীতে সাংবাদিকের হাত-পা ভেঙে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা"।
- ↑ মিঠু, শাহজাহান সিরাজ (৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫)। "সাংবাদিকের ওপর হামলা, আট ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার"। এনটিভি। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "Gay Activist Killed" (6 May 2016)। The Week। ৬ মে ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০১৬।
- ↑ "Editor Of Bangladesh's Only LGBT Magazine Is Hacked To Death"। NPR.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৪-২৯।
- ↑ CNN, Eliott C. McLaughlin, Don Melvin, and Tiffany Ap। "Al Qaeda claims #Bangladesh LGBT murders"। CNN। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৪-২৯।
- ↑ "Yaba traders injure five journalists" [ইয়াবা ব্যবসায়ী পাঁচ সাংবাদিককে আহত করেছে]। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ১৪ মে ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
- ↑ Ahmed, Mahiuddin (২০১৬)। Ganamadhyam Nipiran: 1972-2012 গণমাধ্যম নিপীড়ণ: ১৯৭২-২০১২। Bibhash। পৃষ্ঠা 56। আইএসবিএন 978-984-90285-7-4।
- ↑ "Shafik Rehman - who is he?"। The Daily Star। এপ্রিল ১৬, ২০১৬।
- ↑ "Bangladeshi Editor, 81, Is Accused in Plot to Kill Leader's Son"। The New York Times। এপ্রিল ১৬, ২০১৬।
- ↑ Bergman, David (এপ্রিল ২০, ২০১৬)। "Exclusive: US Court Dismissed Claim of Plot to Injure Bangladesh PM Son"। The Wire (1)। Foundation for Independent Journalism। ২৪ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১৬।
- ↑ "Bangladesh: 81-year-old magazine editor arrested for sedition"। The Indian Express। এপ্রিল ১৬, ২০১৬।
- ↑ "Bangladeshi editor who faced 83 lawsuits says press freedom under threat"। The Guardian। মে ১৮, ২০১৭।
- ↑ "Bangladesh: Mahfuz Anam facing 30 counts of criminal defamation"।
- ↑ "Bangladesh: Defamation Charges Against Editor Representative of Broader Attacks on Media"। ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৬।
- ↑ "'Dr Yunus blocked Padma bridge funds': Hasina"।
- ↑ "'Dr Yunus blocked Padma bridge funds'"।
- ↑ "Mahfuz Anam refutes PM's claim"।
- ↑ "Mahfuz Anam issues clarification on PM Hasina's remark"। ১৯ মে ২০২২।
- ↑ "Bangladeshi spies accused of blocking media adverts"।
- ↑ "In fear of the state: Bangladeshi journalists self-censor as election approaches"। Reuters (ইংরেজি ভাষায়)। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০২০।
- ↑ "খবর সংগ্রহে গিয়ে হামলার শিকার দুই সাংবাদিক"। এনটিভি। ৬ নভেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "সাংবাদিক শাকিল হাসানকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় ১৮ অক্টোবর"। NTV। ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "সাংবাদিক শাকিল হাসানকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় ৮ নভেম্বর"। NTV। ১৮ অক্টোবর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "4 journalists beaten up in Pabna" [পাবনায় ৪ সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত]। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ৩০ নভেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১।
- ↑ "জবিতে সাংবাদিকের উপর অতর্কিত হামলা"। ইনকিলাব। ৫ জানুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "আদালতে সাংবাদিকের উপর হামলা: লিয়াকতসহ তার বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা"। dailysylheterdinkal.com। জানুয়ারি ২৬, ২০১৮। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসীদের হামলা, গাড়ি ভাঙচুর"। সময় নিউজ। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "Scores injured in traffic protests in Bangladesh capital"। Washington Post (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "115 students injured in clashes as Bangladesh teen protests turn violent"। Rappler (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "Dozens of students injured in Bangladesh road safety protests"। www.aljazeera.com। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ভিডিও করায় প্রিয়.