বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাংলাদেশের কুতুপালং শরণার্থী শিবির (জন ওয়েইন / ভিওএর দ্বারা)মার্চ ২০১৭-তে তোলা ছবি

বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী বা উদ্বাস্তু বলতে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আগত রোহিঙ্গা শরণার্থী বা উদ্বাস্তুদের বুঝানো হয়ে থাকে।[১][২] ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের হিসেব অনুযায়ী, ২৫ আগস্ট ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর দ্বারা শুরু হওয়া গণহত্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রায় ৬,৫৫,০০০ থেকে ৭,০০,০০০ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।[৩][৪][৫] বিগত তিন দশক ধরে মিয়ানমার সরকারের সহিংস নির্যাতন থেকে ৩,০০,০০০ এর অধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে অবস্থান করছে।[৬] এ মুহূর্তে কক্সবাজারে সব মিলিয়ে অন্তত ২২ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। তাছাড়া, ভারতের হায়দ্রাবাদের রোহিঙ্গারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, ফলে মিয়ানমারের মতো তারাও বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে।[৭]

২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ৭৩ তম জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন যে বাংলাদেশে এখন ১.১ মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে।[৮] বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলিতে সাম্প্রতিক জনসংখ্যার উপচে পড়া ভিড় তার পরিকাঠামোয় এক চাপ সৃষ্টি করেছে।  শরণার্থীদের পরিষেবা, শিক্ষা, খাদ্য, পরিষ্কার জল এবং সঠিক স্যানিটেশনের অ্যাক্সেসের অভাব রয়েছে;  তারা প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং সংক্রামক রোগ সংক্রমণেও ঝুঁকিপূর্ণ।[৯][১০][১১][১২] ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানি ও স্যানিটেশন, দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, এবং সামাজিক সুরক্ষা সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রয়োজনীয়তা মোকাবেলায় আর্থিক সহায়তায় প্রায় অর্ধ বিলিয়ন ডলার ঘোষণা করেছে।[১৩] ১ মার্চ ২০১৯ এ বাংলাদেশ ঘোষণা করেছে যে তারা আর নতুন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের গ্রহণ করবে না।[১৪] আগস্ট ২০১৮ এর একটি সমীক্ষায় অনুমান করা হয়েছে যে ২৫ আগস্ট ২০১৭ "নিধন কার্যক্রম" শুরু হওয়ার পর থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দ্বারা ২৪,০০০ এরও বেশি রোহিঙ্গা নিহত হয়েছিল। এটি আরও অনুমান করা হয়েছিল যে কমপক্ষে ১৮,০০০ রোহিঙ্গা মুসলিম মহিলা ও মেয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে, ১১৬,০০০ রোহিঙ্গাকে  মারধর করা হয়েছিল এবং ইচ্ছাকৃত অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৩৬,০০০ রোহিঙ্গাকে আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল।[১৫][১৬][১৭][১৮][১৯][২০]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

রোহিঙ্গা মিয়ানমারের একটি মুসলিম সংখ্যালঘু জাতি, যাদেরকে অনেক মিয়ানমারি বৌদ্ধরা বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসী হিসাবে হিসেবে গণ্য করে।[২১] রোহিঙ্গারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মিয়ানমারে বসবাস করে আসছে এবং বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমার সরকারকে শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেবার জন্য বলছে।[২২] মিয়ানমারে তাদের নাগরিকত্ব প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এবং তাদেরকে বিশ্বের সবচেয়ে অত্যাচারিত সংখ্যালঘু হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।[২৩][২৪] রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী এবং চরমপন্থী বৌদ্ধদের হাতে নির্যাতিত।[২৫] মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।[২৬] ১৯৭০ সাল থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশে উদ্বাস্তু হয়ে বাস করতে শুরু করে, ২০১৭ সালের হিসাব অনুযায়ী আনুমানিক ৩,০০,০০০- ৫,০০,০০০-এর মতো শরণার্থী বাংলাদেশে অবস্থান করছে। অধিকাংশ শরণার্থী টেকনাফ-কক্সবাজার হাইওয়ে বরাবর অবস্থিত নাফ নদীর সমান্তরালে বাস করে, যা বাংলাদেশমিয়ানমার সীমান্তে অবস্থিত।[২৭] বেশিরভাগ শরণার্থীরা কক্সবাজার বা এর কাছাকাছি অবস্থিত, পর্যটনশিল্পের উপর নির্ভরশীল একটি উপকূলবর্তী এলাকায় বাস করে।[২৮]

