বাংলাদেশে খাস জমি দখল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
Country marked in green
পৃথিবীতে বাংলাদেশ
Shacks built above water
ঢাকার ভাসমান কুঁড়েঘর, ২০১১
People looking at camera, shacks behind them
মালগুদাম, ময়মনসিংহ বিভাগে রেলপথের পাশে কুঁড়েঘর, ২০০৯

বাংলাদেশে খাস জমি দখল ঘটে যখন দখলদাররা চট্টগ্রাম, ঢাকা এবং খুলনার মতো শহরের চৌহদ্দিতে "বস্তি" নামে পরিচিত অনানুষ্ঠানিক বসতি স্থাপন করে। ২০১৩ সালের হিসাবে, বাংলাদেশের শহুরে জনসংখ্যার প্রায় ৩৫ শতাংশ অনানুষ্ঠানিক বস্তিতে বসবাস করে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

যে অঞ্চলটি বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে তার দখলদারিত্বের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। মুঘল সাম্রাজ্যে থেকে ১৯৪৭ সালের বঙ্গবিভাজন এবং বাংলাদেশ সৃষ্টি পর্যন্ত।[১] সমসাময়িক সময়ে, দখলদারিত্বের কারণ হিসাবে, ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের পর বিক্ষোভের ফলস্বরূপ গ্রামাঞ্চল থেকে শহুরে অঞ্চলে বসতি স্থাপন, সাশ্রয়যোগ্য আবাসন ব্যবস্থা, খারাপ প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের যতো বিষয়গুলো রয়েছে।[২]:১৭-১৮ মাটিতে অনানুষ্ঠানিক বসতির পাশাপাশি ছাদ বস্তি এবং নৌ-কুড়েঁঘর সহ গ্রামীণ দখলদাররা রয়েছে যারা জমি দখল করে।[৩]

১৯৭৪ সালের বাংলাদেশের দুর্ভিক্ষের সময় বন্যার কারণে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং প্রায় ১,০০,০০০ মানুষ ঢাকার ১৮৩টি ক্যাম্পে বাস্তুচ্যুত হয়। বন্যা কমে যাওয়ার পর অনেক শরণার্থী বাড়ি না গিয়ে ঢাকার চৌহদ্দিতে অনানুষ্ঠানিক বসতিতে বসবাসের সিদ্ধান্ত নেন।[২]:২৫-২৬ এগুলি "বস্তি" নামে পরিচিত।[৪] সেই সময় এটিই একমাত্র উপলব্ধ বিকল্প ছিল যেহেতু ইতোমধ্যে ইতোমধ্যে ৪৭,১৯৫ ইউনিট আবাসন ঘাটতি ছিল এবং অভ্যন্তরীণ বস্তি ছাড়া ভাড়া নেওয়ার খুব কম বিকল্প ছিল। এইভাবে ১৯৭৪ সালে ঢাকার জনসংখ্যার দশ শতাংশ দখলদার ছিল।[২]:৩১-৩৬ পরের বছর সরকার জোর পূর্বক পুনর্বাসন কর্মসূচি শুরু করে যেখানে ২,০০,০০০ দখলদারকে হয় তাদের গ্রামে অথবা ডেমরা, মিরপুর এবং টঙ্গীর ক্যাম্পে স্থানান্তরিত করে। যদিও বেশিরভাগ পুনর্বাসিত মানুষ শিবিরে অবস্থান করেছিল, তবে এটি ঢাকায় অনানুষ্ঠানিক বসতি বৃদ্ধি বন্ধ করেনি।[৫][৬]

১৯৯০-এর দশকের শুরুতে চট্টগ্রাম শহরের জনসংখ্যা ছিল মাত্র ১৫ লক্ষেরও বেশি, যার মধ্যে আনুমানিক ৬৬,৬৭৬ জন দখলদার ৬৯টি এলাকায় বাস করতো।[৬] ২০১৩ সালের হিসাবে, বাংলাদেশের শহুরে জনসংখ্যার প্রায় ৩৫ শতাংশ অনানুষ্ঠানিক বসতিতে বাস করে। খুলনায় সবচেয়ে বড় দখলদারিত্বের এলাকা ছিল সুপ্রাঘাট, যেখানে ১৫,৮৭৫ জন বাসিন্দা ছিল।[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Abdullah, A. Q. M.; Roy, Gouri S. (২০০৫)। "Assessing needs and scopes of upgrading urban squatters in Bangladesh": 33–41। ১ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ মে ২০২১ 
  2. Choguill, Charles L. (১৯৮৭)। New Communities for Urban Squatters (ইংরেজি ভাষায়)। Plenum Press। আইএসবিএন 978-1-4612-9039-1ডিওআই:10.1007/978-1-4613-1863-7 
  3. Adnan, Shapan (জানুয়ারি ২০১৩)। "Land grabs and primitive accumulation in deltaic Bangladesh: interactions between neoliberal globalization, state interventions, power relations and peasant resistance": 87–128। ডিওআই:10.1080/03066150.2012.753058 
  4. Rahman, Mohammed Mahbubur (মার্চ ২০০১)। "Bastee eviction and housing rights": 49–67। ডিওআই:10.1016/S0197-3975(00)00026-6 
  5. Shakur, Tasleem (জানুয়ারি ১৯৮৮)। "Implications for policy formulation towards sheltering the homeless": 53–66। ডিওআই:10.1016/0197-3975(88)90026-4 
  6. Chowdhury, Iftekhar Uddin। "Problems of Squatter Settlements in Bangladesh : A Case of Chittagong City" 
  7. Roy, Manoj; Hulme, David (এপ্রিল ২০১৩)। "Contrasting adaptation responses by squatters and low-income tenants in Khulna, Bangladesh": 157–176। ডিওআই:10.1177/0956247813477362অবাধে প্রবেশযোগ্য