কমের অফিসে হামলা"। যুগান্তর। ৩ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ভিডিও করায় প্রিয় ডট কমের অফিসে হামলা"। নয়াদিগন্ত। ৪ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ ক খ "4 Daily Star journalists assaulted"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ৫ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "Bangladesh teens attacked during protest"। BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ৪ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "জিগাতলা, মিরপুরসহ সারা দেশে যা ঘটেছিল"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের বাড়িতে রাতে হামলা"। প্রথম আলো। ৫ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "সাংবাদিকদের বেধড়ক মারধর"। প্রথম আলো। ৫ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ ক খ "IGP: DB working to identify the attackers of journalists"। Dhaka Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৮-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-১৩।
- ↑ "5 photojournalists hurt in 'BCL attack'"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ৫ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "Several hurt as AL men attack protesters"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ৫ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "ধানমন্ডিতে দুই ঘণ্টার 'ঝড়ে' আহত অর্ধশত"। প্রথম আলো। ৫ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "হামলায় ছাত্রলীগের কয়েক শ নেতা–কর্মী অংশ নেন"। প্রথম আলো। ৬ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "নয়াপল্টনে পুলিশ সফল ধানমন্ডিতে নীরব"। প্রথম আলো। ২৮ নভেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ Paul, Ruma। "Bangladesh protests spur cabinet to toughen punishment for traffic..."। U.S. (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ Safi, Michael (৬ আগস্ট ২০১৮)। "Photographer charged as police crackdown in Bangladesh intensifies"। the Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "Arts and human rights organisations denounce arrest of Bangladeshi photographer Shahidul Alam"। www.theartnewspaper.com। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "Bangladesh arrests top photographer amid student protests"। Deutsche Welle (ইংরেজি ভাষায়)। ৬ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "'Tortured in custody'"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ "High Court halts Shahidul Alam's remand"। Dhaka Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৭ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ https://www.thedailystar.net/news/city/jail-authorities-asked-to-admit-photographer-shahidul-alam-bsmmu-for-treatment-1617196
- ↑ "Photographer and activist Shahidul Alam taken to hospital"।
- ↑ "Shahidul Alam taken back to police custody"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৮-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৮-১০।
- ↑ "শহিদুল আলম মুক্ত"। প্রথম আলো। ২০ নভেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ Nasim Bogra, Md Nazmul Huda (১৭ জানুয়ারি ২০১৯)। "3 held for attack on Jamuna TV journalists in Bogra"। Dhaka Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০২১।
- ↑ "সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় শাস্তি দাবি"। বাংলা ট্রিবিউন। ৩১ জানুয়ারি ২০১৯। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "রাজশাহীতে সাংবাদিকের ওপর হামলা, আটক ৫"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "রাজশাহীতে সাংবাদিকের ওপর হামলা, ৫ হামলাকারী আটক"। জাগোনিউজ২৪.কম। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ আহমেদ, মামুন (১০ ডিসেম্বর ২০২২)। "যুবলীগের চেকপোস্ট থেকে সাংবাদিকের ওপর হামলা"। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদ ৩ দিনের রিমান্ডে"। বাংলা ট্রিবিউন। ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "জামিন পেলেন সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদ"। যুগান্তর। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "Bangladeshi court orders 3-day detention of editor Abul Asad"। cpj.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৯।
- ↑ "Outcry After Bangladesh Editor Arrested Under New Laws"। Voice of America (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৯।