বাংলাদেশ মনে করে শরণার্থীদের দ্বারা এলাকাটির পর্যটন প্রত্যাশা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শরণার্থীদের অপরাধ এবং কক্সবাজারে ২০১২ রামু সহিংসতার জন্যও দোষারূপ করা হয়।[২৯] বাংলাদেশ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের এদেশে অনাগমনমুখী নীতি তৈরির অনুসরণ করছে।[৩০] অধিকাংশ শরণার্থী অনিবন্ধিত রয়ে গেছে, শুধুমাত্র ৩২ হাজার শরণার্থী নিজেদের ইউএনএইচসিআর এবং বাংলাদেশ সরকারের সাথে নিবন্ধন করেছে। আনুমানিক ২,০০,০০০-এর অধিক শরণার্থী অনিবন্ধিত অবস্থায় বাংলাদেশে বসবাস করছে।[৩১] অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ডিসেম্বর ২০১৬-এর একটি প্রতিবেদনে বলেছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী ধর্ষণ, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, এবং রোহিঙ্গাদের বাসভবন দখলে তত্ত্বাবধান করছে।[৩২] পার্বত্য চট্টগ্রামে শরণার্থীরা আদিবাসী জনগোষ্ঠী সরিয়ে দিচ্ছে।[৩৩] এছাড়াও তাদের ইয়াবা আমদানি করার জন্য নিন্দা করা হচ্ছে।[৩৪][৩৫][৩৬]

স্থানীয়দের উপর আর্থ-সামাজিক প্রভাব[সম্পাদনা]

দ্রব্যমুল্যের উপর প্রভাব[সম্পাদনা]

২০১৮ সালের মে হতে জুন মাসে চালানো এক সমীক্ষায় দেখা গেছে রোহিঙ্গারা ত্রাণের পণ্য স্থানীয়দের মধ্যে বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে বিক্রি করে দিচ্ছে। তারা চাল, মসুর এবং খাবার তেল বেশি বিক্রি করছিল। ফলে স্থানীয় দোকানদারদের বিক্রি কমে যাচ্ছিল। অন্যদিকে রোহিঙ্গাদের দ্বারা অন্যান্য পণ্য যেমন, মাছ, মাংশ, আলু, সবজি ও জ্বালানি কাঠের ক্রয় বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় বাজারে এইসব পণ্যের মুল্য বৃদ্ধি পায়। [৩৭]

রোহিঙ্গা কর্তৃক বাংলাদেশী হত্যা[সম্পাদনা]

এপর্যন্ত মোট ২ হাজার বাংলাদেশী কতিপয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী কর্তৃক নির্মম হত্যার স্বীকার হয়ে শাহাদাৎ বরণ করেছেন-

১। ওমর ফারুক(সাবেক সভাপতি, জাদিমুরা এমআর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়) - জাদিমুড়া, হ্নীলা, টেকনাফ ২২ আগস্ট -২০১৯

২। ২০ অক্টোবর -২০১৯ টেকনাফ উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়ের ২ কিশোরী (লাকি ও তসলিমা) অপহরণ করেছে কতিপয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী।

