বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ
বরিশাল প্রকৌশল মহাবিদ্যালয়
Barisal Engineering College, Bangladesh.jpg
ধরনসরকারি প্রকৌশল কলেজ
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ
৪৪
অবস্থান,
শিক্ষাঙ্গনআধাশহুরে (৮ একর)
অধিভুক্তিঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ওয়েবসাইটhttp://www.barisal-eng.edu.bd/
বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ লোগো.jpg

বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বাংলাদেশের বরিশাল সদর উপজেলার চাঁদপুরা ইউনিয়নের বরিশাল-ভোলা মহাসড়কের পাশে দুর্গাপুর নামক স্থানে অবস্থিত একটি স্নাতক পর্যায়ের সরকারি প্রকৌশল কলেজ। এটি বাংলাদেশের চতুর্থ প্রকৌশল কলেজ। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের অধিভুক্ত ও এটি চার বছর মেয়াদী বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

একাডেমিক ভবন
কলেজ ছাত্রাবাস

২০১০ সালে একনেকের এক সভায় বরিশালে প্রকৌশল কলেজ স্থাপনের জন্য অনুমোদন গৃহীত হয়। পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এর প্রশাসনিক অনুমোদন ও ভূমি অধিগ্রহণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয় ও নির্মাণ কাজের জন্য ৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। [১] ২০১২ সালে বরিশাল-ভোলা মহাসড়কের পাশে চাঁদপুরা ইউনিয়নের দুর্গাপুরে ৮ একর জমিতে বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। বর্তমানে প্রশাসনিক ভবন, বিভিন্ন অনুষদ ভবন, ছাত্রী হোস্টেল, দু’টি ছাত্রাবাস, অধ্যক্ষ ভবন, দু’টি শিক্ষকভবন ও দুইটি কর্মকর্তা ভবনের কাজ শেষ হয়েছে।

২০১৭/২০১৮ শিক্ষা বর্ষে ইইই এবং পুরকৌশল বিভাগে ১২০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। [২][৩]

ক্যাম্পাস[সম্পাদনা]

৮ একর জমির উপর এই ক্যাম্পাস অবস্থিত, এখানে ১৩ টি ভবন আছে। যার মধ্যে আছে একটি প্রশাসনিক ভবন, তিনটি অনুষদ ভবন(ইইই, সিভিল,নেভাল আর্কিটেকচার &মেরিন),একটি মাল্টিপারপাস ভবন (গ্রন্থাগার,সম্মেলন কক্ষ,কম্পিউটার ল্যাব,অন্যান্য ল্যাব সহ) ছাত্রদের জন্য দুইটি হল,ছাত্রীদের জন্য ১ টা হল,অধ্যক্ষ বাসভবন,শিক্ষকদের জন্য ২ টা আবাসিক ভবন,কর্মকর্তা & কর্মচারীদের জন্য ২ টা আবাসিক ভবন। কলেজের জন্য নিজস্ব বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন রয়েছে।এছাড়াও খেলার মাঠ & পুকুর রয়েছে।

ভর্তি প্রক্রিয়া ও শিক্ষা কার্যক্রম[সম্পাদনা]

এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মোট জিপিএর ভিত্তিতে এ কলেজে পড়ার জন্য আবেদন করতে পারে ও ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা এখানে পড়ার সুযোগ পেয়ে থাকে।[৪] একাডেমিক কার্যক্রম বছরে ২টি সেমিস্টারে ক্রেডিট পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়। এই প্রকৌশল কলেজটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত। এখানে ৪ বছর মেয়াদী বিএসসি-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং এর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

বিভাগ[সম্পাদনা]

স্নাতক ডিগ্রী[সম্পাদনা]

  • তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল (ইইই) বিভাগে বি.এস.সি
  • পুরকৌশল বিভাগে বি.এস.সি
  • নৌ স্থাপত্য এবং সামুদ্রিক কৌশলে বি.এস.সি

ল্যাব সুবিধা[সম্পাদনা]

তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ (ইইই)[সম্পাদনা]

  • তড়িৎ বিদ্যা ল্যাব
  • বৈদ্যুতিক সার্কিট ল্যাব
  • বৈদ্যুতিক মেশিন ল্যাব
  • পাওয়ার সিস্টেম এবং উচ্চ ভোল্টেজ ল্যাব
  • ডিজিটাল সংকেত প্রক্রিয়াকরণ ল্যাব
  • কাঠামোগত মেশিন ল্যাব

পুরকৌশল বিভাগ (সিই)[সম্পাদনা]

  • যন্ত্রের কর্মশালা
  • ঝালাই কর্মশালা
  • জরিপ কর্মশালা
  • ঢালাই কর্মশালা
  • পরিবহন ল্যাব
  • অঙ্কন ল্যাবরেটরি
  • হাইড্রোলিক্স ল্যাব
  • কাঠ কর্মশালা
  • পরিবেশ ল্যাব
  • চিত্র প্রক্রিয়াকরণ ল্যাব
  • ভূ-কারিগরি ল্যাব

অন্যান্য ল্যাব[সম্পাদনা]

  • পদার্থবিজ্ঞান ল্যাব
  • রসায়ন ল্যাব
  • কম্পিউটার ল্যাব

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "বরিশালে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ,৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ"। বরিশাল নিউজ। ২ অক্টোবর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন প্রকল্প অনুমোদন"। ২৯ এপ্রিল ২০১৪। ১১ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৫ 
  3. "চলতি বছর থেকেই শুরু হওয়ার কথা বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কার্যক্রম"। এসএ টিভি। ১৮ অক্টোবর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. "ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে জিপিএ'র ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তির নির্দেশ"। বাংলানিউজ২৪.কম। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জুলাই ২০১৫