- ↑ "তিন দিনের রিমান্ডে দৈনিক সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদ"। ইনকিলাব। ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "কারাগারে আবুল আসাদ"। jagonews24। ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "সবাইকে কথা বলার অধিকার দিতে হবে: ডা. জাফরুল্লাহ"। আরটিভি। ২৩ অক্টোবর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "বাংলাদেশে এখনো বুদ্ধিজীবীদের হত্যা ও নির্মম নির্যাতন চালানো হচ্ছে"। দৈনিক সংগ্রাম। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "আবুল আসাদের মুক্তি দাবি, মতিউর রহমানের পরোয়ানায় বিএফইউজে'র উদ্বেগ"। নয়া দিগন্ত। ১৮ জানুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "এক বছর কারাবন্দী থাকার পর দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আসাদ মুক্ত"। ইত্তেফাক। ৮ ডিসেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদ ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন"। বাংলাদেশ জার্নাল। ২৫ জানুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ ক খ গ "সাংবাদিকের ওপর আক্রমণ"। প্রথম আলো। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "Tougher politics, more press freedom violations"। Reporters Without Borders (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ এপ্রিল ২০২০। ২৯ এপ্রিল ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১২।
- ↑ "সকালে গ্রেফতার বিকালে জামিন, দুই সাংবাদিকের উপর হামলা"। dailyinqilab। ৭ মে ২০২০। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "সিটি নির্বাচনে সাংবাদিকের ওপর হামলা করা সেই ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার"। banglatribune। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "ভোলায় সাংবাদিক নির্যাতন, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার"। dhakatribune। এপ্রিল ১, ২০২০। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম, সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকের ওপর হামলা"। ঢাকা ট্রিবিউন। এপ্রিল ১, ২০২০। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "মুগদা হাসপাতালে দুই ফটো সাংবাদিকের ওপর হামলা"। ইনকিলাব। ৩ জুলাই ২০২০। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "ফুলবাড়ীতে সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা"। যায়যায়দিন। ২৩ জানুয়ারি ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "রাজশাহীতে দুই সাংবাদিকের উপর মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের হামলা"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ৮ জানুয়ারি ২০২১। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট কি সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-১৮।
- ↑ আর, টিভি। "আদালত প্রাঙ্গণে যা বললেন সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম (ভিডিও)"। আরটিভি। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-১৮।
- ↑ "Bangladesh: Journalist Rozina Islam Arrested Under Colonial-Era Official Secrets Act"। দ্য ওয়াইর। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-১৮।
- ↑ "স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতি: 'সিন্ডিকেটের হাত কত লম্বা?'"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-১৮।
- ↑ Ap (২০২১-০৫-১৮)। "Bangladesh arrests journalist Rozina Islam known for unearthing graft"। দ্য হিন্দু (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-১৮।
- ↑ "সাংবাদিক রোজিনাকে হেনস্তার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন"। banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-১৮।
- ↑ "Bangladesh arrests journalist known for unearthing graft"। দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0190-8286। ২০২১-০৫-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-১৮।
- ↑ "Bangladesh arrests journalist known for unearthing graft"। হেরাল্ড বুলেটিন (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৫-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-১৮।
- ↑ "Bangladesh arrests investigative journalist for COVID reporting"। www.aljazeera.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-১৮।
- ↑ "শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-২৩।