৩। টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মিনাবাজার এলাকার দুই ভাইকে কতিপয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা পাহাড়ের পাদদেশে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রেখেছিল। ৩ মে ২০২০ সালে পুলিশ আকতারুল্লাহ নামে একজনের লাশ উদ্ধার করে। হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মিনাবাজারের মৌলভী আবুল কাছিমের ছেলে আক্তারুল্লাহ (২৪)। অপহৃত অপর দুজন হলেন মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ শাহেদ (২৫), মৃত মোহাম্মদ কাশেমের ছেলে মোহাম্মদ ইদ্রিস (৩০)।

৪। ২০২১ সালের ১৪ আগস্ট রাত সাড়ে ৩টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ে মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে হানা দেয়া ভাড়াটে কতিপয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। এ সময় তাঁকে না পেয়ে তাঁর স্ত্রী মোহসেনা আক্তারকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাতে খুন করে তাঁরা।

৫। ৩০ জুন রাতে হোয়াইক্যং শামলাপুর সড়ক হয়ে ফেরার স্থানীয় মাহমুদুল করিম ও মিজানুর রহমান রোহিঙ্গাদের হাতে অপহরণের শিকার হন। দুদিন পরে মুক্তিপণ দিয়ে মিজান ফিরলেও মাহমুদুল করিমের কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করে বসে সশস্ত্র কতিপয় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। বিকাশে কয়েক দফায় ৫৫ হাজার টাকা নিলেও মুক্তি মেলেনি তাঁর। একপর্যায়ে ১ মাস ১২ দিন পরে পাহাড়ে তাঁর অর্ধগলিত লাশ মেলে। এছাড়া তাঁদের হাতে খুন হন

৬। টেকনাফ সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম।

৭। ২০১৮ সালে হোয়াইক্যং উচ্চ বিদ্যালয়ের দপ্তরি আব্দুর রশিদ।

মজুরীর উপর প্রভাব[সম্পাদনা]

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আগমনের পর স্থানীয় দিনমজুরদের মজুরী কমে গেছে। বিশেষত কৃষি কাজ ও অদক্ষ শ্রমিকরা এতে আক্রান্ত হয়েছে। বিপুল পরিমান রোহিঙ্গা রোজগারের স্বার্থে কম মজুরীতে কাজ নেয়ায়, স্থানীয়দের কম মজুরীতে কাজে নামতে হয়েছে।[৩৭]

স্থানান্তর[সম্পাদনা]

২০১৫ সালে বাংলাদেশ সরকার দেশে বসবাসরত রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের বঙ্গোপসাগরের একটি দূরবর্তী দ্বীপ টেঙ্গার চরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা প্রস্তাব করে। পরিকল্পনাটি মানবাধিকার কর্মী এবং ইউএনএইচসিআর-এর সমালোচনায় কার্যকর হয়নি।

অক্টোবর এবং নভেম্বর ২০১৬- এর মধ্যে, প্রায় ৬৫ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী মিয়ানমার থেকে আসে। বাংলাদেশ সরকার স্থানান্তরের পরিকল্পনা পুনরুজ্জীবিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।[৩৮] টেঙ্গার চর জোয়ারের সময় নিমজ্জিত হয়ে যায়। মেঘনা নদীতে পলল জমে এটি ২০০০ সালে গঠিত হয়। বেশীর ভাগ মানচিত্রে এটিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় না,[২] এবং এটি ৩০ কিলোমিটার দূরে হাতিয়া দ্বীপে অবস্থিত যা নিকটবর্তী বসবাসকারী এলাকা।[৩৯] বাংলাদেশ সেনাবাহিনী উদ্বাস্তুদের জন্য দ্বীপটিকে বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে কাজ করছে।[৪০]

প্রত্যাবাসন[সম্পাদনা]

২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রথম সময়সীমা ঠিক করা হয়েছিল। সে সময় রোহিঙ্গারা রাজি না হওয়ায় কাউকেই রাখাইনে পাঠানো যায়নি। মিয়ানমার সরকার সম্প্রতি প্রত্যাবাসনের জন্য ১ হাজার ৩৩ পরিবারের ৩ হাজার ৫৪০ জনের নামের তালিকা পাঠায়। বর্তমানে প্রত্যাবাসনের চেস্টা চললেও রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে এবং তারা ৫ দফা দাবি সংবলিত প্রচারপত্র বিলি করছে। দফাগুলো হচ্ছে:

  1. রোহিঙ্গারা আরাকানের (রাখাইন) স্থায়ী বাসিন্দা। সে কারণে রোহিঙ্গাদের ‘স্থানীয়’ স্বীকৃতি দিয়ে সংসদে আইন পাস করতে হবে।
  2. আরাকানে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও পরিচয়পত্র দিতে হবে।
  3. রোহিঙ্গাদের নিজ গ্রামে ফিরিয়ে নিতে হবে। কেড়ে নেওয়া জমিজমা যথাযথ ক্ষতিপূরণসহ ফেরত দিতে হবে।
  4. আরাকানে রোহিঙ্গাদের জীবন ও সম্পদ সুরক্ষার জন্য রোহিঙ্গা পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
  5. মিয়ানমারের স্থানীয় আদালতের পরিবর্তে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে অপরাধীদের বিচার করতে হবে।[৪১]

বিভিন্ন ক্যাম্পে জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

ক্যাম্পের নাম জনসংখ্যা অবস্থান চিত্র
ক্যাম্প ১ পূর্ব ৩৭,৯৪৫ কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও সম্প্রসারণ
ক্যাম্প ১ পশ্চিম ৩৮,০০৫ কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও সম্প্রসারণ
ক্যাম্প ২ পূর্ব ২৫,৬৫৯ কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও সম্প্রসারণ
ক্যাম্প ২ পশ্চিম ২৩,৫৮৭ কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও সম্প্রসারণ
ক্যাম্প ৩ ৩৫,৫৯৯ কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও সম্প্রসারণ
ক্যাম্প ৪ ২৯,৮৫৪ কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও সম্প্রসারণ
ক্যাম্প ৪ সম্প্রসারিত ৬,৬৯১ কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও সম্প্রসারণ
ক্যাম্প ৫ ২৪,৪৩৭ কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও সম্প্রসারণ
ক্যাম্প ৬ ২২,৭২৬ কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও সম্প্রসারণ
ক্যাম্প ৭ ৩৬,৬৫২ কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও সম্প্রসারণ
ক্যাম্প ৮ পূর্ব ২৯,২৪৪ কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও সম্প্রসারণ
ক্যাম্প ৮ পশ্চিম ৩০,৬৮৩ কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও সম্প্রসারণ
ক্যাম্প ৯ ৩২,৮৪৬ কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও সম্প্রসারণ
ক্যাম্প ১০ ২৯,৭৭১ কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও সম্প্রসারণ
ক্যাম্প ১১ ২৯,৬৬৮ কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও সম্প্রসারণ
ক্যাম্প ১২ ২৫,৬৬২ কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও সম্প্রসারণ
ক্যাম্প ১৩ ৪১,৬১০ কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও সম্প্রসারণ
ক্যাম্প ১৪ ৩১,৯৩০ হাকিমপাড়া
ক্যাম্প ১৫ ৪৯,৫৯৩ জামতলি
ক্যাম্প ১৬ ২০,৮৫৯ ময়নারঘোনা
ক্যাম্প ১৭ ১৬,৩৪৪ কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও সম্প্রসারণ
ক্যাম্প ১৮ ২৭,০২৩ কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও সম্প্রসারণ
ক্যাম্প ১৯ ২২,৯৬৭ কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও সম্প্রসারণ
ক্যাম্প ২০ ৬,৭৭৭ কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও সম্প্রসারণ
ক্যাম্প ২০ সম্প্রসারিত ৭,৭৩২ কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও সম্প্রসারণ
ক্যাম্প ২১ ১৬,৪৬৮ চাকমারকুল
ক্যাম্প ২২ ২১,২০৬ উনচিপ্রাং
ক্যাম্প ২৩ ১০,৪৯৪ সামলাপুর
ক্যাম্প ২৪ ২৬,০২৬ টেকনাফ
ক্যাম্প ২৫ ৭,৪০৩ টেকনাফ
ক্যাম্প ২৬ ৪০,৪৪০ টেকনাফ
ক্যাম্প ২৭ ১৪,৯২১ টেকনাফ
কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১৬,৭১৩ কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও সম্প্রসারিত
কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও সম্প্রসারিত ক্যাম্পসমূহ ৫৯৮,১৯৫
নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প ২২,৬৪০
মোট ৮৬০,১৭৫[৪২]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

  • মাইমুল আহসান খান (১৯৯৮)। মানবাধিকার ও রোহিঙ্গা শরণার্থী: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত। বিশ্বসাহিত্য ভবন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Rohingya exodus to Bangladesh nears 300,000"। Muslim Global। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  2. "Rohingya refugees in Bangladesh face relocation to island"BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০১-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০ 
  3. WAM (২০১৭-১২-২৭)। "UAE Press: We must resolve to aid all refugees"Emirates 24|7 (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-২৮ 
  4. "Rohingya crisis: Myanmar Court extends detention of two journalists"www.aninews.in (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-২৮ 
  5. "Bangladesh: Humanitarian Situation report No.16 (Rohingya influx) 24 December 2017"ReliefWeb (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-২৮ 
  6. Bearak, Max (২৫ অক্টোবর ২০১৭)। "s Bangladesh is now home to almost 1 million Rohingya refugees"Washington Post। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০১৭ 
  7. "Rohingyas from Hydarabad"। ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৮ 
  8. "Bangladesh point finger at Myanmar for Rohingya 'genocide'"Associated Press (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৯-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-০৯ 
  9. Mahmood, Syed S; Wroe, Emily; Fuller, Arlan; Leaning, Jennifer (২০১৭)। "The Rohingya people of Myanmar: health, human rights, and identity"The Lancet (ইংরেজি ভাষায়)। 389 (10081): 1841–1850। ডিওআই:10.1016/S0140-6736(16)00646-2 
  10. Chan, Emily Y.Y.; Chiu, Cheuk Pong; Chan, Gloria K.W. (২০১৮)। "Medical and health risks associated with communicable diseases of Rohingya refugees in Bangladesh 2017"International Journal of Infectious Diseases (ইংরেজি ভাষায়)। 68: 39–43। ডিওআই:10.1016/j.ijid.2018.01.001 
  11. "Rohingya Refugee Emergency at a Glance"unhcr.maps.arcgis.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-০৯ 
  12. Summers, Aimee; Humphreys, Alexa; Leidman, Eva; Van Mil, Leonie Toroitich; Wilkinson, Caroline; Narayan, Anuradhha; MALD; Miah, Mohammad Lalan; Cramer, Blanche Greene (২০১৮-০৫-১১)। "Notes from the Field: Diarrhea and Acute Respiratory Infection, Oral Cholera Vaccination Coverage, and Care-Seeking Behaviors of Rohingya Refugees — Cox's Bazar, Bangladesh, October–November 2017"MMWR. Morbidity and Mortality Weekly Report67 (18): 533–535। আইএসএসএন 0149-2195ডিওআই:10.15585/mmwr.mm6718a6পিএমআইডি 29746454পিএমসি 5944978অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  13. "World Bank announces nearly half-a-bln USD support for Bangladesh to help Rohingya"www.china.org.cn। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-০৯ 
  14. "Bangladesh will no longer take in Rohingya"BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৩-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-০৯ 
  15. Habib, Mohshin; Jubb, Christine; Ahmad, Salahuddin; Rahman, Masudur; Pallard, Henri (২০১৮)। Forced migration of Rohingya: the untold experience। Ontario International Development Agency। Ottawa, Ontario: Ontario International Development Agency, Canada। আইএসবিএন 978-0-9866815-1-6 
  16. "Former UN chief says Bangladesh cannot continue hosting Rohingya"www.aljazeera.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-০৯ 
  17. "Dutch House of Representatives adopts motion for probe on Rohingya genocide"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৭-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-০৯ 
  18. "Bangladeshi PM calls for safe repatriation of Rohingya"The Frontier Post (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৪-০৪। ২০১৯-০৭-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-০৯ 
  19. "UN Official Cites Horrific Crimes against Rohingya"TRANSCEND Media Service (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-০৯ 
