বলরামপুর জেলা, উত্তরপ্রদেশ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বলরামপুর জেলা
উত্তরপ্রদেশের জেলা
উত্তরপ্রদেশ্র বলরামপুর জেলার অবস্থান
উত্তরপ্রদেশ্র বলরামপুর জেলার অবস্থান
দেশভারত
রাজ্যউত্তরপ্রদেশ
বিভাগদেবিপাটন
সদর দপ্তরবলরামপুর
সরকার
 •  লোকসভা কেন্দ্রশ্রাবস্তী
আয়তন
 • মোট৩,৪৫৭ বর্গকিমি (১,৩৩৫ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট২১,৪৯,০৬৬
 • জনঘনত্ব৬২০/বর্গকিমি (১,৬০০/বর্গমাইল)
জনসংখ্যার উপাত্ত
 • সাক্ষরতা৫১.৭৬ %
 • যৌন অনুপাত৯২২/১০০০
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০)
বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত২২০০ মিমি
ওয়েবসাইটhttp://balrampur.nic.in/

বলরামপুর জেলা ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের একটি জেলা এবং দেবিপাটন বিভাগের একটি অংশ, এছাড়াও ঐতিহাসিক আওধ অঞ্চলেরও এটি একটি অংশ। পশ্চিম রাপ্তি নদীর তীরে অবস্থিত, বলরামপুর শহরটি জেলা সদর। বলরামপুর পটেশ্বরী দেবীর মন্দিরের জন্য পরিচিত, যেটি একটি শক্তিপীঠ। এছাড়াও নিকটবর্তী প্রাচীন শহর শ্রাবস্তীতে অনেক প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ আছে, যেটি এখন বৌদ্ধজৈনদের তীর্থস্থান। নিকটতম বিমানবন্দরটি হল শ্রাবস্তী বিমানবন্দর, শহর থেকে ২৩.৩ কিলোমিটার (১৪.৫ মা) দূরে। তবে এটি কোন আন্তর্জাতিক এবং নিয়মিত বিমানবন্দর নয়। নিকটতম আন্তর্জাতিক এবং নিয়মিত বিমানবন্দরটি লখনউয়ের চৌধুরী চরণ সিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, শহর থেকে ১৭৭.১ কিলোমিটার (১১০.০ মা) দূরে। লখনউ উত্তরপ্রদেশের রাজধানী শহর এবং বলরামপুর জেলা সদর থেকে ১৬২ কিলোমিটার (১০১ মা) দূরে অবস্থিত।

প্রশাসন[সম্পাদনা]

বলরামপুর জেলা তৈরির কাজটি ২৫শে মে ১৯৯৭ তারিখে জি.ডি.নম্বর ১৪২৮ /১-৫/৯৭/১৭২/৮৫-আর-৫ লখনউ দ্বারা হয়েছিল, গোণ্ডা জেলাকে ভাগ করে। সিদ্ধার্থ নগর, শ্রাবস্তী, গোণ্ডা জেলা যথাক্রমে বলরামপুরের পূর্ব-পশ্চিম এবং দক্ষিণে অবস্থিত এবং নেপাল রাজ্যটি এর উত্তর দিকে অবস্থিত। জেলার আয়তন ৩৩৬৯১৭ হেক্টর। এর মধ্যে কৃষিকার্য হয় ২২১৪৩২ হেক্টর জমিতে। জেলার উত্তরে হিমালয়ের শিবালিক পর্বতমালা অবস্থিত, যাকে তরাই অঞ্চল বলা হয়।[১]

ভারত সরকার মতানুযায়ী, ২০০১ সালের জনগণনা, আর্থ-সামাজিক সূচক এবং মৌলিক সুযোগ-সুবিধার সূচকের আদমশুমারি তথ্যের ভিত্তিতে বলরামপুর জেলা ভারতে সংখ্যালঘু কেন্দ্রীভূত জেলার মধ্যে একটি।

ব্যুৎপত্তি[সম্পাদনা]

জেলাটির নামকরণ করা হয়েছিল পূর্ববর্তী রাজপদ জমি (তালুকদারি) এবং এর রাজধানী, বলরামপুর শহরের নামে। এই এস্টেটের নামটি এর প্রতিষ্ঠাতা বলরাম দাসের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল, যিনি এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ১৬০০ খ্রিষ্টাব্দে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ঐতিহাসিক জনসংখ্যা
বছরজন.ব.প্র. ±%
১৯০১৫,২৯,৮৯৯—    
১৯১১৫,৩৩,২৯৩+০.০৬%
১৯২১৫,৫৬,২৭৪+০.৪২%
১৯৩১৫,৯৫,০১৬+০.৬৮%
১৯৪১৬,৪৯,২৪৭+০.৮৮%
১৯৫১৭,০৮,৮৩৯+০.৮৮%
১৯৬১৭,৯৩,৩৫৪+১.১৩%
১৯৭১৮,৯২,৩০৭+১.১৮%
১৯৮১১০,৮৫,৩০২+১.৯৮%
১৯৯১১৩,৬৮,৬৩০+২.৩৫%
২০০১১৬,৮২,৩৫০+২.০৯%
২০১১২১,৪৮,৬৬৫+২.৪৮%
সূত্র:[২]

বর্তমান বলরামপুর জেলা যে অঞ্চলটিকে নিয়ে আছে তা ছিল প্রাচীন কোশল রাজ্যের একটি অংশ।

প্রাচীন সময়কাল[সম্পাদনা]

শ্রাবস্তী ছিল উত্তর কোশলের রাজধানী। সাহেতের ধ্বংসাবশেষ, যা আসলে প্রাচীন শ্রাবস্তী, ৪০০ একর (১.৬ কিমি) অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত। সাহেতের সামান্য উত্তরে রাপ্তি নদীর দিকে প্রাচীন শহর মাহেত অবস্থিত। গৌতম বুদ্ধ ২১টি বর্ষাকাল এখানে একটি পবিত্র অশ্বত্থ গাছের নিচে কাটিয়েছিলেন। অঙ্গুলিমালের বিখ্যাত ঘটনাটি ঘটেছিল শ্রাবস্তীর বনে, যেখানে ডাকাতের দল লোককে হত্যা করত এবং তাদের আঙ্গুল কেটে মালা তৈরি করে পরত। সে দলটিকে জ্ঞানদীপ্ত করেছিলেন গৌতম বুদ্ধ

মধ্যযুগীয় সময়কাল[সম্পাদনা]

জেলার অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলটি মুঘল শাসনকালে আওধ সুবার বাহরাইচ সরকারের একটি অংশ ছিল। পরে, এটি আওধের শাসকের নিয়ন্ত্রণে আসে, এর পর ১৮৫৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ব্রিটিশ সরকার দ্বারা এর অন্তর্ভুক্তি ঘটানো হয়। ব্রিটিশ সরকার বলরামপুরকে বাহরাইচ থেকে পৃথক করে এবং একে গোণ্ডার একটি অংশে পরিণত করা হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Archived copy"। ১৬ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০১৩ 
  2. Decadal Variation In Population Since 1901

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]