- ↑ শিশির, আব্দুল আজিজ (২০ সেপ্টেম্বর ২০২১)। "শরীয়তপুরে সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা"। এনটিভি। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "জুলাই পর্যন্ত নির্যাতনের শিকার ১১৯ সাংবাদিক, টিআইবির উদ্বেগ"। dhakapost। ১০ আগস্ট ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "'দুর্নীতি ও অনিয়মে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ'"। dhakapost। ৮ আগস্ট ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশ ১০ ধাপ পেছাল"। ঢাকা পোস্ট। ৪ মে ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "মহেশখালীতে ৪ সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা"। দৈনিক জনকণ্ঠ। ১৪ জানুয়ারি ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ শিশির, আব্দুল আজিজ (৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২)। "শরীয়তপুরে হামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন"। এনটিভি। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "নবীনগরে সাংবাদিকের উপর হামলা"। দৈনিক জাগরণ। ২৬ এপ্রিল ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "তথ্য সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিককে পিটিয়ে দেওয়া হলো মামলা"। dhakapost। ২৮ মে ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "লাইভ দেওয়ার সময় সাংবাদিকের ওপর ছাত্রলীগের হামলা"। যুগান্তর। ২৬ মে ২০২২। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "ছাত্রলীগ-ছাত্রদল ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় চৌহাট্টায় আতংক"। দৈনিক সিলেটের ডাক। ২৪ মে ২০২২। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "সিলেটে ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের সংঘর্ষে সাংবাদিক আহত"। thedailystar। মে ২৩, ২০২২। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "BCL man booked for attacking journo in Sylhet" (ইংরেজি ভাষায়)। The Daily Star। মে ২৬, ২০২২। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "সিলেটে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ কর্মীর নামে মামলা"। প্রথম আলো। ২৫ মে ২০২২। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "সিলেটে সাংবাদিক মঞ্জুর উপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা"। dailyinqilab। ২৫ মে ২০২২। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "সাংবাদিক মঈন উদ্দিন মঞ্জুর বাসায় হামলা, আহত ৪"। sylhettoday24.news। ২০১৮-০৮-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "সাতক্ষীরায় সাংবাদিকের ওপর মাদক ব্যবসায়ীদের হামলা"। dhakapost। ২৯ মে ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "জাবি: সাংবাদিকের ফোন তল্লাশি, ছাত্রদল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে"। thedailystar। জুন ২৮, ২০২২। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "রাবি সাংবাদিকের উপর হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতা হল থেকে বহিষ্কার"। dailyinqilab। ৩০ মে ২০২২। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "কমলাপুর স্টেশনের বুকিং সহকারীদের মারধরের শিকার সাংবাদিক"। dhakapost। ৭ জুলাই ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "সাংবাদিকের ওপর হামলার মামলায় ৭ জন কারাগারে"। dhakapost। ৫ আগস্ট ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "সাংবাদিকের মাথা ফাটালেন পরাজিত জাপা প্রার্থী"। dhakapost। ১৫ জুলাই ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "আলফাডাঙ্গায় সাংবাদিক পেটানোর মামলায় একজন গ্রেপ্তার"। dhakapost। ২ আগস্ট ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "সাংবাদিককে পেটালেন পৌর মেয়রের ভাই"। dhakapost। ১ আগস্ট ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "সাংবাদিককে জোর করে কক্ষে বসিয়ে রাখেন ঢামেক পরিচালক"। dhakapost। ১ আগস্ট ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "ডিবিসির সাংবাদিকদের ওপর হামলা : রিমান্ড শেষে কারাগারে ৩ আসামি"। ঢাকা পোস্ট। ৪ আগস্ট ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "সুনামগঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে অসদাচরণ, ৪ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার"। dhakapost। ৯ আগস্ট ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "সাংবাদিকের উপর হামলা: পুলিশের এসআই বরখাস্ত, গ্রেপ্তার ৩"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ৯ আগস্ট ২০২২। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "দায়িত্ব পালনের সময় ইনডিপেনডেন্ট টিভির দুই সাংবাদিককে মারধর"। dhakapost। ৯ আগস্ট ২০২২। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "হামলাকারী সেই চিকিৎসকের সনদ বাতিলের দাবি"। dhakapost। ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "৩ সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত: ৩ ছেলেসহ আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা"। thedailystar.net। আগস্ট ১৩, ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "লালমনিরহাটে আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে ৩ সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ"। thedailystar। আগস্ট ১২, ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "লালমনিরহাটে সাংবাদিকদের ওপর হামলায় থানায় মামলা"। dhakapost। ১৩ আগস্ট ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "সাংবাদিকের ওপর হামলা, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেপ্তার"। dhakapost। ১৮ আগস্ট ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "চট্টগ্রামে আইনজীবীদের মারধরের শিকার দুই সাংবাদিক"। dhakapost। ১৭ আগস্ট ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারী আইনজীবীদের শাস্তি ও সনদ বাতিলের দাবি"। dhakapost। ২২ আগস্ট ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "ছাত্রলীগের হাতে সহকারী প্রক্টর লাঞ্ছিত, সাংবাদিকদের ওপর হামলা"। dhakapost। ২৮ আগস্ট ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "হামলায় আহত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে 'মামলা' করলেন অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা"। thedailystar। ১৭ আগস্ট ২০২২। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন"। যুগান্তর। ১৭ আগস্ট ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "রাজশাহীতে সাংবাদিকের উপর হামলা, দুই বিএমডিএ কর্মী বরখাস্ত"। বণিক বার্তা। ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "রাজশাহীতে সাংবাদিকের উপর হামলা: বিএমডিএ'র ২ কর্মী কারাগারে"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "লাইভ চলাকালে সাংবাদিকের ওপর হামলা"। dhakapost। ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "বিএমডিএ কর্মীরা দেরিতে অফিসে, সাংবাদিকের ওপর হামলা"। thedailystar.net। সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "রাজশাহীতে সাংবাদিকের ওপর হামলা, শাস্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি"। এনটিভি। ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "রাজশাহীতে সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় বরখাস্ত ২"। শেয়ার বিজ। ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "কুষ্টিয়ায় ছুরিকাঘাতে সাংবাদিক আহত, শরীরে ৩৩ সেলাই"। এনটিভি। ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "সাংবাদিক রাজীব নূরের ওপর হামলা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি: আদিবাসী যুব-ছাত্র সংগঠন"। সমকাল। ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "হবিগঞ্জে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলা"। dhakapost। ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা"। dailyjanakantha। ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "শেরপুরে সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা গ্রেফতার ১"। dailyinqilab। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "চবিতে সাংবাদিককে হুমকি, ছাত্রলীগ না করলে হলে থাকা যাবে না"। dhakapost। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "হিলি চেকপোস্টে সাংবাদিকের উপর হামলা"। রাইজিংবিডি। ১ অক্টোবর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "রাজশাহীতে সাংবাদিকের উপর হামলা, আটক ৪"। dailyinqilab। ২ অক্টোবর ২০২২। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "সাংবাদিকের ওপর হামলার পর কারখানায় অভিযান, ২ লাখ টাকা জরিমানা"। dhakapost। ২ অক্টোবর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "মৌলভীবাজারে সাংবাদিকের ওপর হামলা"। dhakapost। ২৯ অক্টোবর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "সাতক্ষীরায় সাংবাদিকের ওপর হামলা, হারাণ সাধু আটক"। dhakamail.com। ২ নভেম্বর ২০২২। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "তালায় সাংবাদিকের উপর হামলা, হামলা কারী হারাণ সাধু আটক"। Dainik satkhira। ১ নভেম্বর ২০২২। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "চুয়েটে সাংবাদিকদের নির্যাতন, জবি সাংবাদিক সমিতির নিন্দা"। dhakapost। ১৯ নভেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "ঢাবির হলে সাংবাদিক হেনস্তার অভিযোগ ছাত্রলীগকর্মীর বিরুদ্ধে"। ntv। ১৬ নভেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "ঢাবিতে ছাত্রলীগের হাতে সাংবাদিক হেনস্তা, তদন্ত কমিটি গঠন"। dhakapost। ১৬ নভেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "সাংবাদিকের ওপর হামলা, ছাত্রলীগ নেতা সাময়িক বহিষ্কার"। ajkerpatrika। ১৯ ডিসেম্বর ২০২২। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "গৌরনদীতে সাংবাদিকের পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে ছাত্রলীগের ১৩ নেতা-কর্মীর নামে মামলা"। প্রথম আলো। ২০ ডিসেম্বর ২০২২। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "ফেনীতে সাংবাদিককে কোমরে রশি বেঁধে আদালতে হাজির করায় ক্ষোভ"। dhakapost। ২২ নভেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ ক খ খান, এস এম সাব্বির (১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩)। "লাইনচ্যুত 'বগিলীগ'"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "প্রেস ক্লাবের সামনে সাংবাদিকদের ওপর হামলা"। মানবকণ্ঠ। ৪ ডিসেম্বর ২০২২। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন"। মানবজমিন। ৫ ডিসেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ রাজ, মিঠুন (৫ ডিসেম্বর ২০২২)। "গণমাধ্যম কর্মীদের উপর হামলা ও লুটের প্রতিবাদে মানববন্ধন"। চ্যানেল আই অনলাইন। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "জবির চার সাংবাদিকের ওপর ছাত্রলীগের হামলা"। ভোরের কাগজ। ডিসেম্বর ৪, ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "মারামারির ভিডিও করায় জবির ৪ সাংবাদিকের উপর হামলা"। একুশে টেলিভিশন। ৫ ডিসেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "বাগেরহাটে যুবলীগের 'তল্লাশি চৌকিতে' সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ"। প্রথম আলো। ১১ ডিসেম্বর ২০২২। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "বাগেরহাটে 'যুবলীগের চেকপোস্টে' সাংবাদিককে মারধর"। dhakapost। ১০ ডিসেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "বরগুনায় ৩ সাংবাদিকের ওপর হামলা, আটক এক"। Risingbd.com। ডিসে ১১, ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "বরগুনায় সাংবাদিকের উপর হামলা, ক্যামেরা ভাঙচুর"। dailyjanakantha। ১১ ডিসেম্বর ২০২২। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ শাজাহান, মিজান (১৪ ডিসেম্বর ২০২২)। "পুলিশ সদস্যের প্রত্যাহারই যথেষ্ট নয়"। সমকাল। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "লাইভে নাম না বলায় পিটিয়ে সাংবাদিকের পা ভাঙলেন ছাত্রলীগ নেতা"। dhakapost। ১৮ ডিসেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "লালমনিরহাটে সাংবাদিককে পেটানোর অভিযোগ আ. লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে"। thedailystar.net। ডিসেম্বর ২৩, ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "Union chairman, member control 70 illegal brick kilns in Rangunia" (ইংরেজি ভাষায়)। THE BUSINESS STANDARD। ২৬ ডিসেম্বর ২০২২। ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "সাংবাদিক আবু আজাদকে মারধর, জড়িতদের বিচার দাবি সিপিজের"। ঢাকা পোস্ট। ৫ জানুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিকের উপর হামলা, গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন"। bvnews24.com। ২৭ ডিসেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "রাঙ্গুনিয়ায় সাংবাদিককে আটকে রাখা ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন"। dhakapost। ৯ জানুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "রূপগঞ্জে সাংবাদিকের ওপর হামলা, গ্রেফতার ১"। bd-pratidin। ২ জানুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "রূপগঞ্জে সংবাদকর্মীর ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ১"। jugantor। ২ জানুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "তথ্য দেয়ার কথা বলে সাংবাদিকের ওপর হামলা"। বণিক বার্তা। জানুয়ারি ১৩, ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "নওগাঁয় বিআরটিএ অফিসে সাংবাদিকের ওপর হামলা!"। যায়যায়দিন। ১৪ জানুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "বিআরটিএ ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ"। বণিক বার্তা। ১২ জানুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "নওগাঁয় তথ্য দিতে ডেকে বিআরটিএ অফিসে সাংবাদিকের ওপর হামলা"। jagonews24। ১২ জানুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "সময় টিভির ক্যামেরা পার্সনের ওপর বিএনপির হামলার অভিযোগ"। dhakapost। ১৬ জানুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "সময় টিভির ক্যামেরা পার্সনের ওপর বিএনপির হামলার অভিযোগ"। dhakapost। ১৬ জানুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "Cop injured in blade attack at Munshiganj court" (ইংরেজি ভাষায়)। ঢাকা ট্রিবিউন। ডিসেম্বর ১২, ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "Satkhira journalist who writes for landless people arrested"। newagebd। জানু ২৪, ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "Satkhira journalist shown arrested in two cases" (ইংরেজি ভাষায়)। ঢাকা ট্রিবিউন। জানুয়ারি ২৪, ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০২৩।