  20. Khan, Ahmed; Ahmad, Salahuddin; Habib, Mohshin (২০১৯-০৫-১৫)। "Prevalence of violence against children: Evidence from 2017 Rohingya Refugee crises" 
  21. "Bangladesh wants to move Muslim refugees to an island to stop them 'mingling' with citizens"The Independent (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০১-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০ 
  22. "Bangladesh PM asks Myanmar to take back Rohingya refugees"Channel NewsAsia (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৩-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০ 
  23. "Rohingya Refugees in Bangladesh to Be Relocated to Remote, Inhospitable Island - The Boston Globe"BostonGlobe.com। ২০১৭-০৩-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০ 
  24. "Shining a light on Rohingya refugees - Global Journalist"Global Journalist (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৩-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০ 
  25. Kullab, Samya (২০১৭-০২-২৩)। "The Trouble With Thengar Char"Foreign Affairsআইএসএসএন 0015-7120। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০ 
  26. "Myanmar army: Charges of abuse of Rohingya unsubstantiated"Herald-Whig (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৩-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০ 
  27. "A fight to survive for Rohingya refugees in Bangladesh"aljazeera.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০ 
  28. "Bangladesh resurrects plan to move Rohingya refugees to flooded island"Reuters। ২০১৭-০১-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০ 
  29. Diplomat, Sumit Ganguly and Brandon Miliate , The। "Refugees and Neighbors: Rohingya in Bangladesh"The Diplomat (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০ 
  30. "Exile island"The Economist। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০ 
  31. France-Presse, Agence (২০১৫-০৫-২৭)। "Bangladesh plans to move Rohingya refugees to island in the south"The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০ 
  32. Hussain, Maaz। "Rohingya Refugees in Bangladesh Vow Never to Return to Myanmar"VOA (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০ 
  33. "Rights group accuses Bangladesh of ethnic cleansing, pushing Buddhists out with Rohingya refugees from Myanmar"hindustantimes.com/ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০২-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০ 
  34. "Bangladesh to ban cold pill chemical to fight meth surge | Dhaka Tribune"Dhaka Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৩-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০ 
  35. "Myanmar Rohingya refugees sucked into booming Bangladesh drug trade"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০ 
  36. "Myanmar nationals among 8 held with yaba pills worth Tk24cr | Dhaka Tribune"Dhaka Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৩-১৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০ 
  37. "Impacts of the Rohingya Refugee Influx on Host Communities - Bangladesh"ReliefWeb (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৮-১৪ 
  38. Sattar, Maher (২০১৭-০১-৩১)। "Rohingya Refugees in Bangladesh to Be Relocated to Remote Island"The New York Timesআইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০ 
  39. "Bangladesh: Reject Rohingya Refugee Relocation Plan"Human Rights Watch (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০২-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০ 
  40. Rahman, Shaikh Azizur; agencies (২০১৭-০২-০২)। "Plan to move Rohingya to remote island prompts fears of human catastrophe"The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-২০ 
  41. "প্রস্তুতি থাকলেও রোহিঙ্গারা কেউ ফিরতে চান না"। Archived from the original on ২০১৯-০৮-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-২২ 
  42. "Joint Government of Bangladesh - Population breakdown as of 30 April 2020"UNHCR Operational Data Portal (ODP) (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০২০