- ↑ Rashid, Muktadir (২৯ জানুয়ারি ২০২৩)। "Journalist Raghunath alleges torture in custody"। newagebd। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "Bangladeshi journalist Raghunath Kha arrested, allegedly electrocuted in custody" (ইংরেজি ভাষায়)। Committee to Protect Journalists। জানুয়ারি ২৫, ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "CPJ demands release of journalist Raghunath"। newagebd। জানু ২৭, ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০২৩।
- ↑ স্বপন, হারুন উর রশীদ (২৬ জানুয়ারি ২০২৩)। "সাংবাদিককে গায়েব করতে না পেরে নির্যাতনের অভিযোগ"। ডয়চে ভেলে (ডিডব্লিউ)। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "ইন্দুরকানীতে সাংবাদিকের উপর হামলা"। ২৫ জানুয়ারি ২০২৩। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "কারওয়ানবাজারে সাংবাদিকের ওপর হামলা মাদক কারবারিদের"। মানবকণ্ঠ। ২৪ জানুয়ারি ২০২৩। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "ঠাকুরগাঁওয়ে সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন"। বাংলাদেশ জার্নাল। ৩০ জানুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "ঠাকুরগাঁওয়ে সাংবাদিকের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন"। নিউজ টুয়েন্টি ফোর। ৩০ জানুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "হিরো আলমের নিউজ করায় বগুড়ায় যুবলীগ নেতার হামলা"। রাইজিংবিডি.কম। ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "হিরো আলমের সংবাদ করায় সাংবাদিকের ওপর হামলা: যুবলীগ নেতা গ্রেফতার"। jagonews24। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "দুই সাংবাদিকের ওপর হামলা, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার"। ittefaq। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা যুবলীগ নেতা আটক"। deshrupantor। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "গাজীপুরে সাংবাদিকের ওপর হামলা"। dhakapost। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "ক্লাস বর্জন করে চবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন"। সমকাল। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "সমকালের চবি প্রতিনিধিকে হেনস্তার ঘটনায় আসক'র নিন্দা"। সমকাল। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "জড়িত ১৬, ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার ১"। সমকাল। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "নারী সাংবাদিককে ছাত্রলীগের হুমকি, ক্লাস বর্জন-মানববন্ধন সহপাঠীদের"। dhakapost। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "ধামরাইয়ে সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম"। dhakapost। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "সাংবাদিক হেনস্তা : ধানমন্ডি থানার এসআই ক্লোজড"। dhakapost। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "শিক্ষার্থীদের পুলিশের মারধর, ভিডিও করায় সাংবাদিককে হেনস্তা"। jagonews24। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "ধানমন্ডিতে সাংবাদিককে হেনস্তা করা পুলিশ সদস্য ক্লোজড"। jagonews24। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "পাথরঘাটায় সাংবাদিকের উপর ছাত্রলীগ নেতার হামলা"। নয়া দিগন্ত। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "হোস্টেল পরিদর্শনে গিয়ে ছাত্রলীগের তোপের মুখে অধ্যক্ষ!"। dhakamail.com। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৫, ২০২৩।
- ↑ "রাজশাহী কলেজে শিক্ষার্থী নির্যাতন, ৪ ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার"। dhakamail.com। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ১৫, ২০২৩।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব। "সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সাংবাদিকদের পেটাল পুলিশ"। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৩-১৮।
- ↑ "নিয়মের বাইরে পরীক্ষা দিতে না দেওয়ায় ছাত্রলীগের ভাঙচুর, ২ সাংবাদিককে মারপিট"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর। ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ। ৯ নভেম্বর ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০২৩।
- ↑ প্রতিবেদক (2023-11-26)। "ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে সাংবাদিককে পেটানোর অভিযোগ"। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ 2023-11-27। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|আর্কাইভের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ খান, কমল জোহা (১৪ ডিসেম্বর ২০১৬)। "যেখানে শহীদ হয়েছিলেন জহির রায়হান"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০২২।
- ↑ Manik, Julfikar Ali। "Security could not save his life"। The Daily Star। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-০৫।
- ↑ ক খ Jahan, Nilima (২০১৮-১১-০২)। "Inked in blood"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-০৫।
- ↑ "PM shocked"। The Daily Star। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-০৫।
- ↑ "Hasina condemns the killing"। The Daily Star। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-০৫।
- ↑ "Khulna editor bombed to death by outlaws"। The Daily Star। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-০৫।
- ↑ Quazi Amanullah (জুন ২৮, ২০০৪)। "Khulna editor bombed to death by outlaws"। The Daily Star। জুন ২৮, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ২৭, ২০১৫।
- ↑ Correspondent, Khulna; bdnews24.com। "Five sentenced to life in prison on explosives charges in killing of Khulna journalist Balu"। bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১৮।
- ↑ "Journalist Humayun Kabir murder: 5 sentenced to life in explosives case in Khulna"। The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০১-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১৮।
- ↑ ক খ "9 get life term for killing journo Gautam"। দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)। জুন ২৭, ২০১৩।
- ↑ ক খ "Historic judgment for Gautam Das murder in Bangladesh -"। Committee to Protect Journalists।
- ↑ "Bangladesh"। Freedom House। ২০১৭-০৬-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০২-১৩।
- ↑ "BANGLADESH: One suspect held in Gautam murder"। UCLA।
- ↑ "সাংবাদিক হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন"। dhakapost। ৩১ অক্টোবর ২০২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "Police: Journalist couple killed in Bangladesh"। The Guardian (UK)। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১২।
- ↑ Berning, Sarah। "Ex Deutsche Welle journalist victim of brutal stabbing at home in Dhaka"। Deutsche Welle।
- ↑ Sarkar, Kailash; Mollah, Shaheen (১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২)। "Journalist couple killed"। The Daily Star। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১২।
- ↑ "No case, probe headway"। bdnews24.com। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩।
- ↑ "Journalist couple murdered in city"। New Age। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২। ২০১৩-০৬-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১২।
- ↑ Associated Press (১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২)। "Sagar Sarwar And Mehrun Runi, Journalist Couple, Killed in Bangladesh"। Huffington Post। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১২।
- ↑ "No light in sight in Sagar-Runi murder case even after 3 yrs"। The Financial Express। Dhaka। ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "প্রবীণ আলোকচিত্রী আফতাব আহমেদ নৃশংসভাবে খুন"। দৈনিক প্রথম আলো। ২৫ ডিসেম্বর ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০২১।
- ↑ "Photojournalist Aftab murder case: police arrest fugitive death-row convict"। thedailystar। ২৬ জানুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "Bullet-hit Samakal journo dies"। samakal। ৩ ফেব্রু ২০১৭। ৩ ফেব্রু ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "সাংবাদিক শিমুল হত্যার ৬ বছর : এখনো শুরু হয়নি বিচারকাজ"। dhakapost। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ পারভেজ, মো. মাসুদ (২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১)। "অজ্ঞাত আসামি করে কোম্পানিগঞ্জে সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যা মামলা"। এনটিভি। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যা : তিন আসামির জামিন স্থগিত"। এনটিভি। ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ শ্যামলী, সাবিনা ইয়াসমিন (৮ জুলাই ২০২২)। "সাংবাদিক রুবেলের দাফন সম্পন্ন, সহকর্মীদের বিক্ষোভ"। এনটিভি। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ শ্যামলী, সাবিনা ইয়াসমিন (৭ জুলাই ২০২২)। "নিখোঁজের পাঁচদিন পর সাংবাদিক রুবেলের মরদেহ উদ্ধার"। এনটিভি। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "কুষ্টিয়ায় নিহত সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করতে বাড়িতে হাজির পুলিশ"। dhakapost। ২৩ অক্টোবর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "হাতিরঝিলে ডিবিসি নিউজের প্রডিউসারের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার"। dhakapost। ৮ জুন ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |